বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দ্বি-শতকে পৌঁছানোর লক্ষ্য তাই অধরাই থেকে গেল।
সোমবার আশরাফুল মাঠে নেমেছিলেন ১৮৯ রান নিয়ে। পুরো দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা যখন একটি ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার জন্য অপেক্ষায়, তখন তাদের উত্তেজনা তিনি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেন প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হওয়ার শঙ্কা জাগিয়ে।
এরপর দেখে শুনেই খেলছিলেন। চতুর্থ দিন বল অনেক ঘুরলেও হেরাথের বল এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ঠিক মতো খেলতে পারেননি। উপরের কানায় লেগে স্লিপে সহজ ক্যাচ উঠে যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক।
নতুন দিনে মাত্র এক রান যোগ করেই ১৯০ রানে বিদায় নেন আশরাফুল। অবশ্য টেস্টে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি তিনি রোববারই নিজের করে নিতে পেরেছিলেন। তার ৪১০ বলের ইনিংসটি সাজানো ২০টি চার ও একটি ছক্কা।
পরিসংখ্যান সাক্ষী, আশরাফুল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই সবচেয়ে সফল । ক্যারিয়ারের ছয়টি শতকের মধ্যে পাঁচটিই এসেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
চার বছরেরও বেশি সময় পর রোববার এই টেস্টেরই দ্বিতীয় দিনে নিজের ষষ্ঠ শতকে পৌঁছান নিজেকে প্রায় হারিয়ে ফেলা এই ব্যাটসম্যান। ১০০ রানে পৌঁছাতে তিনি খেলেন ১৮১ বল, মারেন ১০টি চার, ১টি ছক্কা।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের সিরিজে ব্যর্থতার পর টেস্ট দলে উপেক্ষিতই ছিলেন আশরাফুল। শাহরিয়ার নাফীসের দুর্ভাগ্যজনক চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে দলে ঠাঁই হয়। মাতারায় একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচেও শতক পেয়েছিলেন তিনি।