প্রস্তুতি ম্যাচেই বোলিং করবেন, বিশ্বাস মাহমুদউল্লাহর

অনুশীলন শুরুর আগে সতীর্থরা যখন ব্যস্ত গা গরমের ফুটবলে, মাহমুদউল্লাহ তখন মাঠের এক পাশে। বল হাতে নিয়ে হাত ঘোরাচ্ছেন স্পিন কোচ সুনীল যোশীর সঙ্গে। কাছ থেকেই তীক্ষ্ণ নজর রাখছিলেন ফিজিও তিহান চন্দ্রমোহন। কাঁধের চোটের পর বোলিং বাদ রেখেছিলেন। এ দিনই আবার বোলিংয়ে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম দিনের বোলিং আশা দেখাচ্ছে তাকে ও বাংলাদেশ দলকে। এই অলরাউন্ডের বিশ্বাস, বোলিং করতে পারবেন বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচেই।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিকার্ডিফ থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2019, 04:43 PM
Updated : 24 May 2019, 09:33 PM

শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন ছিল কার্ডিফের ক্যাথেড্রাল স্কুল মাঠে। গত ফেব্রুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ড সফরে হ্যামিল্টন টেস্টের পর মাহমুদউল্লাহ প্রথম বোলিং করলেন ছবির মতো সুন্দর এই মাঠেই।

শুরুটা অবশ্য ছিল অস্বস্তিময়। নেটে বোলিংয়ের আগে ফিজিওকে পাশে রেখে হাত ঘুরিয়েছেন স্পিন কোচের সঙ্গে। কয়েকবার হাত ঘোরানোর পর অন্তত বার তিনেক মৃদু চিৎকার করে উঠলেন ব্যথায়। চেপে ধরলেন কাঁধে চোটের জায়গাটায়। ফিজিও পর্যবেক্ষণ করলেন নিবিড়ভাবে।

কাঁধে টেপ পেঁচিয়েই হাত ঘোরাচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যথা অনুভব করার পর আবার নতুন করে আরও টেপ পেঁচিয়ে গেলেন সেন্টার উইকেটের নেটে। বোলিং করলেন তিন ওভার।

নেটে বোলিংয়ের পরই ম্যাচে বোলিং করার বিশ্বাসটা পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। বোলিংয়ের পর যখন অপেক্ষা করছিলেন নিজের ব্যাটিং সেশনের, সেই ফাঁকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শোনালেন তার আশার কথা।

“খুব ভালো লাগছে, আজকে প্রথম বোলিং করলাম (চোটের পর)। তিন ওভার বোলিং করেছি। ব্যথা এখনও আছে। তবে মনে হচ্ছে খুব সমস্যা হবে না। প্রস্তুতি ম্যাচেই আশা করি অন্তত দুই-তিন ওভার বোলিং করতে পারব।”

“বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম ম্যাচের আগে এখনও এক সপ্তাহ আছে। আশা করি কাঁধের অবস্থা আরেকটু ভালো হবে। অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলব, ব্যথা থাকলেও কয়েক ওভার চালিয়ে নিতে পারব। ব্যাটিংয়ে কোনো সমস্যা নেই, এজন্যই আরও সাবধানী থাকতে হচ্ছে, বোলিং করতে গিয়ে যেন ব্যাটিংয়ে কোনো প্রভাব না পড়ে। আশা করি দলের যতটুকু দরকার, বোলিং করতে পারব।”

নিউ জিল্যান্ড সফরে ওই হ্যামিল্টন টেস্টে ১ ওভার বোলিং করে একটি উইকেট নিলেও আর বোলিং করেননি। হাত ঘোরাননি ওয়েলিংটনে পরের টেস্টেও। নিউ জিল্যান্ড সফর থেকে ফিরেছিলেন ব্যথা নিয়ে। এমআরআই করানোর পর ধরা পড়ে ‘গ্রেড থ্রি টিয়ার’। তাতে ব্যাটিংয়ে সমস্যা না হলেও বোলিং করতে পারছিলেন না।

এই চোট থেকে পুরো মুক্তি পেতে অস্ত্রোপচার লাগবেই। তবে ব্যাটিংয়ে যেহেতু সমস্যা নেই, বিশ্বকাপের আগে সেই ঝামেলায় যাননি মাহমুদউল্লাহ। অস্ত্রোপচার না করে কোনোভাবে চোট সামলে বিশ্বকাপে দলের প্রয়োজন বুঝে কয়েক ওভার বোলিং করাই আপাতত তার চাওয়া। প্রথম দিনের বোলিংয়ে মিলছে সেই চাওয়া পূরণের ইঙ্গিত।