- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শেষেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে সিঙ্গাপুরে গেছেন সাকিব আল হাসান। সেখানে পুরো শরীর পরীক্ষা করাবেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার।
- “আমরা তো বিশ্বের সবচেয়ে ফিট দল, সবচেয়ে বেশি সময় মাঠে আমাদেরই থাকতে হয়!”, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট চলার সময় সংবাদ সম্মেলনে মজা করে বলেছিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের সবসময়ের সেরা ক্রিকেটার বলে বিবেচিত এই অলরাউন্ডার পরে যোগ করেছিলেন, স্কিল বা শারীরিক ঘাটতির চেয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বড় সমস্যা মনস্তাত্ত্বিক। শুধু সাকিব নয়, কোচ রাসেল ডমিঙ্গো থেকে শুরু করে নানা সময়ে নানা জনই তুলে ধরেছেন এই দিকটি। ক্রিকেটারদের মানসিক সমস্যা সমাধানে এবার একটু ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিচ্ছে বিসিবি।
- মিরপুর টেস্টের স্কোরকার্ড দেখলে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, এই দলে মোসাদ্দেক হোসেনের ভূমিকা কী ছিল? ম্যাচ শেষে ব্যাখা পাওয়া গেল রাসেল ডমিঙ্গোর কাছ থেকে। ভূমিকা খোলাসা করার পাশাপাশি বাংলাদেশ কোচ এটাও জানিয়ে দিলেন, মোসাদ্দেককে নিয়ে তাদের চাওয়া পূরণ হয়নি খুব একটা।
- ম্যাচের পর ম্যাচ যায়, ইনিংসের পর ইনিংস গড়ায়। বদলায় না বাস্তবতা। ব্যাটিং ধস এখন বাংলাদেশের নিয়মিত চিত্র। কেন বারবার এমন হচ্ছে, উত্তর জানা নেই কোচ রাসেল ডমিঙ্গোরও।
- মুমিনুল হকের নেতৃত্বে সমস্যার কোনো কিছু দেখছেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তিনি চিন্তিত বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে। মুমিনুল প্রচণ্ড মানসিক চাপে আছে বলেও ধারণা তার। এসব নিয়ে দু-একদিনের মধ্যেই অধিনায়কের সঙ্গে লম্বা আলোচনা করবেন বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি।
- মুমিনুল হকের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন বাংলাদেশ দলের প্রায় সব সংবাদ সম্মেলনেই এখন যেন অবধারিত। উত্তরটাও জানা। বোর্ড প্রধান হোক বা কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, কিংবা সাকিব আল হাসানের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার, সবাই সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ককে। ডমিঙ্গো যেমন আরও একবার জানালেন আস্থা রাখার কথা। তবে মুমিনুল যে ভীষণ চাপে আছেন, এটা অবশ্য স্বীকার করে নিলেন বাংলাদেশ কোচ।
- লাঞ্চের পর খেলা মাত্র শুরু হয়েছে তখন। বাংলাদেশের ম্যাচ বাঁচানোর সম্ভাবনা জিইয়ে আছে ভালোভাবেই। লিটন দাস খেলছেন দারুণ আস্থায়। হঠাৎই দারুণ এক মুহূর্ত উপহার দিলেন আসিথা ফার্নান্দো। নিজের বলে লঙ্কান পেসার নিলেন অসাধারণ এক ক্যাচ। এরপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ইনিংস। ম্যাচ শেষে লঙ্কান কিপার-ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলা বললেন, ওই ক্যাচেই ঘুরে গেছে দিনের মোড়।
- আসিথা ফার্নান্দোর বলে উপড়ে গেল সৈয়দ খালেদ আহমেদের মিডল স্টাম্প। শূন্য রানে বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যানের বিদায়ে শেষ হলো দলের ইনিংস। একই সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত এক বিশ্বরেকর্ডেও নাম লেখা হয়ে গেল বাংলাদেশের। এক টেস্টে ৯ শূন্য!
- সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের শতরানের জুটিতে জেগেছিল আশা। দ্বিতীয় সেশন ঠিকঠাক কাটিয়ে দিতে পারলে হয়তো ম্যাচ বাঁচানোর পথে এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। আসিথা ফার্নান্দোর ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে এর ধারেকাছেও যেতে পারল না স্বাগতিকরা। তাদের হতাশায় ডুবিয়ে অনায়াসে মিরপুর টেস্ট জিতে সিরিজও জিতল শ্রীলঙ্কা।
- মিরপুর টেস্টে ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে সিরিজও জিতে নিল শ্রীলঙ্কা।
- সংবাদ সম্মেলন শুরুর পর নানা প্রান্তে কয়েক দফায় বেজে উঠল মোবাইল। বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজার অনুরোধ করলেন ফোন বন্ধ রাখতে। পাশ থেকে সাকিব আল হাসান তার দিকে তাকিয়ে বললেন, “জরিমানা করা যায় না?” হাসির রোল পড়ে গেল কক্ষে। সংবাদ সম্মেলন চলার সময় হুট করেই চোখ নাচিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে মুখে চওড়া হাসি নিয়ে বললেন, “অনেক দিন পর প্রশ্ন পেয়ে মজাই লাগছে…।”
- সিরিজ শেষের এক দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রথম পাওয়া গেল সাকিব আল হাসানকে। সিরিজজুড়ে ছিল তার বোলিংয়ের সাফল্যগাঁথা, তার বোলিং নিয়ে কত স্তুতি কত কথা। অথচ সিরিজ শুরুর আগের দিন বোলিং নিয়েই ছিল সবচেয়ে সংশয়। ফিটনেস নিয়ে ছিল প্রশ্ন। সাকিব খেললেন, সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন বল হাতেই। সিরিজের শেষ দিকে এসে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বললেন, নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল বলেই ‘চান্স’ নিতে ভড়কে যাননি তিনি।
- টেস্টে ব্যাটিংয়ের দ্বিতীয় ইনিংস আসলেই কী যেন হয়, এর উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। দলের বাইরে থেকে দেখে এবং এখনও ভেতরে এসেও বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারণটা বুঝতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। তাই শেষ দিনের উইকেট কেমন হবে, তার নিয়ে না ভেবে নিজেদের নিয়েই বেশি চিন্তায় দল। দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের ধসের অতীত ভাবনায় রেখে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার বললেন, উইকেট যতটা কঠিন বাংলাদেশের জন্য পরিস্থিতি এর চেয়েও বেশি কঠিন।
- চার বছর পর টেস্টে পাঁচ উইকেটের স্বাদ পাওয়া হলো। এবার কি তবে পাঁচ বছরের সেঞ্চুরি খরা কাটানোর পালা? প্রশ্ন শুনে সাকিব আল হাসান বললেন, আগে ম্যাচ তো বাঁচাতে হবে! মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস যদি শেষ দিন লাঞ্চ পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে পারেন, এরপর সাকিবের চাওয়া থাকবে নিজে যেন ঘণ্টা তিনেক সময় কাটানো পারেন ক্রিজে।
- চার বছর পর টেস্টে পাঁচ উইকেট পেলেন, মনে করিয়ে দিতেই সাকিব পাল্টা জানতে চাইলেন, এই সময়ে কয়টা টেস্ট খেলেছি? সময়ের দিক থেকে অনেক দীর্ঘ বিরতি মনে হলেও স্রেফ ৭ ম্যাচ পরেই বাঁহাতি এই স্পিনার পেলেন পাঁচ উইকেটের স্বাদ। তার সবশেষ দুই পাঁচ উইকেটের মধ্যে পাল্টে গেছে অনেক কিছুই। নিজেই বললেন, বোলিংয়ে এখন তার দায়িত্ব তো একটু কমই।
- ক্রিজে যাওয়ার পর ছটফট করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আরেক ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় তখনও ধাতস্ত হতে পারেননি। প্রথম দুই ওভারে দুইবার ‘বেঁচে’ যাওয়া ওপেনারের জন্য সময়টা ছিল বেশ কঠিন। এই সময়ে প্রয়োজন ছিল ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিং। সময় নেওয়া, নিজেদের সময় দেওয়া। কিন্তু শান্তর যেন ছিল বড্ড তাড়া। চেষ্টা করছিলেন ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেলের। এরই মাশুল দিতে হয় রান আউট হয়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই সময়ে শান্তর রান আউটটা ভীষণ বাজে ছিল বলেই মনে করেন সাকিব আল হাসান।
- দল পারফর্ম করতে ভুগছে, অধিনায়ক নিজে ব্যাট হাতে ধুঁকছেন। মুমিনুল হককে নিয়ে প্রশ্নগুলি তাই আরও উচ্চকিত হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ অধিনায়কের জন্য পরিস্থিতিটা এখন ভীষণ কঠিন, মানছেন সাকিব আল হাসানও। তবে অধিনায়ক হিসেবে এই মুহূর্তে মুমিনুলের বিকল্প কাউকে চোখেও পড়ছে না বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের।
- প্রথম ইনিংসের ভুল থেকে যেন কিছুই শিখেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। স্রেফ ১০ ওভারের মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসও পরিণত হলো ধ্বংসস্তূপে। সেখান থেকে দলকে বাঁচাতে আবার জুটি বেঁধেছেন প্রথম ইনিংসের দুই নায়ক মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।
- এক প্রান্তে অপেক্ষায় সাকিব আল হাসান, আরেক প্রান্তে ইবাদত হোসেন চৌধুরি। শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করার তাড়না ছিল, আর ছিল ব্যক্তিগত প্রাপ্তির হাতছানি। কার আগে হবে ৫ উইকেট! ইবাদতের ৫ উইকেটের অপেক্ষাটা বাংলাদেশ ক্রিকেটেরও। দেশের মাঠে কোনো পেসারের ৫ উইকেট নেই যে এক যুগ ধরে! শেষ পর্যন্ত সাকিব ঠিকই পারলেন, কিন্তু হলো না ইবাদতের ৫।
- মিরপুরে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টের চতুর্থ দিনের চ্যালেঞ্জে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ।
- মুহূর্তের উত্তেজনায় অতি উৎসাহী হওয়ার খেসারত দিতে হলো তাইজুল ইসলামকে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দিকে অযথা বল ছুঁড়ে মারায় শাস্তি পেতে হলো বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনারকে।
- স্কোরকার্ডে যে ছবি ফুটে উঠছে, তাতে ম্যাচে আপাতত এগিয়ে রাখা যায় শ্রীলঙ্কাকেই। লিড নেওয়ার সম্ভাবনাও তাদের আছে যথেষ্টই। আপাতত সেটিই তাদের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের রান পেরিয়ে যাওয়ার পর লক্ষ্য থাকবে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে যত দ্রুত সম্ভব লিড বাড়ানো, বললেন শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ নাভিদ নওয়াজ।
- গতি দিয়ে কাঁপিয়ে দিতে হবে প্রতিপক্ষের টপ অর্ডারকে। আগ্রাসী বোলিংয়ে বেঁধে দিতে হবে সুর। ইনিংসের যে পর্যায়েই বল হাতে পাবে, রাখতে হবে নিজের ছাপ। অ্যালান ডোনাল্ড ঠিক এই ভূমিকায় দেখতে চান ইবাদত হোসেনকে। বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ মনে করেন, টেস্ট দলে নিজের ভূমিকাটা জানেন ইবাদত।
- হতে পারেন তিনি পেস বোলিং কোচ, তবে স্পিনের অমন ভেল্কি তো অ্যালান ডোনাল্ডেরও মন রাঙায়! সাকিব আল হাসানের ফ্লাইট আর ড্রিফটে বিভ্রান্ত দিমুথ করুনারত্নে যখন বোল্ড হলেন, ডাগআউটে করতালিতে ফুটিয়ে তুললেন নিজের মুগ্ধতার ছবি। শুধু কী ওই ডেলিভারি! এই মিরপুর টেস্ট, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোটা সিরিজে সাকিবের দারুণ বোলিংয়ে ডোনাল্ডের মনে পড়ে গেল শিরোমণি শেন ওয়ার্নকে।
- কাঁধের চোটে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথে দেশে ফেরার পর থেকে মাঠের বাইরে আছেন তাসকিন আহমেদ। গতি, আগ্রাসন আর কার্যকারিতার জন্য এই পেসারের কথা খুব মনে পড়ছে অ্যালান ডোনাল্ডের।
- ইবাদত হোসেনের হাত ধরে দিনের দ্বিতীয় বলেই এলো উইকেট। এরপর ঝলক দেখালেন সাকিব আল হাসান। পরে চতুর্থ উইকেট জুটির প্রতিরোধও ভাঙলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তবে বল হাতে ভূমিকা রাখতে পারলেন না আর কেউ। বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে লিডের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
- দুই জনের সেঞ্চুরি, এক জনের ‘প্রায়’ সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের প্রতিফলন পড়েছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে। ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন তিন জনই। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও নাঈম হাসান।
- শক্ত অবস্থানে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করেছে সফরকারীরা।
- চোটের জন্য ম্যাচের আগে ছিটকে গেছেন কয়েকবার। ম্যাচের মাঝপথ থেকেও ছিটকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে একবার। হাল না ছেড়ে করে গেছেন কঠোর পরিশ্রম। এক দিকে চলেছে বোলিং আরও ধারাল করার কাজ, আরেক দিকে চলেছে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া। সবকিছু সফলভাবে করেই বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দ্যুতিময় কাসুন রাজিথা।
- সমুদ্রে পেতেছি শয্যা, শিশিরে কী ভয়! সমালোচনার স্রোতে সাঁতরে সামনে এগোতে হয়েছে লিটন কুমার দাসকে। এখন আর তাই এসব স্পর্শ করতে পারে না তাকে। তিনি বরং মগ্ন থাকেন প্রস্তুতি আর প্রক্রিয়া নিয়ে, বুঁদ থাকেন নিজের ক্রিকেটে।
- একজন মিডল অর্ডারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা। ইনিংস মেরামতের নিপুণ কারিগর। আরেক জনের জন্য ক্রিকেট মাঠের বাইশ গজ যেন ক্যানভাস। কব্জির মোচড়ে আঁকছেন শৈল্পিক সব ছবি। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠছেন ধারাবাহিকতার প্রতিশব্দ। দুই জনের জুটিতে নান্দনিকতা ও দায়িত্বশীলতা মিলে যায় এক বিন্দুতে। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে এই জুটির রসায়ন নিয়ে অনেক কথাই বললেন লিটন দাস।
- অনুশীলনে নিজেকে ভেঙে গড়া। নেটে নিমগ্ন থাকা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরানো। বিন্দু বিন্দু শ্রমের ফোঁটাগুলোই আজ ২২ গজে ফুটে উঠছে সাফল্যের ফুল হয়ে। নিজের সঙ্গে অনেক বোঝাপড়া করে, অনেক লড়াই করে এই নন্দনকানন গড়ে তোলার পালা চলছে, বলছেন লিটন কুমার দাস। তবে চাষবাসের গল্প তিনি আড়ালেই রাখতে চান।
- মিরপুরের উইকেটে দ্বিতীয় দিনও পেসারদের জন্য ছিল বেশ সহায়তা। তাই ইবাদত হোসেন ও সৈয়দ খালেদ আহমেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ দেখেন লিটন দাস। প্রথম ইনিংসে লিড নিতে এই কিপার-ব্যাটসম্যান চান, দুই পেসার আরেকটু বেশি দায়িত্ব নিক।
- হাতছাড়া হলো দুটি ক্যাচ। ক্যাচের মতো উঠলেও একবার একটুর জন্য গেল না হাতে। লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে ভেবে নেওয়া হলো না একটি রিভিউ। একবার ব্যাটসম্যান বাঁচলেন আম্পায়ার্স কলে। এই সব কিছু পক্ষে এলে দিনটি আরও ভালো হতে পারতো বাংলাদেশের। তা তো হলোই না, বরং বারবার বেঁচে যাওয়া দিমুথ করুনারত্নের ফিফটিতে একটু যেন এগিয়েই রইলো শ্রীলঙ্কা।
- দলের সফর শেষ হওয়ার আগেই সফর শেষ কামিল মিশারার। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে শ্রীলঙ্কার এই কিপার-ব্যাটসম্যানকে।
- দুটি বিশ্বরেকর্ড। দুটি পরস্পর সম্পর্কিত। একটি হতাশার রেকর্ড। সেই হতাশার মাঝেও গৌরবের কীর্তি আরেকটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে এভাবেই রেকর্ড বইয়ে নাম উঠে গেছে বাংলাদেশের।
- আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের কাছে প্রথম ঘণ্টা চেয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার চাওয়া পূরণ করতে পারেননি লিটন। তবে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যান মুশফিক। তার দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে সাড়ে তিনশ ছাড়ায় বাংলাদেশের সংগ্রহ।
- রেকর্ড ছিল হাতছোঁয়া দূরত্বে। তবে সেই অভিযান থেমে গেল ৫ বল পেছনে থেকেই। বাংলাদেশের তৃতীয় জুটি হিসেবে ৫০০ বল খেলা হলো মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের। কিন্তু সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ড হলো না লিটনের বিদায়ে।
- রেকর্ড স্পর্শ করতে প্রয়োজন ছিল ১ রান, ছাড়িয়ে যেতে ২। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ছোট্ট সেই দূরত্ব পাড়ি দিলেন লিটন দাস। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সাত নম্বরে সর্বোচ্চ ইনিংস এখন লিটন দাসের।
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামলেও শঙ্কার কিছু দেখছেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। আপাতত তার ভাবনা কেবল মুমিনুল হককে নিয়ে। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের রানে ফেরার জন্য তিনি প্রার্থনা করছেন বলেও জানালেন বিসিবি প্রধান।
- মিরপুরে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টের দ্বিতীয় দিনের চ্যালেঞ্জে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি বাংলাদেশ।
- কোনো চেষ্টাই যখন কাজে আসছিল না তখন একটা সুযোগ তৈরি করেছিলেন আসিথা ফার্নান্দো। কিন্তু লিটন দাসের ক্যাচ জমাতে পারেননি বদলি ফিল্ডার কামিন্দু মেন্ডিস। জীবন পেয়ে আর পেছনে তাকাননি লিটন, সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত ১৩৫ রানে। কামিন্দুর সেই ব্যর্থতা দিন শেষে পোড়াচ্ছে তার দলকে।
- ফর্ম, রান, ছন্দ, ধারাবাহিকতা, কোনো কিছুতেই আপাতত টেস্ট ক্রিকেটে লিটন কুমার দাসের ধারেকাছে নেই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। এমন একজন ব্যাটিং অর্ডারের ছয়-সাত নম্বরে নিয়মিত খেলায় উঁকি দিতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। তবে রাসেল ডমিঙ্গোর মতে, নিচের দিকে খেলাটা লিটনের ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক হচ্ছে। ভবিষ্যতে লিটন নিশ্চিতভাবেই ওপরের দিকে খেলবেন বলে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ।
- একের পর এক ইনিংসে ব্যর্থতা, পরিসংখ্যান আর যাবতীয় ক্রিকেটীয় বাস্তবতা বলছে, ব্যাট হাতে ছন্দহারা মুমিনুল হক। তবে রাসেল ডমিঙ্গোর ভাবনার ধরন ভিন্ন। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফর্মে নেই, এটা মানতে নারাজ কোচ। তার মতে, মুমিনুল স্রেফ রান পাচ্ছেন না। সেই রান শিগগিরই ধরা দেবে বলে বিশ্বাস ডমিঙ্গোর।
- দিনের প্রথম ৪২ মিনিট ছিল কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দোর। বাকি সময়ে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের রাজত্ব। দুই জনেই সেঞ্চুরি করে অপরাজিত। তবে কাজ শেষ হয়নি। দলকে ভালো অবস্থানে নিতে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় এই দুই জনকে অবিচ্ছিন্ন দেখতে চান বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
- দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে দল তখন খুব বিপদে। উদ্ধারের জন্য প্রয়োজন ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিং। ক্রিকেটের একদম মৌলিক বিষয়গুলো মেনে ক্রিজে পড়ে থাকা। তবে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞার কোনো ছাপ রাখতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। উচ্চাভিলাষী ড্রাইভের চেষ্টায় বোল্ড হয়ে তিনি ফেরেন দলের বিপদ বাড়িয়ে।
- সাত ওভারের মধ্যেই নেই ৫ উইকেট। ৪২ মিনিটের মধ্যে দলের অর্ধেক ব্যাটসম্যানকে হারানো বাংলাদেশের সামনে তখন এক সেশনেই গুটিয়ে যাওয়ার চোখ রাঙানি। সেখান থেকে কী দারুণভাবেই না দলকে টানলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। সেঞ্চুরি করলেন, রেকর্ড গড়লেন আর দলকে উপহার দিলেন স্বপ্নের দিন। তাদের সৌজন্যেই শুরুর মলিনতা ঝেড়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে বড় সংগ্রহের পথে ছুটছে বাংলাদেশ।
- টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২ মিনিটের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল বাংলাদেশ। সহজাত নান্দনিক ব্যাটিংয়ে সেখান থেকে দলকে কক্ষপথে ফেরান লিটন দাস। মিডল অর্ডারের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহিম খেললেন আরেকটি মাস্টারক্লাস ইনিংস। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে বাংলাদেশ।
- ২৪ রানে নেই ৫ উইকেট! সাম্প্রতিক সময়ে এমন ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে সৌধ রচনা করতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং ধসের টানে ইনিংস ৪৩, ৫৩ কিংবা ৮০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার উদাহরণ আছে। ঢাকাতেই ৬৩ বছর আগে গড়া রেকর্ড ভেঙে এবার তেমন কিছু হতে দিলেন না মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস।
- লাঞ্চের আগে শেষ ওভারে বুক চেপে ধরে মাঠ ছাড়েন কুসল মেন্ডিস। শুরুতে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চিকিৎসকদের কক্ষে নেওয়া হয় শ্রীলঙ্কার এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। পরে পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় হাসপাতালে।
- মিরপুরে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে শুরুর বিপদ কাটিয়ে দারুণভাবে প্রথম দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
- রেকর্ড-পরিসংখ্যান আর নানা তথ্য-উপাত্ত থেকে মিলবে ইঙ্গিত। সহকারী কোচের কাছ থেকে পাওয়া যাবে বাস্তব ধারণা। দুটি মিলিয়েই উপযুক্ত একাদশ গড়ছে শ্রীলঙ্কা, যে ১১ জন দলকে এনে দিতে পারবে জয়। কাজটি অবশ্য সহজ হবে না, মানছেন তাদের কোচ ক্রিস সিলভারউড। তবে কঠিন লড়াইয়ে উতরেই লঙ্কানরা পেতে চায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
- স্বাগতিকদের চাহিদা অনুযায়ী স্পিন মঞ্চ না বানালে চট্টগ্রাম টেস্টে ফল হওয়া বেশ কঠিন। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে সর্বস্ব দিয়েও সবসময় সেখানে সাফল্য পান না বোলাররা। মিরপুরের চিত্র আবার উল্টো। স্পিনারদের জন্য দারুণ সহায়তা থাকে বলে এখানে জয়-পরাজয়ের দেখা মেলেই। হাতের তালুর মতো চেনা মাঠে আবার নামার আগে আত্মবিশ্বাসী মুমিনুল হক। প্রিয় আঙিনায় জিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ঘরে তুলতে চান টেস্ট সিরিজ।
- “এমনও হতে পারে যে তিন পেসারও খেলতে পারে’, বেশ গম্ভীর কণ্ঠেই বললেন মুমিনুল হক। তবে হেসে ফেললেন পরমুহূর্তেই। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজেও জানেন, তার কথা অবাস্তব। একাদশে তিন পেসার থাকার ন্যূনতম সম্ভাবনাও নেই। মিরপুরে এক পেসার নিয়েও তো খেলেছে বাংলাদেশ। তবে এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই পেসার খেলবে এবং কোন দুই পেসার, তা অনেকটাই নিশ্চিত করে দিলেন মুমিনুল।
- সত্যিকার অর্থে ভালো কোনো বিকল্প নেই বলে অফ স্পিনার নাঈম হাসানের জায়গায় কাউকে নেয়নি বাংলাদেশ। তার জায়গায় খেলানো হতে পারে ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে। লাল বলে যদিও খুব একটা কার্যকর নয় তার অফ স্পিন। তাই অধিনায়ক মুমিনুল হক মনে করেন, শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক একাদশে থাকলে তাকে ব্যবহার করতে হবে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে।
- চোটে ছিটকে যাওয়া অফ স্পিনার নাঈম হাসানের পরিবর্তে কাউকে যোগ করা হচ্ছে না বাংলাদেশ দলে। বলা ভালো, টেস্ট স্কোয়াডে নেওয়ার মতো উপযুক্ত অফ স্পিনার পাওয়া যাচ্ছে না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে তাই ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে অনেকটা বিশেষজ্ঞ স্পিনারের ভূমিকায় চাইবে দল।
- চট্টগ্রামে থাকতেই শ্রীলঙ্কা দল জানিয়ে দিয়েছে, ঢাকায় এক পেসার আর তিন স্পিনার নিয়ে খেলবে তারা। বাংলাদেশের জন্য পরিস্থিতি হতে পারে উল্টো, দ্বিতীয় টেস্টে স্পিনে কমে যেতে পারে তাদের শক্তি! চোটের জন্য নাঈম হাসান ছিটকে যাওয়ায় এই শঙ্কা জেগেছে। বিকল্প হিসেবে কয়েক জনের নাম বিবেচনায় থাকলেও চট করে কারো নাম ঘোষণা করতে পারছে না বাংলাদেশ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে ব্যাটে-বলের দারুণ পারফরম্যান্সে সুযোগ পেতেই পারেন শুভাগত হোম চৌধুরি।
- সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান চেষ্টা করেছেন সাধ্য মতো। স্পিন ত্রয়ীর কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই মুমিনুল হকের। তবে চট্টগ্রাম টেস্টে পেসারদের আরও ভালো করার সুযোগ ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার মতে, শরিফুল ইসলাম ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ আরেকটু ভালো লেংথে বোলিং করলে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আরেকটু বাড়ত।
- শেষ পর্যন্ত নিষ্প্রাণ ড্র, তবে শেষ দিনের মাঝামঝি পর্যন্ত প্রাণ ছিল ম্যাচে। সময়ের সঙ্গে লড়াইটাও চলছিল। আর সঙ্গে উঁকি দিচ্ছিল একটি প্রশ্নও, চতুর্থ দিনে যদি আরেকটু চালিয়ে খেলত বাংলাদেশ! অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, একটা পর্যায়ে ওই ভাবনা ছিল তাদেরও। তবে লিটন দাস ও তামিম ইকবাল পরপর আউট হওয়ায় সেই ভাবনা থেকে সরে আসে দল।
- আগের দুই সফরেও চট্টগ্রামে টেস্ট জিততে পারেনি শ্রীলঙ্কা। সেই দুই ম্যাচেই হয়েছিল রান উৎসব। এবার ততটা রান না হলেও উইকেটের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করতে হলো বোলারদের। এই ম্যাচে ফল সম্ভব নয়, অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা দাবি করলেন, প্রথম দিনের খেলা দেখেই তারা বুঝতে পেরেছিলেন ম্যাচ ড্র হবে।
- দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মতো ধস চট্টগ্রাম টেস্টে নামেনি বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। তবে জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়েছে। এতে অবশ্য চিন্তার কিছু দেখছেন না মুমিনুল হক। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মনে করিয়ে দিলেন, একটি দলের সব ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলবে না।
- সবে মাত্র শেষ হলো প্রথম টেস্ট। পরের টেস্ট শুরু হতে এখনও বাকি তিন দিন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসবে শ্রীলঙ্কা দল। অনুশীলন করবে, মিরপুরের উইকেট দেখবে, এরপর না হয় আসবে একাদশের প্রসঙ্গ। বিস্ময়করভাবে এর অনেক আগেই শ্রীলঙ্কার পরিকল্পনা জানিয়ে দিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। চট্টগ্রাম টেস্ট শেষ হতে না হতেই বলে দিলেন পরের টেস্টের কম্বিনেশন।
- ম্যাচে তখন রোমাঞ্চের লেশমাত্র নেই। বরং অপেক্ষা, কখন ম্যাচের যবনিকা টানবেন আম্পায়াররা। হঠাৎই গ্যালারিতে গুটিকয় দর্শকের চিৎকার। জয় দেখে ফেলেছেন তারা! তবে ফলাফলের জয় নয়, বল হাতে মাহমুদুল হাসান জয়। তখন চলছে স্রেফ সময় কাটানোর পালা, ম্যাচে আর সমীকণের কিছুই নেই। তরুণ এই ব্যাটসম্যানের বোলিং প্রতিভা নাহয় উপভোগ করা যাক! কিন্তু পোড়া কপাল, এই বিনোদনও জুটল না। জয় এক বল করার পরই দুই অধিনায়ক মেনে নিলেন ড্র।
- ব্যাটিংয়ের সময় পাওয়া চোট মাঠ থেকে দূরে ঠেলে দিল বোলার শরিফুল ইসলামকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনে তো বটেই, তরুণ এই পেসার খেলতে পারবেন না মিরপুর টেস্টেও। দল থেকে ছিটকে গেলেন তিনি চার থেকে পাঁচ সপ্তাহের জন্য।
- টেস্টে কিপার-ব্যাটসম্যানদের কাজটি এমনিতেই কঠিন। উইকেটের পেছনে লম্বা সময় কাটানোর পর উইকেটের সামনেও বড় ইনিংস খেলার চ্যালেঞ্জ। স্কিল, মানসিকতা ও ফিটনেসে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় তাদের নিয়মিতই। সেটি যদি হয় চলতি চট্টগ্রাম টেস্টের মতো প্রচণ্ড গরমে, তাহলে তো জীবনীশক্তি প্রায় নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার কথা। লিটন কুমার দাস এই চ্যালেঞ্জ জয়ের রসদ খুঁজে পান ড্রেসিং রুমেই। দল তাকে যেভাবে গুরুত্ব দেয়, তাতে দারুণ অনুপ্রাণিত তিনি।
- দুর্দান্ত বোলিংয়ে আলো ছড়ালেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের ছোবলে একটা সময় জমে গিয়েছিল ম্যাচ। সম্ভাবনা জেগেছিল ফল বেরুনোর। কিন্তু নিরোশান ডিকভেলা ও দিনেশ চান্দিমালের চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞার ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ড্র হলো বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার চট্টগ্রাম টেস্ট।
- পরিসংখ্যানের দিক থেকে ক্যারিয়ারের মন্থরতম সেঞ্চুরি। ব্যাটিংয়ের ধরনের দিক থেকে নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে স্থিতধী ইনিংস। ক্যারিয়ারে সবচেয়ে ধীরস্থির ও নিয়ন্ত্রিত ইনিংসটিই হয়তো চট্টগ্রাম টেস্টে খেললেন মুশফিকুর রহিম। তবে সেই তিনিই ঝড় তুললেন সংবাদ সম্মেলনে। মাইক্রোফোনের সামনে উগড়ে দিলেন ক্ষোভ, হতাশা, আক্ষেপ সবকিছুই।
- ২৮২ বল আর ৭ ঘণ্টা ২৯ মিনিটের ইনিংস। অথচ রিভার্স সুইপ নেই একটিও। সাম্প্রতিক সমালোচনার কারণে নিজেকে এই শট থেকে দূরে রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম, এমন ভাবনা অমূলক নয়। তবে মুশফিক তা উড়িয়ে দিলেন। পরিস্থিতি দাবি করলে সামনেই এই শট আবার খেলতে দেখা যাবে বলেও নিশ্চিত করলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
- কয়েক মাস পরই পূর্ণ হবে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পথচলার ২২ বছর। এই লম্বা সময়ে কেবল একজন পেরেছেন পাঁচ হাজার রানের সীমানা ছুঁতে। দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই মাইলফলকে পা রেখে মুশফিকুর রহিম আশা প্রকাশ করলেন, পরের প্রজন্মের ব্যাটসম্যানরা যেন তাকে ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় আরও বহুদূরে।
- সাগরিকার ২২ গজে ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরিতে যখন বাংলাদেশের লিড বাড়িয়ে নিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তখন ঝড় তুলেছেন তার স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডি। স্ত্রীর কথায় ইঙ্গিত মুশফিকের বিদায়ের। পরে সংবাদ সম্মেলনে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান অবশ্য বললেন, যতদিন সম্ভব খেলে যেতে চান সব সংস্করণে।
- তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত থ্রো। তাইজুল ইসলামের দারুণ ডেলিভারি। নিষ্প্রাণ ম্যাচে খানিকটা প্রাণের সঞ্চার তার দুটি তাক লাগানো মুহূর্তে। মুশফিকুর রহিমের ধৈর্যশীল সেঞ্চুরি আর বাংলাদেশের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ম্যাচ গড়াচ্ছিল ড্রয়ের দিকে। কিন্তু তাইজুলের বাঁ হাতের ঝলকে শেষ বিকেলের মরে আসা আলোয় জেগে উঠল বাংলাদেশের আশা।
- শরীর তাক করে আসা বল গ্ল্যান্স করে মুশফিকুর রহিম ছুটলেন রান নিতে। তবে বেশিক্ষণ ছুটতে হলো না, বলই পেরিয়ে গেল বাউন্ডারি। ব্যস, হয়ে গেল সেঞ্চুরি। বোলার আসিথা ফার্নান্দোর খুব কাছেই তখন মুশফিক। মুষ্ঠিবদ্ধ হাত প্রবলভাবে বাড়িয়ে বোলারের দিকে তাকিয়ে তিনি ছুঁড়লেন হুঙ্কার। চোখ দিয়ে তখন যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে হচ্ছে আগুন।
- বয়সভিত্তিক পর্যায়ের ক্রিকেট খেলার দিনগুলিতে দুজন ছিলেন রুমসঙ্গী। সেই বন্ধুত্ব রয়ে গেছে এখনও। তবে এই চট্টগ্রাম টেস্টে চলছিল দুই বন্ধুর মধুর একটি লড়াই। কে আগে স্পর্শ করবেন ৫ হাজার? তামিম ইকবালের ক্র্যাম্প সুযোগ করে দেয় মুশফিকুর রহিমের সামনে। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তিনিই হয়ে গেলেন ‘প্রথম।’
- চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ২৯ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
- দুজনের কারও ব্যাটে রান নেই। উইকেটে তাদের বিচরণে নেই আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া। তবে তাদের ওপর দলের বিশ্বাসের কমতিও নেই। দলের সবাই ভরসা রাখছেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর। এবার এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কাঁধে আস্থার হাত রাখলেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
- উইকেট খুব বেশি নিতে না পারলেও বাংলাদেশকে দ্রুত রান তুলতে দেয়নি শ্রীলঙ্কা। তাতে রোমাঞ্চকর এক বাঁকে দাঁড়িয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট। প্রতিপক্ষকে আরেকবার অলআউট করতে যথেষ্ট ওভার রাখতে হবে বাংলাদেশের। এর জন্য রান তুলতে হবে দ্রুত। তাই চতুর্থ দিন স্বাগতিকরা ব্যাটিংয়ে কী পরিকল্পনা নিয়ে নামে, তা দেখতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউড।
- দুজনের ব্যাটিংয়ে মিল আছে সামান্যই। একজন ডানহাতি, আরেকজন বাঁহাতি। আলাদা তাদের পজিশন, ভিন্ন তাদের ঘরানা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও তামিম ইকবালকে এক বিন্দুতে মেলানো কঠিন। তবে এবার সাগরিকার ২২ গজে যেন দুজনের একই ছবি দেখতে পেয়েছেন জেমি সিডন্স। সেই ছবিটা শৃঙ্খলার। ছবিটা নিয়ন্ত্রণের। আত্মসংবরন ও দায়িত্বশীলতার।
- তিন উইকেট হারিয়েই দলের রান ছাড়িয়ে গেছে তিনশ। এক ব্যাটসম্যান দারুণ সেঞ্চুরি করে এখনও আউট হননি। ফিফটি পেরিয়ে যাওয়া অন্য তিন জনের দুজন অপরাজিত। দলের এমন ব্যাটিংয়ের দিনে দু-একজনের ব্যর্থতা চোখে পড়ার কথা নয়। তবে প্রেক্ষাপটই এমন যে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরির ঝলকানির পাশে নাজমুল হোসেন শান্তর ১ ও মুমিনুল হকের ২ রানের আঁধারও চোখে পড়ছে প্রকটভাবে।
- আসিথা ফার্নান্দোর শর্ট বলে দুর্দান্ত টাইমিংয়ে পুল শটে বাউন্ডারি। ৯৫ থেকে রান হলো ৯৯। শুধু কি ওই শট? ইনিংসজুড়েই তো কর্তৃত্ব আর দাপটের ছাপ। সেই আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়াতেই পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে তামিম ইকবাল পৌঁছে গেলেন সেঞ্চুরিতে। প্রত্যাশিত সেঞ্চুরি। চেনা ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি। তার নিজের জন্য কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরিও।
- চট্টগ্রাম টেস্টের আগে যখন এই সংস্করণে উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেয়েছিল বাংলাদেশ, তখনও দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের এখনকার স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ তখনও শ্রীলঙ্কা দলে খেলে যাচ্ছেন দাপটে। সেই ম্যাচে ছিলেন অধিনায়কও। এসবই বলে দিচ্ছে, কত আগের ঘটনা সেটি। মাহমুদুল হাসান জয়ের বয়স তখনও ১৬। সেই জয় আর চেনা মুখ তামিম ইকবালকে দিয়ে এতদিন পর কাটল খরা।
- চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় সকালে ৪ ওভার বোলিং করলেন বিশ্ব ফার্নান্দো। কিন্তু লাঞ্চের আগেই জানা গেল, তার জন্য এই টেস্ট শেষ। আগের দিন ব্যাটিংয়ের সময় হেলমেটে বল লাগার জের টানতে হলো তাকে পরদিন। বাঁহাতি এই পেসারের ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে ডানহাতি পেসার কাসুন রাজিথাকে দলে নিল শ্রীলঙ্কা।
- চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের লড়াইয়ে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
- সেটি ২০১৮ সালের জানুয়ারি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে চমক উপহার দিয়ে ডাকা হলো নাঈম হাসানকে। তিনি তখন ছিলেন নিউ জিল্যান্ডে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। জরুরি বার্তা পাঠিয়ে ১৭ বছর বয়সী অফ স্পিনারকে ডেকে পাঠানো হলো দেশে। সেবার অবশ্য খেলার সুযোগ হলো না। তবে ওই বছরের নভেম্বরে চট্টগ্রামেই টেস্ট ক্যাপ মাথায় উঠল। এরপর অভিষেক রাঙানো, ব্যর্থতায় দলে ও বোর্ডের চুক্তিতে জায়গা হারানো, কত কী হয়ে গেল! হতাশার অনেক প্রহর পেরিয়ে সেই নাঈম আজ আবার পাদপ্রদীপের আলোয়।
- আউট হওয়ার ঠিক পরপর এক রানের জন্য এক সমুদ্র আক্ষেপ থাকতে পারে। তবে মনের ভেতরের সেই উথাল-পাথাল ঢেউ নিস্তরঙ্গ হতে থাকে ধীরে ধীরে। সময়ের সঙ্গে প্রাপ্তির জোয়ারও প্রশান্তি বইয়ে দেয় হৃদয়ের অলিন্দে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস যেমন ভুলে গেছেন ১ রানের হতাশা। বরং ১৯৯ রান করতে পেরেই তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন স্রষ্টার প্রতি।
- সৈয়দ খালেদ আহমেদের বল ব্যাটের কানা ঘেঁষে জমা গড়ল লিটন দাসের গ্লাভসে। আবেদন করলেন না বাংলাদেশ দলের কেউ। কিপার লিটন দাস কিংবা অন্য কেউই শোনেননি কোনো শব্দ। দিন শেষে জানা গেল তাদের শোনা দূরের কথা, স্বয়ং ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও কোনো শব্দ শোনেননি। টের পাননি বলে ব্যাটের আলতো স্পর্শ।
- ২১ বলের মধ্যে চার উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার জন্য এক সময় সাড়ে তিনশ রানই মনে হচ্ছিল দূরের পথ। সেখান থেকে দলকে চারশ রানের কাছে নিয়ে যান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তবে চিত্রটা বড় করে দেখলে এই রানও যথেষ্ট মনে হচ্ছে না অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের। ৫০-৬০ রান কম হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে তার।
- ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের পুরোটাতেই বোলার সাকিব আল হাসানের পরিচয় ‘বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার।’ তবে গত কিছুদিনে মাঝেমধ্যে তিনি বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার বা ‘চায়নাম্যান’ বোলার রূপেও ধরা দিচ্ছেন। বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের বোলিংয়ে এই বৈচিত্র নজর কেড়েছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসেরও। চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা লঙ্কান ব্যাটসম্যান বলছেন, অভিজ্ঞতা থেকেই নতুন বৈচিত্র উপহার দিচ্ছেন সাকিব।
- শুরুতে একটু নড়বড়ে, পরে সাবলীল। কয়েক ওভার একটু অস্বস্তিময়, পরের ওভারগুলো গতিময়। শুরুর জড়তা ঝেড়ে ফেলে সময়ের সঙ্গে দারুণ ব্যাটিং করলেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়। দুজনের ব্যাটিংয়ে ছোট্ট একটি খরা কাটাল বাংলাদেশ। হাতছানি এবার আরও লম্বা খরা কাটানোর।
- অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস আউট হতেই বাংলাদেশের ফিল্ডাররা খানিকটা উদযাপন শেষে ঘিরে ধরলেন তাকে। তার সঙ্গে করমর্দন করলেন, পিঠ চাপড়ে দিলেন সবাই। শিকারি নাঈম হাসানও ছুটে গিয়ে অভিনন্দন জানালেন শিকারকে। কিন্তু ম্যাথিউসের কী তখন আর এসবে মন ভেজার ‘মুড’ আছে! সুবাস পেয়েও হারিয়ে ফেললেন ডাবল সেঞ্চুরি। নিজের ওপর রাগ, আফসোস, হতাশা সবকিছুই চেপে বসার কথা তার।
- পয়েন্ট ফিল্ডারকে সীমানা থেকে আনা হলো বৃত্তের ভেতরে, মিড অন ও মিড অফ ফিল্ডারও। বৃত্তের ভেতরেই মিড উইকেট থেকে সাকিব আল হাসানকে আনা হলো স্কয়ার লেগে, অধিনায়ক মুমিনুল হক দাঁড়ালেন শর্ট মিড উইকেটে। সব আয়োজন একটি কারণে, ওভারের শেষ বলে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে একটি রান করতে না দেওয়া। ম্যাথিউসও যেন চ্যালেঞ্জটা নিতে গেলেন। ৫৭৮ মিনিট ক্রিজে কাটানো ব্যাটসম্যান ধৈর্য হারিয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেললেন শট, আর পুড়লেন আক্ষেপে!
- চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৩২১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ, হাতে আছে ১০ উইকেট।
- সবুজ ঘাসের ছোঁয়া ছিল উইকেটে। পেসারদের জন্য একটু সুবিধাও ছিল। কিছুটা সুইং পেয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ। কিন্তু সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি তারা। পরে উইকেট হয়ে যায় ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ সহায়ক। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ধারণা, এই অবস্থা দুয়েক দিনের বেশি থাকবে না। এরপর সহায়তা পেতে শুরু করবেন স্পিনাররা। তাই শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের মনে হচ্ছে, প্রথম ইনিংসে বড় রান হবে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
- উইকেটে প্রাণের ছোঁয়া নেই। কন্ডিশনের স্বস্তি নেই। তাতেই কি রুদ্ধ সব দুয়ার? সাকিব আল হাসান দেখালেন, ক্রিকেট জানলে ও বুঝলে, স্কিল থাকলে ঠিকই পথ বের হয়। এমন নয় যে অসাধারণ কিছু করে ফেলেছেন তিনি। তবে প্রাণহীন উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হয়, সেটির আদর্শ নমুনা ঠিকই মেলে ধরলেন সাকিব। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের অন্য বোলাররা যা পারেননি খুব একটা।
- ৩৫ ওভার পেরিয়ে গেল। সাকিব আল হাসানকে বোলিংয়ে আনার নাম নেই। টুকটাক প্রশ্নেরা তখন উঁকি দিতে শুরু করেছে। মাত্রই কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন, এক দিনের অনুশীলনে কোনো বোলিং করেননি, ফিটনেস নিয়ে সংশয়। তবে কি…? প্রশ্নগুলো অবশ্য আর ডানা মেলতে পারল না। সাকিব বোলিংয়ে এসেই সব কথা থামালেন। দুর্দান্ত বোলিং করে দলের সেরা পারফরমারও হয়ে গেলেন। দিন শেষে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ বললেন, তার পুরোপুরি বিশ্বাস ছিল সাকিবের সামর্থ্যে।
- সারা দিনে কেবল চারটি উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। ক্রিজে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া দিনেশ চান্দিমাল এগিয়ে যাচ্ছেন ফিফটির দিকে। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচে একটু এগিয়েই শ্রীলঙ্কা। তবে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ দুই দলকে দেখছেন সমতায়।
- চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে একটু এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। তবে দুই সেশনে দুটি করে উইকেট নিয়ে তাদের চালকের আসনে বসতে দেয়নি বাংলাদেশ। ম্যাচ যেখানে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে দ্বিতীয় দিন দুই দলের সামনেই সুযোগ আছে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার। এর জন্য শ্রীলঙ্কাকে চারশ রানের নিচে থামাতে চায় বাংলাদেশ। আর সফরকারীরা চায় পাঁচশ রান।
- দিনের শেষ বলটি ব্লক করতেই তৃপ্তির ঝলক খেলে গেল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের চোখেমুখে। উইকেটের পেছন থেকে লিটন দাস ‘ফিস্ট বাম্প’ করলেন তার সঙ্গে। ছুটে এসে পিঠ চাপড়ে দিলেন মুশফিকুর রহিমও। ম্যাথিউস ব্যাট হাতে যা করেছেন, তাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের খুশি হওয়ার কারণ নেই। তবে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি, প্রথম সেশনে ক্রিজে যাওয়ার পর প্রচণ্ড গরমে দিনজুড়ে ব্যাটিংয়ের পর প্রতিপক্ষের এমন অভিনন্দনও তো প্রাপ্য!
- চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের চ্যালেঞ্জে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।
- টেস্টের আগের দিন অনেক সময় ছড়ায় কথার উত্তাপ। কখনও স্পর্শ করে নানা উত্তেজনার আঁচ। চলতে থাকে নানা সমীকরণ। এবার সেসব কিছুই নেই। আগ্রহের কেন্দ্রে যেন কেবল একজনই। অনুশীলনে সবার নজর সাকিব আল হাসানের দিকে। তিনি খেলবেন, নিশ্চিত হতেই যেন যাবতীয় কৌতূহলের সমাপ্তি। এমনকি দুই দলের অনুশীলনেও দেখা গেল না খুব জোর। বাংলাদেশের ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন, শ্রীলঙ্কার অনুশীলনেও দেখা গেল ঢিলেঢালা ভাব।
- এদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। তাই সব কিছু খুব ভালো করে চেনা ও জানা। কন্ডিশনেও নেই কোনো ধাঁধা লুকিয়ে। নিয়মিত সফর করায় মাঠের কোনো রহস্যের মুখে পড়ার শঙ্কাও নেই। তারপরও বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব ভালো জানাশোনা থাকা একজনকে পেয়ে বাড়তি সুবিধা দেখছেন করেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে।
- সাঁতরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বললেন তরুণী?
- পুলিশের সামনে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা: চলছে প্রতিবাদ
- প্রাথমিকে ছুটি ২৮ জুন থেকে, মাধ্যমিকে ৩ জুলাই
- উৎসবের মাহেন্দ্রক্ষণে মেয়ের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি প্রধানমন্ত্রী
- পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে এসে ‘সৌভাগ্যবান’ মনে করছেন জাফরুল্লাহ
- টোল দিয়ে পদ্মা সেতুর প্রথম যাত্রী শেখ হাসিনা
- যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আজ দুঃখের দিন: বাইডেন
- উত্তরপত্রে ‘মন ভালো নেই’ লিখে বিপাকে জগন্নাথ শিক্ষার্থী
- দৌড়েই পদ্মা সেতুতে উঠে পড়লেন তারা
- ঝড়ো দুই সেঞ্চুরিতে তামিম-ম্যাককালামদের সঙ্গী বেয়ারস্টো
- ইউক্রেইনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ‘নিজের গায়ে’ আগুন দিয়ে হাসপাতালে নারী চিকিৎসক
- বর্ণিল উৎসবে দুয়ার খুললো ‘গর্বের’ পদ্মা সেতু
- যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নিল সুপ্রিম কোর্ট
- রোববার থেকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল