‘মুখোমুখি’ সাব্বির-মোসাদ্দেক

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ পরিত্যক্ত। তবে ক্রিকেটারদের কাজ তাতেই শেষ নয়। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়াটাও তাদের পেশাগত দায়িত্বেরই অংশ। সেই দাবি মেটাতে এলেন বাংলাদেশের দুই প্রতিনিধি মোসাদ্দেক হোসেন ও সাব্বির রহমান। বাংলাদেশের একাদশে জায়গা নিয়ে লড়াইটাও চলছে সম্ভবত এই দুজনের।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কার্ডিফ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2019, 05:04 PM
Updated : 26 May 2019, 05:20 PM

বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেওয়ার সময় এই লড়াই হয়তো অনুমিত ছিল না নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের। শেষের দিকে ঝড় তোলা আর ফিনিশারের ভূমিকায় নেওয়া হয়েছিল সাব্বিরকে। একাদশে তার জায়গাও ধরে নেওয়া হয়েছিল অনেকটা নিশ্চিত।

মোসাদ্দেককে নেওয়া হয়েছিল বেশ কিছুর বিকল্প ভাবনা হিসেবে। মেহেদী হাসান মিরাজ যদি কার্যকর না হন, কিংবা কাঁধের চোটের কারণে মাহমুদউল্লাহ শেষ পর্যন্ত যদি বোলিং করতে না পারেন, কিংবা মিডল অর্ডারে কেউ যদি চোটে পড়েন, এমন অনেক কিছুই।

সমীকরণটা বদলে দিয়েছেন মোসাদ্দেক। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন সাব্বির। সেই ম্যাচেই সাতে নেমে ২৭ বলে ৫২ রানের ম্যাচ জেতানো এক অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন মোসাদ্দেক। তার ব্যাট থেকে সেদিন ছক্কা এসেছিল ৫টি।

ওই ম্যাচের পর টিম ম্যানেজমেন্টর ভাবনায় বদল যদি নাও আসে, অন্তত তাদেরকে নাড়া দিতে পেরেছেন মোসাদ্দেক। বিস্ফোরক হিসেবে তার পরিচিতি না থাকলেও জানান দিতে পেরেছেন যে কাজটা প্রয়োজনে পারবেন তিনি। আর বোলিংয়ে তো তিনি সাব্বিরের চেয়ে অনেকটা এগিয়েই।

সব মিলিয়ে পজিশনের বিবেচনায় এখনও হয়তো এগিয়ে আছেন সাব্বিরই, তবে মোসাদ্দেকও বিবেচনায় থাকছেন প্রবলভাবে। লড়াইটাও তাই জমে উঠেছে বেশ।

সেই লড়াইয়ের আঁচ স্পর্শ করছে এই দুজনকেও। এমনিতে মাঠের বাইরে দুজনের সম্পর্ক দারুণ। জায়গা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বাস্তব। পাশাপাশি দাঁড়িয়েই দুজনকে কথা বলতে হলো এই লড়াই নিয়ে।

উত্তাপটা টের পাচ্ছেন সাব্বির। বুঝতে পারছেন লড়াইটা কঠিন। নিজের জায়গা ধরে রাখতেও তিনি প্রত্যয়ী।

“সবসময় কঠিন পরিস্থিতিতেই আমি খেলেছি। চ্যালেঞ্জ নিয়েই খেলেছি। এবারও কাজটা সহজ হবে না আমার। তবে চেষ্টা করব নিজের যেটা করার আছে, শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করব ও সেরা ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব।”

সাব্বিরের যতটা হারানোর ভয়, মোসাদ্দেকের ততটাই সুযোগ প্রাপ্তির। হারানোর আছে তার সামান্যই। তিনি তাই কেবল মন দিতে চান নিজের কাজটাতেই।

“সেভাবে চিন্তা করছি না (সাব্বিরের সঙ্গে জায়গার লড়াই)। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমি চাই না যে কেউ খারাপ করুক আর আমি আসি। সবার আগে বাংলাদেশ দল। সবাই ভালো করুক, দল ভালো করুক। আমার সুযোগ আসবে আমি ভালো করার চেষ্টা করব।”

দুজনের লড়াইয়ের ফল নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটিও। সেই ম্যাচে পারফর্ম করলে যেমন সাব্বিরের জায়গা নিশ্চিত হয়ে যাবে, তেমনি তিনি ব্যর্থ হলে ও মোসাদ্দেক দারুণ কিছু করলে বদলে যেতে পারে চিত্র। আপাতত দুজনেরই অপেক্ষা সুযোগের।