বিশ্বমঞ্চে পাওয়া ‘গুরুত্ব’ উপভোগ করছেন মাশরাফি

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দেড় যুগের পথচলা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক রঙ দেখা হয়ে গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার। সাফল্যের আলোয় সিক্ত হয়েছেন, হতাশার আঁধারে হয়েছেন ম্লান। ভালো সময়ের দোলা, খারাপ সময়ের ঝাপটা, সবই লেগেছে গায়ে। তবে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার আনন্দ, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে সত্যিকারের সমীহ মিলিয়ে এই সময়ই সবচেয়ে উপভোগ্য লাগছে মাশরাফির কাছে।

ক্রীড়া প্রতিবেদক লন্ডন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2019, 06:35 PM
Updated : 23 May 2019, 06:35 PM

বিশ্বকাপের আগে ১০ দলের অধিনায়ককে নিয়ে বৃহস্পতিবার লন্ডনে বিশেষ আয়োজন ছিল আইসিসির। মূল আয়োজন শুরুর আগে একসঙ্গে খানিকটা সময় কাটিয়েছেন অধিনায়কেরা। এরপর আলোচনা শেষে ফটোশুটের সময়ও নিজেদের মধ্যে তাদের কথা হয়েছে অনেক। মজা-খুনসুটির পাশাপাশি ছিল বিশ্বকাপ নিয়ে নানা কথাও। সেই আলোচনায় কতটা ছিল বাংলাদেশ? সব আনুষ্ঠানিকতার সমাপ্তির পর মাশরাফি জানালেন, বাংলাদেশ ছিল প্রবলভাবেই।

এমনিতে মাশরাফির নিজের জন্যও এই আয়োজনের অংশ হতে পারা একটি বড় অর্জন। দেশের মাটিতে ২০১১ বিশ্বকাপে বিতর্কিতভাবে জায়গা দেওয়া হয়নি যাকে, তিনিই বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন দুটি বিশ্বকাপে। টানা দ্বিতীয়বার অধিনায়কদের এই আয়োজনে থাকলেন। শুনলেন বাংলাদেশ নিয়ে অন্য অধিনায়কদের ভাবনা। খেয়াল করলেন আগের সঙ্গে এখনকার পার্থক্যও।

একটা সময় বাংলাদেশকে নিয়ে প্রতিপক্ষের স্তুতিতে বেশি মিশে থাকত মূলত ক্রিকেটীয় ভব্যতা। কিন্তু এখনকার কথাগুলো যে প্রতিপক্ষের উপলব্ধি সেটি পরিষ্কার ধরতে পারছেন মাশরাফি। উপভোগও করেছেন দারুণ।

“বাংলাদেশ যখন গুরুত্ব পায়, তখন আলাদা একটি অনুভূতি কাজ করে। এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দলের অধিনায়কের কাছ থেকে যখন বাংলাদেশকে গুরুত্ব পেতে দেখি, ভালো লাগে।”

“মঞ্চে প্রশ্নে যেমন জিজ্ঞেস করেছে গত বিশ্বকাপের পর ৯টি ওয়ানডে সিরিজ জয় নিয়ে। অন্য অধিনায়কেরা সেটি আগে থেকেই জানত। আমাকেই বলছিল সেসব কথা। এটাও বলছিল, গত ২ বছরে আমাদের জয়ের হার অনেক ভালো। একটা সময় এসব দেখিনি যে ওরা এসব চিন্তা করেছে। এখন এসব নিয়ে গবেষণা করছে, গুরুত্ব দিয়ে বলছে, তার মানে বড় দলগুলি এখন আমাদের নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবে। এটা অবশ্যই উন্নতির একটা চিহ্ন।”

এই অনুপ্রেরণা নিয়ে আরও সামনে এগিয়ে যেতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। দেশের ক্রিকেটকে দেখতে চান আরও উচ্চতায়।

“আশা করি, আমরা আরও ওপরে যাব। একটা পর্যায় থেকে আমরা পরের পর্যায়ে আসতে পেরেছি। এই ধরনের টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করলে আরও ওপরের ধাপে যাব। তবে বাংলাদেশকে দলকে ওরা সবাই দারুণ সমীহ করছে, এটা ভালো লাগার ব্যাপার।”