রানির প্রাসাদে যেমন কাটল মাশরাফিদের সময়

চাকচিক্যময় ও আভিজাত প্রাসাদ। সোনা রঙের আলোর ঝলকানিতে চারপাশের সব কিছু মনে হয় যেন সোনায় মোড়ানো। সভাসদরা অপেক্ষায় কখন রাজা বা রানি আসবেন দরবারে। তিনি আসতেই সবাই নত হয়ে সম্মান জানানো। এত দিন টিভি-চলচ্চিত্রেই এসব দেখে এসেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এবার নিজের চোখে দেখার অভিজ্ঞতা হলো!

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিলন্ডন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2019, 02:21 PM
Updated : 30 May 2019, 09:47 PM

বিশ্বকাপ ক্রিকেট এবার ফিরেছে জন্মভূমিতে। ২০ বছর পর আবার ইংল্যান্ডে হচ্ছে বিশ্বকাপ। বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বিশ্বকাপের ১০ দলের অধিনায়ক গিয়েছিলেন বাকিংহ্যাম প্যালেসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে।

ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ও রাজকীয় আভিজাত্যের প্রতীক মনে করা হয় হয় এই ভবনকে। গোটা বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিচিত ভবনগুলোর একটি। ইংল্যান্ডে পর্যটকেদর সবচেয়ে বড় আকর্ষণের একটি এটি, এই ভবন নিয়ে কৌতূহল দুনিয়াজোড়া।

মাশরাফির অবশ্য ব্যক্তিগত আগ্রহ খুব একটা ছিল না। ঐতিহাসিক বা দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে খুব একটা কৌতূহল তার কাজ করে না। বিশ্বকাপে আইসিসির আনুষ্ঠানিক আয়োজনের অংশ বলেই যেতে হয়েছে। গিয়ে অবশ্য তার বেশ ভালো কেটেছে সময়। কয়েক দিনে অধিনায়কদের নিয়ে আইসিসির আয়োজনের পর এ দিন আবার ১০ অধিনায়ক আবার একত্র হতে পেরেছিলেন। আড্ডা ও খুনসুটির সুযোগ মিলেছে। মাশরাফি জানালেন, নিজেদের মধ্যে কথা ও মজায় সময়টুকু ভালোই উপভোগ করেছেন তারা।

রাজ পরিবারের রীতি-নীতি, অনেক ইতিহাসের সাক্ষী প্রাসাদের জাঁকজমকপূর্ণ সাজসজ্জা ও আভিজাত্যের আবহ, সবকিছু কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে অধিনায়কদের। প্রিন্স উইলিয়াম এই আয়োজনে না থাকলেও বেশ খানিকটা সময় ছিলেন প্রিন্স হ্যারি। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মাশরাফি জানালেন, বাংলাদেশ নিয়ে বেশ আগ্রহ ছিল প্রিন্স হ্যারির কথায়।

“আমাকে বললেন, বাংলাদেশের অনেক বড় একটি কমিউনিটি আছে এখানে। অনেকক্ষেত্রেই তারা বড় ভূমিকা রাখছে এই দেশে। আবহাওয়া নিয়ে কথা হলো, দেশে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে এসে এখানে খেলা কতটা কঠিন। বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের প্রস্তুতির খোঁজ খবরও নিলেন। বললেন খেলা উপভোগ করতে।”

রানি এলিজাবেথও মাশরাফিদের বলেছেন, উপভোগের মন্ত্রে মাঠে নামবে। শুভ কামনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলকে। আর অনুরোধ করেছেন, অবশ্যই যাওয়ার আগে অবশ্যই চায়ে চুমুক দিতে, বাকিংহ্যাম প্যালেসের চা নাকি দারুণ মজার!

কতটা মজার, সেই স্বাদ অবশ্য নেওয়া হয়নি মাশরাফিদের। রানির সঙ্গে সাক্ষাতের পর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তাড়া ছিল। অধিনায়কদের দ্রুত ছুটতে হয়েছে সেই আয়োজনে সামিল হতে।