এর মধ্যে পাঁচ বছর নিষেধাজ্ঞা কাটাতেই হবে ২৯ বছর বয়সী আশরাফুলকে। এই সময়ে বিসিবি, আইসিসি ও এসিসির শিক্ষা ও পুনর্বসান কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করলে শেষ তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে বিসিবি।
গত বছরের মে থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ ছিলেন এই ব্যাটসম্যান। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞার এক বছর কাটানো হয়ে গেছে তারা। অন্তত ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হবে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ককে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের প্রধান সাবেক বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর দায়ে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে আশরাফুলকে। সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও দিতে হবে তাকে।
শাস্তির রায় পাওয়ার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আশরাফুল বলেন, “আশা করি, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরতে পারবো।
শর্ত সাপেক্ষ হলেও তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা রদের সুযোগ থাকায় পাঁচ বছর নিষিদ্ধ থাকতে হবে বলে মনে করছেন আশরাফুল। “পাঁচ বছর ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হবে। আশা করি সেই পর্যন্ত ফিটনেস ধরে রাখতে পারবো।”
আগামী ২১ দিনের মধ্যে বিসিবির ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের প্রধান সাবেক বিচারপতি আব্দুর রশিদের কাছে আপিল করার সুযোগ রয়েছেন ফিক্সিংয়ের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি পাওয়া চারজনের। সেই সুযোগ নেবেন বলেই জানান আশরাফুল। তবে তরুণ প্রজম্মকে তার মতো ভুল না করার কথা বলেন তিনি।
“এটি সবার জন্য উদাহরণ হয়ে থাকল, আশা করি, এই ফাঁদে আর কেউ পা দেবে না।”
২০০১ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় আশরাফুলের। সেই বছরই সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে গড়েন ইতিহাস। দ্বিতীয় ইনিংসে শতক করে পাকিস্তানের মোশতাক মোহাম্মদকে (১৭ বছর ৭৮ দিন) পেছনে ফেলেন তিনি। মুত্তিয়া মুরালিধরনদের বিপক্ষে তিন অঙ্কে পৌঁছানোর সময় আশরাফুলের বয়স ছিল ১৭ বছর ৬১ দিন।