- নেতৃত্ব ছাড়ার পর বাজে ফর্মের ধারাবাহিকতায় একাদশে জায়গা হারানো মুমিনুল হকের সামনে এখন নতুন শুরুর চ্যালেঞ্জ। আর সেই লড়াইয়ের প্রাথমিক ধাপে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই মুমিনুলকে দেখতে চান নাজমুল হাসান। ব্যক্তিগতভাবে মুমিনুলের জন্য এটা যেখানে এক ধরনের শেষ হলো সেখানেই আবার নতুন শুরুর সম্ভাবনা দেখছেন বিসিবি প্রধান।
- ব্যাটিংয়ে পূর্ণ মনোযোগ দিতে ছেড়ে দিয়েছিলেন নেতৃত্ব। তবুও মুমিনুল হকের ব্যাটে ফেরেনি রান, খেলায় দেখা যায়নি আত্মবিশ্বাসের ছাপ। প্রলম্বিত বাজে ফর্মের মাশুল দিয়ে একাদশে জায়গা হারালেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
- নেতৃত্বে সাকিব আল হাসান না থাকলেও দলের ভেতর তাকে অনুসরণ করতেন অনেকে। জেমি সিডন্সের তাই কোনো সংশয়ই নেই যে, আনুষ্ঠানিকভাবে নেতা হয়ে দলকে দারুণভাবে সামলাবেন সাকিব। পাশাপাশি নির্ভার মুমিনুল হকের জন্য ব্যাটিংয়ে ছন্দে ফেরা এখন সহজ হবে বলে মনে করে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ।
- মুমিনুল হককে নেতৃত্বে রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট দল ঘোষণা করা হয় দিন দশেক আগে। কিন্তু সফর শুরুর মাত্র দিন কয়েক আগে তিনি নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়ায় পরিস্থিতি এখন বেশ ঘোলাটে। অধিনায়কত্ব থেকে তাকে বোর্ড এখনই রেহাই দেবে কিনা, দিলে কে দায়িত্ব পাবেন, সবকিছু জানা যাবে বৃহস্পতিবার বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভার পর।
- লম্বা সময় ধরে হাসছে না ব্যাট। রান যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ব্যাট হাতে বাজে সময় কাটানো মুমিনুল হকের নেতৃত্বে দলও পাচ্ছে না সাফল্য। কঠিন এই সময়ে তার অধিনায়কত্ব নিয়েও বাংলাদেশের ক্রিকেটে চলছে আলোচনা। এসবের মাঝে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল জানিয়ে দিলেন, আর নেতৃত্বে থাকতে চান না তিনি।
- শরীর থেকে দূরে ড্রাইভ করা, বলের লাইনে পা না যাওয়া, ছেড়ে দেওয়ার বল তাড়া করা, গত কিছুদিনে মুমিনুল হকের আউটের ধরনে দেখা গেছে মৌলিক ব্যাপারগুলি অনুসরণ না করা। ব্যাট হাতে ছন্দে ফেরার লড়াইয়ে তাই সেই মৌলিকত্বের আশ্রয়েই ফিরে গেছেন মুমিনুল। তার এই লড়াইয়ের সঙ্গী নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
- ব্যাট হাতে বাজে ফর্মের কারণে টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের কর্তৃত্বের জায়গাটা নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে বিসিবি। বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসের মতে, মুমিনুলের মনের ভেতর হয়তো ‘কমপ্লেক্স’ কাজ করছে। নেতৃত্বে থাকা বা না থাকা নিয়ে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে মুমিনুল শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানালেন জালাল ইউনুস।
- মুমিনুল হকের নেতৃত্বে সমস্যার কোনো কিছু দেখছেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তিনি চিন্তিত বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে। মুমিনুল প্রচণ্ড মানসিক চাপে আছে বলেও ধারণা তার। এসব নিয়ে দু-একদিনের মধ্যেই অধিনায়কের সঙ্গে লম্বা আলোচনা করবেন বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি।
- মুমিনুল হকের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন বাংলাদেশ দলের প্রায় সব সংবাদ সম্মেলনেই এখন যেন অবধারিত। উত্তরটাও জানা। বোর্ড প্রধান হোক বা কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, কিংবা সাকিব আল হাসানের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার, সবাই সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ককে। ডমিঙ্গো যেমন আরও একবার জানালেন আস্থা রাখার কথা। তবে মুমিনুল যে ভীষণ চাপে আছেন, এটা অবশ্য স্বীকার করে নিলেন বাংলাদেশ কোচ।
- দল পারফর্ম করতে ভুগছে, অধিনায়ক নিজে ব্যাট হাতে ধুঁকছেন। মুমিনুল হককে নিয়ে প্রশ্নগুলি তাই আরও উচ্চকিত হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ অধিনায়কের জন্য পরিস্থিতিটা এখন ভীষণ কঠিন, মানছেন সাকিব আল হাসানও। তবে অধিনায়ক হিসেবে এই মুহূর্তে মুমিনুলের বিকল্প কাউকে চোখেও পড়ছে না বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের।
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামলেও শঙ্কার কিছু দেখছেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। আপাতত তার ভাবনা কেবল মুমিনুল হককে নিয়ে। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের রানে ফেরার জন্য তিনি প্রার্থনা করছেন বলেও জানালেন বিসিবি প্রধান।
- একের পর এক ইনিংসে ব্যর্থতা, পরিসংখ্যান আর যাবতীয় ক্রিকেটীয় বাস্তবতা বলছে, ব্যাট হাতে ছন্দহারা মুমিনুল হক। তবে রাসেল ডমিঙ্গোর ভাবনার ধরন ভিন্ন। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফর্মে নেই, এটা মানতে নারাজ কোচ। তার মতে, মুমিনুল স্রেফ রান পাচ্ছেন না। সেই রান শিগগিরই ধরা দেবে বলে বিশ্বাস ডমিঙ্গোর।
- স্বাগতিকদের চাহিদা অনুযায়ী স্পিন মঞ্চ না বানালে চট্টগ্রাম টেস্টে ফল হওয়া বেশ কঠিন। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সর্বস্ব দিয়েও সবসময় সেখানে সাফল্য পান না বোলাররা। মিরপুরের চিত্র আবার উল্টো। স্পিনারদের জন্য দারুণ সহায়তা থাকে বলে এখানে জয়-পরাজয়ের দেখা মেলেই। হাতের তালুর মতো চেনা মাঠে আবার নামার আগে আত্মবিশ্বাসী মুমিনুল হক। প্রিয় আঙিনায় জিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ঘরে তুলতে চান টেস্ট সিরিজ।
- “এমনও হতে পারে যে তিন পেসারও খেলতে পারে’, বেশ গম্ভীর কণ্ঠেই বললেন মুমিনুল হক। তবে হেসে ফেললেন পরমুহূর্তেই। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজেও জানেন, তার কথা অবাস্তব। একাদশে তিন পেসার থাকার ন্যূনতম সম্ভাবনাও নেই। মিরপুরে এক পেসার নিয়েও তো খেলেছে বাংলাদেশ। তবে এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই পেসার খেলবে এবং কোন দুই পেসার, তা অনেকটাই নিশ্চিত করে দিলেন মুমিনুল।
- সত্যিকার অর্থে ভালো কোনো বিকল্প নেই বলে অফ স্পিনার নাঈম হাসানের জায়গায় কাউকে নেয়নি বাংলাদেশ। তার জায়গায় খেলানো হতে পারে ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে। লাল বলে যদিও খুব একটা কার্যকর নয় তার অফ স্পিন। তাই অধিনায়ক মুমিনুল হক মনে করেন, শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক একাদশে থাকলে তাকে ব্যবহার করতে হবে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে।
- সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান চেষ্টা করেছেন সাধ্য মতো। স্পিন ত্রয়ীর কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই মুমিনুল হকের। তবে চট্টগ্রাম টেস্টে পেসারদের আরও ভালো করার সুযোগ ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার মতে, শরিফুল ইসলাম ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ আরেকটু ভালো লেংথে বোলিং করলে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আরেকটু বাড়ত।
- শেষ পর্যন্ত নিষ্প্রাণ ড্র, তবে শেষ দিনের মাঝামঝি পর্যন্ত প্রাণ ছিল ম্যাচে। সময়ের সঙ্গে লড়াইটাও চলছিল। আর সঙ্গে উঁকি দিচ্ছিল একটি প্রশ্নও, চতুর্থ দিনে যদি আরেকটু চালিয়ে খেলত বাংলাদেশ! অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, একটা পর্যায়ে ওই ভাবনা ছিল তাদেরও। তবে লিটন দাস ও তামিম ইকবাল পরপর আউট হওয়ায় সেই ভাবনা থেকে সরে আসে দল।
- দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মতো ধস চট্টগ্রাম টেস্টে নামেনি বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। তবে জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়েছে। এতে অবশ্য চিন্তার কিছু দেখছেন না মুমিনুল হক। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মনে করিয়ে দিলেন, একটি দলের সব ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলবে না।
- দুজনের কারও ব্যাটে রান নেই। উইকেটে তাদের বিচরণে নেই আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া। তবে তাদের ওপর দলের বিশ্বাসের কমতিও নেই। দলের সবাই ভরসা রাখছেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর। এবার এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কাঁধে আস্থার হাত রাখলেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
- ৩৫ ওভার পেরিয়ে গেল। সাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে আনার নাম নেই। টুকটাক প্রশ্নেরা তখন উঁকি দিতে শুরু করেছে। মাত্রই কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন, এক দিনের অনুশীলনে কোনো বোলিং করেননি, ফিটনেস নিয়ে সংশয়। তবে কি…? প্রশ্নগুলো অবশ্য আর ডানা মেলতে পারল না। সাকিব বোলিংয়ে এসেই সব কথা থামালেন। দুর্দান্ত বোলিং করে দলের সেরা পারফরমারও হয়ে গেলেন। দিন শেষে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ বললেন, তার পুরোপুরি বিশ্বাস ছিল সাকিবের সামর্থ্যে।
- টেস্টের আগের দিন অনেক সময় ছড়ায় কথার উত্তাপ। কখনও স্পর্শ করে নানা উত্তেজনার আঁচ। চলতে থাকে নানা সমীকরণ। এবার সেসব কিছুই নেই। আগ্রহের কেন্দ্রে যেন কেবল একজনই। অনুশীলনে সবার নজর সাকিব আল হাসানের দিকে। তিনি খেলবেন, নিশ্চিত হতেই যেন যাবতীয় কৌতূহলের সমাপ্তি। এমনকি দুই দলের অনুশীলনেও দেখা গেল না খুব জোর। বাংলাদেশের ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন, শ্রীলঙ্কার অনুশীলনেও দেখা গেল ঢিলেঢালা ভাব।
- এদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। তাই সব কিছু খুব ভালো করে চেনা ও জানা। কন্ডিশনেও নেই কোনো ধাঁধা লুকিয়ে। নিয়মিত সফর করায় মাঠের কোনো রহস্যের মুখে পড়ার শঙ্কাও নেই। তারপরও বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব ভালো জানাশোনা থাকা একজনকে পেয়ে বাড়তি সুবিধা দেখছেন করেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে।
- সংখ্যাগুলি স্বাক্ষ্য দেবে, ভালো ফর্মে নেই মুমিনুল হক। উইকেটে তার উপস্থিতি ও আউট হওয়ার ধরন বলবে, তিনি ছন্দে নেই মোটেও। তবে নিজের সঙ্গে তার বোঝাপড়া ভিন্নরকম। বাজে ফর্মের বাস্তবতা মনের অলিন্দে প্রবেশ করতেই দিতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক।
- মুমিনুল হক অনুরোধ করেছিলেন, মুশফিকুর রহিমের রিভার্স সুইপ নিয়ে বেশি কথা না বলতে। কিন্তু তিনি চাইলেই তো আর কথার ঘোড়ার লাগাম দেওয়া যায় না। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে মুশফিকের সেই আলোচিত রিভার্স সুইপের রেশ ফিরে এলো শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেও। এবার অবশ্য নিজের আগের বক্তব্য থেকে সরে এলেন মুমিনুল।
- রিভিউ নেওয়া বা না নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হয় বোলার ও উইকেটের আশেপাশে থাকা ফিল্ডারদের ওপর। তবে ভুল হলে মূল দায় গিয়ে পড়ে অধিনায়কের ঘাড়ে। মুমিনুল হক তাই চান দায়মুক্তি। রিভিউ নিয়ে প্রবল সমালোচনার জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করিয়ে দিলেন, সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা থাকে বোলার ও কিপারের।
- না কোনো রানিং সেশন, না কোনো স্ট্রেচিং। স্রেফ মাঠে কিছুক্ষণ বিচরণ, কোচ-অধিনায়ক-টিম ডিরেক্টরের সঙ্গে কথোপকথন আর দুটি বিরতি দিয়ে ৩০ মিনিটের মতো ব্যাটিং। চট্টগ্রামের সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসানের অনুশীলন পর্ব বলতে এটুকুই। ৫ দিনের টেস্ট ম্যাচ, প্রচণ্ড গরমে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে সেশনের পর সেশন কঠিন পরীক্ষা। কোভিডমুক্ত সাকিব সেই চ্যালেঞ্জ জয়ের প্রস্তুতি সেরে নিলেন আধ ঘন্টার ব্যাটিং সেশনে।
- দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টেই দ্বিতীয় ইনিংসে নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। হতাশায় মোড়ানো সেই সিরিজের একটিতে ৫৩, অন্যটিতে ৮০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দল। স্বাভাবিকভাবেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের প্রস্তুতি পর্বে বাড়তি গুরুত্ব পেল ব্যাটিং। অধিনায়ক মুমিনুল হক অবশ্য এবার ভালো কিছুর ব্যাপারে আশাবাদী।
- নিজেকে নতুন করে গড়ে নেওয়া তাসকিন আহমেদই যে এখন বাংলাদেশের পেস আক্রমণের নেতা, তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই। গতিময় এই পেসারের অনুপস্থিতি তাই দলের জন্য বড় এক ধাক্কা। আঙুলের চোটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা হবে না পরিপূর্ণ অলরাউন্ডার হয়ে ওঠার পথে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজেরও। তাদের অভাব অনুভব করলেও অধিনায়ক মুমিনুল হক আশাবাদী, যারা সুযোগ পাবেন তারাও ভালো করবেন।
- দুই দফায় ব্যাটিং সেশন হলো ৩০ মিনিটের মতো। বৃষ্টির বাগড়ায় সেই অনুশীলন শেষ হলো না পুরোপুরি। পরে বোলিং-ফিল্ডিং ঝালিয়ে নেওয়া একটুও হলো না সাকিব আল হাসানের। তবে ব্যাটিং দেখেই এই অলরাউন্ডারের শারীরিক অবস্থা বুঝে নিয়েছে দল, দাবি মুমিনুল হকের। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, চট্টগ্রাম টেস্ট খেলার জন্য প্রস্তুত সাকিব।
- চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব দেড়শ কিলোমিটারের মতো। তবে মুমিনুল হকের কাছে ঘুচে যায় একদমই। কক্সবাজারে নিজের বাড়িতে তিনি যতটা নিরাপদ, চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের ২২ গজও যেন ঠিক ততটাই আপন আঙিনা। এই এক মাঠেই ৭টি টেস্ট সেঞ্চুরি তো সেই কথাই বলছে!
- দিন দুয়েক আগে ফেইসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আড়াই বছর বয়সী সন্তানকে কোলে নিয়ে তিনি লঞ্চের সারেংয়ের কক্ষে। পরের দিন পোস্ট করেছেন আরও দুটি ছবি। নদীর পাড়ে তিনি দাঁড়িয়ে, পরনে লুঙ্গি, মাথায় বাঁধা গামছা। ছবির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন নিজের মনের কথা, “আমার দেশ, আমার গ্রাম, আমার শান্তির নীড়।”
- পয়েন্ট থেকে তাইজুল ইসলামের নিখুঁত থ্রো ভেঙে দিল স্টাম্প, হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়লেন সাকিব আল হাসান। শেষ ভরসাকে হারিয়ে তখন মাথায় হাত লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। দলটির হার হয়তো ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু ক্রিকেট তার অননুমেয় চরিত্র আর অনিশ্চয়তার রূপ মেলে ধরল আরও একবার। অষ্টম উইকেট জুটিতে মুক্তার আলি ও তানবীর হায়দারের ব্যাটে অবিশ্বাস্যভাবে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়ে দিল রূপগঞ্জ।
- সমালোচনার ধেয়ে আসা স্রোত দেখে পলায়নপর হচ্ছেন না মুমিনুল হক। পিছপা হচ্ছেন না তিনি পরিস্থিতির প্রতিকূলতায়। বরং মাঠের বাইরে দলের ঢাল হতে চান বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। মাঠের ভেতরে তার চাওয়া, ভুলগুলো শুধরে সামনে এগিয়ে যাওয়া।
- স্কোরকার্ডের ছবিটা বিব্রতকর। ২২ গজে ব্যাটিং প্রদর্শনী ছিল আরও হতাশাজনক। তবে মুমিনুল হক এসবকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পরপর দুই টেস্টে একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়াকে তেমন কোনো বিপর্যয় মনে করছেন না বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
- অপ্রত্যাশিত কোনো সাফল্য অনেক সময় বাড়িয়ে দেয় প্রত্যাশার পরিধি। অভাবনীয় কোনো জয় বাড়িয়ে দেয় স্বপ্নের সীমানা। নিউ জিল্যান্ড সফরে একটি টেস্ট জয়ের পর যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়েও আশার পারদ ছিল উঁচুতে। কিন্তু এবার বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়ল বাজেভাবে। ব্যর্থ সিরিজের পর অধিনায়ক মুমিনুল হক বলছেন, টেস্ট ক্রিকেটে দল আছে আগের জায়গাতেই।
- দলের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই, নিজের ফর্মও তথৈবচ। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বলা যায় দুঃস্বপ্নের মতোই কাটল মুমিনুল হকের জন্য। নিজে যদিও দাবি করছেন, তিনি ভালো জায়গায়ই আছেন। নিজের ব্যাটিংয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছুও খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক।
- কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মারের স্পিনের সামনে আবার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং। দুই প্রোটিয়া স্পিনার মিলে সিরিজে নিলেন ২৯ উইকেট। দুই ম্যাচেই তাদের সামলাতে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় উচ্চকিত হলো পুরনো প্রশ্ন, এতো খেলেও স্পিনে এমন ব্যর্থতা কেন? মুমিনুল হকের জবাব চমকে যাওয়ার মতো। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, উঁচু মানের স্পিনের বিপক্ষে ভালো নয় তার দল।
- প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল অনেক আগে, বগুড়ায় বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প দিয়ে। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পর ওয়ানডে দলের সঙ্গে আগেভাগে যাওয়ার সুযোগ মিলেছিল। সুযোগ হয়েছিল গ্যারি কার্স্টেনের একাডেমিতে নিবিড় অনুশীলনের। এতো চমৎকার প্রস্তুতির কোনো ছাপ রাখা তো দূরের কথা, ন্যূনতম লড়াইও করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। মুমিনুল হকের মতে এর একমাত্র কারণ, বাজে ব্যাটিং।
- মুশফিকুর রহিমের রিভার্স সুইপ শটের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানালেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশ অধিনায়ক বরং সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করলেন ওই শট নিয়ে বেশি আলোচনা না করতে। মুমিনুলের মতে, মুশফিকের ওই শট নিয়ে বেশি কথা বলা মানে দলের জন্য ও দেশের জন্য খারাপ।
- ইট মারলে পাটকেল খেতেও প্রস্তুত থাকতে হয়। পাটকেল খাওয়ার পর আপত্তি জানালে চলবে কেন! মুমিনুল হকের অভিযোগ নিয়ে ডিন এলগারের কথা অনেকটা এরকমই। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের মতে, বাংলাদেশ হয়তো শীর্ষ পর্যায়ে টেস্ট খেলার মতো মানসিকভাবে শক্ত নয়।
- ডারবান টেস্টে বাংলাদেশ দলকে ঘিরে ওঠা প্রশ্নগুলো পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট এগিয়ে আসায় আরও উচ্চকিত হয়েছে। মূল প্রশ্নটা অবশ্যই স্পিনার নিয়ে। দ্বিতীয় টেস্টে কি দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ? নানা সমীকরণ মেলানোর ভাবনায় বাংলাদেশ এখনও নেয়নি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। অধিনায়ক মুমিনুল হক জানিয়েছেন, ম্যাচের দিন আবার উইকেট দেখে ঠিক করবেন একাদশ।
- পোর্ট এলিজাবেথ নাম পরিবর্তনের পর এখন হয়ে গেছে ‘গেবেখা।’ তবে এই শহর বা টেস্ট ভেন্যুর চরিত্র তো আর বদলায়নি। সমুদ্রপাড়ের শহরে তীব্র বাতাস বয়ে যায় ১৩৩ বছর পুরনো ক্রিকেট মাঠেও। সফরকারী দলগুলিকে সামলাতে হয় সেই চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের জন্য তো দেশ থেকে উড়ে যাওয়া বিতর্কের হাওয়া আছেই! সব মিলিয়ে টালমাটাল হওয়ার উপকরণ যথেষ্টই। তবে মুমিনুল হকের দাবি, তার দল দারুণ চনমনে। ভেতরে-বাইরের সব চ্যালেঞ্জ সামলেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক।
- তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে ব্যাটিংয়ে একটু বেশিই প্রত্যাশা ছিল মুশফিকুর রহিমের কাছে। কিন্তু ডারবান টেস্টে দুই ইনিংসেই নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তবে প্রথম ম্যাচে তার রান না পাওয়া নিয়ে উদ্বেগের কিছু দেখছেন না মুমিনুল হক। অধিনায়কের আশা, পরের ম্যাচেই রানে ফিরবেন মুশফিক।
- দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে ভাবনাজুড়ে ছিল তাদের পেস আক্রমণ। বগুড়ায় ক্যাম্পে পেস বোলিং সামলানোর ভাবনায় কাজ করা হয়েছিল গতিময় ও বাউন্সি বল খেলা নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার পর কেপ টাউনের ক্যাম্পেও জোর ছিল পেস বোলিং খেলায়। কিন্তু প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনাশ হলো স্পিনে। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে স্পিনে এমন খাবি খাওয়ার ব্যাপারটি মানতেই পারছেন না অধিনায়ক মুমিনুল হক।
- সবশেষ ১০ ইনিংসে সাতবার যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ফিফটি কেবল একটি, ওই একবারই ছাড়াতে পারেন ত্রিশের ঘর। নিজের ওপর চাপ অনুভব করা অস্বাভাবিক নয়। তবে মুমিনুল হক বললেন, নিজের ফর্ম নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নন তিনি।
- স্রেফ ১৯ ওভারে ৫৩ রানে গুটিয়ে গেছে দল। পঞ্চম দিনে ইনিংস টিকেছে কেবল ৫৫ মিনিট। দুই স্পিনারে ধরাশায়ী পুরো দল। ডারবান টেস্টের শেষের এই ছবি মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে এই ধ্বংসস্তুপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী মুমিনুল হক। সতীর্থদের মানসিকভাবে আরও দৃঢ় হয়ে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে মাঠে নামার আহ্বান জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
- জয়ের আশায় বাংলাদেশ শুরু করেছিল টেস্ট। জয়ের আশাতেই শুরু হয়েছিল শেষ দিন। কিন্তু প্রথম ওভার থেকেই দুঃস্বপ্নের শুরু। ৫৫ মিনিটের ঝড়ে সব শেষ ধুলিস্যাৎ। ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২২০ রানের পরাজয়ে শুধু সিরিজেই পিছিয়ে পড়েনি বাংলাদেশ, ব্যাটিং ব্যর্থতায় রেকর্ড বইয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত কয়েকটি পাতায়ও উঠে গেছে তাদের নাম।
- ডারবান টেস্টে বড় ব্যবধানে হারার পর মুমিনুল হক অভিযোগ করলেন, মাঠে তাদেরকে বাজেভাবে গালাগাল করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা। মাঠের আম্পায়াররা সেদিকে ঠিকভাবে নজর দেননি বলেও দাবি বাংলাদেশ অধিনায়কের।
- দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডেতে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর ধরা দিয়েছে সিরিজও। এবার টেস্টে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙার পালা। লক্ষ্য পূরণে প্রক্রিয়া ঠিক রেখে করতে হবে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। আর সেজন্য পেসারদের বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার তাগিদ দিলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
- ৬ টেস্ট, ৫টিতেই ইনিংস ব্যবধানে হার। বাকি একটিতে কোনোরকমে ইনিংস হার এড়ানো গেছে, কিন্তু জুটেছে ৩৩৩ রানে হার। দক্ষিণ আফ্রিকায় আগের তিনটি টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের খতিয়ান এমনই বিব্রতকর। তবু এবার শুধু টেস্ট নয়, সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ এবং সেটিকে একদমই অবাস্তব মনে হচ্ছে না!
- টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে অনেক পুরনো অস্ত্র শর্ট বল। তাদের বিপক্ষে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সবসময়ই এটা ব্যবহার করে আসছে। কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়া, লুঙ্গি এনগিডিরা অনুপস্থিত থাকলেও ডুয়ানে অলিভিয়েরের নেতৃত্বাধীন পেস আক্রমণও ব্যাটসম্যানদের ঘায়েল করতে সেই পথেই হাঁটতে পারে। এতে দুর্ভাবনার কিছু অবশ্য দেখছেন না মুমিনুল হক। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, শর্ট বলের চ্যালেঞ্জ সামলাতে আগের চেয়ে অনেক ভালোভাবে প্রস্তুত তারা।
- ছয় টেস্টের সবকটিতেই হার, এর পাঁচটিতে ইনিংস ব্যবধানে। যে ম্যাচটিতে প্রতিপক্ষ দুবার ব্যাট করেছে, সেটাতেও দুই ইনিংস মিলিয়ে টপকানো যায়নি তাদের প্রথম ইনিংসের রান। পরিসংখ্যানের এসব তথ্যই ফুটিয়ে তুলছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হাল। তবে এই সংস্করণের সঠিক প্রক্রিয়াটা ঠিক রেখে এবার সেখানে ভাগ্য পরিবর্তনের আশা করছেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
- অনেকটা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রস্তুতি ক্যাম্পের আবহে শুরু হলো অনেক প্রতীক্ষার বাংলাদেশ টাইগার্সের পথচলা। বগুড়ায় মুমিনুল হক, সাদমান ইসলামদের দিনব্যাপী অনুশীলন দিয়ে শুরু হলো নতুন এই ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের যাত্রা।
- নিউ জিল্যান্ড থেকে এমন ফেরা আগে কখনও হয়নি বাংলাদেশ দলের। আগের সব সফরেই দল ফিরেছে সব ম্যাচ হেরে। এবার সেখানে টেস্ট সিরিজ ড্র করার অভাবনীয় প্রাপ্তি নিয়ে ফেরা! তবে সেই সাফল্যের স্রোতে ভেসে যাচ্ছেন না মুমিনুল হক। বরং দেশে ফিরেই বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলছেন, তিনি তাকিয়ে সামনের চ্যালেঞ্জগুলির দিকে।
- নিউ জিল্যান্ড সফরে দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন লিটন কুমার দাস। সিরিজের দুই টেস্টেই হেসেছে তার ব্যাট। এতে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৫তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
- কাগজে-কলমে আরও একটি ইনিংস বাকি তখনও। কিন্তু প্রথম ইনিংসেই রস টেইলরকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে মুমিনুল হক দিলেন এর ব্যাখ্যা। জানালেন, দলের সবার মিলিত সিদ্ধান্তেই বিদায়ী কিউই ব্যাটসম্যানকে প্রথম ইনিংসে সম্মান জানাতে চেয়েছিলেন তারা।
- অনেক প্রতীক্ষার পর এবার মিলেছে নিউ জিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে হারানোর স্বাদ। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের সেই জয় তাই পুরো বাংলাদেশের কাছেই অনেক আরাধ্য। দারুণ এই প্রাপ্তির মাঝে এতদিনের একটা সুবিধা হাতছাড়া হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে মুমিনুল হকের। এখন আর দেশের বাইরে কোনো দলকে অসতর্ক অবস্থায় পাওয়া যাবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।
- নিল ওয়্যাগনারের যে বাউন্সার সতীর্থদের জন্য ছিল বিভীষিকা, সেটাই লিটন দাসের জন্য যেন ছিল চারের আমন্ত্রণ। অনায়াসে চমৎকার সব পুল শটে মারছিলেন একের পর এক বাউন্ডারি। বাইরে থেকে সতীর্থরা ভাবছিলেন, এত সহজে কীভাবে খেলছেন লিটন। তার সাবলীল ব্যাটিং দেখে অধিনায়ক মুমিনুল হকের মনে হচ্ছিল, বাড়তি সময় পাচ্ছেন এই সতীর্থ।
- ব্যর্থতার বৃত্ত কাটানো জয়ের সঙ্গে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ১২ পয়েন্ট। নিউ জিল্যান্ডে প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজে হার এড়ানো। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে পেসারদের বোলিং, ক্রাইস্টচার্চে লিটন দাসের সেঞ্চুরি। বছরের প্রথম সিরিজে বাংলাদেশের প্রাপ্তি আছে বেশ কিছু। তবে এসব ছাপিয়ে মুমিনুল হকের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে, দেশের বাইরে জেতার বিশ্বাস।
- উচ্চতার জন্য কাইল জেমিসনের চোখে চোখ রাখা বাংলাদেশের যে কোনো ক্রিকেটারের জন্যই কঠিন। সবচেয়ে কঠিন সম্ভবত মুমিনুল হকের জন্য। তবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের এক পর্যায়ে সম্ভবত সেই চেষ্টাই করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ওই ছবি তুমুল আলোচনার জন্ম দিল অন্তর্জালে। যা নিয়ে এবার টুইট করলেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহেও।
- ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করার পর যে চিৎকার দিলেন মুশফিকুর রহিম, সেটাই বলে দিল অনেক কিছু। দেড় দশকে নিউ জিল্যান্ডে তো কম সইতে হয়নি তাকে। তারই জবাব যেন ছিল এই হুঙ্কার। তার শরীরি ভাষায় যেটা ফুটে উঠছিল, ম্যাচ শেষে সেটাই বললেন মুমিনুল হক। তার দেখা সবচেয়ে আবেগপ্রবণ মানুষ মুশফিক।
- অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের দেশ নিউ জিল্যান্ড। অপূর্ব সব লেক, সাগরে স্বচ্ছ স্ফটিকের মতো নীল জলরাশি, মাইলের পর মাইল জুড়ে সবুজ প্রান্তর আর ছোট-বড় পাহাড় মিলিয়ে প্রকৃতি যেন খুব যত্ন করে সাজিয়েছে দেশটি। সৌন্দর্যের সেই লীলাভূমিতেই বাংলাদেশের ক্রিকেট পেল ইতিহাসের সুন্দরতম দিন।
- বৃষ্টিতে আড়াই দিনের বেশি সময় ভেসে যাওয়া একটি ম্যাচে দুঃস্বপ্নের ব্যাটিংয়ে হারের পরপরই নিজেদের কঠিনতম গন্তব্যে একটিতে যাত্রা। সেখানে কোভিড জটিলতায় বেড়ে গেল কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ। এর ডামাডোলে হারিয়ে গেল একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। কোনো কিছুই ঠিক বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না। বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া নড়বড়ে এক দলকে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। মুমিনুল হক জানালেন, খালেদ মাহমুদের তৎপরতায় উজ্জ্বীবিত হয়েই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলতে নেমেছিলেন তারা।
- গতি সব সময়ই ছিল কিন্তু ছিল না নিয়ন্ত্রণ। বিচ্ছিন্নভাবে দুয়েকটা স্পেলে ঝলক দেখালেও বেশিরভাগ সময় ছিলেন অকার্যকর। উইকেট নেওয়ায় ব্যর্থতার সঙ্গে ছিল রান বিলানোর প্রবণতা। সব মিলিয়ে ১০ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্য টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে গড় ছিল তার। স্বাভাবিকভাবেই তাকে খেলানো নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। রেকর্ড রাঙা বোলিংয়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন ইবাদত হোসেন চৌধুরি।
- চতুর্থ দিনের মাঠের লড়াই তো শেষ হলো। হোটেলে ফিরে রাতে মুমিনুল হকের লড়াই শুরু হলো নিজের সঙ্গে। চোখের পাতা যে এক করাই মুশকিল! রোমাঞ্চ-উত্তেজনার শিহরণ, শঙ্কা-সম্ভাবনার দোলাচল, পরদিন কী হয় না হয়, সবকিছু মিলিয়ে রাতটা একরকম নির্ঘুম কাটে বাংলাদেশ অধিনায়কের। দলের সবার অবস্থাও নিশ্চয়ই কম-বেশি এমনই! ভেতরের সেই ঝড়কে দমিয়ে মাঠে নেমে শেষ দিনেও দুর্দান্ত পারফর্ম করে দল। ধরা দেয় অসাধারণ জয়। অধিনায়কের কণ্ঠে এখন তাই তৃপ্তির সুর, মুখে মধুর হাসি।
- ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেওয়া এক জয়। বাজে সময়ে স্বস্তির শ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া এক জয়। নিউ জিল্যান্ডের মাঠে ইতিহাস গড়া জয়। সময় এখন সাফল্য উপভোগ করার। কিন্তু মুমিনুল হক খুব ভালো করেই জানেন, কাজের কেবল অর্ধেক শেষ হয়েছে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই ম্যাচ ভুলে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট মনোযোগ দিতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
- প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রাপ্তি আছে। আশা জাগিয়ে পূরণ করতে না পারার আক্ষেপও আছে। দিনজুড়ে এমনই হর্ষ-বিষাদের নানা রঙের খেলা। তবে দিন শেষের সমীকরণে ড্রেসিং রুমে হয়তো বসছে হাসিমুখের মেলা। নিউ জিল্যান্ডে আরও একটি দিন কাটাল বাংলাদেশ তৃপ্তির হিল্লোল জাগানিয়া সুন্দর।
- কাইলে জেমিসনের বলে লিটন দাসের নান্দনিক ড্রাইভে তিন রান। সেশনের প্রথম বলেই যে ইঙ্গিত, পরের সময়টায় সেটি রূপ পেল পূর্ণতার। প্রথম সেশনের সব অস্বস্তি আর জড়তা পরের সেশনে গেল মিলিয়ে। লিটনের চোখ জুড়ানো সব শটের মহড়া আর মুমিনুল হকের চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় নিউ জিল্যান্ডকে হতাশ করে বাংলাদেশ কাটাল দুর্দান্ত এক সেশন।
- নিউ জিল্যান্ড দল ঘোষণার মধ্যেই ছিল বিপদের বার্তা। আগের টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেল যেখানে দলে নেই, সেখানে আছেন পাঁচ পেসার। তাদের চার জনই হয়তো খেলবেন প্রথম টেস্টে। বাড়তি বাউন্স ও সুইং আছে এমন উইকেটে কিউইদের পেস চতুষ্টয় নিয়ে দুর্ভাবনা থাকাই স্বাভাবিক। তবে এই চ্যালেঞ্জ জিততে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক মোটেও ভালো হয়নি। ঢাকা টেস্টে শূন্য দিয়ে শুরুর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬। তবে এই অনুজ্জ্বল শুরু দেখে মাহমুদুল হাসান জয়ের ওপর আস্থা হারাননি মুমিনুল হক। বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বরং তরুণ সতীর্থকে দেখেন অন্য উচ্চতায়। মুমিনুল মনে করেন, নিজেকে ঠিকঠাক মেলে ধরলে বাংলাদেশের পরবর্তী মহাতারকা হতে পারেন মাহমুদুল।
- ‘দল চূড়ান্ত হয়ে গেছে’, একাদশের প্রশ্নে হাসতে হাসতে বললেন মুমিনুল হক। তবে তা খোলাসা করতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। ম্যাচের আগের দিন বা আরও আগে দল বা একাদশ ঘোষণার যে রীতি ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার, কিংবা যে পথে এখন হাঁটছে ভারত, সেটির অনুসারী হতে নারাজ বাংলাদেশ। কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য বোলিং আক্রমণের সম্ভাব্য ছবিটা তুলে ধরার চেষ্টা করলেন।
- আলো ঝলমলে কিছু সংখ্যা। কিন্তু সেই আলোর গভীরে আঁধার। রেকর্ড ফুটিয়ে তুলছে উজ্জ্বল কিছু পরিসংখ্যান। কিন্তু সেসবের আড়ালে কেবলই অমানিশা। ২০২১ সালে হাতছানি ছিল অনেক অর্জন ও প্রাপ্তির, প্রতি বছরের মতোই সুযোগ ছিল সামনে এগিয়ে চলার। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট এ বছর ছিল উল্টো রথের যাত্রী।
- ভারতের ইন্দোরে মুমিনুল হক প্রথমবার টস করার পর পেরিয়ে গেছে দুই বছর। সাফল্য খরায় দীর্ঘ ক্লান্তিকর একটা যাত্রাই কেটেছে তার। শুরুটা করেছিলেন ইনিংস ব্যবধানের হার দিয়ে, চক্রপূরণ করে সেই জায়গাতেই আছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক।
- চেহারাতেই কখনও কখনও ফুটে ওঠে মনের ছবি। মুমিনুল হকের ক্ষেত্রে যেমন। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনেও বাংলাদেশ অধিনায়ককে মনে হচ্ছিল বিধ্বস্ত। পরে তার কণ্ঠেও প্রকাশ হলো হতাশা। পাশাপাশি অনুরোধ করলেন, দলের নতুনদের নিয়ে আরেকটু ধৈর্য ধরতে।
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও রানের জন্য এতটা মরিয়া দেখা যায়নি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিন শেষ বেলায় রানের জন্য যেন মরিয়া ছিলেন সবাই। নিচ্ছিলেন মস্ত বড় ঝুঁকি, এর মাশুল দিতে হয় উইকেট বিলিয়ে। বাংলাদেশের সেই ব্যাটিং বিস্মিত করেছে প্রায় সবাইকে। তবে তাদের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্নে অবাক বাংলাদেশ অধনায়ক মুমিনুল হক।
- টেস্ট ম্যাচে রান আউট এমনিতেই অনেক সময় মেনে নেওয়ার মতো নয়। আর সেটি যদি হয় ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে থাকার সময় অযথা ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিতে গিয়ে, তাহলে তা একরকম অপরাধের পর্যায়েই পড়ে যায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে এরকম রান আউটই হয়েছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষে নিজের দায়টা নিলেন মুমিনুল, মুশফিকের আউটের দায় দিলেন ভাগ্যকে।
- এত তাড়াহুড়ো পাকিস্তানও তো করেনি। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় বাবর আজমের দল শেষ দিকে টি-টোয়েন্টি ঘরানার ব্যাটিং করলেও অস্বাভাবিক লাগত না। তবুও তারা খেলে স্বাভাবিক ঢঙেই। আর যেখানে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ধীর-স্থির-সাবধানী ব্যাটিং, সেখানে আগ্রাসী ক্রিকেটের নেশায় স্বাগতিকরা ছুঁড়ে আসেন একের পর এক উইকেট। তাদের আউটের ধরন মানতেই পারছেন না ‘টিম ডিরেক্টর’ খালেদ মাহমুদ।
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু হওয়া দুর্দশা যেন কাটছেই না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে দুঃসময়ের হাওয়া নাড়িয়ে দিচ্ছে দেশের মাঠও। যেখানে সহজে কোনো সিরিজ হারে না বাংলাদেশ, সেখানেই এখন দুই সংস্করণে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার শঙ্কা। বিব্রতকর এই অভিজ্ঞতা এড়াতে তেতে থাকা বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষায় সামর্থ্য, স্কিল ও দৃঢ়তার আরেকটি কঠিন পরীক্ষা।
- দুই হাতে টেপ পেঁচানো এখনও। ক্ষত তাই মুছে যায়নি বলেই ধারণা করে নেওয়া যায়। তাসকিন আহমেদের বোলিং দেখে অবশ্য তা বোঝার উপায় নেই। মিরপুরে ইনডোরের পাশের নেটে আগুন ঝরালেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্তকে অস্বস্তিতে ফেললেন বারবার। তবে নেট আর ম্যাচের বাস্তবতা তো এক নয়। এজন্যই প্রশ্নটি উঠছে, মিরপুর টেস্টে খেলতে কতটা তৈরি তাসকিন।
- গত দেড় দশকে বাংলাদেশ অধিনায়কদের মধ্যে একটি চ্যালেঞ্জ অন্য যে কারো চেয়ে বেশি সামলাতে হয়েছে মুমিনুল হককে। আশি শতাংশ ম্যাচে তাকে একাদশ সাজাতে হয়েছে বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার ফেরায় এবার দারুণ কিছুর সম্ভাবনা দেখছেন মুমিনুল। দলে শক্তি বাড়ায় ও সঠিক ভারসাম্য ফিরে পাওয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে অধরা জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক।
- প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈম শেখের যা রেকর্ড, তাতে টেস্ট দলের দৃষ্টি সীমানাতেও ছিলেন না বাঁহাতি এই ওপেনার। বিস্ময়করভাবে তার দলে আসা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। এবার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, কিসের ভিত্তিতে অভাবনীয় ডাক পেয়েছেন নাঈম।
- মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটকে অনেক সময়ই মজা করে ‘ধানক্ষেত’ বলা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই কথা এবার উঠে এলো মুমিনুল হকের কণ্ঠে। উইকেটের আচরণ যেমনই হোক, সেটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানোর সুযোগ দেখেন না বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। তার মতে, ধানক্ষেতে ম্যাচ হলেও খেলতে হবে ভালো।
- ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি, দলের বিপর্যয়ে নেমে আগুনে বোলিংয়ের বিপক্ষে কী অসাধারণ এক ইনিংস লিটন দাসের! তাইজুল ইসলামও কম যান না। ধ্রুপদী বাঁহাতি স্পিনের অনুপম প্রদর্শনী। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের কীর্তি। লিটন ও তাইজুল চট্টগ্রাম টেস্টকে ভুলবেন না কখনোই। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট কি মনে রাখবে? বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে আলাদা কোনো জায়গা নিশ্চিতভাবেই থাকবে না এই টেস্টের।
- চট্টগ্রামে আগের টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুমিনুল হক। এবার সেঞ্চুরি করলেন লিটন দাস, ইনিংসে ৭ উইকেট নিলেন তাইজুল ইসলাম। তবে দুই ম্যাচেই ফল একই-হার। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন চিত্র দেখে আসা মুমিনুল মনে করেন, বিক্ষিপ্ত এসব ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ফলাফলের দিক থেকে বাংলাদেশের সত্যিকারের কোনো লাভ হয় না। টেস্ট অধিনায়কের মতে, দলীয় সাফল্যেই কেবল অর্থপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এসব অবদান।
- হেরে গেলেও চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট পছন্দ হয়েছে মুমিনুল হকের। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়েছেন, এমন উইকেটেই খেলতে চান তিনি। যেখানে ব্যাটসম্যানদের জন্য থাকবে সহায়তা।
- ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক বারবারই বললেন, চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। সেই ২২ গজেও ঠিকই আগুন ঝরা বোলিং উপহার দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলি। বাংলাদেশের দুই পেসার ইবাদত হোসেন চৌধুরি ও আবু জায়েদ চৌধুরি স্কিল ও কার্যকারিতায় ছিলেন না পাকিস্তানি পেসারদের সঙ্গে তুলনায় আসার মতোও। মুমিনুলের মতে, পেস আক্রমণে দুই দলের এই আকাশ-পাতাল ব্যবধান শুধু স্কিলে নয়, মানসিকতায়ও।
- টেস্টের আগের দিনই ১২ জনের দল জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সেখান থেকে একাদশ বুঝতেও খুব সমস্যা হয় না। এমনকি উইকেট দেখার অপেক্ষাও তারা করেনি এ দিন। বাংলাদেশ সেখানে উল্টো টেস্টের আগের সন্ধ্যায় স্কোয়াডে যোগ করেছে আরও দুজনকে। স্রেফ এক টেস্টেই এখন দলে ১৭ জনের বিশাল বহর! নিজেদের শক্তি ও পরিকল্পনা নিয়ে পাকিস্তানের স্বচ্ছতা আর বাংলাদেশের ধোঁয়াশায় থাকা যেমন ফুটে উঠছে এতে, তেমনি তুলে ধরছে দুই দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি, ভাবনা ও আরও অনেক বাস্তবতাও।
- এই বছর লিটন কুমার দাস ভুলে যেতে চাইবেন। বছরটা তিনি ধরে রাখতেও চাইবেন! এ বছর তিনি দেখিয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। সবচেয়ে বাজে বছরও তার এটিই! আলো-আঁধারের এই খেলা গোলমেলে ঠেকছে তো? সত্যি আসলে দুটি বাস্তবতাই। সাদা পোশাকে এবার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ চূড়ায় পা রেখেছেন লিটন। এবারই তলানিতে আছড়ে পড়েছেন রঙিন পোশাকে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
- টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসর কেটেছিল ভীষণ হতাশায়। প্রাপ্তি বলতে ছিল কেবল একটি ড্র। তলানিতে থেকে শেষ করা বাংলাদেশের নজর এবার উন্নতিতে। অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, অন্তত ছয় কিংবা সাতে থেকে দ্বিতীয় আসর শেষ করতে চান তারা।
- ম্যাচের আগের দিন উইকেট না দেখেই এক অধিনায়ক বলে দিলেন, ‘টিপিকাল বাংলাদেশ’ উইকেট হবে। আরেক অধিনায়ক, এই মাঠে ব্যাট হাতে নামলেই যিনি রানের জোয়ার বইয়ে দেন, তিনি উইকেট দেখে রায় দিলেন দারুণ ব্যাটিং সহায়ক হিসেবে। বাবর আজম নাকি মুমিনুল হক, জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের উইকেট শেষ পর্যন্ত সত্যি প্রমাণ করবে কার কথা?
- চোট সমস্যায় দলে নেই এক ঝাঁক ক্রিকেটার। সবার অভাবই অনুভূত হবে। তবে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের শূন্যতাই হয়ত বেশি ভোগাবে বাংলাদেশকে। অভিজ্ঞ এই দুই ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে নিজের ও মুশফিকুর রহিমের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
- লোকের মুখে ফুটছে খই। সমালোচনায় মুখর চারপাশ। ধেয়ে আসা সেই কথার ঝড় থেকে নিজেদের সামলাতে মুমিনুল হকের আপাতত দাওয়াই দুটি। কান বন্ধ রেখে বাইরের কথা ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া। আর নিজেদের আসল কাজে আরও মনোযোগী হওয়া, মাঠের ক্রিকেটেই নিজেদের নিবদ্ধ রাখা।
- ব্যাট হাতে আবারও জ্বলে উঠলেন মাহমুদুল হাসান। টানা দুই ম্যাচে উপহার দিলেন সেঞ্চুরি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে একই সম্ভাবনা জাগান মুমিনুল হকও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। তবে তাদের দারুণ পারফরম্যান্সে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে বড় লিডের পথে এগোচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
- এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মাঠে গড়াবে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। এর আগে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। সঙ্গে মাহমুদুল হাসানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।
- আগের দিন জাগানো সম্ভাবনাকে পূর্ণতা দিলেন ইয়াসির আলি রাব্বি। এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম সেঞ্চুরি এলো তার হাত ধরে। বড় ইনিংস খেলার সুযোগ হাতছাড়া করলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
- ব্যাট হাসছিল না, পাচ্ছিলেন না রানের দেখা। গত তিন ম্যাচে দুই অঙ্কে গিয়েও মোসাদ্দেক হোসেন খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। অবশেষে কেটেছে রান খরা। বাংলাদেশ এইচপি দলের বিপক্ষে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খেলেছেন তিনি ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ইনিংস। তার জ্বলে ওঠার দিনে ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
- ঠিক যেন আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। তানজিদ হাসান তামিম দারুণ ব্যাটিংয়ে আশা জাগালেন সেঞ্চুরির। কিন্তু আবারও কাছাকাছি গিয়ে আক্ষেপ সঙ্গী করে ফিরলেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ঝড়ো ইনিংস খেললেন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
- দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের বাইরে মুমিনুল হক। এবার ‘এ’ দলে সুযোগ পেয়ে মূল দলেও ফেরার দাবিটা জানিয়ে রাখলেন তিনি। হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি উপহার দিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। বিশ্বকাপ প্রস্তুতির অভিযানে মুশফিকুর রহিম খেললেন আরেকটি কার্যকর ইনিংস।
- অনিয়িমিত স্পিনার শাহাদাত হোসেন বল ফেললেন প্রায় মাঝ পিচে। নির্বিষ শর্ট বলটিকে অনসাইডে যে কোনো জায়গায় পাঠাতে পারতেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি সজোরে পুল করলেন বটে, কিন্তু বল গেল সোজা মিড উইকেট ফিল্ডারের হাতে! এমন আলগা বলে আউট হয়ে হতাশায় কোমরে হাত দিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন শান্ত।
- হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য চট্টগ্রামে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা, অধিনায়ক মুমিনুল হক তখন জিমে কসরত করছেন ঢাকায়। পারিবারিক কারণে তিনি যোগ দিতে পারেননি দলের সঙ্গে, প্রথম ম্যাচে তাই পারছেন না মাঠে নামতে। তবে পরের ম্যাচগুলো খেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না মোটেও। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করছেন ‘এ’ দলের সিরিজ খেলার জন্য।
- শিক্ষককে পিটিয়ে খুন: মামলায় জিতুর বয়স ১৬, র্যাব বলছে ১৯
- সিরাজগঞ্জে অস্ত্র হাতে ‘ভাইরাল’ সেই বায়েজিদ পিস্তলসহ গ্রেপ্তার
- বাঘাইড় বিক্রি করায় সুপার শপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
- পদ্মা সেতু: যশোর তাকিয়ে কালনা সেতুর দিকে
- বান্ধবীর সামনে ‘হিরো হতে’ শিক্ষককে পেটান জিতু
- জর্দার পোটলা নিয়ে হজে, ভোগালেন সহযাত্রীদেরও
- ‘ইউভেন্তুসে বেনজেমা-মদ্রিচের মতোই খেলবে দি মারিয়া’
- মুমিনুলকে আবার উইন্ডিজে দেখতে চান বিসিবি প্রধান
- পদ্মা সেতুর নাট খুলে গ্রেপ্তার ‘সাবেক শিবিরকর্মী’
- পদ্মা সেতুতে আবেগাপ্লুত ভারতের পর্যটক
- গ্রামীণফোনের নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
- পাহাড়ে সশস্ত্র দল; এই ‘বম পার্টি’ কারা?
- হারুনকে সংসদে ‘বাধা দেবেন’ রাঙ্গাঁ
- বিমানবন্দরে ২৩ লাখ সৌদি রিয়াল ফেলে পালালেন যাত্রী
- ‘হিরোগিরি দেখাতে গিয়ে’ শিক্ষক খুনের আসামি জিতু রিমান্ডে