ওয়ানডেতে এখন সাড়ে তিনশ রান প্রায় নিয়মিতই হচ্ছে। সেই রান তাড়ায় জয়ও বিরল নয়। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও ৩৩০ ছুঁতে পারেনি একবারও। জিততে পারেনি ৩২০ রান তাড়া করে।
আসছে বিশ্বকাপে নিজেদের এই জায়গায় ছাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে বাংলাদেশের। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা ব্যাটিং উইকেটগুলো এখন ইংল্যান্ডে। সঙ্গে ছোট মাঠ আর দ্রুতগতির আউটফিল্ড মিলিয়ে গত কয়েক বছরে বড় রান হচ্ছে হরহামেশা। গত বিশ্বকাপের পর ৪৮১ রানের বিশ্বরেকর্ডসহ চারশ ছাড়ানো স্কোর হয়েছে তিনটি। আরেকটিতে আছে ৩৯৮। সাড়ে তিনশ রানের স্কোর আছে আরও চারটি।
“এই একটি জায়গা, যেখানে আমরা অভ্যস্ত নই। ৩৪০-৩৫০ তাড়া করতে পারিনি। কিন্তু আমরা জানি, বিশ্বকাপে বেশিরভাগ ম্যাচেই হয়তো ৩০০-৩২০ তাড়া করতে হবে। আমাদের এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এই কারণেই এখানকার ট্রেনিং সেশনগুলো ও আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, সুযোগ যদি আসে, আমরা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কিভাবে করব।”
“আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে বড় রান তাড়া করতে। ৩০০ রানেও কোনো প্রতিপক্ষকে আটকাতে বোলারদের অনেক ভালো করতে হবে, এটিই বাস্তবতা। আমাদের ইতিহাস বলে যে বড় রান খুব বেশি তাড়া করতে পারিনি। তার মূল কারণ হলো, আমরা বেশিরভাগ ম্যাচ যেখানে খেলি (মিরপুরে), সেখানে ৩০০ খুব একটা হয় না। আশা করি বিশ্বকাপে সেটা করতে আমাদেরকে যে পরিকল্পনা দেওয়া হবে, আমরা সেটি বাস্তবায়ন করতে পারব।”