শাস্তি মেনে ক্রিকেটে ফিরতে চান আশরাফুল

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানো নিয়ে তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে শেষবার মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে কথা বলেছে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ও নিরাপত্তা ইউনিট বা আকসু। আশরাফুল তাদের জানিয়েছেন, শাস্তি মাথা পেতে নিয়েই আবার ক্রিকেটে ফিরতে চান তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2013, 07:15 AM
Updated : 13 August 2013, 08:55 AM

মঙ্গলবার সকালে র‌্যাডিসন ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ম্যাচ পাতানো নিয়ে আগেই স্বীকারোক্তি দেয়া আশরাফুলকে অনুসন্ধানের ফল সম্পর্কে জানান আকসুর তদন্ত কর্মকর্তা অ্যালেন পিকক ও আইসিসির আইনি বিভাগের প্রধান ইয়ান হিগিন্স।

বিকেলে বিসিবির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে তদন্তের ফল জানাবে আকসু; জানা যাবে বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে কারা জড়িত ছিল।

প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন আইসিসি পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল, যাতে ইয়ান হিগিন্স ও অ্যালেন পিকক ছাড়াও আছেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন, আকসু প্রধান ওয়াই পি সিং ও আইসিসির প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা সামিউল হাসান।

আকসু কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল জানান, তিনি আগে যা বলেছেন তার বেশি নতুন করে কিছু বলেননি। আকসু কর্মকর্তারা তাকে তদন্তের ফল নিয়ে জানিয়েছেন।

পাপের স্বীকারোক্তির জন্য যে বড় শাস্তি আসছে তা জানেন সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক। তবে আবার ক্রিকেটে ফিরে আসতে চান তিনি।

"আমি শাস্তি কমানো নিয়ে কোনো অনুরোধ করিনি। তবে আমি চাই আমি যেন ফিরে আসতে পারি।"

ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে বাংলাদেশের কারা কারা জড়িত তা সাংবাদিকদের বলেননি আশরাফুল। তাদের প্রতি আশরাফুল আহ্বান জানিয়েছেন সত্যি কথা বলতে। এতে তাদের নিজেদের পাশাপাশি ক্রিকেটেরও উপকার হবে বলে তিনি মনে করেন।

বিকাল সাড়ে ৩টায় হোটেল রেডিসনে আইসিসি ও বিসিবির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডস। সোমবার রাতেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে প্রতিবেদন সম্পর্কে জানায় আকসু প্রতিনিধি দল।

বিপিএলের দ্বিতীয় আসরকে বাজিকরদের কালো থাবা থেকে বাঁচাতে আকসুকে তলব করে বিসিবি। ফাইনালের পরদিনই কয়েকটি ম্যাচ এবং ক্রিকেটারসহ কয়েকজনের আচরণ সন্দেহজনক বলে প্রতিবেদন জমা দেয় তারা। সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পর ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকায় অধিকতর তদন্তের জন্য আকসুর সঙ্গে চুক্তি করে বিসিবি।

আকসুর প্রতিবেদন দেয়ার সময়সীমা বেশ ক’বার বাড়ানো হয়। নতুন নাম যোগ হওয়ায় বাড়ে তদন্তের ব্যাপ্তিও। তদন্তের জন্য অন্তত ছ’বার বাংলাদেশ সফর করে আকসুর প্রতিনিধি দল। খোদ আইসিসির বোর্ড সভায়ও অধিকতর তদন্তের পরামর্শ দেয়া হয়।

বিসিবি তদন্ত অব্যাহত রাখার কথা জানালে কাজ চালিয়ে যেতে থাকে আকসু। দ্বিতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।

স্বীকারোক্তি দেয়ার পর গত ৪ জুন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আশরাফুলকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে বিসিবি। সেদিনই ম্যাচ পাতানোয় জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান সর্বকনিষ্ট টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান।