সাইফ উদ্দিনের ৫ উইকেট, তাসকিনের ৪

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড দুই রকম অনুভূতির স্বাদ দিয়েছে দুইজনকে। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার উচ্ছ্বাসে ভাসছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, ফিটনেস বিবেচনায় জায়গা না পাওয়ায় হতাশার অশ্রু ঝরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে একই দিনে জ্বলে উঠলেন দুজন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2019, 07:52 AM
Updated : 19 April 2019, 12:23 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগে শুক্রবার আবাহনী লিমিটেডের হয়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন সাইফ। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে বিকেএসপিতে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ৫৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।

দুই জনের পারফরম্যান্সের বিশেষত্ব অবশ্য দুইরকম। সাইফের পারফরম্যান্স তার দুর্দান্ত ফর্মের ধারাবাহিকতা। এক ম্যাচ আগে মিরপুরেই প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে বিধ্বংসী এক স্পেলে ৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন।

এবার প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে তার পারফরম্যান্সও বাংলাদেশ দলের জন্য আশা জাগানিয়া। সফল হয়েছেন নতুন-পুরোনো দুই বলেই। ম্যাচের প্রথম বলেই এনামুল হককে এলবিডব্লিউ করেছেন, নিজের পরের ওভারের প্রথম বলে ফিরিয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের আরেক ওপেনার রুবেল মিয়াকে। শেষ দিকে ফিরে আরও তিন উইকেট নিয়ে পূর্ণ করেছেন ৫ উইকেট।

তাসকিনের পারফরম্যান্সের গুরুত্ব অন্য জায়গায়। চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার পর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার আগে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন রূপগঞ্জের হয়ে। সেটিতে ৫ ওভার বোলিংয়ে ছিলেন না ছন্দে। এরপর রূপগঞ্জের দুটি ম্যাচে আর সুযোগ পাননি। এর মধ্যেই ঘোষিত বিশ্বকাপ দলেও জায়গা পাননি ফিটনেস প্রমাণ করতে না পারায়। তবে এই ম্যাচের ৪ উইকেট জানান দিল, তিনি ফিরতে শুরু করেছেন ছন্দে।

রূপেগঞ্জের হয়ে এ দিন চতুর্থ বোলার হিসেবে আক্রমণে এসেছিলেন তাসকিন। ৯ ওভারে রান দিয়েছেন ৫৪। তবে তার ৪ উইকেটের সবই বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের এবং ম্যাচের প্রেক্ষাপটে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ।

৩৭ রান করা ওপেনার সাইফ হাসানকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট নেন তাসকিন, ভাঙেন জমে ওঠা জুটি। নিজের পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন দোলেশ্বরের অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবকে। পরে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আবার উইকেট নেন পরপর দুই ওভারে। এবার তার শিকার দোলেশ্বরের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রান করা সৈকত আলি ও থিতু হয়ে যাওয়া তাইবুর রহমান (২৭)।

বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা অন্য ক্রিকেটারদের মধ্যে আবাহনীর হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সৌম্য সরকার, একটি মেহেদী হাসান মিরাজ। মোহামেডানের হয়ে লিটন দাস আউট হয়েছে ২৬ রানে।