কদিন আগেই ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছেন সাকিব। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে দারুণ পারফর্ম করে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার পেছনে ফেলেছেন আফগানিস্তানের রশিদ খানকে। গত ১০ বছরে র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বেশি সময় শীর্ষে ছিলেন সাকিবই।
তবে গত এক-দেড় বছরে চোটের কারণে বেশ ভুগতে হয়েছে তাকে। বাইরে থাকতে হয়েছে অনেক ম্যাচ। পরে ফিট হয়ে গিয়েছিলেন আইপিএলে। কিন্তু মৌসুমের বেশির ভাগ সময়টায় তাকে থাকতে হয়েছে দর্শক হয়ে।
রোডস উদাহরণ টানলেন আইপিএল দিয়েই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে কেবল তিনটি ম্যাচে সুযোগ হয়েছিল সাকিবের। বাইরে থাকার সময়টায় কঠোর পরিশ্রম করে, ওজন কমিয়ে ফিটনেসে দারুণ উন্নতি করেছেন এই অলরাউন্ডার। হয়ে উঠেছেন ঝরঝরে ও চনমনে। ফিটনেসের উন্নতি ইতিবাচক ছাপ রেখেছে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের পারফরম্যান্সে।
পিঠের পেশির চোটের কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলতে পারেনসি সাকিব। তবে বাংলাদেশ কোচ জানালেন, এই অলরাউন্ডার এখন পুরো ফিট, মুখিয়ে আছেন বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে।
“সাকিব খুব ভালো আছে। শারীরিকভাবে ভালো অবস্থায় আছে। আইপিএলে খেলার সুযোগ না পাওয়া তাকে সুযোগ করে দিয়েছে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার। আয়ারল্যান্ডে খানিকটা সমস্যা হয়েছিল। তবে এখন তা কাটিয়ে উঠেছে ও বিশ্বকাপে মাঠে নামতে তর সইছে না তার। দারুণ একটি বিশ্বকাপ কাটাতে মুখিয়ে আছে সে।”
“আমার মনে হয়, তার কিছু প্রমাণ করার আছে। আমার ধারণা, সে নিজেও এরকমই ভাবছে। আইপিএলে কিছু ম্যাচে সুযোগ পায়নি, হয়তো একটু আড়ালে পড়ে গেছে। এখন সে ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে আবার শীর্ষে উঠেছে, যেটা তারই জায়গা বলে আমরা মনে করি। সবাই যেন তা মনে করে, সেটি প্রমাণ করার আছে সাকিবের।”
এমনিতে বিশ্বকাপে খুব খারাপ নয় সাকিবের পারফরম্যান্স। বিশ্ব আসরে ২০ উইকেট ও ৫০০ রান করা মাত্র সাত অলরাউন্ডারের একজন তিনি। তবে এখনও সেভাবে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সন দেখাতে পারেননি, দুর্দান্ত পারফর্ম করতে পারেননি কোনো একটি বিশ্বকাপে। এবার তার আরেকটি সুযোগ বিশ্ব মঞ্চে শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর।