ওয়ানডেতে এ নিয়ে ১৯ বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন সাকিব। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে নিজের ২২তম ম্যাচে এসে জিতলেন প্রথমবার।
চোট গত এক-দু্ বছর ধরে বেশ ভোগাচ্ছে সাকিবকে। তবে বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করে ওজন কমিয়েছেন তিনি। কঠোর অনুশীলনে হয়েছেন আরও ধারাল। কিছু একটা করে দেখানোর লক্ষ্য স্থির করেছিলেন এবার।
দলের প্রথম ম্যাচেই সাকিব দেখালেন দাপুটে পারফরম্যান্স। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে উপহার দিলেন বিশ্বকাপের সেরা জুটি। ৮৪ বলে আট চার ও এক ছক্কায় খেললেন ৭৫ রানের ইনিংস। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা অলরাউন্ডারের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ পায় ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
পরে আঁটসাঁট বোলিংয়ে সাকিব বেঁধে রেখেছিলেন ব্যাটসম্যানদের। দারুণ এক ডেলিভারিতে এইডেন মারক্রামকে বিদায় করে ভাঙেন বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি। সৌম্য সরকার ক্যাচ হাতছাড়া না করলে পেতে পারতেন ডেভিড মিলারের উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
ফিল্ডিংয়েও সাকিব ছিলেন প্রাণবন্ত। ঝাঁপিয়ে পড়ে নেন আন্দিলে ফেলুকোয়ায়োর ক্যাচ।
২১ রানে জিতে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল বাংলাদেশ। তাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখলেন দলের সেরা খেলোয়াড়।