বুধবার বাংলাদেশ সফরের জন্য কোহলির নেতৃত্বে টেস্ট ও ধোনির নেতৃত্বে ওয়ানডে দল ঘোষণা করে ভারত। অতিথিদের দল দেখার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় মাশরাফি জানান, প্রতিপক্ষের সেরা দলই চেয়েছিলেন তারা।
“সবাই আশা করছিল তাদের সেরা দলটা আসুক। আমরা জানতাম, ভারতের যে দলই আসুক একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে। যেহেতু পুরো দলটা এসেছে সেহেতু চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি।”
গত বিশ্বকাপে খেলা দলটির ওপরই আস্থা রেখেছেন ভারতের নির্বাচকরা। এই দলটির কাছেই হেরে ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। চোটে পড়া মোহাম্মদ সামির জায়গায় ভারতের ওয়ানডে দলে এসেছেন ধাওয়াল কুলকার্নি।
গত বছর তিনটি ওয়ানডে খেলতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ভারত দল। ধোনি, কোহলিসহ নিয়মিত একাদশের বেশিরভাগকে বিশ্রাম দিয়ে সুরেশ রায়নার নেতৃত্বে তরুণ একটি দল পাঠিয়েছিল তারা। এবার পূর্ণ শক্তির দল পেয়ে ভালো করতে উন্মুখ হয়ে আছেন মাশরাফি।
“পুরো দল না এলে একটা বাড়তি চাপ থাকে সব সময়, ওদের আসল দল আসেনি। এখন তো অন্তত এ প্রশ্নটা হবে না। আমাদেরও ভালো খেলার একটা প্রেরণা থাকবে। ওদের আসল দলের সাথে ভালো করলে অনেক ভালো লাগবে।”
“আমার চোখে ওদের এই দলটা শক্তিশালী। বিশ্বকাপে ওরা সেমি-ফাইনাল খেলেছে, এটাই ওদের সেরা দল। কাজটা অনেক কঠিন,” যোগ করেন অধিনায়ক।
একটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে ৭ জুন বাংলাদেশে আসছে ভারত। ১০ জুন থেকে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শুরু হবে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ। ১৮, ২১ ও ২৪ জুন দিবা-রাত্রির তিনটি ওয়ানডেই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।