এক সময় ওয়ানডে দলে রুবেল অপরিহার্য থাকলেও গত কিছুদিনে বদলে গেছে চিত্র। সাইফের উত্থান আর নিজের নানা চোটে রুবেল এখন আর নিয়মিত নন। গত নিউ জিল্যান্ড সফরে একটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি, তিনটি ম্যাচই খেলেছেন সাইফ।
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে সাইফ সুযোগ পেয়ে দারুণ বোলিং করেছেন। খেলেছেন তিন ম্যাচ। নিজের চোট ও সাইফের ফর্ম মিলিয়ে রুবেল খেলেছেন এক ম্যাচ। শুক্রবার ওভালে সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালশ সে আভাস দিলেন, তাতে সম্ভাবনায় পরিষ্কারভাবেই এগিয়ে সাইফ।
“বিশ্বকাপের আগে রুবেল খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। তবে ওর মতো একজন দলে থাকা ভালো। যদি তিন পেসার নিয়ে নামি আমরা, তাহলে এই কদিন ধরে যারা খেলছে, তাদের ধরে রাখার সম্ভাবনাই বেশি।”
দুই জনের বোলিংয়ের ধরন অবশ্য আলাদা। সাইফের মূল শক্তি নিয়ন্ত্রণ। রান আটকে রাখা। শেষের দিকের বোলিংয়েও এখন দলের পছন্দ তিনি। রুবেল আবার অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। একটু খরুচে হলেও উইকেট শিকারি তিনি।
ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও দেখা ফুটে উঠেছে দুই জনের এই দুই দিক। সাইফ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি নিয়েছেন বিরাট কোহলির উইকেট। রুবেল রান বেশি দিলেও মাঝের ওভারগুলোয় নিয়েছেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
ওয়ালশের পছন্দ কোনটি, নিয়ন্ত্রিত ও নিরাপদ বোলিং নাকি আগ্রাসী কিন্তু ঝুঁকির? সরাসরি প্রশ্নে বাংলাদেশের বোলিং কোচ বেছে নিলেন নিরাপদ পথ।
“উইকেট কেমন, সেটির ওপরে নির্ভর করতে পারে সিদ্ধান্ত। প্রতিপক্ষের ব্যাটিং শক্তি বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে। বোলিং কোচ হিসেবে আমার কাজ ওদেরকে প্রস্তুত রাখা।”
এই দুজনের একজনকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য বড় ভূমিকা রাখতে পারে এখন ফিটনেস। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেই পিঠের আড়ষ্ঠতায় ভুগছেন সাইফ। ম্যাচের আগে যদি তিনি কতটা ফিট হতে পারেন, এটার ওপরও নির্ভর করছে সিদ্ধান্ত।
“সাইফের ইনজুরিতে জায়গাটা আবার উন্মুক্ত হয়েছে। এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। নির্দিষ্ট দিনে যে বেশি ফিট, তাকেই বেছে নিতে হবে। সাইফ যদি কাল ফিট হতে না পারে, আমাদের সেটা ভাবতে হবে। যদি ফিট হয়ে ওঠে, তাহলে সেটা নির্বাচকদের ব্যাপার, কাকে নেবে। এই মুহূর্তে আমরা খুশি যে আমাদের যথেষ্ট বোলিং গভীরতা আছে, শেষ সময়ে কেউ ছিটকে গেলে আরেকজন প্রস্তুত।”