৫ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ খেলবে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্টে ভালো করলে আত্মবিশ্বাস যেমন চূড়ায় উঠতে পারে, তেমনি খারাপ পারফরম্যান্সে মনোবল যেতে পারে তলানিতে।
তামিম অবশ্য ফলাফলের চেয়ে প্রস্তুতিকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানছেন। টানা ম্যাচ খেলার ক্লান্তি পেয়ে বসে কিনা, এই শঙ্কা খানিকটা আছে তার। তবে বুধবার মিরপুরে অনুশীলন শেষে জানালেন, ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ম্যাচে নামালে দূরে রাখা যাবে শ্রান্তিকে।
“নেগেটিভ যদি ধরতে হয় (আয়ারল্যান্ড সিরিজের), তাহলে একটিই নেগেটিভ দিক আছে। সেটি হলো, আয়ারল্যান্ড সিরিজের কারণে দেড় মাসের মধ্যে ১৩-১৪টি ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের। এটি ছাড়া আর নেগেটিভ কিছু দেখি না। ওই সব কন্ডিশনে আমরা খেলার সুযোগ বেশি পাই না। সেদিক থেকে এটি ভালো সুযোগ।”
বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ১৫ জনের বাইরে আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য বাড়তি আরও দুজন ক্রিকেটার নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, ইয়াসির আলি ও নাঈম হাসান। তাদেরকে পরখ করে দেখা হতে পারে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে। ২৩ মে পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তনের সুযোগও আছে। আয়ারল্যান্ড সিরিজের পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে সেদিক থেকেও।
আয়ারল্যান্ডের আরেকটি চ্যালেঞ্জও দেখছেন তামিম। ইংল্যান্ডের চেয়ে এখানকার আবহাওয়ায় মানিয়ে নেওয়া হবে তুলনামূলক বেশি কঠিন।
“আমার কাছে মনে হয় কন্ডিশনটা একটা চ্যালেঞ্জ হবে। আয়ারল্যান্ডে আমরা খুব বেশি খেলিনি। শেষবার যখন খেলেছিলাম, উইকেট সহজ ছিল না। বেশ কঠিন ছিল। এজন্য আমার মনে হয়, টুর্নামেন্ট শুরুর আগের সাত দিন ও প্রস্তুতি ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ হবে। এরপর টুর্নামেন্ট কিভাবে শুরু করি, সেটিও হবে গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভালো হলে দল আত্মবিশ্বাসী হবে।”