বুধবার বাংলাদেশ সফরের জন্য পূর্ণ শক্তির টেস্ট ও ওয়ানডে দল ঘোষণা করে ভারত। অতিথিদের ওয়ানডে দল দেখার পর মাশরাফির ধারণা, এবারের সিরিজ বাংলাদেশের বোলারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
“আমরা ওদের কত রানে আটকে রাখতে পারি, সেটা দেখার বিষয়। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ওদের যে ব্যাটিং অর্ডার দেখছি, আমাদের বোলারদের খুব ভালো বোলিং করতে হবে।”
গত বিশ্বকাপে খেলা দলটির ওপরই আস্থা রেখেছেন ভারতের নির্বাচকরা। দলে একমাত্র পরিবর্তন, চোট পাওয়া মোহাম্মদ সামির জায়গায় ধাওয়াল কুলকার্নির জায়গা পাওয়া।
“আমাদের বোলারদের অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে হয়তো ব্যাটসম্যানদেরও সমান চ্যালেঞ্জ থাকবে। কিন্তু ভারতের সাথে আমাদের বোলারদের চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি।”
পাকিস্তানকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে উড়তে থাকা বাংলাদেশকে এবার সাফল্যের জন্য কেন বোলারদের দিতে তাকিয়ে থাকতে হবে তার ব্যাখ্যাও দিলেন অধিনায়ক।
গত বছরের জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে তিন জন পেসার নিয়ে সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ ও পাকিস্তানের বিপক্ষেও সফল ছিলেন মাশরাফি, রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। ভারতের বিপক্ষেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী মাশরাফি।
“গত দুই তিনটা সিরিজে পেস বোলাররা যেভাবে ভালো বোলিং করেছে, তার থেকে এবার আরেকটু ভালো করতে হবে। ভারতের এই ব্যাটিং অর্ডারই কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে ৩০০, ২৮০, ২৭০ রান করেছে। (মিরপুরের) এই উইকেটে তো ৩২০, ৩৩০ রান এমনিই হয়।”
অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডে হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ভারতের কাছেই হেরে বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ।
একটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে ৭ জুন বাংলাদেশে আসছে ভারত। ১০ জুন থেকে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শুরু হবে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ। ১৮, ২১ ও ২৪ জুন দিবা-রাত্রির তিনটি ওয়ানডেই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।