- বিকল্প আছে বা নেই-ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এই কথা দেশের ক্রিকেটে উচ্চারিত হয় নিত্যই। এবার জানা গেল, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের বিকল্প হিসেবেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মেয়াদ বাড়ানো হলো এই নির্বাচক কমিটির।
- ‘আতঙ্ক’ শব্দটায় রাসেল ডমিঙ্গো আপত্তি করবেন নিশ্চিত। দুর্ভাবনা কিংবা দুশ্চিন্তার কোনো জায়গাই তিনি দেখছেন না। তবে বালিতে মুখ গুঁজে থেকে তো আর ঝড় এড়ানো যায় না। বাস্তবতাও তাই স্পষ্ট। কেশভ মহারাজের ধ্বংসযজ্ঞের পর মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। কিন্তু উঁকি দিলেই দেখা যাচ্ছে নতুন শঙ্কার চোখ রাঙানি। এই সিরিজের দিকে লোভাতুর চোখে তাকিয়ে আছেন প্রাভিন জয়াবিক্রমা ও লাসিথ এম্বুলদেনিয়া।
- দুই দিন লম্বা সময় ধরে ঘাম ঝরানোর পর বুধবার অনুশীলন ছিল না বাংলাদেশ দলের। ক্রিকেটাররা হোটেলে হালকা জিম করে বিশ্রামেই ছিলেন বাকি সময়টা। কোচিং স্টাফরা সময় কাটান ভাটিয়ারি গলফ কোর্সে। তবে এই ছুটির দিনেও কোচ-অধিনায়ক ও টিম ম্যানেজমেন্টের অন্যদের মনের কোণে নিশ্চয়ই টেস্ট পরিকল্পনার নানা ভাবনা। সেই ভাবনা জুড়ে সবচেয়ে বেশি থাকার কথা চট্টগ্রাম টেস্টের সম্ভাব্য একাদশ। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের মতো দুজন অলরাউন্ডারকে হারিয়ে কতটা ভারসাম্যপূর্ণ একাদশ গড়া সম্ভব?
- চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস অপরাজিত ৮১ রান করার পর তার জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছে টুকটাক আলোচনা। তবে নির্বাচকদের তো স্রেফ একটা ইনিংস নিয়ে পড়ে থাকলে চলে না। দেখতে হয় বড় চিত্র। সেখানে বেশ পিছিয়ে বাঁহাতি ওপেনার। লম্বা সময় ধরেই খুব একটা রান নেই তার ব্যাটে। এক সময়ের সতীর্থ ও বর্তমানে নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক বললেন সেটাই, এই মুহূর্তে ধারাবাহিক নন ইমরুল।
- ক্রিকেটবিশ্ব জানে, রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে বন্ধ ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট লড়াই। তবে আব্দুল রাজ্জাক বলছেন অন্য কথা। সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ও এখনকার এই কোচের মতে, পাকিস্তানের তুলনায় নিজেদের প্রতিভার দীনতা ফুটে উঠবে বলেই এই লড়াই থেকে দূরে আছে ভারত।
- একটা সময় পেশাদারিত্ব বলতে কিছু ছিল না। সরাসরি হোটেলে রিপোর্টিং হতো। দুয়েক দিন পর ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমে পড়তো খেলোয়াড়রা। সেখানটায় অনেক বদল এসেছে। এখন বেশ আগেই প্রস্তুতি শুরু করে বিভাগীয় দলগুলো। স্কিল ক্যাম্প-ফিটনেস ক্যাম্প আয়োজনের পর অংশ নেয় জাতীয় ক্রিকেট লিগে। সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট নিয়ে ভাবনায় পরিবর্তনের ছাপ দেখছেন আব্দুর রাজ্জাক।
- জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের সবশেষ ম্যাচে দলের জয়ে ভালো ভূমিকা রেখেছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আছেন এবারও, তবে ভিন্ন পরিচয়ে। স্পিন বোলিংয়ে বাংলাদেশের একসময়কার ভরসা এখন জাতীয় নির্বাচক। স্পিনার সত্ত্বা যদিও খুব পুরনো হয়নি এখনও। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তো আছেই। জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশের প্রথম দিনের অনুশীলনেই রাজ্জাক জানিয়ে রাখলেন, প্রয়োজন পড়লে স্পিন পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে দলের স্পিনারদের সহায়তা করবেন তিনিও।
- তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩২ ম্যাচ। বাংলাদেশের জয় ২৮টিতে, জিম্বাবুয়ের ৪টি। ২০১৩ সালের পর এক তরফা এই ফলাফল থেকে ধারণা মেলে, দুই দলের লড়াইয়ে কে ফেবারিট। তবে একটা ফাঁক আছে। এই ৩২ ম্যাচের সবকটিই হয়েছে বাংলাদেশে। এবার বাংলাদেশের পরীক্ষা জিম্বাবুয়ে সফরে, বিরুদ্ধ কন্ডিশনে। এবার তাই কাজটি সহজ নয়, বলছেন সাবেক স্পিনার ও জাতীয় নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক।
- আব্দুর রাজ্জাক ও শাহরিয়ার নাফীসকে কিভাবে মনে রাখবে বাংলাদেশের ক্রিকেট? রাজ্জাকের শ্রেষ্টত্ব ফুটিয়ে তুলবে পরিসংখ্যান। রেকর্ড বইয়ে আলাদা জায়গা থাকবে শাহরিয়ারেরও। দুজনকে নিয়ে প্রাপ্তির গল্প আছে। আছে অপূর্ণতার হাহাকারও। তবে সবকিছু ছাপিয়ে একটি জায়গায় হয়তো দুজনকে মেলানো যায় এক বিন্দুতে-নিবেদন।
- মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিনিট দেড়েকের ছোট্ট প্রতিক্রিয়া। এর মধ্যেই আব্দুর রাজ্জাক কয়েকবার বললেন, “ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছি।” এটুকু না বললেও চলত। গলা খানিকটা ধরে আসছিল তার। মনের ছবিটা ফুটে উঠছিল চোখে-মুখেও। প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি, নানা অনুভূতি ভেতরে দলা পাকানোরই কথা। নিজেই বললেন, “আমার জন্য অনেক বড় সিদ্ধান্ত এটি।”
- এক সঙ্গে কত না স্মৃতি। দীর্ঘ দিনের পরিচয়। এক জনের অন্দর-বাহির আরেক জনের অনেকটা চেনা। আব্দুর রাজ্জাকের সামর্থ্য তাই ভালো করেই জানা মাশরাফি বিন মুর্তজার। দেশের সফলতম অধিনায়ক নিশ্চিত, নির্বাচকের নতুন ভূমিকায়ও ভালো করবেন বাঁহাতি স্পিনার। বন্ধুর জন্য জানিয়ে রাখলেন শুভ কামনা।
- নির্বাচকদের কাছ থেকে বঞ্চনার শিকার হওয়ায় অনেকবারই আক্ষেপ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক। এবার তিনিই হতে যাচ্ছেন নির্বাচক! জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে অনেক দিন ধরেই শূন্য থাকা তৃতীয় নির্বাচকের পদ পূরণ হচ্ছে এই বাঁহাতি স্পিনারকে দিয়ে।
- বিপিএলে কয়েক মৌসুম ধরেই সুযোগ পান না আব্দুর রাজ্জাক। শাহরিয়ার নাফীস সুযোগ পাননি গত আসরে। এবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বিদেশি ক্রিকেটার নেই, তাদের জন্য তাই আশার জায়গা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে কোনো দল নেয়নি অভিজ্ঞ এই দুই ক্রিকেটারকে।
- একসময় বাংলাদেশের তুমুল দর্শকপ্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন আফতাব আহমেদ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে যেমন মাতিয়েছেন, তার মিডিয়াম পেস বোলিংও ছিল অনেক সময় কার্যকর। প্রতিভাবান এই ক্রিকেটার শেষ পর্যন্ত তার সম্ভাবনার পূর্ণতা দিতে পারেননি, লম্বা হয়নি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। একটি জায়গায় তবু তাকেই সবার ওপরে রাখেন আব্দুর রাজ্জাক। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার বললেন, বাংলাদেশে তার দেখা সেরা ফিল্ডার আফতাব।
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আব্দুর রাজ্জাককে দেখা যায় না অনেক দিন। তবে রেকর্ড বইয়ে তার উপস্থিতি প্রবল। সাদা বলে হোক বা লাল, বাংলাদেশের ক্রিকেট সমৃদ্ধ হয়েছে রাজ্জাকের দারুণ সব কীর্তিতে।
- এক পাশ থেকে যন্ত্রের মতো বোলিং করে পূর্বাঞ্চলের ব্যাটিংয়ে ধস নামালেন আব্দুর রাজ্জাক। ৭ উইকেট নিয়ে অভিজ্ঞ স্পিনার দলকে এনে দিলেন বড় লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য ধুঁকছে রাজ্জাকের দল দক্ষিণাঞ্চল। তবে প্রথম ইনিংসের সৌজন্যেই এগিয়ে তারা অনেকটা। নাটকীয় এই দিনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, দ্বিতীয় ইনিংসেও রান পাননি মাহমুদউল্লাহ।
- আগের দিন আগুন ঝরানো পেসার শফিউল ইসলামকে দ্বিতীয় দিন ঠিকঠাক সামলাতে পারলেন উত্তরাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা। অন্য পেসারদেরও সামলালেন দারুণভাবে। চট্টগ্রামের সবুজ উইকেটে ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষায় ফেললেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। রনি তালুকদার ও আরিফুল হকের লড়াকু ফিফটির পরও তাই দক্ষিণাঞ্চল পেল লিড।
- প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার সাফল্যের ধারে কাছে নেই বাংলাদেশের কোনো বোলার। দুই দশকের ক্যারিয়ারে গত এক দশকে তার ধারাবাহিকতা অসাধারণ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, সেই আব্দুর রাজ্জাক জাতীয় লিগের শীর্ষ উইকেট শিকারী হলেন এই প্রথমবার। ঘরোয়া ক্রিকেটের আরেক নিয়মিত পারফরমার তাইবুর রহমান প্রথমবার হলেন সর্বোচ্চ রান স্কোরার।
- সকালে সুইং বোলিংয়ের দুর্দান্ত প্রদর্শনী মেলে ধরলেন ফরহাদ রেজা। দুপুরে স্পিন ভেল্কি দেখালেন আব্দুর রাজ্জাক। কিন্তু বিকেলে আর ঝলক দেখাতে পারলেন না কেউ। রোমাঞ্চের আভাস থাকলেও তাই শেষ পর্যন্ত জমে উঠল না লড়াই।
- আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি আদর্শ হলো না ইমরুল কায়েসের। ভারত সফরের টেস্ট দলে ফেরা ওপেনার জাতীয় লিগের ম্যাচে ব্যর্থ হলেন দুই ইনিংসেই। ম্যাচ অবশ্য জমে উঠেছে দারুণ। আব্দুর রাজ্জাকের অসাধারণ বোলিং ও মেহেদি হাসানের দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও নিশ্চিত নয় খুলনার জয়। সম্ভাবনায় সমান্তরালেই আছে রংপুর।
- প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট ছোঁয়ার ম্যাচটি দারুণ বোলিংয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে এই বাঁহাতি স্পিনার নিয়েছেন ৫ উইকেট।
- মেহেদি হাসান যখন উইকেটে গেলেন, দল ততক্ষণে হারিয়ে ফেলেছে ৬ উইকেট। একটু পর আরও দুই উইকেট হারিয়ে রান দাঁড়াল ৮ উইকেটে ৮০। লিড পাওয়া তো বহুদূর, দলের একশ হওয়া নিয়েই টানাটানি। সেখান থেকে অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে খুলনাকে লিড এনে দিলেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। পরে বল হাতে খুলনা অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক পূর্ণ করলেন ম্যাচে ১০ উইকেট।
- দিনের খেলা তখন শেষ। ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলছিলেন, “কী আর এমন করেছি ভাই…!” তার মুখে তখন হাসি, বলছিলেন মজা করেই। নিজেও তো জানেন, তার কীর্তি কত বড়। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইতিহাস গড়ার নায়ক বললেন তার তৃপ্তির কথা, গর্বের কথা। ৬০০ উইকেট, চাট্টিখানি কথা নয়!
- উইকেটে ঘাস আছে যথেষ্ট। প্রথম দেড় ঘণ্টা তাই পেসারদের দিয়েই চালিয়ে নিলেন খুলনা অধিনায়ক। সাফল্য মিলল সামান্য। বাধ্য হয়ে স্পিনার হয়েও নিজে এলেন বোলিংয়ে। কাজ হলো জাদুমন্ত্রের মতো। সেই জাদুর রেশ থাকল প্রায় দিনজুড়ে। ৬০০ উইকেটের উচ্চতায় ওঠার দিনটি ৭ উইকেট নিয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন আব্দুর রাজ্জাক।
- ব্যাটসম্যানের ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে বল লাগল স্টাম্পে। আব্দুর রাজ্জাকের প্রতিক্রিয়ায় শুরুতে উচ্ছ্বাস দেখা গেল না। পরমুহূর্তেই হয়তো মনে পড়ল মাইলফলকের কথা। হাত উঁচিয়ে ধরলেন। ড্রেসিং রুমের দিকে ইঙ্গিতও করলেন। উদযাপনে যোগ দিলেন সতীর্থরা। রাজ্জাকের অসাধারণ অর্জনের স্বাক্ষী হয়ে থাকল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেট!
- দ্বিতীয় দফায় বিপ টেস্টে উন্নতি করেছেন ক্রিকেটাররা। এরপরও বেঁধে দেওয়া ১১ পর্যন্ত যেতে পারেননি সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকেই। অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার জানিয়েছেন, এবার হয়তো কিছুটা ছাড় পাবেন তারা। তবে ভবিষ্যতে ফিটনেস নিয়ে কোনো ছাড় থাকবে না কারোর জন্য।
- প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশের একমাত্র বোলার তিনি। এবার লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও বড় একটি মাইলফলক সবার আগে ছুঁলেন আব্দুর রাজ্জাক। দেশের প্রথম বোলার হিসেবে এই বাঁহাতি স্পিনার পা রাখলেন ৪০০ উইকেটের চূড়ায়।
- বিসিএলের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে সেঞ্চুরি পেলেন এনামুল হক ও আল আমিন জুনিয়র। তাদের ব্যাটে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বড় লিডের আশা জাগিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল।
- মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি আরিফুল হক। তাকে থামিয়ে উত্তরাঞ্চলকে প্রথম ইনিংসে তিনশ রানের নিচে গুটিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। অভিজ্ঞ বাঁহাতি এই স্পিনার নিয়েছেন ৭ উইকেট।
- দ্রুত শেষ ৩ উইকেট তুলে নিয়ে উত্তরাঞ্চলকে চারশ রানের আগে থামালেন আব্দুর রাজ্জাক। দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি করলেন এনামুল হক, মেহেদি হাসান ও আল আমিন জুনিয়র। অনুমিত ড্র হল উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ।
- বছরের প্রথম টুর্নামেন্ট জাতীয় ক্রিকেট লিগটা খুব একটা ভালো কাটেনি আব্দুর রাজ্জাকের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সেই টুর্নামেন্টে সাদামাটা বোলিং করা বাঁহাতি এই স্পিনার স্বরূপে ফিরেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে। মৌসুমের শেষ টুর্নামেন্টে স্পিনের মায়াজালে তুলে নিয়েছেন ৪৩ উইকেট।
- দুই রাউন্ড বাকি থাকতে পয়েন্ট টেবিলে ছিল তারা তিনে। শেষ রাউন্ডের আগে দুইয়ে উঠলেও শীর্ষে থাকা উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ছিল ১৩। শেষ রাউন্ডে তাই শুধু জিতলেই যথেষ্ট হতো না, প্রয়োজন ছিল বোনাস পয়েন্টের। সেই চ্যালেঞ্জই দারুণ দাপটে জিতে নিয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। শীর্ষে থাকা উত্তরাঞ্চলকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে জিতেছে শিরোপা। অধিনায়ক নুরুল হাসান ও অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের কণ্ঠে ফুটে উঠল তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ জয়ের তৃপ্তি।
- প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া আব্দুর রাজ্জাক আরও উজ্জ্বল দ্বিতীয় ইনিংসে। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে উত্তরাঞ্চলকে উড়িয়ে দিয়ে বিসিএলের ষষ্ঠ আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছে দক্ষিণাঞ্চল।
- চলতি মৌসুম দারুণ কাটছে আব্দুর রাজ্জাকের। একের পর এক সাফল্য ধরা দিচ্ছে তার মুঠোয়। প্রাপ্তির আনন্দে ভেসে যাচ্ছেন না বাঁহাতি এই স্পিনার। তার কাছে এ সবই কঠোর পরিশ্রমের ফসল।
- আব্দুর রাজ্জাকের চূড়ায় উঠার দিনে ব্যাটিংয়ে উজ্জ্বল এনামুল হক ও ইমরুল কায়েস। উত্তরাঞ্চলকে দুই সেশনে গুটিয়ে দেওয়া দক্ষিণাঞ্চলকে দৃঢ় ভিতরে ওপর দাঁড় করিয়েছেন দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
- বল হাতে নিয়েছিলেন একটু দেরিতে। তবে সাফল্য পেতে দেরি হয়নি। প্রথম ওভারেই মেডেন উইকেট। তৃতীয় ওভারে আরেকটি। এক প্রান্ত থেকে টানা বল করে গেলেন আব্দুর রাজ্জাক। দারুণ লাইন-লেংথে বোলিং করে যাওয়ার পুরস্কারও পেলেন অভিজ্ঞ এই বাঁহাতি স্পিনার। একার করে নিলেন বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড।
- সেঞ্চুরির সম্ভাবনায় দিন শুরু করেছিলেন সাদমান ইসলাম। কিন্তু কাছে গিয়েও পেলেন না তিন অঙ্কের দেখা। বরং আব্দুর রাজ্জাকের দুর্দান্ত বোলিংয়ে লড়াইয়ে ফিরল দক্ষিণাঞ্চল।
- চট্টগ্রাম টেস্টে ৫ দিনে পড়েছিল ২৪ উইকেট, ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন পড়েছে ১৪টি। প্রথম টেস্টের শেষ দিনেও বল অতটা টার্ন করেনি, মিরপুরে প্রথম থেকে যতটা করেছে। এমন উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য টিকে থাকা কঠিন। তবে স্পিন সহায়ক এই উইকেট থিলান সামারাবিরা ও আব্দুর রাজ্জাকের কাছে ‘আনপ্লেয়েবল’ কিছু নয়।
- মুখে হাসি খুব বেশি দেখা গেল না। একটু-আধটু হাসলেও খুব চওড়া হলো না হাসি। তবে চেহারায় ভালো লাগার ছাপ স্পষ্ট। কিছু একটা জয় করতে পারার তৃপ্তি। আব্দুর রাজ্জাকের প্রতিক্রিয়াতেও ফুটে উঠল সেসব। মনের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের শব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না অভিজ্ঞ স্পিনার।
- বোলিংয়ে ভালো করার আনন্দ মিলিয়ে গেছে টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগেই ফিরে গেছেন প্রথম চার ব্যাটসম্যান। আব্দুর রাজ্জাক মনে করছেন, এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।
- ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা স্মরণীয় করে রেখেছেন আব্দুর রাজ্জাক। অভিজ্ঞ বাঁহাতি এই স্পিনার দারুণ এই পারফরম্যান্সকে এতদিন তাকে উপেক্ষার জবাব হিসেবে দেখছেন না।
- ১৯৮৬ সালের ইংল্যান্ড-নিউ জিল্যান্ড ওভাল টেস্ট। গাজা সেবনের দায়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরে ইয়ান বোথাম প্রথম বলেই আউট করলেন ব্রুস এডগারকে। স্পর্শ করলেন সেই সময়ের টেস্ট রেকর্ড ৩৫৫ উইকেট। ক্যাচটি নেওয়া গ্রাহাম গুচ তখন বলেছিলেন, “হু রাইটস ইয়োর ব্লাডি স্ক্রিপ্ট?” ক্রিকেট আখ্যানে স্থায়ী জায়গা পাওয়া কথাটি এখন বলা যায় আব্দুর রাজ্জাককেও, “কে লিখেছে এমন চিত্রনাট্য?” চার বছর পর টেস্ট দলে ফিরেই চার উইকেট!
- আব্দুর রাজ্জাকের উদ্ভাসিত ফেরা। তাইজুল ইসলামের যোগ্য সঙ্গত। টস জয়ী শ্রীলঙ্কা প্রথম দিনেই দুইশ পেরিয়ে শেষ। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের বাতাসে উড়ছিল যেন বাংলাদেশের সুখের রেণু। ব্যাটিংয়ে নামতেই পাল্টে গেল হাওয়া। দিনশেষে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমেই অস্বস্তির দাপাদাপি।
- টেস্টের প্রথম সকালে যে প্রশ্ন ছিল, তৃতীয় দিনে এসে তা আরও উচ্চকিত। ১২৮ রান দিয়েও উইকেটশূন্য সানজামুল ইসলাম। আব্দুর রাজ্জাককে না খেলিয়ে কেন অভিষেক করানো হলো সানজামুলের? বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ জানালেন, দলের আস্থা সানজামুলের ওপরই ছিল বেশি।
- টেস্ট শুরুর একদিন আগেও সানজামুল ইসলামের ওপর ঠিক ভরসা রাখতে পারছিলেন না নির্বাচকরা। প্রধান নির্বাচকের মতে, “সানজামুল নতুন, একদম অনভিজ্ঞ।” অভিজ্ঞতার প্রয়োজন অনুভব করেই চার বছর পর ডাকা হয়েছিল আব্দুর রাজ্জাককে। কিন্তু একাদশে দেখা গেল সেই অনভিজ্ঞ সানজামুলকেই। নেই অভিজ্ঞ রাজ্জাক।
- আব্দুর রাজ্জাকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনার আশা ছাড়েননি। তিলে তিলে নিজেকে প্রস্তুত করে ফিরেছেন টেস্ট ক্রিকেটে। রাজ্জাক মনে করেন, জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে তার এই ফেরা।
- সাকিব আল হাসান ছিটকে যাওয়ার পরই বদলি হিসেবে নেওয়া হয়েছিল দুজনকে। কিন্তু পরদিন টিম ম্যানেজমেন্টের মনে হলো, সাকিবের অভিজ্ঞতার ঘাটতি পূরণ করবে কে? তাই আবার আলোচনা, আরও একজনকে ডাকা। মনে পড়ল প্রায় ভুলে বসা আব্দুর রাজ্জাককে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন যা বললেন, তাতে রাজ্জাকের ডাক পাওয়ার প্রেক্ষাপট এমনই।
- প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের অধীনে বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সিরিজের পরেই বাদ পড়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। ঘটনাক্রমে কোচের বিদায়ের পর প্রথম সিরিজেই দলে ফিরলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। প্রতিপক্ষ সেই হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কা। তবে সাবেক কোচকে নিজের সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ হিসেবে এই সিরিজকে নিচ্ছেন না রাজ্জাক।
- সাকিব আল হাসান না থাকলে বাংলাদেশের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ একাদশ গড়া কঠিন হয়ে যায়। চোটের জন্য বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছিটকে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সেই কঠিন কাজটি করতে হবে স্বাগতিকদের। তবে যেভাবেই দল সাজানো হোক আব্দুর রাজ্জাকের কাছে সাকিবের অভাব সব সময়ই অপূরণীয়।
- সাড়ে তিন বছর পর এলেন জাতীয় দলে। তাই আব্দুর রাজ্জাক আগে জানতে চান, দলের পরিকল্পনা। বুঝে নিতে চান নিজের ভূমিকা। এরপর ঠিক করবেন রণ কৌশল।
- নাঈম হাসান মাঠে নেমে গিয়েছিলেন বেশ আগেই। আব্দুর রাজ্জাক নামলেন আরেকটু পরে। তবে রোববার দুপুরে চট্টগ্রামে দলের অনুশীলনে দুজনের ঠিকানা হলো একই নেটে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুটি প্রজন্মের মেলবন্ধনও যেন রচিত হলো জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। যেখানে প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় ৩৫ বছর বয়সী রাজ্জাক, সেখানেই শুরুর অপেক্ষায় ১৭ বছর বয়সী স্বপ্নাতুর নাঈম।
- কদিন আগেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নেওয়ার জন্য জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সম্মাননা পেয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। তবে হঠাৎ করে যে জাতীয় দলে ডাক পড়তে পারে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি বাঁ-হাতি অভিজ্ঞ এই স্পিনার।
- সাকিব আল হাসানের বদলে আগের রাতেই নেওয়া হয়েছিল তানবীর হায়দার ও সানজামুল ইসলামকে। রোববার যোগ হলেন আরও একজন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলে ডাক পেয়েছেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক।
- ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে চলা আব্দুর রাজ্জাক, তুষার ইমরান, শাহরিয়ার নাফীস, রকিবুল হাসানদের আশা দেখালেন মিনহাজুল আবেদীন। প্রধান নির্বাচক জানালেন, লম্বা সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকা খেলোয়াড়েরাও আছেন তাদের বিবেচনায়। তবে শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করলেই হবে না, তাদের ‘এ’ দলের হয়ে প্রমাণ দিয়ে ফিরতে হবে জাতীয় দলে।
- বিসিবির কাছ থেকে কোনো সম্মাননা এখনও দেওয়া হয়নি তাদের। এমনকি অভিনন্দন জানিয়ে কোনো বার্তাও পাঠানো হয়নি সংবাদমাধ্যমে। তবে ক্রিকেটাররা তো জানেন, ১০ হাজার রান ও ৫০০ উইকেট কত বড় অর্জন! ক্রিকেটাররাই তাই তুষার ইমরান ও আব্দুর রাজ্জাককে দিলেন স্বীকৃতি। সুদৃশ্য ট্রফি দিয়ে দুজনকে সম্মাননা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
- জুনায়েদের সেঞ্চুরি আর ধীমান ঘোষ ও তাইজুল ইসলামের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে চারশ ছাড়ানোর স্কোর গড়েছে উত্তরাঞ্চল। ৬ উইকেট নিয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের আব্দুর রাজ্জাক।
- টানা তিন সেঞ্চুরির পর মাঝে খানিকটা ছন্দ হারিয়েছিলেন মিজানুর রহমান। আবার পেলেন তিন অঙ্কের দেখা। সেঞ্চুরি পেয়ে ফিরে গেছেন এই ওপেনার, অপেক্ষায় আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক।
- আব্দুর রাজ্জাক ও তুষার ইমরানের অনন্য উচ্চতায় ওঠার ম্যাচ অনুমিতভাবে ড্র হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ম্যাচের ফল হতে শেষ দিন নাটকীয় কিছু দরকার ছিল। তেমন কিছু হয়নি।
- বছরের পর বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে নিবেদন দেখানো আব্দুর রাজ্জাক, তুষার ইমরানকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার কাছে এই দুই ক্রিকেটার বাংলাদেশের নতুন ও উঠতি ক্রিকেটারদের জন্য অনুকরণীয়।
- আব্দুর রাজ্জাক-তুষার ইমরানের অনন্য অর্জনের ম্যাচে লিডের পথে প্রতিপক্ষ মধ্যাঞ্চল। টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে এগোচ্ছে দলটি।
- জাতীয় দলে উপেক্ষিত অনেক দিন ধরেই। তবে বরাবরই রাঙিয়ে যাচ্ছেন ঘরোয়া ক্রিকেট। সেই পথ ধরেই আব্দুর রাজ্জাক পৌঁছে গেলেন অনন্য এক উচ্চতায়। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ছুঁয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটে মাইলফলক।
- নিশ্চিত ড্রয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকা ম্যাচে শেষ বিকেলে হঠাৎই উত্তেজনা। দ্রুত ৩ উইকেট নিয়ে নিলেন আব্দুর রাজ্জাক। তাতে ম্যাচে ফলের সম্ভাবনা জাগেনি। তবে জাগে দারুণ এক মাইলফলকের সম্ভাবনা। আরেকটি উইকেট নিলেই ক্যারিয়ারের ৫০০ উইকেট হয়ে যেত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এদিন আর হলো না।
- জাতীয় দলে উপেক্ষিত অনেক দিন থেকেই। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি উইকেট নেন নামতা গুণে। বল হাতে আবারও তেমন পারফরম্যান্স দেখালেন আব্দুর রাজ্জাক। শেষ দিনে ৫ উইকেট নিয়ে বড় জয় এনে দিলেন খুলনাকে।
- প্রিমিয়ার লিগ শুরু করেছিলেন চার উইকেট নিয়ে। পরের তিন ম্যচে নিয়েছেন আরও সাত উইকেট। এবার আব্দুর রাজ্জাকের শিকার পাঁচ উইকেট। বোলিংয়ের দাপট অবশ্য ছিল না শেখ জামালের ব্যাটিংয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত জিতেছে রাজ্জাকের দল।
- শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিল ২৫ রান, প্রাইম দোলেশ্বরের আশা হয়ে টিকে ছিলেন মার্শাল আইয়ুব। তাকে ফিরিয়েই ম্যাচ নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দেন আব্দুর রাজ্জাক। পরে বাকিটুকুও দারুণভাবে সেরেছেন বাঁহাতি এই স্পিনার, তাতে জয়ে ফিরেছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
- ম্যাচে শতক ও ১০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন শুভাগত হোম চৌধুরী। তারপরও স্বস্তিতে নেই তার দল। আব্দুর রাজ্জাকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের পুঁজি গড়েছে দক্ষিণাঞ্চল।
- প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মুস্তাফিজুর রহমানের ফেরার ম্যাচে দারুণ জয় পেয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের স্পিনে তিন দিনেই পূর্বাঞ্চলকে ইনিংস ও ৪৪ রানে হারিয়েছে তারা।
- ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতকের পথে থাকা নাঈম ইসলামকে ফিরিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের শততম ম্যাচে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। ফজলে মাহমুদের অপরাজিত শতকে উত্তরাঞ্চলের বড় সংগ্রহের জবাব দিচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল।
- রকিবুল হাসানের পর শতক করেছেন সাইফ হাসান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার প্রথম শতকে সাড়ে তিনশ’ ছাড়ানো ঢাকা লিডের আশা জাগিয়েছে। তবে খুলনার সম্ভাবনা এখনো বাঁচিয়ে রেখে ক্রিজে আছেন তুষার ইমরান।
- নেই কেবল একজন চায়নাম্যান স্পিনার, আর সব আছে চিটাগং ভাইকিংস দলে। প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে স্পিনারদের ওপর অনেকখানি নির্ভর করতে পারেন তামিম ইকবাল। স্পিনাররা আপ্রাণ চেষ্টা করবে সেই প্রতিশ্রুতি এরই মধ্যে আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে পেয়েছেন অধিনায়ক।
- ঝড়ো এক ইনিংসে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) তৃতীয় দিন বরিশালের বিপক্ষে খুলনাকে প্রথম ইনিংসে লিড এনে দিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম ইনিংসে দলের সংগ্রহ চারশ’ ছাড়াতে চমৎকার এক ইনিংস খেলেছেন মেহেদি হাসান মিরাজও।
- বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত
- ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ব্রডের বিশ্ব রেকর্ড
- নতুন চেহারার উইন্ডিজের সামনে আত্ম অনুসন্ধানী বাংলাদেশ
- দোরাইস্বামী যাচ্ছেন, আসছেন সুধাকর
- অসুস্থ ছিলাম, দলের কেউ খোঁজ নেয়নি: রওশন
- ভাড়া কমল বরিশাল-ঢাকা নৌপথে
- টিভি সূচি (শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২)
- শিক্ষক হত্যা: জিতুর ‘বান্ধবী’ও বহিষ্কৃত, স্কুল খুললেও উপস্থিতি কম
- মুকুল বোস মারা গেছেন
- ভারতের ভ্রমণ ভিসায় ৩ মাস পূর্ণ না হলে ফেরত পাঠানোর অভিযোগ
- ব্যাটিং হতাশার ফাঁকে সাকিব-সোহানের ক্যামিও
- দ্রুততম সেঞ্চুরিতে ধোনির রেকর্ড ভাঙলেন পান্ত
- নূপুর শর্মার বক্তব্য তুলে ধরা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আরও ‘অভিযোগ’
- উৎপলকে হারিয়ে যেন সর্বহারা তার পরিবার
- নড়াইলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ