আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ওয়ানডে এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ও পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দল থেকেও বাদ পড়েছেন ৩০ বছর বয়সী হেলস।
ইসিবির পুরুষদের ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলি জাইলস ও এড স্মিথের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডের নির্বাচকরা হেলসকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এক বিবৃতিতে জাইলস জানান, হেলসকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে ইসিবি ও পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন তার সঙ্গে কাজ করে যাবে।
“আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় হিসেবে এটা অ্যালেক্সের ক্যারিয়ারের শেষ নয়। আমরা ইংল্যান্ড দলকে ঘিরে সঠিক পরিবেশ তৈরি করতে কঠিন পরিশ্রম করছি।”
২০১৩ সালে টম মেয়নার্ড মারা যাওয়ার পর মৌসুমের শুরু ও শেষে মাদক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে ইসিবি। তারই অংশ হিসেবে হওয়া রুটিন পরীক্ষায় ধরা পড়েন হেলস।
প্রথম পরীক্ষায় ধরা পড়লে খেলোয়াড়কে পরামর্শ দেওয়া হয় ও সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা হয়। বিষয়টি জানানো হয় শুধু কাউন্টির ক্রিকেট পরিচালককে। দ্বিতীয় দফায় ধরা পড়লে তিন সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। সেই সঙ্গে বার্ষিক বেতনের পাঁচ শতাংশ জরিমানা করা হয়। এই ক্ষেত্রে কাউন্টির পাশাপাশি ইসিবির প্রধান নির্বাহী ও পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন পিসিএ এর প্রধান নির্বাহীকেও জানানো হয়।
তৃতীয় পরীক্ষাতেও ‘পজিটিভ’ প্রমাণিত হলে কঠিন শাস্তি পেতে হবে হেলসকে। এই ঘটনা তার ক্যারিয়ারে আরেকটি কালো দাগ হয় থাকলো। ব্রিস্টলে মারামারির ঘটনায় নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেয়েছিলেন তিনি, সঙ্গে হয়েছিল ১৭ হাজার পাঁচশ পাউন্ড জরিমানা।