- টপ অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। পরে বল হাতে গড়লেন কম খরচে পাঁচ উইকেট নেওয়ার দারুণ কীর্তি। সিমি সিংয়ের এমন দাপুটে অলরাউন্ডার নৈপূণ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে উড়িয়ে সিরিজ হার এড়াল আয়ারল্যান্ড।
- চোট জর্জর খর্ব শক্তির দল নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সমানে-সমান লড়ছে ভারত। উজ্জ্বল করেছে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ধরে রাখার সম্ভাবনা। অস্ট্রেলিয়ার সামনেও সুযোগ ট্রফি পুনরুদ্ধারের। ব্যাট-বলের তুমুল লড়াইয়ে রোমাঞ্চকর শেষের অপেক্ষায় দুই দলের লড়াই।
- আগের দিন দ্রুত ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ের যে আশা জাগিয়েছিল শ্রীলঙ্কা তা মিলিয়ে গেল জনি বেয়ারস্টো ও ড্যান লরেন্সের ব্যাটে। গল টেস্টে অনায়াসেই জিতল ইংল্যান্ড।
- দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করলেন লাহিরু থিরিমান্নে। কুসল পেরেরার পর ফিফটি করলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। অবদান রাখলেন অন্যরাও। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েও প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। সিরিজের প্রথম টেস্টে তাই জয়ের সামনে দাঁড়িয়ে সফরকারীরা।
- নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় শঙ্কা জেগেছিল অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার। সেখান থেকে ভারতকে স্বস্তির দিন উপহার দিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর ও শার্দুল ঠাকুর। লোয়ার মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানই তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি।
- আগের দিনের সেঞ্চুরিকে ডাবলে রূপান্তর করলেন জো রুট। তবে দ্রুত শেষ পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহটা বেশি বড় হতে দিলেন না শ্রীলঙ্কার বোলাররা। পরে কুসল পেরেরা ও লাহিরু থিরিমান্নের ফিফটিতে লড়ছে স্বাগতিকরা।
- মার্নাস লাবুশেনের ব্যাটে পাওয়া দৃঢ় ভিত খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন ঘুরে দাঁড়িয়ে স্বাগতিকদের চারশ রানের নিচে থামিয়ে দিয়েছে ভারত। বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে ব্যবধান কিছুটা কমিয়েও এনেছে তারা।
- গত বছরটা কেটেছে তার সেঞ্চুরিহীন। নতুন বছরের শুরুতেই খরা কাটালেন জো রুট। অধিনায়কের অপরাজিত দেড়শ রানের ইনিংসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বড় লিডের পথে রয়েছে ইংল্যান্ড।
- চোটে একের পর এক খেলোয়াড় হারিয়ে অনভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ নিয়েও অস্ট্রেলিয়াকে পরীক্ষায় ফেলেছিল ভারত। কিন্তু ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় ব্রিজবেন টেস্টের প্রথম দিনে হতাশা সঙ্গী হয়েছে সফরকারীদের। মার্নাস লাবুশেনের সেঞ্চুরিতে শক্ত ভিত পেয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
- ক্যামেরন গ্রিন, মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথের তিন ফিফটিতে ভারতকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। চারশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ইতিবাচক করে সফরকারীরা। তবে শেষ বেলায় তাদের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে কিছুটা এগিয়ে গেছে টিম পেইনের দল।
- তিন বিভাগেই নিজেদের মেলে ধরে সিডনি টেস্টে নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই মুঠোয় নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সের দারুণ বোলিংয়ে নিয়েছে প্রায় শতরানের লিড। প্রথম ইনিংসের দুই নায়ক স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন জমে গেছেন ক্রিজে। চোটে জেরবার ভারতকে বড় লক্ষ্য দেওয়ার পথে এগিয়ে গেছে টিম পেইনের দল।
- টানা ১৪ ইনিংস সেঞ্চুরির সঙ্গে আড়ি, প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পর থেকে এমন খরায় আর পড়েননি স্টিভেন স্মিথ। সিডনি টেস্ট শুরুর আগে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার টম মুডি বললেন, “খাঁচাবন্দি সিংহ স্মিথ ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তত।” মুডির কথা স্মিথের কানে পৌঁছেছিল কিনা কে জানে। তবে ঠিকই ঝাঁপিয়ে পড়লেন তিনি, রান ক্ষুধা মিটিয়ে ছুঁড়লেন প্রবল হুঙ্কার! অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের দারুণ সেঞ্চুরির দিনে নিজের প্রতিভার ঝলক দেখালেন ভারতের তরুণ ওপেনার শুবমান গিল।
- শঙ্কা উড়িয়ে খেললেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে দ্রুতই তাকে থামিয়ে দিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। শুরুর সাফল্য অবশ্য ধরে রাখতে পারেনি ভারত। উইল পুকোভস্কি ও মার্নাস লাবুশেনের ফিফটিতে সিডনি টেস্টে শক্ত ভিত পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
- লুঙ্গি এনগিডি, আনরিক নরকিয়াদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে একাই লড়াই করলেন দিমুথ করুনারত্নে। তুলে নিলেন কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি; কিন্তু এরপর আর ইনিংসটাকে বড় করতে পারলেন না শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। তার দলও পারল না প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় অনায়াসে জিতে লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
- প্রত্যাশিত সেঞ্চুরি ঠিকই তুলে নিলেন ডিন এলগার। কিন্তু এরপর আর বড় করতে পারলেন না ইনিংস। ফিফটির পর বিদায় নিলেন রাসি ফন ডার ডাসেনও। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামান বিশ্ব ফার্নান্দো।
- জোহানেসবার্গে নিখুঁত লাইন-লেংথ ও গতির ঝলক দেখালেন আনরিক নরকিয়া। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিলেন এই পেসার। পরে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় লিডের পথে রেখেছেন ডিন এলগার।
- ফাফ দু প্লেসি, ডিন এলগারদের দারুণ ব্যাটিংয়ে জয়ের ভিত তৈরিই ছিল। সাজানো মঞ্চে বাকি কাজ সারলেন বোলাররা। সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
- আগের দিন অল্পের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পোড়া ডিন এলগারের সঙ্গে একটি জায়গায় মিলে গেলেন ফাফ দু প্লেসি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান আউট হলেন ১৯৯ রানে।
- শেষ ৫ উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে দারুণ বোলিংয়ে আবার নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নিয়েছে ভারত। উজ্জ্বল করেছে মেলবোর্ন টেস্ট জিতে সমতা ফেরানোর সম্ভাবনা।
- দেড়শর কাছাকাছি জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দিলেন এইডেন মারক্রাম ও ডিন এলগার। এরপর হঠাৎ দিক হারাতে বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলকে লিডের পথে রেখেছেন ফাফ দু প্লেসি ও টেম্বা বাভুমা।
- আগের টেস্টে ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার দুঃস্বপ্ন ছাই চাপা দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে দুইশর নিচে থামিয়ে আজিঙ্কা রাহানের দারুণ সেঞ্চুরিতে বক্সিং ডে টেস্টে বড় লিডের পথে রয়েছে দলটি।
- চাপে পড়া দলকে পথ দেখালেন দিনেশ চান্দিমাল ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। অবদান রাখলেন নিরোশান ডিকভেলাও। ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে শ্রীলঙ্কা।
- প্রথম টেস্টে বাজে হারের পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের চোখেমুখে ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর তীব্র প্রচেষ্টা। জাসপ্রিত বুমরাহ, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সঙ্গে তাদের ফিল্ডিংয়েও ফুটে ওঠে সেটি। অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ইনিংসে দুইশর নিচে থামিয়ে বক্সিং ডে টেস্টে আপাতত ভালো অবস্থানে সফরকারীরা।
- ডেভন কনওয়ের ফিফটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। তবে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে দলকে পথ দেখালেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিপার-ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের হারিয়ে দিয়েছে সফরকারীরা।
- ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে থাকা টিম সাইফার্ট তুলে নিলেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি। পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংসে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও রাখলেন অবদান। টিম সাউদির নৈপুণ্যে দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানকে অল্প রানে বেঁধে রেখে এই দুই জনের ব্যাটে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করল নিউ জিল্যান্ড।
- গোলাপি বলে জশ হেইজেলউড ও প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারত তাদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের ফল নিয়ে অনিশ্চয়তার বাকি ছিল সামান্যই। প্রথম সেশনের সেই নাটকীয়তার পর তিন দিনেই দিবা-রাত্রির টেস্ট জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
- গোলাপি বলে জশ হেইজেলউড ও প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ভারত। টেস্টে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৩৬ রানে গুটিয়ে গেছে বিরাট কোহলির দল।
- মন্থর, একটু বাড়তি বাউন্স থাকা উইকেটে সারা দিন দারুণ বোলিং করে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞতায় জবাব দিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। গোলাপি বলের টেস্টের প্রথম দিনে অ্যাডিলেইডে দেখা গেল ব্যাট-বলের জমজমাট লড়াই।
- ভারতের জয়ের আশা বেঁচে ছিল বিরাট কোহলির ব্যাটে। দুর্দান্ত খেলতে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে ম্যাচ নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন অ্যান্ড্রু টাই। রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি সিরিজে এড়াল হোয়াইটওয়াশ।
- লক্ষ্য দুইশর কাছাকাছি। শিখর ধাওয়ান করলেন দারুণ ফিফটি, কার্যকর ইনিংস খেললেন বিরাট কোহলি, শেষে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন হার্দিক পান্ডিয়া। এক ম্যাচ বাকি থাকতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল ভারত।
- ম্যাচ যেভাবে এগোচ্ছিল, ফল হয়ে যেতে পারত তৃতীয় দিনেই। দ্বিতীয় ইনিংসে পাল্টা আক্রমণে প্রতিরোধ গড়লেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও আলজারি জোসেফ। তাদের লড়াইয়ের পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে নিউ জিল্যান্ড।
- আউটফিল্ড থেকে পিচ প্রায় আলাদাই করা যাচ্ছিল না। ভীতি ছড়াচ্ছিলেন ক্যারিবিয়ান পেসাররা। বৃষ্টির জন্য কন্ডিশন হয়ে গিয়েছিল আরও কঠিন। দুটি মাস্টারক্লাস ইনিংসে কেন উইলিয়ামসন ও টম ল্যাথাম দেখালেন কীভাবে জয় করতে হয় সব প্রতিকূলতা। তাদের ব্যাটে হ্যামিল্টন টেস্টে বড় ইনিংস গড়ার ভিত পেয়ে গেছে নিউ জিল্যান্ড।
- বারবার রং পাল্টানো ম্যাচে দলকে টানছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আরেকটি বিস্ফোরক ইনিংসে সহজ করে ফেলেছিলেন সমীকরণ। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল ভারত।
- নিউ জিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জল ঢেলে দিয়েছে বৃষ্টি।
- দারুণ বোলিংয়ে জফ্রা আর্চার, আদিল রশিদরা লক্ষ্যটা রেখেছিলেন নাগালে। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এক সময় হাত থেকে ছুটে যেতে বসেছিল ম্যাচ। কোণঠাসা অবস্থায় চমৎকার এক ইনিংসে দলকে টানলেন দাভিদ মালান। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন ওয়েন মর্গ্যান। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল ইংল্যান্ড।
- কঠিন সময়ে নেমে গড়লেন প্রতিরোধ। পাল্টা আক্রমণে উড়িয়ে দিলেন সব চাপ। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে মিলিয়ে দিলেন কঠিন হয়ে যাওয়া সমীকরণ। দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার দিনে উজ্জ্বল জনি বেয়ারস্টো।
- বারবার হানা দিল বৃষ্টি। ক্ষণে ক্ষণে রঙ পাল্টালো ম্যাচ। লকি ফার্গুসনের আগুনে বোলিং এড়িয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন কাইরন পোলার্ড। মিলিত চেষ্টায় সেই রান পেরিয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতল নিউ জিল্যান্ড।
- ট্রেন্ট বোল্ট ও ন্যাথান কোল্টার-নাইল দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা রাখলেন নাগালে। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সুর বেঁধে দিলেন কুইন্টন ডি কক। রোহিত শর্মা খেললেন দৃঢ়তাপূর্ণ ইনিংস। দিল্লি ক্যাপিটালসকে উড়িয়ে ফের আইপিএলের শিরোপা উৎসবে মাতল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
- সিরিজ যত এগিয়েছে ততই যেন দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছেন উসমান কাদির। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তো তিনি দাঁড়াতেই দেননি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের। আরেকটি অনায়াস জয়ে চামু চিবাবাদের হোয়াটওয়াশ করেছে পাকিস্তান।
- ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু এনে দেওয়া মার্কাস স্টয়নিস বল হাতেও রাখলেন বড় অবদান। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। দ্বিতীয় সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএলের ফাইনালে উঠেছে দলটি।
- উসমান কাদির ও হারিস রউফ দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা রাখলেন নাগালে। বাকিটা অনায়াসে সারলেন হায়দার আলি ও বাবর আজম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজ জিতে নিল পাকিস্তান।
- ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। কিন্তু বাজে বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে খুব একটা লড়াই করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। বাবর আজমের ফিফটিতে সহজ জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে পাকিস্তান।
- শক্তি-সামর্থ্যে দুই দলের পার্থক্য অনেক। তবে সাড়ে সাত মাস পর ক্রিকেটে ফিরে জিম্বাবুয়ে লড়ল বুক চিতিয়ে। অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে জয়ের আশা দেখালেন ব্রেন্ডন টেইলর। কিন্তু শেষ বেলায় পথ হারিয়ে মিলিয়ে গেল সেই আশা। স্লগ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও ওয়াহাব রিয়াজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিতল পাকিস্তান।
- মাঝারি রান তাড়ায় অনায়াস জয়ের পথে ছিল অস্ট্রেলিয়া। চ্যালেঞ্জিং উইকেটেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্নাস লাবুশেন অনেকটাই মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন ম্যাচ। কিন্তু তাদের শতরানের জুটি ভাঙার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চমৎকার এক গল্প লিখল ইংল্যান্ড। বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব ও পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের মিশেলে নাটকীয় জয়ে সিরিজে সমতা টানল ওয়েন মর্গ্যানের দল।
- রেকর্ড গড়া জুটিতে দলকে লড়াইয়ের সংগ্রহ এনে দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল মার্শ। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে লড়াই করলেন স্যাম বিলিংস। তবে জস হেইজেলউড ও অ্যাডাম জ্যাম্পার বোলিংয়ের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি ইংল্যান্ড। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ওয়ানডে লিগে শুভ সূচনা করেছে অস্ট্রেলিয়া।
- অ্যাডাম জ্যাম্পার বল ছক্কায় উড়িয়ে ম্যাচ শেষ করলেন জস বাটলার। ওই শটে লেখা হয়ে থাকল যেন ইংলিশদের দাপটও। আগের ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয়ের পর এবার ইংল্যান্ড জিতল অনায়াসে। নিশ্চিত হয়ে গেল তাদের সিরিজ জয়ও।
- বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচে পেরে উঠলো না ইংল্যান্ড। জীবন পেয়ে পাকিস্তানকে ভোগাচ্ছিলেন মইন আলি। তাকে থামিয়ে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে দারুণ জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
- বড় রান তাড়ায় পরপর দুই বলে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দলকে পথ দেখালেন ওয়েন মর্গ্যান, দারুণ ইনিংসে লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন দাভিদ মালান। দুই বাঁহাতির যুগলবন্দীতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া জয় পেল ইংল্যান্ড।
- করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর প্রথম টি-টোয়েন্টির রোমাঞ্চে জল ঢেলে দিয়েছে বৃষ্টি। টম ব্যান্টনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের পর বৃষ্টির দাপটে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের প্রথম টি-টোয়েন্টি।
- বৃষ্টি, আলোকস্বল্পতায় শঙ্কা জেগেছিল শেষ দিনে খেলা মাঠে গড়ানো নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সব বাধা পেরিয়ে শুরু হয় খেলা। দ্রুতই জেমস অ্যান্ডারসন পৌঁছে যান কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকে। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে গড়েন ছয়শ উইকেটের কীর্তি। তার প্রাপ্তির ম্যাচটি হয়েছে ড্র।
- বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতায় অপেক্ষা বাড়ল জেমস অ্যান্ডারসনের। ছয়শ উইকেটের মাইলফলক থেকে স্রেফ ১ উইকেট দূরে দাঁড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার। তার হতাশার দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
- যে পিচে নির্বিষ মনে হলো পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ, সেখানেই সুইংয়ের জাদুতে ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষায় ফেললেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে ছয়শ উইকেটের দুয়ারে পৌঁছে গেলেন অভিজ্ঞ এই ইংলিশ পেসার। অপরাজিত সেঞ্চুরিতেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে ফলোঅন এড়াতে পারেননি আজহার আলি।
- দারুণ ব্যাটিংয়ে আড়াইশ ছাড়ানো ইনিংস খেললেন জ্যাক ক্রলি। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে সঙ্গ দিলেন জস বাটলার। পঞ্চম উইকেটে তাদের রেকর্ড গড়া জুটিতে রান-পাহাড় গড়ল ইংল্যান্ড। শেষ বেলায় পাকিস্তানের তিন উইকেট তুলে নিয়ে তৃতীয় টেস্টে নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় করলেন জেমস অ্যান্ডারসন।
- সম্ভাবনাময় ইনিংসগুলোকে পূর্ণতা দিতে পারছিলেন না জ্যাক ক্রলি। এবার সফল হলেন তরুণ এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। পাল্টা আক্রমণে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। জস বাটলারের সঙ্গে চমৎকার জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে গড়ে দিলেন বড় সংগ্রহের ভিত।
- দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনেও দেখা গেল বৃষ্টির দাপট। খেলা হতে পারল কেবল এক সেশন। অনুমিতভাবেই ড্র হল ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের বৃষ্টি ভেজা টেস্ট।
- বৃষ্টির রাজত্ব চলছেই ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের দ্বিতীয় টেস্টে। বারবার বৃষ্টির বাধায় চার দিনে দুই দলের প্রথম ইনিংসই শেষ হয়নি। শেষ দিনে চরম নাটকীয় কিছু না হলে ড্র হতে চলেছে ম্যাচ।
- টানা দ্বিতীয় দিনে অর্ধেক সময়ের খেলা ভেসে গেল বৃষ্টিতে। সহায়ক কন্ডিশনে দারুণ বোলিংয়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখলেন স্টুয়ার্ট ব্রড-জেমস অ্যান্ডারসনরা। তাদের সামলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
- টসের সময় ছিল রোদ। পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে নামার সময় আকাশ ঢেকে গেল মেঘে। বৃষ্টির বাধায় বারবার বন্ধ হলো খেলা। এর ফাঁকে যতটুকু খেলা হলো, তাতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর দিনে পাকিস্তানকে চাপে ফেলেছে ইংল্যান্ড।
- হঠাৎ লাফাচ্ছিল বল, কখনও কখনও থামছিল। ব্যাটিং ছিল বেশ কঠিন। ইয়াসির শাহ-নাসিম শাহরা উজাড় করে দিলেন নিজেদের। ব্যাটিং দুরূহ উইকেটে চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় দিক হারাতে বসেছিল ইংল্যান্ড। জস বাটলারের সঙ্গে শতরানের জুটিতে ক্রিস ওকস দেখালেন পথ। লড়াকু ফিফটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে এনে দিলেন দারুণ জয়।
- আগের দিন পথ দেখিয়েছিলেন পেসাররা। পরদিন বাকিটুকু সারলেন স্পিনাররা। বোলারদের মিলিত অবদানে ইংল্যান্ডকে দ্রুত গুটিয়ে দিয়ে শতরানের লিড নিয়েছে পাকিস্তান। তবে বল হাতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিকরা। লড়াই করছে লক্ষ্যটা নাগালে রাখতে।
- বাবর আজমসহ তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরটা দারুণ করে ইংল্যান্ড। সম্ভাবনা জাগায় কম রানে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেওয়ার। তবে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে সফরকারীদের টানেন শান মাসুদ। আর শেষ সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে উল্টো চাপে পড়ে গেছে ইংল্যান্ড।
- কন্ডিশন থেকে বেশ সহায়তা পাচ্ছিলেন ইংলিশ পেসাররা। তাদের দারুণ বোলিংয়ে রান আসছিল না সহজে। সংগ্রাম করতে হচ্ছিল সফরকারী ব্যাটসম্যানদের। বাবর আজম ক্রিজে যেতেই যেন পাল্টে গেল সব। বৃষ্টি ভেজা দিনে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণেরর সামনে নিজের সামর্থ্য দেখালেন পাকিস্তানের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
- ওয়েন মর্গ্যানের সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ডকে রেকর্ড গড়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল ইংল্যান্ড। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে সেই চ্যালেঞ্জ নিলেন পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বালবার্নি। টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি আর রেকর্ড গড়া জুটিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তাদেরই মাটিতে হারিয়ে দিয়েছে আয়ারল্যান্ড।
- জনি বেয়ারস্টোর খুনে ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের জয় মনে হচ্ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। এই কিপার-ব্যাটসম্যানের ঝড় থামানোর পর ওয়েন মর্গ্যান ও মইন আলিকে দ্রুত ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন জশ লিটল। তবে স্যাম বিলিংস ও ডেভিড উইলির দৃঢ়তায় এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
- ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে লক্ষ্যটা ছোট রাখলেন ডেভিড উইলি। রান তাড়ায় শুরুতে কিছুটা চাপে পড়া ইংল্যান্ডকে টানলেন স্যাম বিলিংস। তার ফিফটিতে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে ওয়ানডে সুপার লিগে শুভসূচনা করেছে ইংল্যান্ড।
- পুরো একটি দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় কাজটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের জন্য। তারপরও, ক্যারিবিয়ানদের বাজে ব্যাটিং আর নিজেদের দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে শেষ পর্যন্ত সহজেই জিতেছে জো রুটের দল। প্রথম টেস্টে হারা ইংলিশরা ঘুরে দাঁড়িয়ে পুনরুদ্ধার করেছে উইজডেন ট্রফি।
- আবহাওয়ার পূর্বাভাসেই ছিল শঙ্কা, হলোও তাই। বৃষ্টিতে ভেসে গেল ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন। লম্বা সময় অপেক্ষা করেও বল মাঠে গড়াল না।
- সকালে ৪ উইকেট নিয়ে গুটিয়ে দিলেন ক্যারিবিয়ানদের প্রথম ইনিংস। শেষ বেলায় ২ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও নাড়িয়ে দিলেন সফরকারীদের। স্টুয়ার্ট ব্রডের দারুণ বোলিংয়ে তৃতীয় টেস্টে জয়ের পথে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
- দিনের শুরুতে দারুণ বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় নতুন বলে কাঁপিয়ে দেয় ইংলিশদের। দিক হারা দলকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে টানেন স্টুয়ার্ট ব্রড। পরে বোলিংয়েও রাখেন অবদান। সঙ্গে অন্যরাও এগিয়ে আসায় ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করেছে ইংল্যান্ড।
- সিরিজে রান ছিল না অলি পোপের ব্যাটে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল জস বাটলারের। খুব প্রয়োজনের সময় দাঁড়িয়ে গেলেন দুই ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে গড়ে দিলেন বড় সংগ্রহের ভিত।
- ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সময়ও যেন ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই লড়াইয়ে জিতে টেস্ট সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে জো রুটের দল। পঞ্চম দিন সকালে তারা টি-টোয়েন্টি ঘরানার ব্যাটিংয়ের পর দারুণ বোলিংয়ে গুটিয়ে দিয়েছে ক্যারিবিয়ানদের।
- ব্যাটিং ধসে দ্বিতীয় টেস্টে চাপে পড়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নাটকীয় মোড় নিয়েছে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। তাদের পরিস্থিতি হতে পারতো আরও খারাপ। কোনোমতে ফলোঅন এড়াতে পেরেছে সফরকারীরা। বড় লিড নেওয়া ইংল্যান্ড রান তুলছে দ্রুত। শেষ দিনে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হাতছানি দিচ্ছে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের।
- বৃষ্টিতে ভেসে গেছে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে সমতা ফেরানোর কাজটা এতে আরও কঠিন হয়ে গেল ইংল্যান্ডের জন্য।
- উইকেটে বোলারদের জন্য বেশ সহায়তা আছে, কন্ডিশনও সহায়ক। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের দারুণ পরীক্ষা নিলেন ক্যারিবিয়ান পেসাররা। মাটি কামড়ে কঠিন সময় পার করে দেওয়া বেন স্টোকস, ডম সিবলি পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। তাদের আড়াইশ ছাড়ানো জুটিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়েছে ইংল্যান্ড। জবাবে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের; দিনের শেষ বেলায় হারিয়েছে উইকেট।
- জমে যাওয়া জুটি ভাঙার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে হারালেন জেসন হোল্ডার; স্লিপে ডম সিবলির সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারলেন না ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। জীবন পেয়ে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন সিবলি। তার সঙ্গে বেন স্টোকসের শতরানের জুটিতে দ্বিতীয় টেস্টে বড় সংগ্রহের ভিত গড়েছে ইংল্যান্ড।
- ক্রিকেট তার সব নাটকীয়তা নিয়ে হাজির হলো সাউথ্যাম্পটন টেস্টের শেষ দিনে। ব্যাট হাতে ২৩ রানের ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পর বল হাতে ক্যারিবিয়ানদের কাঁপিয়ে দিলেন জফ্রা আর্চার। তার তোপ সামলে দলকে কক্ষপথে ফেরালেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানের দারুণ ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় জয় তুলে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
- জ্যাক ক্রলি ও বেন স্টোকসের জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাত থেকে লাগাম হাতছাড়া হতে বসেছিল। দারুণ এক ডেলিভারিতে আবার স্টোকসকে ফেরালেন জেসন হোল্ডার। ক্রলিকে বিদায় করলেন আলজারি জোসেফ। ৭ বলের মধ্যে পাল্টে গেল দৃশ্যপট। জয়ের পাল্লা ঝুলে থাকল ক্যারিবিয়ানদের দিকেই।
- শুরুতে দলকে টানলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। পরে পথ দেখালেন শেন ডাওরিচ। তাদের দুই ফিফটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে শত রানের লিড নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাব দিতে নেমে সাবধানী ব্যাটিংয়ে দিনের শেষ বেলা পার করে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার।
- দুর্দান্ত একটি দিন কাটল ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের। নিলেন তিনটি সফল রিভিউ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে পেলেন ছয় উইকেট। এই অলরাউন্ডারের আলো ঝলমলে দিনে সাউথ্যাম্পটন টেস্টে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
- দীর্ঘ, ক্লান্তিকর অপেক্ষা ফুরাল। ১১৭ দিন পর মাঠে গড়াল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবে প্রত্যাবর্তনের দিনটির বেশিরভাগ সময় ভেসে গেল বৃষ্টিতে। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে সাউথ্যাম্পটন টেস্ট শুরুর দিনে খেলা হলো কেবল ৮২ মিনিট।
- ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চের শতরানের উদ্বোধনী জুটির পর দলকে টানলেন মার্নাস লাবুশেন। নিউ জিল্যান্ডকে পথ দেখাতে পারলেন না কেউ। পেসারদের দাপুটে বোলিংয়ে সিডনিতে সহজেই জিতল অস্ট্রেলিয়া।
- পরের ম্যাচগুলো হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। দর্শকদের গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার শেষ সুযোগ ছিল কেবল এই ম্যাচে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে এসেছিলেনও কিছু দর্শক। তবে তাদের ফিরতে হলো হতাশা নিয়ে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টিতে ভেসে গেছে।
- দাপুটে পথচলার সিরিজে শেষটায় হাতছানি ছিল দারুণ এক অর্জনের। প্রত্যাশিত জয়ে বাংলাদেশ পেল এতদিনের অধরা সেই স্বাদ। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে। সাদা-রঙিন মিলিয়ে তিন সংস্করণেই প্রথমবার কোনো দলকে এক দফায় হারাল বাংলাদেশ।
- আফগানিস্তান আর আয়ারল্যান্ডের লড়াই প্রায়ই হাজির হয় রোমাঞ্চ ও নাটকীয়তার পসরা সাজিয়ে। তেমনই এক দফা নাটক মঞ্চস্থ হলো গ্রেটার নয়ডায়। হারের কিনারায় দাঁড়িয়ে রশিদ খানের ছক্কা ও চারে ম্যাচ টাই করল আফগানিস্তান। কিন্তু সুপার ওভারে সেই রশিদের শেষ বলেই ছক্কা মেরে আয়ারল্যান্ডকে জয় এনে দিলেন কেভিন ও’ব্রায়েন।
- অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাটিংয়ে একাই লড়লেন মার্নাস লাবুশেন। তার দারুণ সেঞ্চুরির পরও দল পেল না বড় পুঁজি। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। বাকি কাজটা সহজেই সারলেন ব্যাটসম্যানরা। ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখলেন বোলাররা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সুর বেঁধে দিলেন ব্র্যান্ডন কিং। শিমরন হেটমায়ার খেললেন দৃঢ়তাপূর্ণ ইনিংস। আন্দ্রে রাসেল চালালেন তাণ্ডব। বড় জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
- এই ম্যাচের আবেদন বদলে গেছে আগের দিনই। যে ম্যাচের আবহে মিশে নেতা মাশরাফি মুর্তজার বিদায়ের সুর, সেখানে বাকি সব পারিপার্শ্বিকতাই তো গৌণ! লিটন দাস ও তামিম ইকবাল যেন নেমেছিলেন প্রিয় অধিনায়ককে বিদায়ী শ্রদ্ধার্ঘ্য দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেই। রেকর্ড বই চুরমার করা রান উৎসবে দুজন রাঙালেন উপলক্ষ। প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করা দিনটি পূর্ণতা পেল অধিনায়কের পঞ্চাশতম জয়ের অনন্য অর্জনে।
- পল স্টার্লিংয়ের ঝড় থামিয়ে লক্ষ্যটা নাগালের বাইরে যেতে দিলেন না রশিদ খান। রান তাড়ায় ভালো শুরুর পর দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে পথ হারাতে বসেছিল দল। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে ঝড়ো ইনিংস খেললেন নাজিবউল্লাহ জাদরান। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করল আফগানিস্তান।
- ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখলেন লুঙ্গি এনগিডি। অভিষেকে প্রথম বলেই ফেরা ইয়ানেমান মালানের এবার হলো উল্টো অভিজ্ঞতা। দারুণ এক সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলের জয়কে সঙ্গে নিয়ে ফিরলেন। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- এক ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে শুরুতেই শ্রীলঙ্কাকে পেছনের পায়ে ঠেলে দিয়েছিলেন ওশেন টমাস। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দলকে কক্ষপথে ফিরিয়েছিলেন কুসল পেরেরা। বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
- ওয়েলিংটনের পর ক্রাইস্টচার্চেও পাত্তা পেল না ভারত। ব্যাট-বলের অসাধারণ পারফরম্যান্সে নিউ জিল্যান্ড পেল দারুণ জয়। আড়াই দিনে হেরে হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ পেল বিরাট কোহলির দল।
- প্রতিটি বলে উত্তেজনা। একটি বাউন্ডারিতে সমীকরণ সহজ হচ্ছে তো একটি উইকেটে ম্যাচ হেলে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার দিকে। হোয়াইটওয়াশড হওয়া এড়াতে চেষ্টার কমতি ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তবে শেষরক্ষা করতে পারেনি কাইরন পোলার্ডের দল। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতে তাদের হোয়াইটওয়াশ করে ছেড়েছে দিমুথ করুনারত্নের দল।
- সিরিজ শুরুর আগে মাঠের বাইরের আলোচনাই ছিল বেশি। মাঠের ক্রিকেটে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ বদলে দিল আবহ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়টা ছিল প্রত্যাশিতই, বড় স্বস্তি হয়ে এলো দাপুটে জয়। লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের স্কোর উঠল রেকর্ড উচ্চতায়। পরে বোলাররা দলকে এনে দিলেন রেকর্ড গড়া জয়।
- অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে দলকে টানলেন হাইনরিখ ক্লাসেন। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে দলকে এনে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। সম্মিলিত চেষ্টায় বাকিটা সারলেন বোলাররা। স্টিভ স্মিথের লড়াই থামিয়ে প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- উইকেট যেন সবুজের গালিচা। ম্যাচের সকালে হয়েছে এক পশলা বৃষ্টি। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবুও শুরুর তোপ সামলে ভারত পেয়েছিল দৃঢ় ভিত। কিন্তু তাদের মিডল আর লোয়ার অর্ডার গুঁড়িয়ে দিলেন কাইল জেমিসন। দীর্ঘদেহী এই পেসারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে বিরাট কোহলির দল গুটিয়ে গেল আড়াইশর নিচে। পরে ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখালেন নিউ জিল্যান্ডের দুই ওপেনার।
- নিউল্যান্ডসে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় ঝড় বয়ে গিয়েছিল স্টিভেন স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারের উপর দিয়ে। সেই মাঠে ফিরে যেন তাণ্ডব চালালেন এই দুই ব্যাটসম্যান। বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন অ্যারন ফিঞ্চও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ে সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।
- পরপর দুই বলে উইকেট হারানোর অস্বস্তি উড়িয়ে দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি! শুরুর ধাক্কা সামলে আভিশকা ফার্নান্দো ও কুসল মেন্ডিস খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। গড়লেন রেকর্ড জুটি। তাতে যে উচ্চতায় উঠল শ্রীলঙ্কার ইনিংস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেল না তার নাগাল। লঙ্কানরা সিরিজ জিতে নিল দুই ম্যাচেই।
- আগের দিন টপ অর্ডার কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। পরদিন মিডল আর লোয়ার অর্ডার গুঁড়িয়ে দিলেন টিম সাউদি। টানা দুই ইনিংসে ভারত গুটিয়ে গেল দুইশর নিচে। দারুণ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড। ধরা দিল মাইলফলক জয়।
- ক্রিজে ডেভিড ওয়ার্নার। জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ২৫ রান। হাতে ৭ উইকেট। সিরিজ নিশ্চিত করার পথেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। কী দারুণ তিনটি ওভারই না করলেন লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদা ও আনরিক নরকিয়া। সফরকারীদের হাতের মুঠো থেকে যেন জয় ছিনিয়ে নিয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- জিম্বাবুয়েকে দ্রুত অলআউেটর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। আবু জায়েদ চৌধুরী ও তাইজুল ইসলামের সৌজন্যে পূরণ হয়েছে দলের চাওয়া। শেষ ৪ উইকেটে আগের দিনের রানের সঙ্গে আর ৩৭ রান যোগ করে থেমেছে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
- বারবার রং বদলের ম্যাচের শেষ দিকে নাটকীয়তা জমে উঠল। ভানিদু হাসারাঙ্গার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শেষ হাসি হেসেছে শ্রীলঙ্কা।
- স্টিভেন স্মিথ ও অ্যারন ফিঞ্চের গড়ে দেওয়া মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঝড় তুললেন অ্যাশটন আগার। পরে বোলিংয়ে দেখালেন চমক; হ্যাটট্রিকসহ নিলেন পাঁচ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের স্পিনে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা, পেল সবচেয়ে বড় হারের স্বাদ।
- উইকেটে বোলারদের জন্য প্রায় কিছুই নেই। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যাটসম্যানরা মেতে উঠলেন রান উৎসবে। রান পাহাড় গড়েও লাভ হলো না দক্ষিণ আফ্রিকার। দারুণ জয়ে সিরিজ জিতে নিল ইংল্যান্ড।
- ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত চেষ্টায় দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ল ইংল্যান্ড। রান তাড়ায় রেকর্ড ফিফটিতে দলকে পথ দেখালেন কুইন্টন ডি কক। তবে জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না তা। রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ওয়েন মর্গ্যানের দল।
- ফেরার ম্যাচে গড়লেন রেকর্ড। ইমরান তাহিরকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে উইকেট শিকারীদের তালিকার চূড়ায় উঠলেন এককভাবে। ডেল স্টেইনের প্রাপ্তির দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা পেল নাটকীয় জয়। লুঙ্গি এনগিডির দারুণ বোলিংয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পেরে উঠল না ইংল্যান্ড।
- আগের দিনের শেষ বেলার নাটকীয় ধসে যে শঙ্কা জেগেছিল, সেটিই সত্যিই হলো। রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন সকালে সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস টিকেছে দেড় ঘণ্টারও কম সময়।
- স্পিনারদের দারুণ বোলিংয়ের পর মিলিত প্রচেষ্টায় বাকিটা সারলেন ব্যাটসম্যানরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ বাঁচাল ইংল্যান্ড।
- সম্ভাবনাময় জুটি ও ইনিংস বড় না করার আক্ষেপ পোড়াচ্ছে বাংলাদেশকে। আর কিভাবে সম্ভাবনাকে পূর্ণতা দিতে হয়, সফরকারীদের তা-ই যেন দেখাচ্ছে পাকিস্তান। দুই ব্যাটসম্যান করেছেন সেঞ্চুরি। নব্বই ছাড়িয়েছে তিনটি জুটি। দুই দিনেই রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে চালকের আসনে বসেছে আজহার আলির দল।
- মার্টিন গাপটিলের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরুর পর নিউ জিল্যান্ডকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন রস টেইলর। রবীন্দ্র জাদেজার প্রতিরোধ ভেঙে বাকি কাজ সারলেন বোলাররা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল কিউইরা।
- কন্ডিশন আর উইকেটে পাকিস্তানের পেসারদের জন্য ছিল প্রবল সুবিধা। এর মাঝে প্রথম আট ব্যাটসম্যানের ছয়জন গেলেন ২৫ পর্যন্ত। শুরুর কঠিন কাজটা করলেন মাটি কামড়ে। সেখান থেকে পঞ্চাশ ছাড়াতে পারলেন কেবল একজন-মোহাম্মদ মিঠুন। ব্যাটসম্যানদের সুযোগ হাতছাড়া করার দিনে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে প্রথম দিনেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ।
- নতুন ভূমিকায় আনুষ্ঠানিক যাত্রার শুরুটা দারুণ হলো কুইন্টন ডি ককের। ফাফ দু প্লেসির জায়গায় নেতৃত্ব পেয়ে দাপুটে সেঞ্চুরিতে দলকে পথ দেখিয়েছেন সামনে থেকে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের দিনে ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন টেম্বা বাভুমা।
- শততম ম্যাচে ফিফটি করলেন রস টেইলর। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস খেললেন টিম সাইফার্ট। এরপরও ম্যাচ শেষে চিত্র সেই একই; সান্ত্বনার জয়ও পেল না নিউ জিল্যান্ড। সিরিজের শেষ ম্যাচে রোহিত শর্মার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের নৈপুণ্যে অনায়াস জয় তুলে নিয়েছে ভারত।
- হারারে টেস্টে জয়ের জন্য শেষ দিনে রানের পাহাড় টপকাতে হতো। সেই পথে হাটেনি শ্রীলঙ্কা। মাটি কামড়ে ক্রিজে থেকে সামলেছে জিম্বাবুয়ের বোলিং। অপরাজিত শতকে সেই লক্ষ্যে দলকে পথ দেখিয়েছেন কুসল মেন্ডিস।
- শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৭ রান, হাতে উইকেট সাতটি। সহজ সমীকরণ আবারও মেলাতে ব্যর্থ নিউ জিল্যান্ড। ছয় বলে চার উইকেট তুলে নিল ভারত, ম্যাচ গড়ালো সুপার ওভারে। যেখানে অনায়াসে জয় মুঠোবন্দী করল বিরাট কোহলির দল।
- বাজে আবহাওয়ার কারণে হারারে টেস্টে চতুর্থ দিনেও পুরো সময় খেলা হলো না। যেটুকু হয়েছে তাতে শ্রীলঙ্কান বোলারদের ওপর চাপ ধরে রেখেছে জিম্বাবুয়ে।
- হারারে টেস্টে সিকান্দার রাজার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে তিনশর আগে গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। পরে ব্যাট হাতে বড় লিডের সম্ভাবনা জাগিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
- শেষ চার উইকেটে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। চারশ ছাড়িয়েই থেমে গেছে স্বাগতিকদের ইনিংস। সাবধানী ব্যাটিংয়ে জবাব দেওয়া শ্রীলঙ্কা শেষ বেলায় হারিয়েছে দুই ওপেনারকে।
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের টেস্টের প্রতিচ্ছবি ছিল প্রথম ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে। ব্রেন্ডন টেইলর ক্রিজে যাওয়ার পর বদলে গেল জিম্বাবুয়ে। বাড়ল রানের গতি। শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজাও ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুললেন। তাতে টেস্টের প্রথম দিনে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল স্বাগতিকরা।
- অভিষেক হতে পারত হাসান মাহমুদের। নাজমুল হোসেন শান্তকে হয়তো আরেকবার পরখ করা যেত টি-টোয়েন্টিতে। ভুলগুলো শোধরানো যায় কতটা, সেসবও দেখার ছিল। সিরিজ হেরে যাওয়ার পর শেষ ম্যাচ থেকে এসবই ছিল বাংলাদেশের চাওয়া। কিন্তু সব আশা ভেসে গেল বৃষ্টিতে।
- প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো দ্বিতীয় ম্যাচে শোধরাতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বাস্তবে দেখা গেল উল্টো চিত্র। ব্যাটিং হলো আগের দিনের চেয়ে ঢিমেতালে। বোলিং একদমই ধারহীন। পারফরম্যান্সে নেই পরিকল্পনার ছাপ, শরীরী ভাষায় নেই কোনো ঝাঁঝ। ফলও তাই অনুমেয়। পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ।
- মোহাম্মদ রিজওয়ানের শটে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ, কিন্তু মোহাম্মদ মিঠুন পারলেন না হাতে জমাতে। ওই শটেই দুই রান নিয়ে জিতে গেল পাকিস্তান। ম্যাচের শেষটা বাংলাদেশের জন্য হয়ে রইল যেন প্রতীকী। ব্যাটিং-বোলিংয়ে বাংলাদেশ ক্ষেত্র তৈরি করে দারুণ কিছুর, কিন্তু বারবার নিজেরাই ফসকে ফেলেছে সুযোগ। পাকিস্তান সিরিজ শুরু করেছে জয়ে।
- দারুণ লড়াই করল জিম্বাবুয়ে, কিন্তু পারল না ম্যাচ বাঁচাতে। স্বাগতিকদের প্রতিরোধ ভেঙে প্রথম টেস্টে বড় জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
- কুসল মেন্ডিসের পর ফিফটি পেলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তার দায়িত্বশীল ইনিংসে প্রথম টেস্টে লিড নেওয়ার পথে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন কেবল তিনটি উইকেট নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে।
- টপ অর্ডারের তিন ফিফটিতে ভালো শুরু পেলেও খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি জিম্বাবুয়ে। লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার পাঁচ উইকেটে সাড়ে তিনশ ছাড়িয়েই থেমে গেছে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস। জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার।
- জয়ের মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। একমাত্র বাধা হয়ে ছিলেন কেশভ মহারাজ। তার প্রতিরোধ ভেঙে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
- এবারের বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বেশ ধারাবাহিক পারফর্ম করে গেছেন লেন্ডল সিমন্স। তবে তার সেরা বিধ্বংসী চেহারা দেখা গেল দেশে ফেরার পর জাতীয় দলের হয়ে। এই ওপেনারের ব্যাটিং তাণ্ডবে আইরিশদের গুঁড়িয়ে সমতায় সিরিজ শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
- উদ্বোধনী জুটিতে এলো ৯৬ রান। ওভারের সংখ্যা দেখলে অবশ্য চোখ উঠতে পারে কপালে, ৫০ ওভার! টেস্ট ক্রিকেটের বিবেচনাতেও যা যথেষ্ট মন্থর ব্যাটিং, সেটিও সিরিজ শুরুর দিনে। তারপরও জিম্বাবুয়ের জন্য ভালো ব্যাপার, সারাদিনে হারিয়েছে কেবল দুই ওপেনারকে। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ভালো অবস্থানে আছে তারাই।
- সিরিজ জয়ের আশা টিকিয়ে রাখতে ম্যাচটি জিততেই হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। কাইরন পোলার্ডের সৌজন্যে জয়ের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু অধিনায়কের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হতাশ করল বৃষ্টি। ভেসে গেল ক্যারবিয়ানদের সিরিজ জয়ের আশা। নিশ্চিত হয়ে গেল, সিরিজ হারছে না আয়ারল্যান্ড।
- আগের দিন দুই উইকেট নেওয়া অফ স্পিনার ডম বেস নিলেন আরও তিনটি। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে ফলোঅনের চোখ রাঙানির সামনে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করছেন কুইন্টন ডি কক ও ভারনন ফিল্যান্ডার।
- টপ অর্ডারের গড়ে দেওয়া মঞ্চে ঝড় তুললেন লোকেশ রাহুল। ভারতকে নিয়ে গেলেন রানের পাহাড়ে। স্বাগতিক ওপেনার শিখর ধাওয়ানের মতো নব্বইয়ের ঘরে আউট হলেন অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথও। তাদের আক্ষেপের দিনে সহজেই জিতল বিরাট কোহলির দল।
- প্রথম চার ব্যাটসম্যান ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। পেরেছেন বেন স্টোকস ও ওলি পোপ। দারুণ দুই সেঞ্চুরিতে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে ইংল্যান্ডকে দৃঢ় অবস্থানে নিয়ে গেছেন তারা। জবাব দিতে নেমে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
- ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপুটে ব্যাটিং। বোলিংয়েও প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল। ব্যাটে-বলে ভারত উপহার দিল পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স। বিরাট কোহলির দলের দোর্দণ্ড প্রতাপে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
- ভালো শুরু বড় করতে পারলেন না শ্রীলঙ্কার তিন টপ অর্ডারের কেউ। আশা জাগিয়েও সফরকারীরা পারল না বড় সংগ্রহ গড়তে। মাঝারি রান তাড়ায় ঝড় তুললেন লোকেশ রাহুল। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কানদের উড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত।
- ডম বেসের ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নেওয়া সম্ভব ছিল, কি ভেবে যেন নিলেন না ভারনন ফিল্যান্ডার। পরের ওভারে পরপর দুই বলে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও আনরিক নরকিয়াকে বিদায় করে ইংল্যান্ডকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে গেলেন বেন স্টোকস। পরে ফিল্যান্ডারকেই ফিরিয়ে বাকিটুকু সারলেন এই অলরাউন্ডার।
- ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ডম সিবলি। দ্রুত রান তুলতে ঝড় তুললেন বেন স্টোকস। তাদের দৃঢ়তায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্টে সর্বোচ্চ রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল ইংল্যান্ড। অভিষিক্ত পিটার মালানের লড়াকু ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছে ফাফ দু প্লেসির দল।
- তাসমান পারের দুই দেশের লড়াই জমল না মোটেও। ব্যাটে-বলে নিজেদের মেলে ধরে প্রতিবেশী নিউ জিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরির পর পাঁচ উইকেট নিয়ে চার দিনেই সিডনি টেস্টে স্বাগতিকদের জয় এনে দিলেন ন্যাথান লায়ন।
- যেন একই চিত্রনাট্য ধরে এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড সিরিজ। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের দাপট, জবাব দিতে নেমে কিউইদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও অস্ট্রেলিয়া পেল বড় লিড। নিউ জিল্যান্ডকে ২৫১ রানে থামিয়ে দিলেন ন্যাথান লায়ন ও প্যাট কামিন্স।
- ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সময় কাটানো মার্নাস লাবুশেন খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তরুণ এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিতে সিডনি টেস্টে বড় সংগ্রহ গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। কোনো ক্ষতি ছাড়ায় দিনের শেষ সেশন কাটিয়ে দিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের দুই ওপেনার টম ল্যাথাম ও টম ব্লান্ডেল।
- প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের ছয়জন গেলেন দুই অঙ্কে। পাঁচজন ছাড়ালেন ত্রিশ। তারপরও প্রথম ইনিংসে আড়াইশ রানের আগে গুটিয়ে যেতে বসেছিল ইংল্যান্ড। জো রুট, বেন স্টোকস ও জো ডেনলিদের সুযোগ হাতছাড়া করার দিনে দলকে টানলেন ওলি পোপ। তবে বোলারদের মিলিত অবদানে কেপ টাউন টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
- অসুস্থতা আর চোটের থাবায় টালমাটাল নিউ জিল্যান্ডকে আরও চাপে ফেলে দিয়েছেন মার্নাস লাবুশেন। তরুণ এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে সিডনি টেস্টে বড় সংগ্রহের পথে আছে অস্ট্রেলিয়া।
- কঠিন চ্যালেঞ্জে শেষরক্ষা করতে পারল না ইংল্যান্ড। রেকর্ড রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হলেও শেষে পথ হারিয়ে বড় ব্যবধানে হারল তারা। কাগিসো রাবাদা ও আনরিক নরকিয়ার দারুণ বোলিংয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- মঞ্চ এক রকম প্রস্তুতই ছিল। প্রত্যাশা অনুযায়ী নিউ জিল্যান্ডকে বিশাল লক্ষ্য দিলো অস্ট্রেলিয়া। সেই লক্ষ্যে টম ব্লান্ডেল ছাড়া অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের সামনে আর কেউ প্রতিরোধ গড়তে পারল না। জেমস প্যাটিনসন ও ন্যাথান লায়নের তোপে কেন উইলিয়ামসনের দলকে গুঁড়িয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া।
- ম্যাচের প্রথম তিন ইনিংস থেমেছে তিনশর আগে। সেখানে শেষ ইনিংসে জিততে ইংল্যান্ডকে যেতে হবে চারশর কাছে! ম্যাচের প্রেক্ষাপটে কাজটি ভীষণ কঠিন তো বটেই, কঠিন আসলে যে কোনো বাস্তবতায়ই। জিততে হলে গড়তে হবে নিজেদের রান তাড়ার রেকর্ড। তবে ররি বার্নসের সৌজন্যে সেই চ্যালেঞ্জেই ইংল্যান্ড এগোচ্ছে দারুণভাবে।
- অস্ট্রেলিয়ান পেস ত্রয়ীর সামনে দাঁড়াতেই পারল না নিউ জিল্যান্ড। বক্সিং ডে টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানে থমকে গেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। প্যাট কামিন্স, জেমস প্যাটিনসন ও মিচেল স্টার্কের দাপুটে বোলিংয়ে তিনশ ছাড়ানো লিড পাওয়া অস্ট্রেলিয়া দিতে যাচ্ছে বিশাল লক্ষ্য।
- মনে হচ্ছিল কঠিন সময়টা পার করে দিয়েছেন জো রুট ও জো ডেনলি। এবারে ইংল্যান্ডের এগিয়ে যাওয়ার পালা। তখনই যেন জেগে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণ। দাপুটে বোলিংয়ে সফরকারীদের গুঁড়িয়ে দিয়ে দলকে এনে দেয় শতরানের লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করছেন ইংলিশ বোলাররাও। তবে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেওয়ার পথেই রয়েছে ফাফ দু প্লেসির দল।
- সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও পারেননি স্টিভেন স্মিথ। ব্যর্থ হননি আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড। এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে নিউ জিল্যান্ড।
- দিনের প্রথম ওভারেই জো বার্নসের স্টাম্প গুঁড়িয়ে দিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের দুর্দান্ত এই শুরু ধরে রাখতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। স্টিভেন স্মিথের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম দিনে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়াই।
- দশ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট ফেরার উপলক্ষ্য বড় জয় দিয়ে রাঙানোর দুয়ারেই ছিল পাকিস্তান। শেষ দিনে অবশিষ্ট তিন উইকেটে শ্রীলঙ্কা যোগ করতে পারল না কোনো রান। আনুষ্ঠানিকতা সারতে স্বাগতিকদের লাগল মাত্র ষোলো বল। সবচেয়ে কম বয়সী পেসার হিসেবে টেস্টে ৫ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড গড়ে দলকে দারুণ এক জয় এনে দিলেন নাসিম শাহ।
- রান তাড়ায় জয়ের কাছে গিয়ে আউট হতে পারেন বিরাট কোহলি, বিরল এই দৃশ্য দেখতে হলো। তবে সেই ‘উপহার’ কাজে লাগাতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রবীন্দ্র জাদেজা ও শার্দুল ঠাকুর দারুণ ব্যাটিং পাড়ি দিলেন শেষের বৈতরণী। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ জিতে সিরিজও জিতে নিল ভারত।
- সেঞ্চুরিতে আগের দিনটি রাঙিয়েছিলেন দুই ওপনোর আবিদ আলি ও শান মাসুদ। এবার তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেন পরের দুই ব্যাটসম্যান আজহার আলি ও বাবর আজম। বড় পুঁজি পেয়ে জ্বলে উঠলেন বোলাররাও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করাচি টেস্টে জয়ের দুয়ারে পৌঁছে গেল পাকিস্তান।
- শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ আব্বাসের ছোবল এড়িয়ে করাচি টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে লিড এনে দিলেন দিনেশ চান্দিমাল ও দিলরুয়ান পেরেরা। ব্যাট-বলের জমজমাট লড়াইয়ের দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে দারুণ শুরু এনে দিলেন দুই ওপেনার শান মাসুদ ও আবিদ আলি।
- লাসিথ এম্বুলদেনিয়ার বাঁহাতি স্পিন আর লাহিরু কুমারার পেসের সামনে যেন অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। দুইশর আগেই গুটিয়ে গেল স্বাগতিকদের ইনিংস। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কাও স্বস্তিতে নেই খুব একটা। হারিয়ে ফেলেছে তারা টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে।
- ম্যাচের প্রথম দিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন দিন শেষে। বৃষ্টি পরের তিন দিনেও শেষ হতে দিল না শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। একটু একটু করে এগিয়ে টিকে রইলেন ধনাঞ্জয়াও। অবশেষে শেষ দিনে দেখা গেল সূর্যের হাসি, ধনাঞ্জয়ার ব্যাটেও মিলল সেঞ্চুরির হাসি। বৃষ্টিবিঘ্নিত টেস্টের শেষ দিনটি এরপর ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরিতে রাঙালেন পাকিস্তানের আবিদ আলি।
- বাজে সময় পেছনে ফেলে রানে ফিরলেন তামিম ইকবাল। তুলে নিলেন ফিফটি। ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলার পর বল হাতে থিসারা পেরেরা নিলেন পাঁচ উইকেট। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেল ঢাকা প্লাটুন।
- বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত শুরু এনে দিলেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। ঝড় তুললেন বিরাট কোহলিও। তাদের তিন ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিল ভারত।
- ম্যাচটি নেপাল জাতীয় দলের বিপক্ষে বলেই কিছুটা লড়াইয়ের আশা ছিল। সেই সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের স্বাগতিক দল। তবে পরশ খাড়কা ও কারান কেসিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং সামলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন। পরে বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সে সহজ জয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
- শুরুতে প্রতিরোধ গড়লেন, মাঝটায় টানলেন নির্ভরতায়, শেষটায় তুললেন ঝড়। বিরাট কোহলির ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানের পাহাড় টপকাল ভারত। দুইশ ছাড়ানো রান তাড়ায় স্বাগতিকদের দারুণ জয়ে ঝড়ো ফিফটিতে লোকেশ রাহুল রাখলেন বড় অবদান।
- দূর্বল প্রতিপক্ষ, অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ। মালদ্বীপের বিপক্ষে তবু প্রত্যাশিত ঝড় উঠলো না সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্কোরবোর্ড অবশ্য হয়েছে সমৃদ্ধ। তানভীর ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে এরপর অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে মালদ্বীপ। একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে বড় জয় এনে দিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
- সিরিজ জুড়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা। ন্যাথান লায়নের কাছেও কিছু পাওয়ার ছিল দলের! পাওনা চুকিয়ে এই অফ স্পিনার, নিলেন ৫ উইকেট। যে মাঠে একসময় ছিলেন মাঠকর্মী, সেই অ্যাডিলেইড ওভালে পূরণ করলেন ৫০ উইকেট। অনুমিতভাবেই পাকিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করল অস্ট্রেলিয়া।
- বাবর আজমের ব্যাটে আবারও স্ট্রোকের দ্যুতি। ফিরলেন যদিও তিন রানের আক্ষেপ নিয়ে। অভাবনীয় ব্যাটিংয়ে সবাইকে চমকে দিয়ে সেঞ্চুরি করলেন ইয়াসির শাহ। তবে এই দুজনের লড়াইয়ের পরও মিচেল স্টার্কের বোলিং তোপে ফলো অন এড়াতে পারল না পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও অস্ট্রেলিয়ান পেসে ধরাশায়ী তিন ব্যাটসম্যান। সব মিলিয়ে অ্যাডিলেইডে পাকিস্তানকে চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস পরাজয়।
- ১৪ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন জো রুট। রোরি বার্নস তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দুজনের বড় জুটিতে ইংল্যান্ড কাটালো শুরুর বিপর্যয়। চা বিরতির পর দুই উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে ফিরলো নিউ জিল্যান্ড। বৃষ্টিতে খেলা দ্রুত শেষ হওয়ার আগে হ্যামিল্টন টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যাটে-বলে হলো লড়াই হলো চমৎকার।
- ট্রিপল সেঞ্চুরিতে রেকর্ড রাঙালেন ডেভিড ওয়ার্নার, মারনাস লাবুশেনের ব্যাট থেকে এলো দেড়শো ছাড়ানো ইনিংস-বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে অস্ট্রেলিয়া গড়ল পাহাড়সম সংগ্রহ। পরে ব্যাট হাতেও ধুঁকতে দেখা গেল পাকিস্তানকে। মিচেল স্টার্কের তোপে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা।
- আগের ম্যাচের নায়ক বিজে ওয়াটলিং দাঁড়িয়ে গেলেন এবারও। অভিষিক্ত ড্যারিল মিচেলের সঙ্গে গড়লেন শতরানের জুটি। শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে নিউ জিল্যান্ডের রান গেল চারশর কাছে। শেষ বেলায় দুই উইকেট হারিয়ে হ্যামিল্টন টেস্টে চাপে ইংল্যান্ড।
- বৃষ্টির কারণে চা বিরতির পরই বন্ধ হয়ে গেল দিনের খেলা। সকালে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া নিউ জিল্যান্ডকে পথ দেখালেন টম ল্যাথাম। অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে টানছেন বাঁহাতি ওপেনার।
- শামার ব্রুকসের সেঞ্চুরি আর রাকিম কর্নওয়ালের দশ উইকেটে আগের দিনই বড় হারের শঙ্কায় পড়েছিল আফগানিস্তান। জেসন হোল্ডারের তোপে তৃতীয় দিনে নাটকীয় কিছু করতে পারলেন না আফগান টেল এন্ডাররা। দাপুটে পারফরম্যান্সে লক্ষ্ণৌ টেস্টে ৯ উইকেটের জয় তুলে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
- ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রায় একাই টানলেন শামার ব্রুকস। দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রতিপক্ষের স্পিনে খেই হারালেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা রাকিম কর্নওয়ালের দশ উইকেটে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেছে ক্যারিবিয়ানরা।
- ‘আমাদের আছে বিশ্ব সেরা স্পিনারদের তিনজন’-ম্যাচের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একরকম হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন আফগানিস্তান কোচ ল্যান্স ক্লুজনার। কিন্তু ম্যাচের প্রথম দিনে দেখা গেল উল্টো চিত্র। ক্যারিবিয়ান স্পিনেই বিধ্বস্ত আফগান ব্যাটিং। মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা অফ স্পিনার রাকিম কর্নওয়াল একাই নিলেন ৭ উইকেট।
- একশর আগেই ৫ উইকেট হারানো পাকিস্তানের পরাজয়টা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। বাবর আজমের সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের দৃঢ়তায় প্রতিরোধ অবশ্য গড়েছিল তারা; কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলটিকে ইনিংস ব্যবধানেই হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
- মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করতে না পারায় ইনিংস ব্যবধারে হার এড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল। দেখার ছিল লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানকে নিয়ে কতটা লড়াই করতে পারেন মুশফিকুর রহিম। খুব একটা পারেননি, প্রথম ঘণ্টাতেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
- আগের দিনের অপরাজিত সেঞ্চুরিটিকে বিজে ওয়াটলিং রূপ দিলেন ইতিহাস গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে। মিচেল স্যান্টনার পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির অতুলনীয় স্বাদ। দুজনের জুটির রেকর্ডে জুটিতে নিউ জিল্যান্ড উঠল রেকর্ড রানের উচ্চতায়। এরপর বল হাতেও দারুণ ঝলক দেখিয়ে স্যান্টনার ইংল্যান্ডকে করে দিলেন কোণঠাসা।
- দ্বিতীয় নতুন বলে দারুণ বোলিংয়ে দলকে আনন্দের একটা উপলক্ষ এনে দিয়েছিলেন বোলাররা। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সেটাও উবে যেতে বসেছিল। শঙ্কা জেগেছিল দুদিনেই ম্যাচ হারের। কোণঠাসা অবস্থা থেকে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তবে ইনিংস পরাজয় এড়াতে এখনও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে সফরকারীদের।
- আগের ম্যাচে শূন্য রানে ফেরা বিরাট কোহলি তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। অধিনায়কের দৃঢ়তায় বিশাল লিডের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ভারত। তবে দ্বিতীয় নতুন বলে আলো ছড়ালেন বাংলাদেশের বোলাররা। অনেক বড় সংগ্রহের আশা জাগিয়েও তাই ততদূর যেতে পারেনি স্বাগতিকরা।
- অ্যাশেজের দুর্দান্ত ফর্ম ধরে রেখে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেন মারনাস লাবুশেন। তিনশ ছাড়ানো লিড পেল অস্ট্রেলিয়া। শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কায় পড়েছে পাকিস্তান।
- দেশের মাটিতে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টকে স্মরণীয় করতে ভারতের কত না আয়োজন। ইডেন গার্ডেন্স ঘিরে যেন চলছে উৎসব। ইতিহাসের নতুন এ অধ্যায়ে নিজেদের মেলে ধরল বিরাট কোহলি ও তার সতীর্থরা। অন্যদিকে, ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খেল বাংলাদেশ। ভারতের দ্যূতির বিপরীতে যেন আঁধারে ডুবে থাকল মুমিনুল হকের দল।
- নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট। অ্যাশেজের দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে দারুণ এক সেঞ্চুরিতে উপলক্ষটিকে রাঙালেন ডেভিড ওয়ার্নার। বাঁহাতি ওপেনারের অপরাজিত দেড়শ রানের ইনিংসে ব্রিজবেন টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
- ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেট। টস জিতে তবু পাকিস্তান নিল ব্যাটিং। আজহার আলির কণ্ঠে আত্মবিশ্বাস, “নতুন বল সামলে নিলেই এই উইকেটে রান আসবে তরতরিয়ে।” পাকিস্তান অধিনায়ক নিজে ও শান মাসুদ শুরুটাও করলেন দারুণ। প্রথম সেশনে উইকেট নেই। জুটিতে হলো রেকর্ড। তারপরও পাকিস্তান পারল না প্রথম দিন পার করতে। পেস ত্রয়ীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
- পর্যটকদের কাছে নিউ জিল্যান্ডের অন্যতম আকর্ষণ মাউন্ট মঙ্গানুই। গ্রীষ্মে এখানে উৎসবের আবহ লেগেই থাকে। তবে অপরূপ সৌন্দর্যের এই শহরের টেস্ট অভিষেক খুব নান্দনিক হলো না মাঠের ক্রিকেট। সারা দিনে নিউ জিল্যান্ড নিতে পেরেছে ৪ উইকেট, ইংল্যান্ডের রান র্স্পশ করেনি আড়াইশ। মন্থর ক্রিকেটের দিন শেষে জো ডেনলি ও বেন স্টোকসের সৌজন্যে একটু এগিয়ে ইংলিশরা।
- তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে রানের প্রবাহ আটকাতে পারল না শ্রীলঙ্কার যুবারা। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান গড়লেন দেশের হয়ে যুব ওয়ানডেতে সর্বাধিক সেঞ্চুরির রেকর্ড। সঙ্গে অধিনায়ক আকবর আলির অপরাজিত ফিফটিতে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা।
- দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষেই ইন্দোর টেস্টের ফল নিয়ে বাস্তবিক সব অনিশ্চয়তা কেটে গিয়েছিল। শুধু দেখার ছিল বাংলাদেশ লড়াই করতে পারে কতটা, ব্যবধান কতখানি কমাতে পারে। দেখা মেলেনি তাদের চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞার, পারেনি লড়াইয়ের মানিসকতা দেখাতেও। আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতায় মুমিনুল হকের দল তিন দিনেই হেরেছে ইনিংসে ব্যবধানে।
- সকালে অসাধারণ বোলিং করলেন আবু জায়েদ চৌধুরি। ফিরিয়ে দিলেন চেতেশ্বর পুজারা ও বিরাট কোহলিকে। দ্বিতীয় নতুন বলে অজিঙ্কা রাহানেকে ফিরিয়ে ভাঙলেন ১৯০ রানের জুটি। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পরও ইন্দোর টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। দারুণ এক ডাবল সেঞ্চুরিতে ভারতকে বিশাল সংগ্রহের পথে নিয়ে গেছেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল।
- তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে রানের প্রবাহ চলছেই। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিংয়ের পর এবার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উপহার দিলেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ ছাড়ালেন আরও তিন জন। রেকর্ড রান তুলে শ্রীলঙ্কাকে হারাল বাংলাদেশের যুবারা।
- ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। জাতীয় দল থেকে ফিরে বাঁহাতি ওপেনার রান পেলেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়েও। ভারত সিরিজে ব্যাট হাতে খুব ভালো কাটেনি সৌম্য সরকারের। দেশে ফেরার পর তার ব্যাটে ফিরল ঝড়। এসিসি ইমার্জিং টিমস কাপে উড়ন্ত সূচনা করল বাংলাদেশ।
- ইন্দোরে আগে ব্যাটিং নিয়ে ‘সাহস’ দেখালেও ২২ গজে বুক চিতিয়ে লড়াইটাও করতে পারল না বাংলাদেশের কেউ। ফিল্ডিংয়ে ভারতের বাজে দিনের পরও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় তাই দেড়শ রানেই শেষ তাদের প্রথম ইনিংস। বল হাতেও করতে পারেনি দুর্দান্ত কিছু। সব মিলে প্রথম দিনে বিবর্ণ মুমিনুল হকের দল, দারুণ অবস্থানে ভারত।
- বড় রান তাড়ায় দলের বাজে শুরুর পরও দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে আশা জাগিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তরুণ এই ওপেনারের বীরত্বের পরও ভারতের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। শেষের দিকের তালগোল পাকানো ব্যাটিং আর দীপক চাহারের অসাধারণ বোলিংয়ে সফরকারীরা হেরেছে ম্যাচ, সেই সঙ্গে সিরিজও।
- দীর্ঘ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ ঘরে তুলেছে ক্যারিবীয়রা।
- ভালো শুরু পেয়েও বড় সংগ্রহ গড়তে পারল না বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে দুর্দান্ত কিছু উপহার দিয়ে লড়াই জমাতে পারেনি বোলাররাও। রোহিত শর্মার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সফরকারীদের উড়িয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ভারত।
- আফগানিস্তানকে কম রানে থামিয়ে আসল কাজটা সেরে রেখেছিলেন বোলাররা। ব্যাটিংয়ে শুরুতে দ্রুত দুই উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পথ দেখালেন রোস্টন চেইস। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে এনে দিলেন অনায়াস জয়।
- পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারানো দলকে পথ দেখালেন স্টিভ স্মিথ। ২২ গজে নেমে শুরু থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে খেলে দলকে পৌঁছে দিলেন লক্ষ্যে। পাকিস্তানকে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
- তিন বছর আগে ৩ বলে ২ রানের সহজ সমীকরণ মেলাতে না পারা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ এবার চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশনে মিলিয়ে দিলেন ৩ ওভারে ৩৫ রানের সমীকরণ। সবার সম্মিলিত অবদানে দিল্লিতে শোনা গেল বাঘের গর্জন। বাংলাদেশ পেল এক অনির্বচনীয় স্বাদ। পরাক্রমশালী ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়। সেটাও এলো ভারতের মাটিতে।
- পুরো সিরিজে ডেভিড ওয়ার্নারকে একবারও আউট করতে পারলেন না লঙ্কান বোলাররা। টানা তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন অস্ট্রেলিয়ান এই ওপেনার। অন্যদিকে, ব্যাটিং কিংবা বোলিং কোনো বিভাগেই ভালো করতে পারল না শ্রীলঙ্কা। ফলাফল, শেষ ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশড হলো সফরকারীরা।
- দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও ইতিহাস গড়লো শ্রীলঙ্কা। প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ করলো প্রতিপক্ষকে। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল পাকিস্তানকে হারাল তাদেরই মাঠে।
- একশ পেরিয়েই থমকে গেল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংস। ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াইটুকুও করতে পারলেন না বোলাররা। শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম আনঅফিসিয়াল ওয়ানডেতে বড় হারের মুখ দেখল মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
- ছিলেন জাতীয় দলের অনেকেই। এরপরও ভারত নারী ‘এ’ দলের বিপক্ষে ন্যূনতম লড়াইটাও করতে পারল না বাংলাদেশের মেয়েরা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় তৃতীয় এক দিনের ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দল।
- ভানুকা রাজাপাকসে খুনে ব্যাটিংয়ে এনে দিলেন লড়াইয়ের পুঁজি। এক ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দিলেন ভানিদু হাসারাঙ্গা। ম্যাচ জুড়ে দারুণ বোলিং করে গেলেন নুয়ান প্রদিপ। তাদের মিলিত অবদানে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা।
- দ্বিতীয় ম্যাচেও লড়াই করতে পারল না বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দল। ব্যাটিং ব্যর্থতায় এক ম্যাচ বাকি থাকতে ভারত নারী ‘এ’ দলের কাছে সিরিজ হারাল স্বাগতিকরা।
- ব্যাটসম্যানরা এনে দিলেন লড়াইয়ের সংগ্রহ। উজ্জ্বীবিত বোলাররা দাঁড়াতেই দিলেন না আইরিশ ব্যাটসম্যানদের। টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশকে হারালো ওমান।
- জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা।বাকিটা সারলেন বোলাররা। রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ শামির দারুণ বোলিংয়ে প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ভারত।
- বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেন দানুশকা গুনাথিলাকা। টপ অর্ডারের অন্য দুই ব্যাটসম্যানও রাখলেন অবদান। লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়া শ্রীলঙ্কার উজ্জীবিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না পাকিস্তান। সরফরাজ আহমেদের দলকে গুঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
- মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে এসে যেন বদলে গেছেন রোহিত শর্মা। দুই ইনিংসেই করলেন সেঞ্চুরি, গড়লেন বেশ কিছু রেকর্ড। তার প্রাপ্তির টেস্টে জয়ের আশা জাগিয়েছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে অপেক্ষা করছে শেষ দিনের কঠিন লড়াই।
- শুরুতে দ্রুত তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়, ১৭৮ রানের মধ্যে নেই ৫ উইকেট। চোখ রাঙাচ্ছিল ফলো-অন। দরকার ছিল বড় এক জুটির। ডিন এলগার এবং কুইন্টন ডি ককের জুটিতে চাপ কাটিয়ে উঠলো দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাটে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় দিনে দারুণ লড়াই করল সফরকারীরা।
- আগের দিন সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া রোহিত শর্মা হাতছাড়া করলেন ক্যারিয়ারে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ। সেই পথে হাঁটেননি তার উদ্বোধনী সঙ্গী মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে রূপ দিয়েছেন দ্বিশতকে। দুই ওপেনারের রেকর্ড গড়া জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশাখাপত্মম টেস্ট নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ভারত।
- ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেন দানুশকা গুনাথিলাকা। শেষটায় ঝড় তুলে শ্রীলঙ্কাকে তিনশ রানের কাছে নিয়ে গেলেন দাসুন শানাকা। তবুও পেরে উঠলো না সফরকারীরা। ফখর জামান, আবিদ আলি ও হারিস সোহেলের ফিফটির ওপর ভর করে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে জিতে সিরিজ ঘরে তুলেছে পাকিস্তান।
- দারুণ এক সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন বাবর আজম। রান তাড়ায় বাজে শুরুর পর ঘুরে দাঁড়ানোর অসাধারণ এক গল্প রচনার আশা জাগিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে শেহান জয়াসুরিয়া ও দাসুন শানাকার রেকর্ড গড়া জুটি ভেঙে জয় তুলে নিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল।
- আগের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে বিব্রতকর হার এড়িয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এবার আর পেরে উঠল না দলটি। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাদের হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের সেরা জয় তুলে নিয়েছে সিঙ্গাপুর।
- নেপালের বিপক্ষে ছোট লক্ষ্য তাড়ায় সন্দিপ লামিছানের ঘূর্ণিতে শুরুতে চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রিচমন্ড মুতুমবামি ও রায়ার্ন বার্লের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে প্রত্যাশিত জয় তুলে নিয়েছে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় থাকা আফ্রিকার দেশটি।
- উৎসব হওয়ার কথা ছিল গ্যালারিতে, করাচিতে, পুরো পাকিস্তানে। ওয়ানডে ফেরার দিনটিতে হওয়ার কথা ছিল ক্রিকেটের উৎসব। সেখানে রাজত্ব করল বিরূপ আবহাওয়া। বৃষ্টিতে ভেসে গেল পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার প্রথম ওয়ানডে।
- বরাবরের মতোই নির্লিপ্ত দেখাল সাকিব আল হাসানকে। জয়ের পর দেখা গেল না বিন্দুমাত্র উচ্ছ্বাস। তবে প্রতিক্রিয়া যেমনই হোক, ভেতরটা স্বস্তিতে ভরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ অধিনায়কের। অবশেষে আফগান-ধাঁধা মেলাতে পারল বাংলাদেশ। সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মিছিলে অধিনায়কের ব্যাটেই খুলল জট।
- নেতৃত্বের অভিষেকে ব্যাট হাতে আলো ছড়ালেন কুইন্টন ডি কক। তাকে ছাড়িয়ে গেলেন বিরাট কোহলি। রান তাড়ায় পথ দেখালেন দলকে। অধিনায়কের দৃঢ়তায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সহজেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল ভারত।
- অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য চারশ ছুঁইছুঁই হওয়ার পরই অনেকটা নিশ্চিত ছিল ম্যাচের ভাগ্য। দেখার ছিল, অবিশ্বাস্য সিরিজের শেষ ইনিংসটায় নতুন কোনো বিস্ময় উপহার দিতে পারেন কিনা স্টিভেন স্মিথ। তা পারেননি এই ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়াও পারেনি দারুণ কিছু করতে। ম্যাথু ওয়েড অবশ্য লড়াই করেছেন সেঞ্চুরিতে। কিন্তু ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতে নিয়েছে বড় ব্যবধানেই।
- টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির সুবাস পেয়েও হারিয়ে ফেললেন জো ডেনলি। পঞ্চাশ পেরিয়ে বেন স্টোকস পারলেন না সিরিজে তৃতীয় সেঞ্চুরির কাছে যেতে। সম্ভাবনা জাগিয়েও জস বাটলার পারলেন না ম্যাচে দ্বিতীয়বার পঞ্চাশ ছুঁতে। তবে ব্যক্তিগত এই আক্ষেপগুলো খুব একটা ভোগায়নি দলকে। ইংল্যান্ড পেয়ে গেছে বড় লিড।
- জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে আফগানিস্তান। নাজিবউল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবির বিস্ফোরক জুটিতে বড় সংগ্রহ গড়া দলটি সহজেই হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকে।
- স্টিভেন স্মিথের ব্যাটে রানের জোয়ার চলছেই। তবে ব্যর্থ তার সতীর্থরা। জফরা আর্চারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ধসে পড়ল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। স্মিথকে থামিয়ে ইংল্যান্ড পেল গুরুত্বপূর্ণ লিড।
- বোলিংয়ে একটি বিকল্প বাড়ানো আর লম্বা সিরিজের শেষ ম্যাচে মূল ফাস্ট বোলারদের একটু বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া। মূলত এই ভাবনা থেকেই একাদশে ফেরানো হলো মিচেল মার্শকে। কিন্তু সহকারীর ভূমিকায় এসে তিনিই হয়ে উঠলেন কেন্দ্রীয় চরিত্র। দুর্দান্ত বোলিংয়ে কাঁপিয়ে দিলেন ইংলিশ ব্যাটিং। কিন্তু একজন দাঁড়িলে গেলেন ব্যাট হাতে। দারুণ ব্যাটিংয়ে জস বাটলার কিছুটা উদ্ধার করলেন ইংল্যান্ডকে।
- টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে। ঘড়ির কাঁটা ছুঁটছে। ফ্লাড লাইট জ্বলছে। আফগানদের আশা দুলছে। বৃষ্টিময় দিনটির শেষবেলায় ক্রিকেটীয় উত্তেজনার ঢেউ। সম্ভাবনা আর শঙ্কার দোলাচল। সময়ের দাবি ছিল একজন নায়ক। সময়ের ডাক শুনলেন আফগান অধিনায়ক। অসাধারণ বোলিংয়ে রশিদ খান গড়ে দিলেন ম্যাচের ভাগ্য। চট্টলার সাঁঝবেলায় উজ্জ্বল হয়ে উঠল আফগান ক্রিকেট। হতাশার আঁধারে ডুবল বাংলাদেশ।
- ক্রিকেটাররা সবাই তাকিয়ে স্টেডিয়ামের বড় পর্দায়। তাকিয়ে গ্যালারির সব দর্শক, গোটা মাঠের সবাই। রিভিউয়ের রায় দেখার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা। রিভিউয়ে যখন দেখা গেল ‘আউট’, আনন্দ হুঙ্কারে লাফিয়ে উঠলেন অস্ট্রেলিয়ানরা। একেকজন যেন ছুঁতে চাইলেন আকাশ। ওই আউটেই নিশ্চিত হলো ম্যাচ জয়। নিশ্চিত হলো অ্যাশেজ ধরে রাখাও। উল্লাস তাই বাঁধনহারা।
- তৃতীয় দিন শেষেই ম্যাচের গতিপথ অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। চিত্রপটে পরিবর্তন আনতে অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখাতে হতো বাংলাদেশকে। তা তো হয়ইনি, বরং দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়েছে সাকিব আল হাসানের দল। ব্যাটে-বলে পুরো চার দিনেই আধিপত্য করা আফগানিস্তানের জয়টা এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার।
- লিড চারশতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিল আফগানরা। যেতে পেরেছে তারা খুব কাছে। চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে হলে তাই বাংলাদেশকে গড়তে হবে নতুন ইতিহাস।
- দিনের শুরু আর শেষে অস্ট্রেলিয়ান পেসের দুর্দান্ত প্রদর্শনী। মাঝে স্টিভেন স্মিথের আরেকটি অসাধারণ ইনিংস। অ্যাশেজ ধরে রাখার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জে ইংল্যান্ড।
- প্রথম ওভারেই দুই উইকেট। সাকিব আল হাসানের চাওয়া মতো সত্যিই কি ‘ম্যাজিক্যাল’ কিছু করবে বাংলাদেশ! অধিনায়কের জোড়া উইকেটে ক্ষণিকের জন্য আশা জাগল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ইব্রাহিম জাদরান, আসগর আফগানদের ব্যাটে পিষ্ট হলো জাদুকরী কিছুর আশা। বড় লিড নিয়ে আফগানিস্তান উপহার দিল কঠিন বাস্তবতা। যেখানে জয় যেন দূর আকাশের তারা।
- অধিনায়কের আশা ছিল এক সেশন ব্যাটিং। শেষ দুই জুটি টিকতে পারল কেবল ১৭ মিনিট। বাংলাদেশকে দ্রুত গুটিয়ে বড় লিড নিল আফগানিস্তান।
- প্রায় দেড়শ ছোঁয়া জুটি। অস্ট্রেলিয়ান বোলিং চ্যালেঞ্জে ররি বার্নস ও জো রুটের জবাব। ইংল্যান্ড এগিয়ে যাচ্ছিল দারুণভাবে। দুর্দান্ত এক স্পেলে খেলার মোড় পাল্টে দিলেন জশ হেইজেলউড। ইংলিশরা এখন ফলো অনের শঙ্কায়।
- এক দল খেলছে তৃতীয় টেস্ট। সেটিও প্রতিপক্ষের মাঠে। আরেক দলের ১১৫তম টেস্ট। খেলা নিজেদের মাঠে। কিন্তু পারফরম্যান্স দেখে বোঝা মুশকিল, কোন দলটির কেবল শুরু আর কারা অভিজ্ঞ। নবীন আফগানিস্তানই যেন পরিণত। দিশাহারা বাংলাদেশ। আফগানরাই উজ্জীবিত, জবুথবু বাংলাদেশ!
- দুর্ভাবনা ছিল আসগর আফগান ও আফসার জাজাইয়ের জুটি। কিন্তু এই দুজনকে দ্রুত ফেরানোর পর মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠলেন রশিদ খান। শেষ পর্যন্ত তাকেও ফিরিয়ে আফগানদের সাড়ে তিনশর নিচে থামাল বাংলাদেশ।
- ভেন্যু বদলাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে উইকেট। প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ বদলাচ্ছে। কৌশল বদলাচ্ছে। কিন্তু স্টিভেন স্মিথের কিছুই বদলাচ্ছে না। মাথায় চোট পেয়ে বিরতি পড়ছে। ছন্দে থাকার সময় বৃষ্টির বাঁধা পড়ছে। স্মিথের কিছুই যায় আসছে না। আপন ভুবনে খেলে যাচ্ছেন যেন আপন মনে। বইয়ে দিচ্ছেন রানের জোয়ার। সেই ধারাবাহিকতায় এবার করলেন ডাবল সেঞ্চুরি।
- উইকেট-কৌশল নিয়ে অনেক জল্পনা শেষে দেখা গেল সেই পুরানো চিত্রই। দুই দলেরই একাদশে স্পেশালিস্ট স্পিনার চার জন করে। তবে সাজিয়ে রাখা সেই স্পিন মঞ্চে আলো ছড়ালেন দুই আফগান ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরিতে ইতিহাস গড়লেন রহমত শাহ। সেঞ্চুরির হাতছানি আসগর আফগানের সামনেও। দিনটিও তাই আফগানদের।
- মাথায় চোট লাগল। এক টেস্ট বিশ্রামেও থাকতে হলো। কিন্তু ব্যাটের ধার কমল না একটুও। ফেরার পরও একইরকম সচল! আবারও ইংল্যান্ডের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন স্টিভেন স্মিথ। চলছে মার্নাস লাবুশেনের অ্যাশেজ স্বপ্ন যাত্রাও। শুরুর অস্বস্তি কাটিয়ে তাই অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে শক্ত ভিত।
- লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিল না। কিন্তু রান তাড়ায় আকিলা দনাঞ্জয়ার স্পিনে শুরুতেই দিক হারায় নিউ জিল্যান্ড। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পথ দেখান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। টম ব্রুসের সঙ্গে গড়েন ম্যাচ জেতানো জুটি। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে টিম সাউদির দল।
- ফল অনুমিতই ছিল। অপেক্ষা ছিল কেবল সময়ের। চতুর্থ দিনে সেই ফলটা পেতে দুই সেশনও লাগল না ভারতের। ‘কনকাশন’ বদলির সুযোগ নিয়ে ১২ জন ব্যাট করলেও লড়াই করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পুরো ১২০ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করল ভারত।
- জাসপ্রিত বুমরাহর আগুন একটি দিনের জন্য স্তিমিত থাকল। তবে প্রতিপক্ষকে পোড়াতে ভারতের খুব একটা সমস্যা হলো না। প্রথম ইনিংসে বিশাল লিডের পর দ্বিতীয় ইনিংসে লিড আরও বাড়ল অজিঙ্কা রাহানে ও হনুমা বিহারির ফিফটিতে। শেষ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আবার শুরুতে হোঁচট খেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারত তাই অপেক্ষায় ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের।
- আগের টেস্টে হাতছানি দিয়েও মিলিয়ে গিয়েছিল সেঞ্চুরি। এবার আর মিলিয়ে যেতে দেননি হনুমা বিহারি। দেখা পেয়েছেন বহু কাঙ্ক্ষিত প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির। আগের টেস্টে বিধ্বংসী বোলিংয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। আগুনে বোলিংয়ে আবারও তিনি নাম লেখালেন রেকর্ড বইয়ে। এবার করলেন হ্যাটট্রিক। কিংস্টন টেস্টে ভারতের সামনে তাই দিশাহারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
- কিংস্টনে প্রথম দিন দারুণ লড়াই দেখা গেছে ব্যাট-বলের। লড়াকু দুই ফিফটিতে ভারতকে টেনেছেন বিরাট কোহলি ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তবে জ্যামাইকা টেস্টের শুরুর দিন সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার।
- ম্যাচের প্রথম তিন দিনের অনেকটাই খেয়ে নিয়েছিল বৃষ্টি। শেষ দিনের খেলা যখন শুরু হলো, তখনও শেষ হয়নি দুই দলের একটি করে ইনিংসও। এই ম্যাচে ফল সম্ভব? নিউ জিল্যান্ড দেখাল, খুবই সম্ভব। দুর্দান্ত ব্যাটিংকে অনুসরণ করে শেষ দিনে কিউইদের বোলিং হলো অসাধারণ। ধসে পড়ল লঙ্কান ব্যাটিং। রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজ ড্র করল নিউ জিল্যান্ড।
- প্যাট কামিন্সের বলে চালিয়ে দিলেন ব্যাট। ফিল্ডারদের ফাঁক গলে বল ছুটল সীমানার দিকে। মুষ্ঠিবদ্ধ হাত বাতাসে ছুঁড়লেন বেন স্টোকস। দুহাত প্রসারিত করে ছুঁড়লেন হুঙ্কার। গ্যালারিতে তখন গর্জন দর্শকের কণ্ঠেও। হেডিংলির গ্যালারি যেন রোমান কলোসিয়াম, স্টোকস কোনো যুদ্ধজয়ী গ্ল্যাডিয়েটর! টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে বলতে গেলে একাই হারিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়াকে।
- আগের দিন সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া টম ল্যাথাম থেমেছেন দেড়শ ছাড়িয়ে। দুই মেজাজের ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নিয়েছেন বিজে ওয়াটলিং ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে রানের পাহাড় গড়ছে নিউ জিল্যান্ড।
- তৃতীয় দিন সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার পর লিড বাড়িয়ে চলেছে ভারত। বিরাট কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানের ব্যাটে অ্যান্টিগা টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের বড় লক্ষ্য দেওয়ার পথে রয়েছে বিরাট কোহলির দল।
- রান প্রয়োজন ছিল দুজনেরই। প্রেক্ষাপট যদিও খানিকটা ভিন্ন। একজন দলের অধিনায়ক, মনে করা হয় সেরা ব্যাটসম্যানও। কিন্তু পারছিলেন না সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে। আরেকজনের দলে জায়গা টিকিয়ে রাখার শেষ সুযোগ ছিল হয়তো এটিই। জো রুট ও জো ডেনলি, হতাশার সিরিজে অবশেষে হাসল দুজনের ব্যাট। ডেনলি অবশ্য ফিরে গেছেন ফিফটি করে। তবে টিকে আছেন রুট। তাই টিকে আশা ইংল্যান্ডের আশাও।
- লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দারুণ লড়াই করলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। পঞ্চম সেঞ্চুরিতে দলকে নিয়ে গেলেন আড়াইশ রানের কাছে। আগের ম্যাচে ভালো শুরুগুলো বড় করতে না পারা টম ল্যাথাম মেলে ধরলেন নিজেকে। দশম সেঞ্চুরিতে কলম্বো টেস্টে নিউ জিল্যান্ডকে লিড নেওয়ার পথে রাখলেন এই ওপেনার।
- লড়াকু এক ফিফটিতে দলকে তিনশ রানের কাছে নিয়ে গেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে অবদান রাখা ইশান্ত শর্মা বল হাতে ছড়ালেন দ্যুতি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঁপিয়ে দিয়ে অ্যান্টিগা টেস্টে ভারতকে রাখলেন লিড নেওয়ার পথে।
- পেসারদের অসাধারণ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করেছিল প্রথম ইনিংসে বড় লিড। ব্যাটিংয়ে মার্নাস লাবুশেনের লড়াইয়ে সেই লিড আরও বাড়িয়ে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসের মতোই ব্যাটিং বিপর্যয়ে ত্রাতা হয়ে দলকে টেনেছেন লাবুশেন।
- আগের দিনের মতো মেঘলা আকাশ আর পেস সহায়ক কন্ডিশন নেই। বরং আলো ঝলমলে দিন। উইকেটও ব্যাটিংয়ের জন্য খুব কঠিন নয়। কিন্তু সেই কন্ডিশন আর উইকেটেই জ্বলে উঠল অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। তিন অস্ট্রেলিয়ান পেসারের খুনে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত হলো ইংলিশ ব্যাটিং।
- প্রথম সেশনে ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদির জোড়া আঘাতে শ্রীলঙ্কাকে কম রানে গুটিয়ে দেওয়ার আশা জাগিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। তাতে জল ঢেলে দিয়েছে বৃষ্টি। ভেসে গেছে পরের দুই সেশনের খেলা।
- নতুন বলে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে দিলেন কেমার রোচ। বিরাট কোহলির মূল্যবান উইকেট নেওয়ার পর অজিঙ্কা রাহানের প্রতিরোধ ভাঙলেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। দুই পেসারের তোপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে চাপে ভারত।
- দিনভর বৃষ্টি ঝরেছে থেমে থেমে। জফরা আর্চারের বোলিংয়ের আগুন তাতে নেভেনি। বৃষ্টির ফাঁকে যখনই খেলা হয়েছে, সময়ের আলোচিত এই ফাস্ট বোলার যেন তোপ দেগেছেন। সঙ্গে অভিজ্ঞ স্টুয়ার্ট ব্রড দেখিয়েছেন সুইংয়ের জাদু। তাতে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটিং। এই দুজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে লড়াই করতে পেরেছেন কেবল ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লাবুশেন।
- শ্রীলঙ্কা ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যে কলম্বো টেস্টের প্রথম দিনের প্রায় দুই সেশনের খেলা ভেসে গেছে বৃষ্টিতে।
- প্রায় দুটি দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর ড্র ছিল ম্যাচের সবচেয়ে অনুমিত ফল। হয়েছে সেটিই। তবে তার আগে লড়াই হলো জমজমাট। দেখা গেল পারফরম্যান্সের দ্যুতি। বেন স্টোকসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড পেল ইনিংস ঘোষণার সুযোগ। অস্ট্রেলিয়ার সামনে তখন ম্যাচ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ। শুরুতে হোঁচট খেলেও অস্ট্রেলিয়াকে উদ্ধার করলেন ‘কনকাশন’ বদলি হিসেবে খেলতে নামার ইতিহাস গড়া মার্নাস লাবুশেন।
- চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়ায় বরাবরই ব্যাটসম্যানদের দুঃস্বপ্নের ভেন্যু গল। সেই মাঠেই গড়ল শ্রীলঙ্কা গড়ল নতুন ইতিহাস। রান তাড়ার রেকর্ড গড়া জয়ে লঙ্কানরা শুরু করল আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পথচলা। অসাধারণ সেঞ্চুরিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে।
- প্রথম দিনের পুরোটুকু ও তৃতীয় দিনের দুই সেশনের খেলা ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এরপরও দারুণ জমে উঠেছে লর্ডস টেস্ট। স্টিভেন স্মিথের আরেকটি অসাধারণ ইনিংস টেনে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। এরপর প্যাট কামিন্স ও পিটার সিডলের তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে গেছে ইংলিশরা। সব মিলিয়ে চতুর্থ দিন শেষে ম্যাচ দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চকর মোড়ে।
- টার্নিং উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে দুইশ রানের ওপরে যে কোনো স্কোরই কঠিন। তবে ২৬৮ রানের লক্ষ্য সহজেই ছুঁয়ে ফেলার আশা জাগিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে গড়েছেন চতুর্থ ইনিংসে দেশের সেরা উদ্বোধনী জুটি। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে গল টেস্টে জয় দেখছে স্বাগতিকরা।
- লর্ডস টেস্টে বোলারদের দাপট চলছেই। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর গড়তে পারেনি ইংল্যান্ড। এবার ইংলিশ বোলাররা দ্রুতই ছোবল দিলেন অস্ট্রেলিয়ান টপ অর্ডারে। তবে বোলারদের চেয়েও বেশি দাপট ছিল বৃষ্টির। তাই তৃতীয় দিনে খেলা হতে পারেনি পুরো একটি সেশনও।
- আগের দিন নিউ জিল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন আকিলা দনাঞ্জয়া। দ্বিতীয় দিন সকালে বাকিটা সেরেছেন সুরঙ্গা লাকমল। পরে ব্যাট হাতেও অবদান রেখে শ্রীলঙ্কার লিড নেওয়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
- প্রথম দুই ওয়ানডেতে ক্রিস গেইল ছিলেন যেন ঘুমিয়ে। জেগে উঠলেন শেষ ম্যাচে। ব্যাটিং তাণ্ডবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দিলেন বিধ্বংসী শুরু। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গড়ল চ্যালেঞ্জিং স্কোর। কিন্তু বিরাট কোহলি যখন থাকেন ছন্দে, কোনো চ্যালেঞ্জই তো মনে হয় না খুব কঠিন! অধিনায়কের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে টানা দুই জয়ে ভারত জিতে নিল সিরিজ।
- টস হওয়ার আগেই ছোট্ট একটি আয়োজন হয়ে গেল মাঠের এক প্রান্তে। ইংল্যান্ডের ড্রেসিং রুমের সামনে জফ্রা আর্চারকে টেস্ট ক্যাপ তুলে দিলেন ক্রিস জর্ডান। দুজনের জন্ম বারবাডোজে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। দুই ফাস্ট বোলারের সম্পর্কও বেশ ঘনিষ্ঠ। সবকিছু মিলিয়ে আর্চারের স্বপ্নের টেস্ট ক্যাপ তুলে দেওয়ার জন্য জর্ডানকেই মনে করা হয়েছে উপযুক্ত। তবে ক্যাপ পেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে আর্চারের অভিষেক হলো না এ দিন। বৃষ্টি যে টসই হতে দিল না!
- গল টেস্টের প্রথম দিন দারুণ জমেছে ব্যাটে-বলের লড়াই। আকিলা দনাঞ্জয়ার স্পিন সারাটা দিন পরীক্ষায় রেখেছে নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের। শ্রীলঙ্কার স্পিন আক্রমণ সামলে সফরকারীদের ভালো একটা সংগ্রহ গড়ার আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন রস টেইলর।
- ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০ ওয়ানডে খেলার স্বাদ। দারুণ এই অর্জনের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না ক্রিস গেইল। পারল না তার দলও। বরং বিরাট কোহলির আরেকটি সেঞ্চুরির পর ভুবনেশ্বর কুমারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ জিতে নিল ভারত।
- দীপক চাহারের অসাধারণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা ছিল হাতের নাগালে। ব্যাট হাতে বাকিটা সহজেই সারলেন বিরাট কোহলি ও রিশাব পান্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত।
- টেস্ট ক্রিকেট তার সব রঙ নিয়ে যেন হাজির হয়েছিল এজবাস্টনে। প্রথম দিন ১২২ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়াই প্রথম টেস্ট জিতে নিল দাপটের সঙ্গে। শেষ দিন ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজে সফরকারীদের এগিয়ে নিলেন অফ স্পিনার ন্যাথান লায়ন ও পেসার প্যাট কামিন্স।
- ব্যাট হাতে তুললেন ঝড়। বোলিংয়েও রাখলেন অবদান, থামালেন তাণ্ডব চালানো রভম্যান পাওয়েলকে। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে পার্থক্য গড়ে দিলেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল ভারত।
- প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিতে ছিল ফেরার ঘোষণা। দ্বিতীয় ইনিংসের সেঞ্চুরি যেন জানিয়ে দিল, হারানো সময়টায় হারায়নি কিছুই। প্রত্যাবর্তনের টেস্ট থেকেই আবার ছুটল স্টিভেন স্মিথের রান রথ। নাম লেখালেন রেকর্ড বইয়ে। ম্যাথু ওয়েডেরও এটি ফেরার টেস্ট। ক্যারিয়ারে প্রথমবার টেস্ট খেলছেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে। নিজের নতুন শুরু তিনিও রাঙালেন সেঞ্চুরিতে।
- অভিষেকে দারুণ বোলিং করলেন নবদীপ সাইনি। আলো ছড়ালেন অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার। বোলারদের নৈপুণ্যে পাওয়া ছোট লক্ষ্যে ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পৌঁছে গেল ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারিয়ে সফর শুরু করেছে বিরাট কোহলির দল।
- সকালের বিপর্যয় কাটিয়ে ইংল্যান্ডকে বড় লিড এনে দিল লেজের ব্যাটসম্যানরা। অস্ট্রেলিয়া সেই লিড পুষিয়ে দেওয়ার আগেই হারাল টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে। ম্যাচে তখন ইংলিশদের প্রবল দাপট। কিন্তু আবারও তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন স্টিভেন স্মিথ। এই ম্যাচ দিয়েই ১৬ মাস পর টেস্টে ফেরা সাবেক অধিনায়কের ব্যাটে বড় লিডের আশা জিইয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া।
- অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ সামলে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ররি বার্নস। এই ওপেনারের দৃঢ়তায় এজবাস্টন টেস্টে বড় লিডের আশা জাগিয়েছে ইংল্যান্ড।
- ফেরার ম্যাচটি নিয়ে কল্পনায় নিশ্চয়ই অনেক ছবি সাজিয়েছিলেন স্টিভেন স্মিথ। কোনোটি ছিল এতটা রঙিন? রূপকথার মতো প্রত্যাবর্তন কতই তো দেখেছে ক্রিকেট। কোনোটি কি এতটা রোমাঞ্চকর! বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ১৬ মাস পর ফিরলেন টেস্ট ক্রিকেটে। স্কিল, টেম্পারামেন্ট আর একক লড়াইয়ের বীরোচিত প্রদর্শনীতে খেললেন অ্যাশেজ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস। শত্রুর ডেরায় পেলেন অভিনন্দনের ডালি।
- বল হাতে ভালো শুরু ম্লান হয়ে গেছে শেষের এলোমেলো বোলিংয়ে। হাত থেকে এদিনও ছুটেছে ক্যাচ। সঙ্গে আবারও দেখা গেল বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী। সব মিলিয়ে বড় হার দিয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের হতাশার সফর। আবারও তিন বিভাগে নিজেদের মেলে ধরে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করেছে শ্রীলঙ্কা।
- মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং বীরত্বে মাঝারি সংগ্রহ গড়েছিল বাংলাদেশ। অনিয়ন্ত্রিত বোলিং ও বাজে ফিল্ডিংয়ে সেই পুঁজি নিয়ে লড়াইও করতে পারেনি সফরকারীরা। এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জিতে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
- এক সেশনে আয়ারল্যান্ডের জয়ের স্বপ্ন চুরমার করে দিলেন ক্রিস ওকস ও স্টুয়ার্ট ব্রড। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ রানে আইরিশদের গুঁড়িয়ে দিয়ে লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডকে এনে দিলেন স্বস্তির জয়।
- বাজে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের জন্য ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা হয়ে পড়েছিল বেশ কঠিন। প্রথম দল হিসেবে আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়া করে জেতার চ্যালেঞ্জ ছিল সফরকারীদের সামনে। সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়া তো বহু দূর, খুব একটা লড়াইও করতে পারল না বাংলাদেশ। তিন বিভাগেই ব্যর্থতায় বড় হার দিয়ে সিরিজ শুরু করল তামিম ইকবালের দল।
- ৮০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ব্যাটিং গড় ১০.৯৭। এই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ব্যাটিং পজিশন ছিল ১১ নম্বর। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ব্যাটসম্যানকে শেষ বিকেলে ওপেনিংয়ে পাঠানো হলো নাইটওয়াচম্যান হিসেবে। সুযোগটি পেয়ে অভাবনীয় ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির ইতিহাস প্রায় গড়েই ফেলেছিলেন জ্যাক লিচ। তবে তাকে সেঞ্চুরির আগে থামানোর পর দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরেছে আয়ারল্যান্ড। জমে উঠেছে তাই লর্ডস টেস্ট।
- দুইশ ছাড়িয়েই শেষ আয়ারল্যান্ড। টেস্ট ক্রিকেটে কোনো মানদণ্ডেই বড় স্কোর নয়। তবে আইরিশ পেসাররা আগেই এমন অভাবনীয় পারফরম্যান্স দেখিয়েছে যে ওই স্কোরেই মিলেছে বড় লিড। লর্ডস টেস্টের প্রথম দিনে ২০ উইকেটের পতন শেষে বিপাকে ইংল্যান্ড।
- কয়েকদিন আগে যে মাঠে সব পাওয়ার আনন্দ মেতেছিল ইংল্যান্ড সেই লর্ডসে এবার হল উল্টো অভিজ্ঞতা। একমাত্র টেস্টের প্রথম সকালে ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিলেন আইরিশ পেসাররা। টিম মারটাঘ ও মার্ক অ্যাডায়ারের বোলিং তোপে প্রথম সেশনেই ৮৫ রানে গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
- রোমাঞ্চের কত রঙ থাকে? উত্তেজনার কত রূপ! ক্রিকেট তার অনিশ্চয়তা আর সৌন্দর্যের সবটুকু মেলে ধরল লর্ডসের ফাইনালে। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচের ভাগ্য বদল হলো অসংখ্যবার। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ টাই হয়ে গড়াল সুপার ওভারে। সেখানেও রোমাঞ্চের তীব্র দুলুনি শেষে আবার টাই! শেষ পর্যন্ত দুই দলকে আলাদা করল বাউন্ডারি সংখ্যা। অবিশ্বাস্য নাটকীয়তার পর বিশ্বকাপ জয়ের অনির্বচনীয় স্বাদ পেল ইংল্যান্ড।
- ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য এক গল্প প্রায় লিখে ফেলেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। আটে নেমে ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেও দলকে এনে দিতে পারলেন না রূপকথার জয়। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল নিউ জিল্যান্ড।
- অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসির সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ সেঞ্চুরিতে দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে আসর শেষ করেছে প্রোটিয়ারা।
- অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সেঞ্চুরির পরও পুঁজি খুব একটা বড় ছিল না শ্রীলঙ্কার। মাঝারি সংগ্রহ নিয়ে দলটিকে লড়াইও করতে দেয়নি ভারত। রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরিতে সেমি-ফাইনালের আগে অনায়াস জয় পেয়েছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
- আশা ছিল শেষ ভালোর। সেমি-ফাইনাল স্বপ্ন গুঁড়িয়ে যাওয়ার পর নতুন আশায়ও গুড়ে বালি। শেষ ভালো নয়, বরং শেষের জন্য জমা ছিল যেন সবচেয়ে খারাপটুকুই। শাহিন শাহ আফ্রিদির আগুনে বোলিংয়ে পুড়ল ব্যাটিং। এবারের আসরে নিজেদের সবচেয়ে কম রানের স্কোর গড়ে পাকিস্তানের কাছে বড় হারের গ্লানিতে শেষ হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ।
- তিন ফিফটিতে গুলবাদিন নাইবের দলকে বড় লক্ষ্য দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইকরাম আলি খিলের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়া করে জেতার আশা জাগিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ শেষ করেছে জেসন হোল্ডারের দল।
- জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির পরও ঘুরে দাঁড়িয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রেখেছিল নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা পথ দেখাতে পারেননি দলকে। কেন উইলিয়ামসনের দলকে উড়িয়ে দিয়ে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
- নুয়ে পড়া শরীর। নত হয়ে আসা মাথা। রণে ভঙ্গ দিয়ে একেকজন ব্যাটসম্যান উইকেট ছেড়ে গেলেন আর একটু একটু করে হারিয়ে গেল বাংলাদেশের স্বপ্ন। লক্ষ্যটাকে নাগালে পেয়েও ছোঁয়া হলো না। উত্থান-পতনের বিশ্বকাপ থেকে নিশ্চিত হয়ে গেল বাংলাদেশের বিদায়।
- আভিশকা ফার্নান্দোর সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় লক্ষ্য দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। রান তাড়ায় শুরুটা ভালো না হলেও দলকে ম্যাচে ফেরান নিকোলাস পুরান। প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে থামিয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জয় তুলে নেয় দিমুথ করুনারত্নের দল।
- বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো। আসরে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরিতে ভারতকে কক্ষপথে রেখেছিলেন রোহিত শর্মা। তবে শেষরক্ষা করতে পারেনি বিরাট কোহলির দল। শেষের দিকের দারুণ বোলিংয়ে তাদের প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে জয়ে ফিরেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল।
- জমেনি গত আসরের দুই ফাইনালিস্টের লড়াই। আড়াইশর কাছাকাছি রান তাড়ায় সেভাবে অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। তাসমান পাড়ের দুই দেশের লড়াইয়ে অনায়াস জয় পেয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
- বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিলেন ইমাদ ওয়াসিম। ক্রমশ মন্থর হয়ে যাওয়া পিচে খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের চোখ রাঙানি এড়িয়ে দলকে এনে দিলেন রোমাঞ্চকর এক জয়। টিকিয়ে রাখলেন পাকিস্তানের সেমি-ফাইনালের আশা।
- দারুণ বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে কম রানে থামিয়ে আসল কাজটা করেছিলেন বোলাররা। ব্যাটিংয়ে বাকিটা সেরেছেন হাশিম আমলা ও ফাফ দু প্লেসি। একপেশে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দিয়েছেন সহজ জয়।
- বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ফিফটির পরও লক্ষ্য ছিল নাগালে। তবে মোহাম্মদ শামি, জাসপ্রিত বুমরাহদের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। অনায়াস জয়ে সেমি-ফাইনালের পথে আরেকটু এগিয়ে গেল ভারত।
- দারুণ বোলিংয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি লক্ষ্যটা রেখেছিলেন নাগালে। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে ব্যাটিংয়ে বাকিটা সেরেছেন বাবর আজম। পেয়েছেন হারিস সোহেলের দারুণ সঙ্গ। নিউ জিল্যান্ডকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
- দারুণ সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। বোলিংয়ে নিজেদের মেলে ধরলেন জেসন বেরেনডর্ফ ও মিচেল স্টার্ক। ইংল্যান্ডকে সহজেই হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে পৌঁছালো বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
- সাকিব আল হাসান দাঁড়িয়ে ছিলেন মিড অফে। ম্যাচ শেষ হতেই যখন উল্লাসে মেতেছেন সতীর্থদের অনেকে, সাকিব আস্তে আস্তে হেঁটে গেলেন তাদের দিকে। যেন কিছুই হয়নি! তার জন্য ম্যাচটি যেন রেকর্ডের পথ ধরে হেঁটে যাওয়ার আরেকটি দিন। বাংলাদেশের জন্য সেমি-ফাইনাল স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার আরেকটু বড় স্বপ্ন। অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতার বিশ্বকাপে সাকিব জ্বলে উঠলেন আরও একবার। তার আলোয় উজ্জ্বল বাংলাদেশও।
- ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুললেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। তবে দারুণ সেঞ্চুরিতেও শেষরক্ষা করতে পারলেন না এই অলরাউন্ডার। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে শীর্ষে উঠেছে নিউ জিল্যান্ড।
- মোহাম্মদ নবির ব্যাটিং বীরত্বে দারুণ এক জয়ের আশা জাগিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে ম্যাচের শেষ ওভারে এই অলরাউন্ডারকে থামালেন মোহাম্মদ শামি। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জিতে বিশ্বকাপে জয়ের পথেই থাকল ভারত।
- অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরও পুঁজিটা খুব একটা বড় ছিল না। তবে দারুণ বোলিংয়ে সেটাকেই যথেষ্ট প্রমাণ করলেন লাসিথ মালিঙ্গা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। বেন স্টোকসের ব্যাটিং বীরত্বের পরও রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে হারাল শ্রীলঙ্কা।
- নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান, নিশ্চয়ই দলের জন্য বড় প্রাপ্তি। দিন শেষে সঙ্গী তবু হারের যন্ত্রণা। প্রতিপক্ষের স্কোর যে ছিল আরও অনেক উঁচুতে! লড়াই হলো, খানিকটা সম্ভাবনাও জাগল। কিন্তু জয়ের তৃপ্তি মিলল না। নিজেদের রেকর্ড রান তুলেও হারল বাংলাদেশ।
- দৃঢ় ভিত পেয়ে ঝড় তোলেন ওয়েন মর্গ্যান। আফগান বোলিং গুঁড়িয়ে দলকে নিয়ে যান রানের পাহাড়ে। বিশাল রান তাড়ার চেষ্টাতেই গেল না গুলবাদিন নাইবের দল। বড় জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠল ইংল্যান্ড।
- দিনের শুরু ছিল ক্যালিপসো সুরের মূর্ছনায়। ক্যারিবিয়ান দর্শকদের নাচ-গানে উত্তাল চারপাশ। দিনের শেষে কেবল বাংলাদেশের নামেই স্লোগান! চ্যালেঞ্জ ছিল নতুন উচ্চতায় পা রাখার। সামনে বাধা ৫ ক্যারিবিয়ান পেসার। সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস সব উড়িয়ে দিলেন যেন তুড়ি বাজিয়ে। ক্যারিবিয়ান বোলিং গুঁড়িয়ে বাংলাদেশ জিতল রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে।
- দারুণ বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে কম রানে থামিয়ে আসল কাজটা সেরেছিলেন বোলাররা। বাকিটা সহজেই সেরেছেন দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে এনে দিয়েছেন এবারের আসরে প্রথম জয়।
- অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের সময় রাজত্ব করলেন অ্যারন ফিঞ্চ। দাপুটে ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কাকে পথ দেখালেন দিমুথ করুনারত্নে। তবে সেই পথে হাঁটতে পারেননি পরের ব্যাটসম্যানরা। মিচেল স্টার্কের তোপে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা পেয়েছে সহজ জয়।
- ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কম রানে থামিয়ে মূল কাজটা করলেন বোলাররা। ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াইও করতে পারেনি জেসন হোল্ডারের দল। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করলেন জো রুট। ক্যারিবিয়ানদের সহজেই হারাল ইংল্যান্ড।
- ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরির পরও ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রেখেছিলেন মোহাম্মদ আমির। তবে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। সরফরাজ আহমেদের দলকে হারিয়ে দারুণ এক জয় তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া।
- এই তারিখ, এই ভেন্যু, এই প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযানে আলাদা করেই লক্ষ্য ছিল এই ম্যাচ। হাতছানি ছিল সম্ভাব্য একটি জয়ের। সেই আশা ধুয়ে গেল বৃষ্টিতে। টানা বৃষ্টিতে টসই হতে পারল না বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে।
- টপ অর্ডার দুর্দান্ত ভিত গড়ে দেওয়ার পর বাকিরা জ্বলে ওঠায় বিশাল সংগ্রহ গড়েছিল ভারত। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাণপণে লড়াই করল অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু তা রান তাড়ার রেকর্ড গড়ার জন্য যথেষ্ট হয়নি। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সহজেই হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় পেল বিরাট কোহলির দল।
- ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে কম রানে থামিয়ে আসল কাজটা করলেন জিমি নিশাম। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাকিটা সারলেন কেন উইলিয়ামসন। আফগানদের উড়িয়ে টানা তৃতীয় জয় পেল নিউ জিল্যান্ড।
- বোলিং ধারহীন। ফিল্ডিং হতশ্রী। তাতে ব্যাটসম্যানদের লক্ষ্যটা এমন চূড়ায় উঠল যেখানে কখনোই পা রাখেনি বাংলাদেশ। তবু চেষ্টার কমতি রাখলেন না সাকিব আল হাসান, কিন্তু এমন দুর্গম পথ কী আর একা পাড়ি দেওয়া যায়! পারল না বাকিরা, তাই পারল না বাংলাদেশ। রেকর্ড রান তুলে ইংল্যান্ড জিতল বড় ব্যবধানে।
- ইংল্যান্ডের রানের পাহাড় তাড়ায় লড়াই করলেন কেবল সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে তার প্রথম সেঞ্চুরির পরও বড় হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। একপেশে ম্যাচে ১০৬ রানে হেরেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
- লম্বা সময় অপেক্ষা করেও কোনো কাজ হয়নি। ব্রিস্টলে জিতেছে বৃষ্টি। পরিত্যক্ত হয়ে গেছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ।
- দলের বিপদের সময় ত্রাতা হয়ে এলেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান ন্যাথান কোল্টার-নাইল। ঝড় তুলে গড়লেন বিশ্বকাপে আট নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি। বোলিংয়ে পথ দেখালেন মিচেল স্টার্ক। এবারের আসরে প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দিলেন দারুণ জয়।
- ব্যাটিংয়ে রান হতে পারত আরেকটু বেশি। বোলিং হতে পারত আরেকটু ভালো। ফিল্ডিংয়ের ঘাটতি হতে পারত আরেকটু কম। একটু একটু করে জমে ওঠা হতাশা ম্যাচ শেষে রূপ নিল দীর্ঘশ্বাসে। উত্তেজনা ছড়াল, রোমাঞ্চের দোলা লাগল, জাগল সম্ভাবনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে উঠল না বাংলাদেশ।
- সকাল থেকেই মাঠের চারপাশে ছিল উৎসবের আবহ। ওভালের চিরচেনা রঙ পাল্টে গিয়েছিল লাল-সবুজের ছটায়। বাংলাদেশের সমর্থকদের নাচ, গান, বাদ্য আর স্লোগান দিয়ে শুরু যে দিনের, সেটির শেষ অসাধারণ জয়ের বাঁধনহারা উন্মাদনায়। রেকর্ড জুটি, দলের রেকর্ড রান আর সাকিব আল হাসানের রেকর্ড গড়া কীর্তির সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ পেয়ে গেল জয়ের ঠিকানা।
- আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দলকে পথ দেখালেন দুই ওপেনার। ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চের ফিফটিতে দাপুটে জয়ে শিরোপা ধরে রাখার অভিযান শুরু করলো অস্ট্রেলিয়া।
- উইকেটে থাকা খানিকটা সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে লঙ্কানদের কাঁপিয়ে দিলেন গতিময় দুই পেসার ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের আদ্যন্ত ব্যাটিংয়ের পরও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। শুরুর জুটির দৃঢ়তায় সেই রান পেরিয়ে বড় জয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল কেন উইলিয়ামসনের দল।
- পাকিস্তানকে কম রানে থামিয়ে আসল কাজটা সেরে রেখেছিলেন পেসাররা। ক্রিস গেইলের দাপুটে ফিফটিতে বাকি কাজটুকু অনায়াসে সারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বড় জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল জেসন হোল্ডারের দল। পাকিস্তানের অভিযান শুরু হল যেন দুঃস্বপ্ন দিয়ে।
- ইংল্যান্ডের চার ব্যাটসম্যানের ফিফটির পরও লক্ষ্যটা দক্ষিণ আফ্রিকার নাগালে ছিল। দারুণ বোলিংয়ে গতিময় পেসার জফরা আর্চার সেটা নিয়ে গেলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ওয়েন মর্গ্যানের দল।
- টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান খেললেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। মিডল অর্ডার সেভাবে রান না পেলেও সবার টুকটাক অবদানে তিনশ ছাড়ালো শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ। ম্যাথু ক্রস, জর্জ মানজির ফিফটিতে লড়াই করল স্কটল্যান্ড। তবে দারুণ বোলিংয়ে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে লঙ্কানদের জয় এনে দিলেন নুয়ান প্রদিপ।
- আগের ম্যাচে বিধ্বস্ত হওয়া আফগানিস্তান দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মোহাম্মদ শাহজাদের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে গড়েছে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ। এরপর অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবের ৬ উইকেটে আয়ারল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে তুলে নিয়েছে বিশাল জয়।
- ফিফটি মাত্র দুটি। তবে প্রায় সব ব্যাটসম্যানই রান পাওয়ায় আরেকটি বড় সংগ্রহ গড়লো ইংল্যান্ড। বোলিংয়ে শুরুতেই পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে দিলেন ক্রিস ওকস। বাজে শুরুর পর সরফরাজ আহমেদ ও বাবর আজমের বীরত্বে লড়াই করলেও হারের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি সফরকরীরা।
- রান করা কঠিন এমন উইকেটে পল স্টার্লিং ও উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের ফিফটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেল আয়ারল্যান্ড। ত্রিদেশীয় সিরিজে অনুজ্জ্বল থাকা বোলিং ইউনিট জ্বলে উঠল। প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিল আইরিশরা।
- দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানকে পথ দেখালেন বাবর আজম। তবে রান উৎসবের ম্যাচে তার সেঞ্চুরি ম্লান হয়ে গেল জেসন রয় ঝড়ে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য ছুঁয়ে সিরিজ জিতে নিলো ইংল্যান্ড।
- মাহমুদউল্লাহর শটে বল ছুটল বাউন্ডারিতে। ধরা দিল জয়। আরেক প্রান্তে মোসাদ্দেক হোসেন উঁচিয়ে ধরলেন দুহাত। ড্রেসিং রুমের সামনে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মেতে উঠলেন উল্লাসে। গ্যালারিতে শখানেক বাংলাদেশি দর্শকের গগনবিদারী আনন্দ চিৎকার। উৎসবের এই আবহে মিলিয়ে গেল অতীতের বেদনাগুলো। অবসান হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের দীর্ঘ যন্ত্রণাময় অপেক্ষার। অবশেষে ধরা দিল আন্তর্জাতিক ট্রফি!
- এমনিতে এই ম্যাচের মূল্য খুব একটা ছিল না। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে কোনো ম্যাচই তো গুরুত্বহীন নয়! আগেই ফাইনালে পা রাখা বাংলাদেশের এজেন্ডা ছিল বেশ কিছু। চাওয়ার সঙ্গে পাওয়া মিলে গেছে অনেকটাই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। ধরা দিয়েছে জয়। পোক্ত হয়েছে বিশ্বাস। অপরাজেয় থেকেই ফাইনালের মঞ্চে নামছে বাংলাদেশ।
- ইমাম-উল-হকের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়েও শেষ রক্ষা হয়নি পাকিস্তানের। গত বিশ্বকাপের পর থেকে তিনশ রানকে ডাল-ভাত বানিয়ে ফেলা ইংল্যান্ড আবার দেখিয়েছে তাদের ব্যাটিং সামর্থ্য। জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে সাড়ে তিনশ ছাড়ানো রান তাড়ায় হেসেখেলে জিতেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল।
- একটুও ব্যাট তোলা নয়, নেই উল্লাসের লেশ মাত্র। স্রেফ দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানের করমর্দনের আনুষ্ঠানিকতা। কে বলবে, এই জয়ে ফাইনালে উঠল দল! এতটাই অনায়াস, এতটাই প্রত্যাশিত ছিল বাংলাদেশের জয়। পাত্তা পেল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এক ম্যাচ বাকি রেখেই নিশ্চিত হয়ে গেল বাংলাদেশের ফাইনাল।
- তাণ্ডব চালিয়ে সেঞ্চুরি করলেন জস বাটলার। দারুণ সঙ্গ দিলেন ওয়েন মর্গ্যান। ইংলিশদের গড়া রানের পাহাড় ফখর জামানের সেঞ্চুরিতে টপকানোর আশা জাগিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু শেষটায় তালগোল পাকিয়ে একটুর জন্য নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়া হলো না তাদের।
- সেরা তিন বোলারকে ছাড়া খেলতে নামা আফগানিস্তান বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ক্যালাম ম্যাক্লাউডের সেঞ্চুরি আর অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের ফিফটিতে রানের পাহাড় গড়ে স্কটল্যান্ড। রান তাড়ায় দায়িত্বশীল এক সেঞ্চুরিতে দলকে পথ দেখিয়েছেন রহমত শাহ। পেয়েছেন মোহাম্মদ শাহজাদ ও হাশমতউল্লাহ শাহিদির দারুণ সঙ্গ। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে নাটকীয় জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান।
- আগের দিন থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি যে শঙ্কা জাগিয়েছিল, সত্যি হলো সেটিই। টানা বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের লড়াই। ডাবলিনের মালাহাইডে বৃহস্পতিবার ম্যাচের টসই হতে পারেনি।
- লম্বা সময় অপেক্ষা করেও কোনো কাজ হলো না। বৃষ্টিতে ভেসে গেল ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের প্রথম ওয়ানডে। যতটুকু বোলিংয়ের সুযোগ মিলেছে তাতে নিজেকে মেলে ধরে বিশ্বকাপ দলে থাকার দাবি জোরালো করেছেন জফরা আর্চার।
- পেছনে আইরিশদের ‘এ’ দলের কাছে হারের স্মৃতি। সঙ্গী আইরিশ কন্ডিশনের ছোবল। সামনে উড়ন্ত জয়ে শুরু করা ক্যারিবিয়ানদের দাপট। চ্যালেঞ্জ ছিল অনেক। ম্যাচের আগে মাশরাফি বিন মুর্তজা বললেন, মনের জোর আছে না! যেমন কথা, তেমন কাজ। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া স্পেলে অধিনায়কই দেখালেন পথ। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সাকিব আল হাসান সহজ করে দিলেন পথচলা। তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের রেকর্ড জুটি দলকে এগিয়ে নিল জয়ের সীমানায়। সব বাঁধা গুঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ।
- উদ্বোধনী জুটিতে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন শেই হোপ ও জন ক্যাম্পবেল। তাদের হাত ধরে ক্রিকেট বিশ্ব প্রথমবারের মতো দেখল ওয়ানডেতে দুই ওপেনারের দেড়শ ছোঁয়া ইনিংস। রানের পাহাড় গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেল অনায়াস জয়। আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভ সূচনা করেছে জেসন হোল্ডারের দল।
- বাবর আজম ও হারিস সোহেলের ফিফটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু রান তাড়ায় জয়ের ভিত গড়ে দিলেন জো রুট ও জেমস ভিন্স। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে বাকিটা সারলেন ওয়েন মর্গ্যান। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে সহজেই হারাল ইংল্যান্ড।
- আসন্ন বিশ্বকাপের ফেভারিট দল ইংল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন জশ লিটল। লক্ষ্যটা ছোট থাকায় বেঁচে গেছে ওয়েন মর্গ্যানের দল। বেন ফোকস ও টম কারানের ব্যাটে তুলে নিয়েছে স্বস্তির জয়।
- প্রথম চার ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে সিরিজে প্রথমবারের মতো তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ল অস্ট্রেলিয়া। হারিস সোহেলের ঝকঝকে এক সেঞ্চুরিতে লড়াই করল পাকিস্তান। তবুও হার এড়াতে পারল না তারা। দারুণ এক জয়ে দলটিকে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
- বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কিছুতেই পেরে উঠছে না পাকিস্তান। হারের বৃত্তে থাকা দলটি এবার জিততে পারল না জোড়া সেঞ্চুরিতেও। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দারুণ ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়া অস্ট্রেলিয়া শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তুলে নিয়েছে রোমাঞ্চকর জয়।
- টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও হলো না। তবে শুরুর টালমাটাল সময়টা সামলে দলকে লম্বা সময় টানলেন অ্যারন ফিঞ্চ। শেষ দিকের দাবি মেটালেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। নতুন বলে আগুন ঝরালেন প্যাট কামিন্স। সব মিলিয়ে উড়ে গেল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া জিতে নিল সিরিজ।
- ঝড়ো ফিফটিতে দলকে লড়াইয়ে পুঁজি গড়ে দিলেন রিজা হেনড্রিকস ও রাসি ফন ডার ডাসেন। রান তাড়ায় শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ে ফেরালেন ইসুরু উদানা। তবে তার টর্নেডো ইনিংসের পরও বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দিলেন হারিস সোহেল। এসেই শট খেলা সহজ নয় এমন উইকেটে রান তাড়ায় দলকে পথ দেখালেন অ্যারন ফিঞ্চ। অধিনায়কের দাপুটে সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করল অস্ট্রেলিয়া।
- কাছ থেকেও তিন স্টাম্পে থ্রো লাগাতে পারলেন না নিরোশান ডিকভেলা। তার অবিশ্বাস্য ব্যর্থতায় শেষ বলে কোনোমতে এক রান নিয়ে ম্যাচ টাই করলেন ইমরান তাহির ও ডেল স্টেইন। সুপার ওভারে ঝড় তুললেন ডেভিড মিলার। দুর্দান্ত এক ওভারে বাকিটা সারলেন লেগ স্পিনার তাহির। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নিলেন রশিদ খান। লেগ স্পিনারের দারুণ বোলিংয়ে টেস্টে নিজেদের প্রথম জয়ের জন্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ছোট লক্ষ্য পেয়েছে আফগানিস্তান।
- শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় লড়াই করার মতো একটা রান পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ফ্লাড লাইটের বিভ্রাট তাদের সেই সুযোগ দিল না। পর্যাপ্ত আলো না থাকায় আগেভাগেই শেষ হয়ে গেল ম্যাচ। এইডেন মারক্রামের দাপুটে ব্যাটিংয়ে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- দলকে বড় লিডের পথে এগিয়ে নেওয়া রহমত শাহ ফিরলেন মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে। মিডল অর্ডারে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি করলেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি ও আসগর আফগান। প্রথম ইনিংসে ১৪২ রানের বড় লিড পেল আফগানিস্তান।
- গত বছর অভিষেক টেস্ট খেলার পর দুই দলেরই এটি প্রথম টেস্ট। প্রথম টেস্ট জয়ের বড় সুযোগও। সেই লড়াইয়ে প্রথম দিনে এগিয়ে গেছে আফগানিস্তান। পিছিয়ে থাকা আয়ারল্যান্ড গুঁড়িয়ে যেতে পারত, যদি না এগারো নম্বরে নেমে দারুণ এক ফিফটি উপহার দিতেন টিম মারটাঘ। ব্যাট হাতে দলকে বিব্রতকর অবস্থা থেকে কিছুটা উদ্ধার করেছেন এই পেসার।
- ইসুরু উদানার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দুইশ রানের কাছে গেল শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ। সেই রান নিয়ে খুব একটা লড়াই করতে পারেনি সফরকারীরা। কুইন্টন ডি ককের ফিফটিতে আরেকটি বড় জয় তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
- উসমান খাওয়াজার দারুণ সেঞ্চুরির পর সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারত। লক্ষ্যটা ছিল নাগালেই। তবে স্বাগতিকদের কেউ খাওয়াজার মতো টানতে পারলেন না দলকে। বোলারদের সম্মিলিত চেষ্টায় সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।
- নিল ওয়েগনারের শর্ট বলে নাকি কিছু করার থাকে না। প্রথম ইনিংস শেষে বলেছিলেন লিটন দাস। কিন্তু যা মোটেও করা উচিত নয়, লিটন, মিঠুনরা করতে চাইলেন সেটিই। চ্যালেঞ্জ যেদিন উইকেটে পড়ে থাকার, তারা বেছে নিলেন ঝুঁকির পথ। খেসারত দিল দল। শর্ট বলের তোপে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ শেষ দিনে অলআউট হয়ে গেল প্রথম সেশনেই।
- সেই একই মাঠ, খেলা একই উইকেটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেরিয়ে গেল নিজেদের আগের ম্যাচের রানকে। তবে সেই উন্নতিতে স্বস্তি নয়, বরং মিশে থাকল শ্লেষ। ৪৫ রানে অলআউটের বিব্রতকর অভিজ্ঞতার পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে গেছে ৭১ রানে। ডেভিড উইলি ও মার্ক উডের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ইংল্যান্ড জিতেছে সহজে।
- দাপুটে এক সেঞ্চুরিতে সুর বেঁধে দিলেন কুইন্টন ডি কক। স্বাগতিকরা পেল বড় সংগ্রহ। রান তাড়ায় এগিয়ে আসতে পারলেন না শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটসম্যান। ডারবানে অনায়াসে জিতে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- মোহালিতে রান উৎসবে মেতে উঠলেন ব্যাটসম্যানরা। চোখের পানি, নাকের পানি এক হয়ে গেল দুই দলের বোলারদের। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তিন অঙ্ক ছুঁলেন শিখর ধাওয়ান। মাত্র পাঁচ রানের জন্য সেঞ্চুরি পেলেন না রোহিত শর্মা। ৯ রানের জন্য একই হতাশায় পুড়লেন উসমান খাওয়াজা। প্রথম শতকের উচ্ছ্বাসে ভাসলেন পিটার হ্যান্ডসকম। টর্নেডো ইনিংসে ব্যবধান গড়ে দিলেন অ্যাশন টার্নার। নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জিতল অস্ট্রেলিয়া।
- বাজে শুরুর পর আফগানিস্তানকে টানলেন আসগর আফগান। দারুণ সঙ্গ পেলেন মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খানের। তবে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহে খুব একটা লড়াই করতে পারল না দলটি। পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বালবার্নির দায়িত্বশীল দুই ফিফটিতে ভর করে জয় তুলে নিল আয়ারল্যান্ড।
- ছন্দে ফেরা অ্যারন ফিঞ্চ একটুর জন্য পেলেন না তিন অঙ্কের দেখা। উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গী উসমান খাওয়াজা ভাসলেন ক্যারিয়ারে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাসে। তাদের প্রায় দুইশ রানের জুটির ওপর ভর করে অস্ট্রেলিয়া পেল লড়াইয়ের পুঁজি। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জেতার আশা জাগিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তবে অধিনায়কের দারুণ চেষ্টাও যথেষ্ট ছিল না। সম্মিলিত চেষ্টায় রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জয় তুলে নিল সফরকারীরা।
- বাজে শুরুর পর আসগর আফগান, মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খানের তিনটি ফিফটিতে লড়াই করার পুঁজি পেল আফগানিস্তান। প্রায় একই রকম শুরু করা আয়ারল্যান্ডকে পথ দেখাতে পারলেন না কেউই। আফতাব আলম, রশিদ আর মুজিব উর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে আইরিশদের গুঁড়িয়ে দিয়ে চতুর্থ ওয়ানডেতে বড় জয় পেল আফগানিস্তান।
- কুইন্টন ডি ককের ঝড়। ফাফ দু প্লেসির ফিফটি। তুমুল গতিতে দল ছুটছিল তিনশর পথে। বোলিংয়ে ঘুরে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকা থমকে গেল আড়াইশতেই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর আরেক অধ্যায়ের তখনও বাকি! গতির ঝড় তুলে ওই পুঁজিতেই দলকে বড় জয় এনে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা।
- লড়াকু এক সেঞ্চুরিতে দলকে পথ দেখালেন বিরাট কোহলি। ব্যাটে-বলে আলো ছড়ালেন বিজয় শঙ্কর। রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ভারত।
- শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডারের লড়াই সামাল দিয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখলেন লুঙ্গি এনগিডি ও ইমরান তাহির। অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে পথ দেখালেন ফাফ দু প্লেসি। জোহানেসবার্গে সহজ জয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- রেকর্ড ছোঁয়া অসাধারণ সেঞ্চুরিতে সকালটা রাঙালেন সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় সেশন আলোকিত করল মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। তবে অন্যরা থাকল সেই ব্যর্থতার চক্রেই। বিকেলে তাই মেনে নিতে হলো অনুমিত পরিণতিই। বাংলাদেশ হারল ইনিংস ব্যবধানে।
- ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিলেন গতিময় পেসার ওশেন টমাস। খুনে ব্যাটিংয়ে দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়লেন ক্রিস গেইল। তাদের নৈপুণ্যে পঞ্চম ওয়ানডেতে সফরকারীদের উড়িয়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
- বোলারদের দাপটে জিতল বাংলাদেশ
- নিজের ফ্ল্যাট থেকে মডেল নাজের লাশ উদ্ধার
- কুষ্টিয়ার এসপিকে হাই কোর্টে তলব, অবমাননার রুল
- মলিন ক্রিকেটের দিনে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক সাকিব
- রুল খারিজ, ঢাকায় শুধু সবুজ রঙা সিএনজি অটোরিকশাই চলতে পারবে
- ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ মেসি
- যা করতে এসেছিলাম, করেছি: বিদায়ী ভাষণে ট্রাম্প
- নতুন চেহারার দ. আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি দল
- বাংলাদেশ ১১১৫, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০৫
- করোনাভাইরাস: এক দিনে ৮ মৃত্যু, সাড়ে আট মাসে সবচেয়ে কম
- বিশ্বকাপের পথে মূল মন্ত্র ‘বাংলাদেশি ব্র্যান্ড’
- টিভি সূচি (বুধবার, ২০ জানুয়ারি ২০২১)
- বন্ধুপ্রতীম ৬ দেশকে টিকা উপহার দিচ্ছে ভারত
- ভারত টেস্ট দলে ফিরলেন ইশান্ত-পান্ডিয়া
- সৌম্যকে জানানো হয়েছে ‘৪-৫ মাস আগে’