পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্টে অর্ধশতক করে ভারতের কিংবদন্তি টেন্ডুলকারকে পেছনে ফেলেন মুমিনুল। টানা ১১ টেস্টে অর্ধশতকে রিচার্ডস, বিরেন্দর শেবাগ ও গৌতম গম্ভিরের পাশে বসেন তিনি।
ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে নিজের তুলনায় আপত্তি আছে মুমিনুলের, “আমিতো উনার আশেপাশে নেই। আপনারাই জানেন, উনি সব ফরম্যাটেরই রাজা। আমি মনে করি না যে, আমি উনার প্রতিদ্বন্দ্বী।”
২০১২ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১২ ম্যাচে অর্ধশতক করে রেকর্ড গড়েন ডি ভিলিয়ার্স।
ভারতের বিপক্ষে ফতুল্লায় একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বুধবার শুরু হতে যাওয়া সেই ম্যাচে সবার প্রত্যাশা মেটাতে এই রেকর্ড স্পর্শ করতে চান মুমিনুল, কারো পাশে বসার জন্য নয়।
“কার পাশে বসব কি বসব না, আসলে সেটা নিয়ে চিন্তা করছি না। … দেশের মানুষ যেভাবে প্রত্যাশা করে আর আমার যা লক্ষ্য, তা অর্জন করার চেষ্টা করব।”
২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে খেলা টানা ১১ ম্যাচের যে কোনো এক ইনিংসে অন্তত পঞ্চাশ রান করেন মুমিনুল।
ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণে নিয়মিত রান পাওয়া মুমিনুল এখন ‘টেস্ট বিশেষজ্ঞ’। অন্য ধরনের ক্রিকেটে রান না পাওয়ায় আপাতত শুধু টেস্টেই খেলতে হচ্ছে ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানকে। তবে নিজের ভুল-ত্রুটি ঠিক করে এখনও সব সংস্করণে খেলার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
“যদি আমি ভালো করতে পারি, সেক্ষেত্রে আমি ভালো সুযোগ পাব। এখন এটা নিয়ে যদি আমি বেশি চিন্তা করি, তাহলে সবকিছুই হারাব।”
এখন পর্যন্ত খেলা ১৪ টেস্টের শুধু একটিতে অর্ধশতক পাননি মুমিনুল। সেটি ছিল তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচের দুই ইনিংসে ২৩ ও ২৯ রান করেন তিনি। এর পর প্রতি ম্যাচেই অর্ধশতক পেয়েছেন তিনি।
মুমিনুলের ১৩টি পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংসের ৪টিই তিন অঙ্ক পেরিয়েছে।