সাকিব আল হাসান, ৫/৬২, চট্টগ্রাম
সিরিজের প্রথম দিনেই ভারতকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ- প্রথমে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে; পরে প্রথম ইনিংসে ভারতকে ২৪৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেই সময়ের অধিনায়ক সাকিব।
সাকিবের দেওয়া ওই ৬২ রানের ৪৫ রানই ছিল অপরাজিত সেঞ্চুরি করা শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটে। বাকি কাউকেই পাখা মেলতে দেননি সাকিব।
মুশফিকুর রহিম, ১০১, চট্টগ্রাম
২৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েও ভারত সেবার প্রথম ইনিংসে শেষ পর্যন্ত লিড পেয়েছিল ১ রানের। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৩ রান তুলে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে দেয় ৪১৫ রানের লক্ষ্য। স্বাভাবিক ভাবেই পাহাড়সম রান টপকাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে ওই ব্যর্থ রান তাড়াই দারুণ স্মরণীয় হয়ে আছে মুশফিকের রহিমের জন্য। ওই ইনিংসেই মুশফিক পেয়েছিলেন বহু আরাধ্য প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।
তামিম ইকবাল, ১৫১, মিরপুর
ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে দুই ইনিংসেই আউট হয়েছিলেন থিতু হয়ে (৫২ ও ৩১)। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মিরপুরে আউট শূন্য রানেই। তামিমের কাছে তাই একটা বড় ইনিংস পাওনা ছিল দলের। তামিম নিজেও নিশ্চয়ই অনুভব করছিলেন তাগিদ। সেই উপলব্ধিই ফুটে উঠেছিল যেন ব্যাটিং বিস্ফোরণে।
এবার ফতুল্লা
শুধু গত সিরিজেই নয়, ভারতের বিপক্ষে বরাবরই উজ্জ্বল এই তিনজন। ২০০৭ বিশ্বকাপের সেই ভারত-বধ মহাকাব্যের অন্যতম তিন নায়ক তারা। ২০১২ এশিয়া কাপে শচীন টেন্ডুলকারের শততম সেঞ্চুরির ম্যাচে ভারতকে হতাশায় ডোবানোর নায়কও তারা তিনজন। সাদা পোশাকে ভারতের বিপক্ষে তিনজনের ব্যক্তিগত সাফল্য এলেও দেখা মেলেনি দলীয় সাফল্যের। ফতুল্লায় সিরিজের একমাত্র টেস্টে সেই খরা ঘোচানোর সুযোগ এসেছে এবার।
ভারতের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট সিরিজের সময় সাকিব আল হাসানের বয়স ছিল ২২, তখনই ছিলেন দলের অধিনায়ক। মুশফিকুর রহিমেরও বয়স ছিল ২২, তামিম ইকবালের ছিল ২০। সেবার থেকে এবার, শুধু বয়সই বাড়েনি তিনজনের, যোগ হয়েছে আরও ৫ বছরের ক্রিকেট অভিজ্ঞতা। তিন জনই এখন অনেক পরিণত। সময়ের পরিক্রমায় তিনজনই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের তিন স্তম্ভ। এবার তাই শুধু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে আলো ছড়ানো নয়, সেই আলোয় দলকে আলোকিত করার পালা।
পাকিস্তান সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করা তামিমের জন্য সুযোগ নিজেকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার। ওই সিরিজটায় ম্লান থাকা সাকিব ও মুশফিকের জন্য সুযোগ আবার জ্বলে ওঠার। নিজ আঙিনায় যখন ভারত, জ্বলে ওঠার জন্য এর চেয়ে আদর্শ উপলক্ষ আর কী আছে।