অলরাউন্ড সামর্থ্য বিবেচনায় বিশ্বকাপে মোসাদ্দেক

ব্যাট হাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে রানে আছেন। বল হাতেও যথেষ্ট কার্যকর। সঙ্গে যোগ হয়েছে চোটের কারণে মাহমুদউল্লাহর বোলিং করতে পারা নিয়ে সংশয়। সব কিছু মিলিয়েই বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2019, 09:55 AM
Updated : 16 April 2019, 05:40 PM

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের যে দু-একটি জায়গা নিয়ে কৌতুহল ছিল, সেটির একটিতে সুযোগ পেয়েছেন মোসাদ্দেক। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানালেন, অলরাউন্ড সার্মথ্যের কারণেই দলে রাখা হয়েছে মোসাদ্দেককে।

“সৈকত (মোসাদ্দেক) ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলছে। আর আমরা একজন অলরাউন্ডার চাচ্ছিলাম যে অফ স্পিন করতে পারে। কারণ রিয়াদের কাঁধের ইনজুরি আছে, বোলিং নাও করতে পারে। এই কথা চিন্তা করে, যদি ব্যাক আপ হিসেবে একজন অফ স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার দরকার হয়, সেজন্যই সৈকতকে নেওয়া হয়েছে।”

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে ৫৩.৫০ গড়ে ৪২৮ রান করেছেন মোসাদ্দেক, উইকেট ৭টি। এই জায়গায় প্রবলভাবে বিবেচনায় ছিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি। গত কিছুদিনে ঘরোয়া ও ‘এ’ দলে রান পেয়েছেন ইয়াসিরও। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে ৪২৩ রান করেছেন ১০৫.৭৫ গড় ও ১০০.৯৫ স্ট্রাইক রেটে।

তবে শেষ পর্যন্ত ইয়াসির সুযোগ পেয়েছেন আয়ারল্যান্ড সফরে ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে। মোসাদ্দেক আছেন দুই টুর্নামেন্টের দলেই।

দুই জনের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া কতটা কঠিন ছিল, জানালেন অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার।

“রাব্বিও রোমাঞ্চকর এক প্রতিভা। খুব ভালো খেলছে সব জায়গাতেই। দারুণ সম্ভাবনাময়। তবে বিশ্বকাপের মতো আসরে এখনই হুট করে আমরা নামিয়ে দিতে চাইনি। মোসাদ্দেক বোলিং সামর্থ্যের কারণে এগিয়ে ছিল। পাশাপাশি বড় টুর্নামেন্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওর বোলিং স্পেলই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। চাপের মূহুর্তগুলোয় সে খুব ভালো খেলে। সবকিছু মিলিয়ে মোসাদ্দেক এগিয়ে গেছে।”