প্রতিটি ম্যাচই সাব্বিরের কাছে শেষ সুযোগ

সাড়ে চার বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ার। কিন্তু বাংলাদেশ দলে সাব্বির রহমানের আত্মপরিচয়ের সংকট এখনও প্রকট। ঝলক মাঝেমধ্যেই দেখিয়েছেন, তবে ধারাবাহিকতার আলোয় জায়গা পাকা করতে পারেননি। সেই বাস্তবতা জানেন নিজেও। প্রতিটি ম্যাচই তাই খেলতে নামেন নিজের শেষ সুযোগ হিসেবে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কার্ডিফ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2019, 05:37 PM
Updated : 26 May 2019, 05:37 PM

সুযোগ সাব্বিরের সামনে আছে সামনেও। তবে অবারিত নয়। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার সময় যে বাস্তবতা ছিল, সেটি বদলে গেছে যথেষ্টই। শেষের দিকে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তার বিকল্প নেই ভেবেই অনেক সমালোচনা ও বিতর্কের মধ্যে গত নিউ জিল্যান্ড সফরে তাকে দলে ফেরানো হযেছিল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। তার সামর্থ্যে আস্থা কমেনি দলের। তবে আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজে মোসাদ্দেক হোসেন দেখিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি হতে পারেন বিকল্প।

একজন বিকল্প প্রস্তুত থাকা মানে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেই জায়গা হারানোর শঙ্কা। সাব্বিরের সামনেও এখন সেই চ্যালেঞ্জ। ভারতের বিপক্ষে মঙ্গলবার প্রস্তুতি ম্যাচে, কিংবা বিশ্বকাপে শুরুর দিকে ভালো না করলে নেমে আসতে পারে খড়গ। সাব্বির জানালেন, চ্যালেঞ্জটা তিনি জানেন। সেই চাপের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াও শিখতে শুরু করেছেন।

“আমি সবসময় অনুভব করি, এটা আমার শেষ ম্যাচ। এখানে ভালো করে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো করতে হবে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো করে পরের ম্যাচ চেষ্টা করতে হবে। শেষ ম্যাচ ধরে নিয়েই সবটা দেওয়ার চেষ্টা করি।”

রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় যারা সবচেয়ে বেশি হতাশ, সাব্বির তাদের একজন। আয়ারল্যান্ডে দল ভালো করলেও তার প্রস্তুতি ভালো হয়নি। এখানেও কমে গেল ম্যাচ অনুশীলনের একটি সুযোগ। হতাশ সাব্বির তাই সন্তুষ্টি খুঁজছেন অনুশীলনেই।

“ত্রিদেশীয় সিরিজে আমি সেরকম ব্যাটিং করতে পারিনি। টপ অর্ডার ভালো করায় সুযোগ আসেনি। একটি সুযোগ পেয়েছিলাম, কাজে লাগাতে পারিনি। আজকের প্র্যাকটিস ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার জন্য। এখন পরের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। খেলা না হওয়া হতাশার। তবে দল ভালো শেপে আছে, আমিও ভালো শেপে আছি। অনুশীলন করছি। যে উইকেটে খেলা হবে, সে রকম উইকেটেই অনুশীলন করছি। দেখা যাক সামনে কী হয়।”

“অনুশীলনে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি সবসময়ই অনুশীলনে বিশ্বাস করি। অনুশীলনে যদি আমি ভালো করি, তাহলে ম্যাচের জন্য বিশ্বাস গড়ে ওঠে। আমি যদি অনুশীলন ঠিকমতো করতে পারি, ম্যাচেও ভালো বিশ্বাস আসবে।”

বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক আশাও আছে সাব্বিরের। এটি তার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবীন নন তিনি অনেক দিন ধরেই। কিন্তু পারফরম্যান্সে এখনও নিজেকে পরের ধাপে নিতে পারেননি। তিনি নিজে যদিও নিজেকে যথেষ্ট পরিণতই মনে করেন। অভিজ্ঞতা দিয়েই রাঙাতে চান এই বিশ্বকাপ।

“বিশ্বকাপ নিয়ে আমি সবসময়ের মতোই রোমাঞ্চিত। প্রথম বিশ্বকাপে আবেগটাই বেশি ছিল। এখন ম্যাচিউরিটির ব্যাপার আছে। চার-সাড়ে চার বছর খেলেছি। যা কিছু অর্জন করেছি এই কদিনে, ম্যাচিউরিটি দিয়ে হোক, নিজের শক্তির জায়গা দিয়ে হোক, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।”