মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভার পর সভাপতি নাজমুল হাসান জানান, আন্তজাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কমিয়ে আনা হয়েছে। এই সময়ের পর দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলতে কোনো বাধা নেই তার।
তবে দেশের বাইরের টুর্নামেন্টে সাকিবের খেলার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রেখেছে বিসিবি। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাইরের কোনো টুর্নামেন্টে তাকে খেলার জন্য ছাড়পত্র দেবে না দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
সাকিব আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেন। দলটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারবেন না তিনি। বিদেশে খেলার ওপর বর্তমান নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকলে আইপিএলের আগামী আসরে খেলতে পারবে না সাকিব।
নিষেধাজ্ঞার কারণে সম্প্রতি শেষ হওয়া ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) খেলতে ঢাকা ছাড়ার পরও ফেরত আসতে হয় সাকিবকে।
তবে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে সাকিবের আচরণে সন্তুষ্ট বিসিবি। বোর্ড সভাপতি জানান, আপাতত আরো কিছু দিন সাবেক এই অধিনায়ক বিসিবির পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
“খেলা শুরুর পরও সাকিব আমাদের পর্যবেক্ষণে থাকবে। তবে তার উন্নতি হলে বোর্ড বাকি শাস্তিটুকুও কমিয়ে আনতে পারে।”
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলতে কোনো বাধা নেই সাকিবের। অক্টোবর-নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরোয়া সিরিজেও খেলতে পারেন এই অলরাউন্ডার। তবে নির্বাচকরা চাইলে এশিয়ান গেমসের জন্যও সাকিবকে বিবেচনা করতে পারেন বলে জানান বিসিবি সভাপতি।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে শুরু হবে এশিয়ান গেমস। এরই মধ্যে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।