ব্যাটসম্যানরা ছন্দে না থাকায় ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষাই করছিল বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ-মুশফিকদের দৃঢ়তা ভরা ব্যাটিংয়ের পর সেই পথ থেকে ফিরে অনেকটাই সুস্থির এখন বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার।
বিশ্বকাপে কে কখন ব্যাট করবেন বা কোন পরিস্থিতি ব্যাটিং অর্ডার কি হবে তা ঠিক করতে জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বাংলাদেশ। গত বছরে ৫-০ ব্যবধানে জেতা সেই ওয়ানডে সিরিজে তিনে মুমিনুল হক ও চারে মাহমুদুল্লাহকে খেলানোর সিদ্ধান্ত এক রকম চূড়ান্ত করে তারা।
বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করার পেছনে একটু রক্ষণাত্মক মানসিকতা রয়েছেই। গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিক ও সাকিব। বিপর্যয় ঠেকাতে দলের সেরা এই দুই ব্যাটসম্যানকে পাঁচ ও ছয় নম্বরে খেলাচ্ছে বাংলাদেশ।
দলের প্রয়োজনে যে কোনো জায়গায় ব্যাট করতে প্রস্তুত মুশফিক, সাকিব। তবে দুই জনই ওপরের দিকে ব্যাটিংয়ের আগ্রহের কথা কয়েকবারই জানান।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে নয় নম্বরে খেলেন মুমিনুল। পরের ম্যাচে চারে ব্যাট করতে নামেন। এই দুই ম্যাচেই রান না পাওয়ায় পরের ম্যাচে বাদই পড়ে যান মুমিনুল।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুমিনুল চারে খেলায় মুশফিককে ব্যাট করতে হয় সাত নম্বরে। স্বাভাবিক ভাবেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে আবার পরিবর্তন আসে ব্যাটিং অর্ডারে।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিনশ’ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জেতা ম্যাচে তিনে মাহমুদুল্লাহ, চারে সাকিব ও পাঁচে মুশফিক ব্যাট করেন। সেই ম্যাচে তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করেন সৌম্য সরকার। এই ব্যাটিং অর্ডারকেই বাংলাদেশের জন্য আদর্শ মানছেন অনেকে।
ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য এই ব্যাটিং অর্ডার রাখেনি বাংলাদেশ। তবে টানা দুই ম্যাচেই ইমরুল কায়েস ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক। এবারের আসরে বাংলাদেশের পাঁচ উদ্বোধনী জুটি এমন- ৪৭, ০, ৫, ৩, ৪।
‘ফিনিশার’ নাসির হোসেনের জায়গায় এসে আস্থার সঙ্গে খেলছেন সাব্বির। বিশ্বকাপে ৩৮ গড়ে ১৫২ রান করেন এই তরুণ। পেছনের দিকে নির্ভরতা যোগাচ্ছেন সাব্বির আর শুরুতে সৌম্যর পাল্টা-আক্রমণে আস্থা পাচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্টে সৌম্য ২৯.২০ গড়ে করেছেন ১৪৬ রান।