মাশরাফির কান্নায় বিশ্বকাপের স্বপ্ন এঁকেছিলেন আবু জায়েদ

ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখছিলেন আবু জায়েদ চৌধুরী। বিশ্বকাপের গুরুত্বটা তরুণ এই পেসার বুঝতে পেরেছিলেন ২০১১ আসর থেকে ছিটকে যাওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজার কান্না দেখে। সেই মাশরাফির অধীনে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়ে তাই উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছেন আবু জায়েদ।

অনিক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2019, 11:54 AM
Updated : 16 April 2019, 05:38 PM

এখনও কোনো ওয়ানডে খেলা হয়নি আবু জায়েদের। তার থাকাটাই ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে বড় চমক। দল ঘোষণার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শোনালেন বিশ্বকাপ নিয়ে তার স্বপ্নের কথা।

“বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন সবারই থাকে। ২০১১ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর মাশরাফি ভাইয়ের কান্না আমাকে খুব নাড়া দিয়েছিল। তার মতো একজন থিতু খেলোয়াড় যখন বিশ্বকাপের জন্য কেঁদেছেন তখন নিশ্চয়ই বিশ্বকাপ অনেক বড় ব্যাপার। সামনে অনেক সিরিজ আছে, সেগুলো থেকে বাদ পড়লে খারাপ লাগবে না। কিন্তু বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়লে খুব খারাপ লাগবে। বিশ্বকাপটা খুব বড়।”

ফিটনেস সমস্যার জন্য বিতর্কিতভাবে দেশের মাটিতে ২০১১ আসর থেকে বাদ পড়েছিলেন মাশরাফি। টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ এই পেসার। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডে মাশরাফির উইকেট নেওয়ার পরই দলে জায়গা পাওয়ার বার্তাটা পেয়েছিলেন আবু জায়েদ।

“কাল যখন আমি মাশরাফি ভাইয়ের উইকেট পেলাম তখন উনি বলছিলেন, ‘আজ তুই তোর জীবনের সবচেয়ে দামি উইকেট পেয়েছিস।’ তখন আমি মোটামুটি বুঝতে পেরেছি, যে দলে আছি। আজ বেলা ১২টার দিকে খবর পেয়েছি যে দলে আছি।”

দলে ডাক পাওয়ার পর সবার আগে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন আবু জায়েদ। সিলেটে নিজের বাড়িতে মা টিভির সামনে অধীর অপেক্ষায় ছিলেন ছেলের স্বপ্ন পূরণের খবরের অপেক্ষায়।

“আম্মা টিভির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। উনি বলছিলেন, ‘টিভিতে তো কিছু বলছে না।’ তখন বলছিলাম, একটু পরে জানতে পারবা। এরপর তো সবাই জানল।”

সুইং বোলিংয়ের সামর্থ্যের জন্য বিশ্বকাপ দলে জায়গা মিলেছে আবু জায়েদের। যে কারণে দলে জায়গা পাওয়া সেই কাজটা ঠিকঠাক করার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিতে চান এই পেসার।

“দলে জায়গা পাওয়াটা অবশ্যই চমক ছিল। আশা করেছিলাম যে, ২০ জনের মধ্যে থাকব। এই মাঠে প্রিমিয়ার লিগের ২টি ম্যাচ খুব ভালো হয়েছে। তখন মনে হয়েছিলো যে ২০ জনের ভেতরে থাকব। যখন শুনলাম যে পনের জনের মধ্যে আছি তখন একটু অবাক হয়েছি।”

“বল সুইং করানোর জন্যই আমাকে নেয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডে আমার লক্ষ্য থাকবে সুইং করানো আর লাইন-লেংথ ভালো রাখা। সেখানকার কন্ডিশন আমার বোলিংয়ের জন্য একদম আদর্শ। এসব দেশে সুইং করা যায়। আর মূল অস্ত্র যেহেতু সুইং তাই ভালো কিছু করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।”