ঢাকা, জুলাই ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এক ম্যাচ যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন অলক কাপালী।
আড়াই বছর পর গত এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে 'হোম' সিরিজে খেলেছিলেন। আর এবার জিম্বাবুয়েগামী ১৫ সদস্যের দলে জায়গা হয়নি। রয়েছেন স্ট্যান্ডবাই তালিকায়। তবে আশা করছেন শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়েতে একদিনের সিরিজের জন্য ডাকা হতে পারে তাকে।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ইনডোরে রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কাপালী বলেন, "অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আড়াই বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলি। ব্যাট করেছিলাম সাতে। ৭/৮ ওভারে ১৫০ এর মতো রান প্রয়োজন ছিল। ওই অবস্থায় খুব ভালো কিছু করা সম্ভব ছিল না। "
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজের শেষ ম্যাচ ছিল সেটা। এরপরই জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য ঘোষিত মূল দলে নাম নেই তার। তাই হতাশা চেপে রাখতে পারেননি কাপালী, "এক ম্যাচ পরেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে বাদ পড়ে গেলে খারাপ লাগে।"
জিপি-বিসিবি একাডেমি দলের বিপক্ষে জাতীয় দল যখন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে তখন ইনডোরে অনুশীলন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন স্ট্যান্ডবাই থাকা পাঁচ ক্রিকেটার অলক কাপালী, সৈয়দ রাসেল, নাঈম ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী শুভ ও সগির হোসেন।
কাপালী বলেন, "জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের সিরিজে সুযোগ না পেলে আবারো নতুন করে শুরু করতে হবে। এটা খুব কঠিন। ধারাবাহিকতা থাকলে ছন্দ পেতে সমস্যা হয় না। দু'য়েকটা সিরিজ খেললেই নিজের ছন্দ ফিরে পাবো বলে আশা করছি।"
ছন্দের সঙ্গে দলে জায়গাও ফিরে পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন কাপালী, "শেষ সিরিজে ছিলাম। আশা করছি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের সিরিজে খেলার সুযোগ পাবো। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এক ম্যাচ যথেষ্ট নয়। অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করছি। সুযোগ পেলে 'পারফর্ম' করার চেষ্টা করবো।"
তিনি বলেন, "ঘরোয়া ক্রিকেটে ৪ থেকে ৬ নম্বরে ব্যাট করি। বাংলাদেশ দলেও ছয় নম্বরেই বেশি খেলেছি। এখানে খেলতেই সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমার শতকও আছে ওই ছয় নম্বরে। তবে ওই পজিশনে এ মুহূর্তে জাতীয় দলে যারা খেলছেন তারাও খুব ভালো করছেন।"
পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং নিয়ে বেশ সমস্যায় আছে বাংলাদেশ। কাপালী জানান এটা নিয়ে কাজ করছেন তিনি, "গত মৌসুমে গাজী ট্যাঙ্কের হয়ে ছয় নম্বরে ভালো খেলেছি। ওই সময় পাওয়ার প্লেতে ব্যাট করে একটা ম্যাচে মোহামেডানকে হারিয়েছি। পাওয়ার প্লেতে আমার সেরাটা বের হয়ে আসে। আমি আমার স্বাভাবিক খেলাই খেলি। অতিরিক্ত মারতে চাই না। একটা দুইটা চার-ছয় বাকিগুলো এক-দুই করে নিলেই হয়।"
তিনি বলেন, "শেষ ম্যাচে বল হাতেও বেশি সুযোগ পাইনি। দুই ওভার বল করে আট রান দিয়েছিলাম। বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে জিম্বাবুয়ের ভাবনার বেশি অংশ জুড়ে থাকবে সাকিব আল হাসান ও আব্দুর রাজ্জাক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তারা বেশ সফলও। এ ক্ষেত্রে তাদের পাশাপাশি অফস্পিন ও লেগস্পিনও খুব কার্যকর হতে পারে।"
১৫ সদস্যের দল জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দলের সঙ্গেই আছেন বলে জানান কাপালী। তিনি বলেন, "আপাতত আমরা জাতীয় দলের সঙ্গেই অনুশীলন করছি। সিঙ্গাপুরে টি-টোয়েন্টি খেলতে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো ঠিক হয়নি। তবে যেতে পারি।"
ফিটনেস প্রসঙ্গে বলেন, "আগে ফিটনেস নিয়ে একটু সমস্যা ছিল। তবে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে সম্পূর্ণ ফিট করতে পেরেছি। জাতীয় দলের চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরীও আমাকে ফিট বলেছেন।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এএনএম/টিএ/২১৪১ ঘ.