২০১৫ বিশ্বকাপের আগে সিডনির ক্লাব দলগুলির কাছেও চারটি প্রস্তুতি ম্যাচে হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে হেরেছিল পাকিস্তান ও ভারতের কাছে। কদিন আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে হেরেছিল আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের কাছে। কিন্তু ওই তিনটি টুর্নামেন্টেই ভালো করেছে বাংলাদেশ। মাশরাফির মজার উৎস সেই অতীত। প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়েই বলা যায় শুরু হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান। রোববার কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। একই মাঠে মঙ্গলবার প্রস্তুতি ম্যাচ টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট ভারতের বিপক্ষে।
আইসিসির অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ যদিও, তবে মর্যাদায় কেবলই গা গরমের ম্যাচ। এমনি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচও নয়। ব্যাটিং-বোলিং সর্বোচ্চ ১১ জন করতে পারলেও খেলতে পারবেন ১৫ জনের সবাই। স্কোয়াডের সম্ভাব্য সবাইকে ঝালিয়ে নিতে ও মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিতেই এই ব্যবস্থা।
এবার জয়-পরাজয়ের আগে বাংলাদেশ দলের মূল লক্ষ্য প্রস্তুতি। এমনিতে ইংল্যান্ডে আসার আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে এসেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মূল প্রস্তুতি তাই খারাপ হয়নি। তার পরও বিশ্বকাপের দেশে নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে। দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার বললেন সেই কথাই।
“আমাদের আসল প্রস্তুতি কিন্তু আয়ারল্যান্ডে হয়ে গেছে। ভালো খেলেছি আমরা। আত্মবিশ্বাস সবার তুঙ্গে। ঠাণ্ডা সেখানে অনেক বেশি ছিল, সেই তুলনায় এখানে মানিয়ে নেওয়া কঠিন নয়। এখানে আমাদের স্রেফ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। যে প্রস্তুতি হচ্ছে, সেটা আরেকটু ভালো করা, সঙ্গে জয় এলে তো দারুণ।”
“মূল ম্যাচের আগে যে কটা দিন আছে, প্রস্তুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই দিনগুলো। কন্ডিশন বুঝতে এই দুটি ম্যাচ কাজে লাগবে। ম্যাচ দুটি খেলে আমরা আরও ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারব। নিজেদের যে ঘাটতির জায়গাগুলো, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব আমরা।”
তবে লড়াইটা যখন পাকিস্তানের বিপক্ষে, জয়টাও তখন কাম্য। দুই দলের সবশেষ চার ওয়ানডেতে জিতেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান এবার প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে হেরে গেছে আফগানিস্তানের কাছে। বিশ্বকাপে যাচ্ছে তারা নিজেদের টানা ১০ ওয়ানডে হেরে। মানিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি জিতলে যে আত্মবিশ্বাস আরও পোক্ত হবে, সেটিও জানিয়ে দিলেন মিরাজ।
“প্র্যাকটিস ম্যাচের চেয়ে বড় কথা হলো এটি একটি ম্যাচ। ম্যাচ জিতলে অনেক আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। কালেকেও পাকিস্তানের সঙ্গে জিতলে আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবে। ত্রিদেশীয় সিরিজে আমরা জিতেছি। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে দারুণ হবে।”
মাশরাফি অবশ্য জয়-পরাজয়ের আলোচনায়ই সেভাবে যেতে চান না। হ্যামস্ট্রিংয়ের টান গত কয়েকদিন থেকেই বেশ ভোগাচ্ছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। তিনি নিজেই প্রস্তুতি ম্যাচে খেলা নিয়ে নিশ্চিত নন। তবে অধিনায়ক হিসেবে তার চাওয়া, ছোট ছোট লক্ষ্যগুলো পূরণ করা।
“আয়ারল্যান্ডে খেলে এলেও এখানকার উইকেটে নিজেদের যতটা পারা যায় অভ্যস্ত করে নেওয়ার ব্যাপার আছে। ব্যক্তিগতভাবেও ক্রিকেটারদের অনেকের নিজেদের কিছু ব্যাপার আছে। আত্মবিশ্বাস আরও ভালো করা, ধারাবাহিকতা ধরে রাখা, কিছু চেষ্টা করা। এসব পূরণ করাই থাকবে লক্ষ্য।”