বাংলাদেশের ২১ রানের জয়
জিততে রেকর্ড গড়তে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়ায় সফল হতে হতো। বাংলাদেশের বোলারদের সম্মিলিত অবদানে পারেনি ফাফ দু প্লেসির দল।
৩৩১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৮ উইকেটে ৩০৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৬৭ রানে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ২ উইকেট নেন ৫৭ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩০/৬ (তামিম ১৬, সৌম্য ৪২, সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭৮, মিঠুন ২১, মাহমুদউল্লাহ ৪৬*, মোসাদ্দেক ২৬, মিরাজ ৫*; এনগিডি ৪-০-৩৪-০, রাবাদা ১০-০-৫৭-০, ফেলুকোয়ায়ো ১০-১-৫২-২, মরিস ১০-০-৭৩-২, মারক্রাম ৫-০-৩৮-০, তাহির ১০-০-৫৭-২, দুমিনি ১-০-১০-০)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩০৯/৮ (ডি কক ২৩, মারক্রাম ৪৫, দু প্লেসি ৬২, মিলার ৩৮, ফন ডার ডাসেন ৪১, দুমিনি ৪৫, ফেলুকোয়ায়ো ৮, মরিস ১০, রাবাদা ১৩*, তাহির ১০*; মুস্তাফিজ ১০-০-৬৭-৩, মিরাজ ১০-০-৪৪-১, সাইফ ৮-১-৫৭-২, সাকিব ১০-০-৫০-১, মাশরাফি ৬-০-৪৯-০, মোসাদ্দেক ৬-০-৩৮-০)
দক্ষিণ আফ্রিকার আশা হয়ে টিকেছিলেন জেপি দুমিনি। অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের জয়কে সময়ের ব্যাপারে পরিণত করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
বাঁহাতি পেসারের স্লোয়ার-বাউন্সার ঠিক মতো খেলতে পারেননি দুমিনি। বল ব্যাটের নিচের দিকে কানায় লেগে এলোমেলো করে দেয় স্টাম্পস। ৩৭ বলে চারটি চারে ৪৫ রান করেন দুমিনি।
৪৮ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২৯১/৮। ক্রিজে কাগিসো রাবাদার সঙ্গী ইমরান তাহির।
মরিসের বিদায়ে জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ
ক্রিস মরিসকে বিদায় করে বাংলাদেশকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে গেলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
ছোট বাউন্ডারিকে লক্ষ্য করেছিলেন মরিস। তবে ফুলটস বলটি পারেনি সীমানার বাইরে পাঠাতে। এর আগে ডেভিড মিলারকে জীবন দেওয়া সৌম্য সরকার এবার ভুল করেননি। মুঠোয় নেন ক্যাচ। ১০ বলে ১ চারে ১০ রান করে ফিরেন মরিস।
৪৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২৭৬/৭। ক্রিজে জেপি দুমিনির সঙ্গী কাগিসো রাবাদা। জয়ের শেষ ৪ ওভারে ৫৫ রান চাই তাদের।
ফেলুকোয়ায়োকে দ্রুত ফেরালেন সাইফ
রানের জন্য ছটফট করা আন্দিলে ফেলুকোয়ায়োকে দ্রুত ফেরালেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
তরুণ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের আগের ওভারটি ছিল উইকেট-মেডেন। তবুও তাকে প্রান্ত বদল করান অধিনায়ক। এবারও উইকেট পেলেন সাইফ।
ফুলটস বল কাভার দিয়ে খেলেছিলেন ফেলুকোয়ায়ো। নিচে রাখতে পারেননি। ঝাঁপিয়ে চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় নেন সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে ৮ রান করে ফিরেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার।
৪৩ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২৫২/৬। ক্রিজে জেপি দুমিনির সঙ্গী ক্রিস মরিস।
ফেলুকোয়ায়োকে দ্রুত ফেরালেন সাইফ
রানের জন্য ছটফট করা আন্দিলে ফেলুকোয়ায়োকে দ্রুত ফেরালেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
আক্রমণে ফিরেই সাইফের আঘাত
দ্রুত এগোনোর চেষ্টায় থাকা রাসি ফন ডার ডাসেনকে বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
ডানহাতি পেসারের স্টাম্পের বলে ক্রস ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডাসেন। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি, এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্পস। ৩৮ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৪১ রান করেন তিনি।
৪০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২২৮/৫। ক্রিজে জেপি দুমিনির সঙ্গী আন্দিলে ফেলুকোয়ায়ো। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ১০৩ রান চাই তাদের।
আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন জেপি দুমিনি।
মুস্তাফিজুর রহমানের ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন দুমিনি। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় স্টাম্পের উপর দিয়ে যেতো বল। পাল্টায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত, বেঁচে যান দুমিনি।
৩৮ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২২৩/৪। ফন ডার ডাসেন ৩৯ ও দুমিনি ৫ রানে ব্যাট করছেন।
মিলারকে থামালেন মুস্তাফিজ
ডেভিড মিলারকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভাঙলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
বাঁহাতি পেসারের বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন মিলার। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভাঙে ৫৫ রানের জুটি। ৪৩ বলে দুটি চারে ৩৮ রান করেন মিলার।
৩৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২০৫/৪। ক্রিজে রাসি ফন ডার ডাসেনের সঙ্গী জেপি দুমিনি।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙতে অধিনায়ক আক্রমণে ফিরিয়ে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমানকে। সুযোগ তৈরিও করেছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। তবে ডেভিড মিলারের ক্যাচের ফ্লাইট বুঝতে না পেরে সুযোগটি নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ।
ব্যাটের কানা ছুঁয়ে ক্যাচ এসেছিল থার্ড ম্যানে। শুরুতে এগিয়ে একটু থমকে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পরে আবার এগিয়েছিলেন কিন্তু নাগাল পাওয়ার আগে বল মাটি ছুঁয়ে ফেলে।
৩৪ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১৯৬/৩। মিলার ৩৩ ও রাসি ফন ডার ডাসেন ২৪ রানে ব্যাট করছেন।
মিলারকে জীবন দিলেন সৌম্য
হাতছাড়া হয়ে গেল ডেভিড মিলারকে দ্রুত ফেরানোর একটা সুযোগ। সাকিব আল হাসানের বলে বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ক্যাচ ছাড়লেন সৌম্য সরকার।
মিডঅফের ওপর দিয়ে বল পাঠাতে চেয়েছিলেন মিলার। টাইমিং করতে পারেননি। লাফিয়ে বলে হাত ছোঁয়াতে পারলেও ক্যাচ জমাতে পারেননি সৌম্য। সে সময় ১৬ রানে ছিলেন ব্যাটসম্যান।
৩০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১৬৯/৩। মিলার ১৯ ও রাসি ফন ডার ডাসেন ১৫ রানে ব্যাট করছেন।
বিপজ্জনক দু প্লেসিকে ফেরালেন মিরাজ
আক্রমণে ফিরে সাফল্য পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিকে ফিরিয়ে দিলেন তরুণ এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন দু প্লেসি। তাকে বেরুতে দেখে বল টেনে দেন মিরাজও। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি ব্যাটসম্যান। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্পস। ভাঙে ৪৫ রানের জুটি।
দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৫৩ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করেন দু প্লেসি। ২৭ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১৪৭/৩। ক্রিজে ডেভিড মিলারের সঙ্গী রাসি ফন ডার ডাসেন।
ছক্কায় দু প্লেসির ফিফটি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানছেন ফাফ দু প্লেসি। মোসাদ্দেক হোসেনকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৫ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক। শুরু থেকে সাবলীল ব্যাটিং করছেন তিনি। উইকেটের চারপাশে শট খেলে সচল রেখেছেন রানের চাকা।
২৫ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১৩৫/২। দু প্লেসি ৫৩ ও ডেভিড মিলার ৯ রানে ব্যাট করছেন।
এইডেন মারক্রামকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম পাঁচ হাজার রান ও আড়াইশ উইকেটের কীর্তি গড়লেন সাকিব আল হাসান। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের সেরা অলরাউন্ডারের এই অর্জনে লেগেছে ১৯৯ ম্যাচ। রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের আব্দুল রাজ্জাকের অধিকারে। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের লেগেছিল ২৫৮ ম্যাচ।
জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন মারক্রাম। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি, ফিরে যান বোল্ড হয়ে। ভাঙে ৫৩ রানের জুটি। ৫৬ বলে চারটি চারে ৪৫ রান করেন মারক্রাম।
২০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১০৫/২। ক্রিজে ফাফ দু প্লেসির সঙ্গী ডেভিড মিলার।
ক্যাচ ছেড়ে রান আউট করলেন মুশফিক
সুযোগ হাতছাড়া হতে বসেছিল মুশফিকুর রহিমের ব্যর্থতায়। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ছেড়ে দিয়েছিলেন কুইন্টন ডি ককের ক্যাচ। তবে পুষিয়ে দেন তখনই। রান নিতে গিয়ে দুই ব্যাটসম্যানের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিপার-ব্যাটসম্যানকে।
৩২ বলে চারটি চারে ২৩ রান করে ফিরেন কক। ভাঙে ৪৯ রানের জুটি। ১০ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৫১/১। ক্রিজে এইডেন মারক্রামের সঙ্গী অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি।
মাহমুদউল্লাহর শেষের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ।
ওয়ানডেতে তাদের আগের সেরা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩২৯। বিশ্বকাপে সেরা ছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে গত আসরের ৪ উইকেটে করা ৩২২ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়া বাংলাদেশ ৬ উইকেটে করেছে ৩৩০ রান। দেশটির বিপক্ষে তাদের আগের সেরা ছিল ২০১৭ সালে কিম্বার্লিতে ২৭৮।
শেষের ১০ ওভারে ৮৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এতে সবচেয়ে বড় অবদান মাহমুদউল্লাহর। ৩৩ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩০/৬ (তামিম ১৬, সৌম্য ৪২, সাকিব ৭৫, মুশফিক ৭৮, মিঠুন ২১, মাহমুদউল্লাহ ৪৬*, মোসাদ্দেক ২৬, মিরাজ ৫*; এনগিডি ৪-০-৩৪-০, রাবাদা ১০-০-৫৭-০, ফেলুকোয়ায়ো ১০-১-৫২-২, মরিস ১০-০-৭৩-২, মারক্রাম ৫-০-৩৮-০, তাহির ১০-০-৫৭-২, দুমিনি ১-০-১০-০)
দলকে তিনশ রানে নিয়ে ফিরলেন মোসাদ্দেক
ঝড় তুলে ফিরলেন মোসাদ্দেক হোসেন। ক্রিস মরিসকে ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দিলেন আন্দিলে ফেলুকোয়াকোকে।
ভাঙল ৬৬ রানের জুটি। ২০ বলে চারটি চারে ২৬ রান করেন মোসাদ্দেক।
৪৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩১৬/৬। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ
জুটির পঞ্চাশ, বাংলাদেশের তিনশ
১৬ ওভারে একশ, ৩২ ওভারে দুইশ তারই ধারাবাহিকতায় ৪৮ ওভারে তিনশ রানে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে একটু কমেছিল রানের গতি। মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেকের জুটিতে আবার বেড়েছে সেটা। ৩৭ বলে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন তারা।
৪৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩০২/৫। মাহমুদউল্লাহ ২৪ ও মোসাদ্দেক হোসেন ২৬ রানে ব্যাট করছেন।
ছক্কার চেষ্টায় ফিরলেন মুশফিক
আক্রমণে ফেরা আন্দিলে ফেলুকোয়াকোর প্রথম বল ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে টাইমিং করতে না পেরে ফিরে যান ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে।
৮০ বলে আট চারে ৭৮ রান করেন মুশফিক। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেছে বাংলাদেশ।
৪৩ ওভারে শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৫৭/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন।
ছক্কার চেষ্টায় ফিরলেন মুশফিক
আক্রমণে ফেরা আন্দিলে ফেলুকোয়াকোর প্রথম বল ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। টাইমিং করতে না পেরে ফিরে যান ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে।
বোল্ড হয়ে ফিরলেন মিঠুন
বেশিক্ষণ টিকলেন না মোহাম্মদ মিঠুন। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিলেন ইমরান তাহির।
স্লগ সুইপ করে লেগ স্পিনারকে ওড়াতে চেয়েছিলেন মিঠুন। ঠিকমতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ২১ বলে এক ছক্কা ও দুই চারে ২১ রান করে ফিরেন তিনি।
৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৪৪/৪। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী শেষের ঝড়ের জন্য বাংলাদেশের মূল ভরসা মাহমুদউল্লাহ।
দৃঢ় ভিত দিয়ে ফিরলেন সাকিব
সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন নিজের শততম ম্যাচ খেলা ইমরান তাহির।
লেগ স্পিনারকে সুইপ করতে চেয়েছিলেন সাকিব। ব্যাটে-বলে করতে না পেরে ফিরে যান বোল্ড হয়ে। ভাঙে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১৪২ রানের জুটি।
বিশ্বকাপে আগের সেরা ৬৩ ছাড়িয়ে ৭৫ রানে থামেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। তার ৮৪ বলের ইনিংস গড়া আট চার ও এক ছক্কায়।
৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২২/৩। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা জুটি
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মুশফিকের ১৪১ রানের জুটি ছিল আগের সেরা।
৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২১৭/২। জুটির রান ১৪২। সাকিব ৭৫ ও মুশফিক ৭১ রানে ব্যাট করছেন।
ম্যাচের সপ্তম ওভার শেষে মাঠ ছেড়েছিলেন লুঙ্গি এনগিডি। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে বাংলাদেশের বিপক্ষে আর বোলিংয়ে ফেরা হবে না এই পেসারের। খরুচে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন এনগিডি।
এক ছন্দে এগিয়ে বাংলাদেশের দুইশ
দারুণ জুটিতে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ৩২তম ওভারের শেষ বলে দলকে নিয়ে গেছেন দুইশ রানে। ষোড়শ ওভারের শেষ বলে একশ ছুঁয়েছিল বাংলাদেশের স্কোর।
৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০০/২।
বাংলাদেশ পেয়ে গেছে দৃঢ় ভিত। জুটিতে এরই মধ্যে এসেছে শতরান। বিশ্বকাপে নিজের সেরা ৬৩ ছাড়িয়ে সাকিব ব্যাট করছেন ৬৫ রানে। মুশফিক খেলছেন ৬৪ রানে।
সাকিবের পর মুশফিকের ফিফটি
সাকিব আল হাসানের পর ফিফটি পেলেন মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডেতে তার ৩৪তম, বিশ্বকাপে পঞ্চম।
৫২ বলে ফিফটি করার পথে ৬টি বাউন্ডারি হাঁকান মুশফিক। এক সময়ে রানের দিক থেকে সাকিবের চেয়ে বেশ পিছিয়ে ছিলেন তিনি। বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে সতীর্থকে প্রায় ধরে ফেলেছেন।
২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৮২/২। সাকিব ৫৭ ও মুশফিক ৫৪ রানে ব্যাট করছেন।
জুটি বেঁধে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি আগে থেকেই সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের। এবার তারা ভাগ বসালেন দেশের হয়ে শতরানের জুটির রেকর্ডে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯৫ বলে তিন অঙ্কে যায় সাকিব-মুশফিকের তৃতীয় উইকেট জুটির রান। ওয়ানডেতে এটি তাদের পঞ্চম শতরানের জুটি। পাঁচটি করে শতরানের জুটি আছে তামিম ইকবাল ও মুশফিক এবং তামিম ও সৌম্য সরকারের।
বিশ্বকাপে এনিয়ে চতুর্থবার শতরানের জুটি পেল বাংলাদেশ। আগের তিনটি জুটিই হয়েছিল গত আসরে।
চমৎকার ব্যাটিংয়ে দলকে টানছেন সাকিব আল হাসান। ৫৪ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। তার ক্যারিয়ারের ৪৩তম, বিশ্বকাপে ষষ্ঠ।
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে এসেছে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা।
শুরুতে একটু সময় নিয়েছিলেন সাকিব। পরে খেলেছেন নিজের সব শট। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছেন সহ-অধিনায়ক।
২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৬/২। সাকিব ৫০ ও মুশফিকুর রহিম ৪৬ রানে ব্যাট করছেন।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বাংলাদেশকে টানছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সফলতম জুটির দুই কারিগর ৫১ বলে গড়েছেন পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।
একটু মন্থর শুরুর পর নিজের সব শট খেলতে শুরু করেছেন সাকিব। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন মুশফিক।
২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৭/২। সাকিব ৪১ ও মুশফিক ২৬ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের একশ
দুই ওপেনারকে হারানোর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ষোড়শ ওভারে তিন অঙ্কে গেছে বাংলাদেশের স্কোর।
তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর একটু কমেছে বাংলাদেশের রানের গতি। ৭ ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল দলের সংগ্রহ। পরের পঞ্চাশ এলো ৯ ওভারে।
১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০০/২। সাকিব ২১ ও মুশফিক ১০ রানে ব্যাট করছেন।
আগে থেকেই জানা ছিল, শর্ট বল হবে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছিলেন, শর্ট বলের জন্য প্রস্তুত আছেন ব্যাটসম্যানরা। সেই শর্ট বলেই থামলেন সৌম্য সরকার।
ক্রিস মরিসের বল অ্যাঙ্গেলে বের হয়ে যাচ্ছিল। পুল করে ওড়াতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। গ্লাভস ছুঁয়ে সহজ ক্যাচ যায় পেছনে। ছুটে এসে সামনে ঝাঁপিয়ে বল গ্লাভসে জমান কুইন্টন ডি কক।
৩০ বলে ৯ চারে ৪২ রান করেন সৌম্য। ১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৯/২। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মিডল অর্ডারের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহিম।
সৌম্য সরকারকে ফেরাতে রিভিউ নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাঁহাতি ওপেনার বেঁচে গেলেন আম্পায়ার্স কলে।
আন্দিলে ফেলুকোয়ায়োর অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি সৌম্য। এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়েছিলেন ফাফ দু প্লেসি। সে সময় ৩৬ রানে ব্যাট করছিলেন সৌম্য।
এসেই তামিমকে ফেরালেন ফেলুকোয়ায়ো
বোলিংয়ে এসেই নিজের দ্বিতীয় বলে কট বিহাইন্ড করে তামিম ইকবালকে ফেরালেন আন্দিলে ফেলুকোয়ায়ো।
একটু বাড়তি লাফানো বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি তামিম। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে। ২৯ বলে দুই চারে ১৬ রান করেন তামিম। নবম ওভারে ভাঙে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
ক্রিজে সৌম্য সরকারের সঙ্গী আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৪২ বলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ।
লুঙ্গি এনগিডির বলে তামিমের দারুণ বাউন্ডারিতে পঞ্চাশে যায় দল ও জুটির রান। সেই ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি বাউন্ডারি হাঁকান সৌম্য।
৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫০/০। ধীরে ধীরে বাড়ছে রানের গতি। শেষ ৩ ওভারে ৩৬ রান তুলে নিয়েছেন দুই ওপেনার। তামিম ১৬ ও সৌম্য ২৭ রানে ব্যাট করছেন।
সাবধানী তামিম, আত্মবিশ্বাসী সৌম্য
দুই ওপেনারের দুই মেজাজের ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। সাবধানী ব্যাটিং করছেন তামিম ইকবাল। একটু ঝুঁকি নিয়ে রানে গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন সৌম্য সরকার।
প্রথম ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন সৌম্য। পঞ্চম ওভারে তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি বাউন্ডারি। এর তৃতীয়টি ব্যাটের কানায় লেগে বেরিয়ে যায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্লিপের মাঝ দিয়ে।
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৮/০। তামিম ১৮ বলে ৮ ও সৌম্য ১২ বলে ১৮ রানে ব্যাট করছেন।
খেলতে পারছেন না আমলা
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় হেলমেটে বল লেগে কপালে চোট পাওয়া হাশিম আমলা খেলবেন কি না তার জন্য সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া ওপেনার খেলতে পারছেন না বাংলাদেশের বিপক্ষে। বাদ পড়েছেন অলরাউন্ডার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।
দলে এসেছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস।
দক্ষিণ আফ্রিকা: কুইন্টন ডি কক, এইডেন মারক্রাম, ফাফ দু প্লেসি, রাসি ফন ডার ডাসেন, ডেভিড মিলার, জেপি দুমিনি, ক্রিস মরিস, আন্দিলে ফেলুকোয়ায়ো, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি, ইমরান তাহির।
চোট শঙ্কা পেছনে ফেলে খেলছেন সাইফ
চোট শঙ্কাকে পেছনে ফেলে খেলছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ব্যাটিং অনুশীলনের সময় হাতে চোট পাওয়া তামিম ইকবালও খেলছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
বোলিং সামর্থ্য বিবেচনায় জন্য মোসাদ্দেক হোসেন ও সাব্বির রহমানের মধ্যে মোসাদ্দেককে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন ফাফ দু প্লেসি। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক জানান, বাড়তি পেস দিয়ে আক্রমণ করতে চান তারা। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করছেন, ব্যবহৃত উইকেটে আগে ব্যাটিং ভালোই হওয়ার কথা। নির্ভর করবে কিভাবে ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করেন তার উপর।
সাকিব ও আমলার সামনে রেকর্ডের হাতছানি
এক উইকেট পেলেই পাকিস্তানের আব্দুল রাজ্জাককে পেছনে ফেলে ওয়ানডেতে দ্রুততম পাঁচ হাজার রান ও আড়াইশ উইকেটের কীর্তি গড়বেন সাকিব আল হাসান।
রেকর্ডের হাতছানি আছে হাশিম আমলার সামনে। ৭৭ রান করতে পারলে ভারতের বিরাট কোহলিকে ছাড়য়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম আট হাজার রানের কীর্তি গড়বেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনার।
আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের প্রথম পরীক্ষা
শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান। আত্মবিশ্বাসী মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের প্রথম প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে ষষ্ঠবারের মতো খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে জয় দিয়ে শুরু করার দিকে।
লন্ডনের দা ওভালে রোববার ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে তিনটায়।
কদিন আগে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জেতা বাংলাদশকে নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। সেই প্রত্যাশাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে টুর্নামেন্টে এগিয়ে যেতে চান অধিনায়ক। আপাতত তার নজর ভালো শুরুর দিকে।
অন্য দিকে, এবারের আসরের শুরুটা বাজে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে ১০৪ রানে। প্রথম জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামছে ফাফ দু প্লেসির দল।
শর্ট বলের স্রোত সামলাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
শর্ট বল ও গতিময় ডেলিভারিতে বাংলাদেশের দুর্বলতা সবারই জানা। এই সুবিধা নেওয়ার সামর্থ্য দক্ষিণ আফ্রিকার রয়েছে। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা জানান, প্রতিপক্ষ যে এই কৌশল নিতে পারে তা জানেন তারা। ব্যাটসম্যানরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলে একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে দুটিতে। বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সবশেষ দেখায় দেশের মাটিতে ২০১১ আসরে ৭৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে ২০৬ রানে হেরেছিল তারা।