বাংলাদেশের সিরিজ হার
২০১৮ সালে সবশেষ সফরে টেস্ট সিরিজে হারার পর টি-টোয়েন্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার দলটি যেন আটকে ব্যর্থতার বৃত্তে। টেস্টে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর ২-০ ব্যবধানে হারল টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
উইকেটে স্পিনারদের জন্য বেশ সহায়তা আছে। সেটা কাজে লাগিয়ে দুই ক্যারিবিয়ান স্পিনার বেশ ভোগান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। অলরাউন্ডারসহ ছয় স্পিনার বাংলাদেশের একাদশে। তবুও খুব একটা লড়াই করতে পারল না সফরকারীরা। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে তাদের অনায়াসেই হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৫ উইকেটে জিতেছে ক্যারিবিয়ানরা। কাইল মেয়ার্স ও নিকোলাস পুরানের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে ১০ বল বাকি থাকতে।
৩৮ বলে পাঁচ ছক্কা ও দুই চারে ৫৫ রান করেন মেয়ার্স। ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে আসা পুরান পাঁচটি করে ছক্কা ও চারে ৩৯ বলে করেন ৭৪।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৩/৫ (লিটন ৪৯, এনামুল ১০, সাকিব ৫, আফিফ ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২২, সোহান ২*, মোসাদ্দেক ১০*; মেয়ার্স ২-০-১৪-০, ম্যাককয় ৪-০-২৯-০, আকিল ৪-০-৩১-০, স্মিথ ৩-০-৩৪-১, শেফার্ড ২-০-১৯-১, ড্রেকস ১-০-৬-০, ওয়ালশ জুনিয়র ৪-০-২৫-২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮.২ ওভারে ১৬৯/৫ (কিং ৭, মেয়ার্স ৫৫, ব্রুকস ১২, স্মিথ ২, পুরান ৭৪*, পাওয়েল ৫, আকিল ৩*; নাসুম ৪-০-৪৪-২, মেহেদি ৪-০-২১-১, সাকিব ২-০-১০-১, মোসাদ্দেক ৪-০-৩৪-০, মুস্তাফিজ ২-০-২৭-০, শরিফুল ১-০-১৩-০, আফিফ ১-০-১০-১, মাহমুদউল্লাহ ০.২-০-৭-০)
ঝড় তোলার আগেই পাওয়েলকে ফেরালেন আফিফ
আগের ম্যাচে ঝড় তুলেছিলেন রভম্যান পাওয়েল। তার খুনে ব্যাটিংয়ের সামনে ফেলতে চাননি বলেই মেডেন-উইকেট নেওয়ার পরও আর বোলিং দেননি মাহমুদউল্লাহ। এবার ঝড় তোলার আগেই ক্যারিবিয়ান ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে বিদায় করলেন আরেক অফ স্পিনার আফিফ হোসেন।
তাকে লং অফ দিয়ে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন পাওয়েল। যতটা উপরে তুলতে চেয়েছিলেন ততটা পারেননি। সীমানায় লাফিয়ে চমৎকার ক্যাচ নেন লিটন দাস।
পাওয়েল ৯ বলে করেন ৫ রান।
মেয়ার্সকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন নাসুম আহমেদ
নিজের শেষ ওভার করতে এসে উইকেট পেলেন নাসুম আহমেদ। বাঁহাতি এই স্পিনারকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন কাইল মেয়ার্স। বাঁহাতি এই ওপেনারের বিদায়ে ভাঙে ৫১ বল স্থায়ী ৮৫ রানের জুটি।
মেয়ার্সের বিদায়ের আগে-পরে নাসুমকে ছক্কায় ওড়ান নিকোলাস পুরান। দ্বিতীয় ছক্কায় পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক, ৩০ বলে।
জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ২৬ রান চাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
মেয়ার্সের ফিফটি
স্পিন কিংবা পেস কিছুই ভাবাতে পারছে না কাইল মেয়ার্সকে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে দলকে জয়ের রেখেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
মুস্তাফিজুর রহমানের পর মোসাদ্দেক হোসেনকে ছক্কায় ওড়িয়ে ৩৩ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন মেয়ার্স।
সুযোগ হাতছাড়া
দ্রুত রান নেওয়ার চেষ্টায় অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিলেন নিকোলাস পুরান। সম্ভব নয় বুঝে অধিনায়ককে ফিরিয়ে দেন কাইল মেয়ার্স। তবে ততক্ষণে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া পুরানের ফেরা বেশ কঠিন ছিল। হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে থ্রো স্টাম্পে রাখতে পারেননি বোলার শরিফুল ইসলাম, বেঁচে যান বিস্ফোরক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সে সময় তিনি ২১ বলে ২৮ রানে ছিলেন।
সেই ওভারেই তার সিঙ্গেলে ৩৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে জুটির রান।
১২ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ৯৩।
মাঝপথে রানে সমতা
প্রথম ১০ ওভার শেষে ২ দলের রান সমান, ৭২। তবে বাংলাদেশ উইকেট একটি কম হারিয়েছিল। ক্যারিবিয়ানরা এই রান করেছে ৩ উইকেট, বাংলাদেশে হারিয়েছিল ২ উইকেট।
নবম ওভারে আক্রমণে পেস
প্রথম ৮ ওভার স্পিনারদের দিয়ে করানোর পর নবম ওভারে কোনো পেসারকে আক্রমণে আনেন মাহমুদউল্লাহ। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে ছক্কায় উড়িয়ে স্বাগত জানান নিকোলাস পুরান।
সেই ওভার থেকে আসে ১২ রান।
৯ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ৬৮।
আক্রমণে এসেই সাকিবের উইকেট
কাজে লাগল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাটকা। প্রমোশন পেয়ে চারে নামা ওডিন স্মিথকে দ্রুতই ফিরিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান।
পাওয়ার প্লে শেষ হতেই বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন মাহমুদউল্লাহ। নাসুম আহমেদের জায়গায় এসে নিজের প্রথম বলেই উইকেট নেন সাকিব।
বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন স্মিথ। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর তিনি বিদায় নেন রিভিউ না নিয়েই। স্মিথ চার বলে করেন ২।
৭ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ৪৭। ক্রিজে কাইল মেয়ার্সের সঙ্গী নিকোলাস পুরান।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট
বোলিংয়ে কোনো পরিবর্তন আনেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ছয় ওভারে টানা বোলিং করে যান নাসুম আহেমদ ও শেখ মেহেদি হাসান। দুই স্পিনার নেন একটি করে উইকেট।
৬ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২ উইকেটে ৪৩ রান। ১৬ বলে ১৮ রানে খেলছেন কাইল মেয়ার্স। প্রমোশন পেয়ে চারে নামা ওডিন স্মিথের রান ৩ বলে ২।
৩ ওভারের টানা স্পেলে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম দেন ২৫ রান। অফ স্পিনার মেহেদির খরচ ১৭ রান।
ব্রুকসকে বিদায় করলেন মেহেদি
নাসুম আহমেদের পর উইকেট পেলেন শেখ মেহেদি হাসান। এই অফ স্পিনার বিদায় করে দিলেন শামার ব্রুকসকে।
আগের দুই ওভারে নাসুম ও মেহেদিকে একটা করে চার মেরেছিলেন ব্রুকস। তবে বেশি দূর যেতে পারেননি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। মেহেদিকে সুইপ করে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন এনামুল হকের হাতে।
১২ বলে দুই চারে ব্রুকসকে করেন ১২।
৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২ উইকেটে ২৪। ক্রিজে কাইল মেয়ার্সের সঙ্গী প্রমোশন পেয়ে চারে নামা ওডিন স্মিথ।
প্রথম ওভারেই নাসুমের আঘাত
দলে ফেরা নাসুম আহমেদের শুরুটা ভালো ছিল না। প্রথম বল করেন ওয়াইড, পরে হজম করেন ছক্কা। অর্থাৎ ১ বল থেকে আসে ৭। পরের চার বলে হয় দুটি সিঙ্গেল। ওভারের শেষ বলে ব্র্যান্ডন কিংকে বিদায় করে দেন বাঁহাতি স্পিনার।
স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ বল বেরিয়ে এসে মিড অনের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন আগের ম্যাচে ফিফটি করা কিং। পার করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুঠোয় জমান বল।
৫ বলে কিং করেন ৭।
১ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১ উইকেটে ৯। ক্রিজে কাইল মেয়ার্সের সঙ্গী শামার ব্রুকস।
১৬৪ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
আফিফ হোসেনের ফিফটি ও লিটন দাসের সঙ্গে তার পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
বাচা-মরার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান করেছে সফরকারীরা। ৩৮ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে ৫০ রান করেছেন আফিফ। দুই ছক্কা ও তিন চারে ৪১ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেছেন লিটন।
শেষ দিকে ৬ বলে দুই চারে ১০ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৩/৫ (লিটন ৪৯, এনামুল ১০, সাকিব ৫, আফিফ ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২২, সোহান ২*, মোসাদ্দেক ১০*; মেয়ার্স ২-০-১৪-০, ম্যাককয় ৪-০-২৯-০, আকিল ৪-০-৩১-০, স্মিথ ৩-০-৩৪-১, শেফার্ড ২-০-১৯-১, ড্রেকস ১-০-৬-০, ওয়ালশ জুনিয়র ৪-০-২৫-২)
একই ওভারে আউট মাহমুদউল্লাহ-আফিফ
হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের ওভারের প্রথম চমৎকার শটে এসেছিল বাউন্ডারি। পরের বলে কাট করার চেষ্টায় খেলতে পারেননি ব্যাটে। রানের জন্য মরিয়া মাহমুদউল্লাহ চেষ্টা করেন রিভার্স সুইপের। এবারও ব্যাটে খেলতে পারেননি। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলে নেন রিভিউ, তবে তাতে কাজ হয়নি। ভাঙে ৩৫ বল স্থায়ী ৪৯ রানের জুটি।
২০ বলে এক ছক্কা ও দুই চারে ২২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
সেই ওভারেই রান হয়ে বিদায় নেন আফিফ হোসেন। প্রথম রানে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি, ৩৮ বলে। পরের রানের চেষ্টায় হয়ে যান রান আউট।
দুটি করে ছক্কা ও চারে ৩৮ বলে আফিফ করেন ৫০।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৫১। ক্রিজে নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন।
লিটনের বিদায়ে ভাঙল জুটি
সবার পরে আক্রমণে আসা হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র ভোগাচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। লেগ স্পিনারের বলে রানের যেন পথ খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। বেরিয়ে এসে তার উপর চড়াও চেষ্টায় থেমেছে লিটন দাসের ইনিংস।
ঠিক মতো খেলতে পারেননি এই ওপেনার। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় পয়েন্টের ফিল্ডারের হাতে। সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে মুঠোয় জমান আকিল হোসেন। ভাঙে ৪৪ বল স্থায়ী ৫৭ রানের জুটি।
৪১ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে ৪৯ রান করেন লিটন।
১৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১০০। ক্রিজে আফিফ হোসেনের সঙ্গী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
লিটন-আফিফের জুটিতে পঞ্চাশ
প্রথম ২৪ বলে এসেছিল ২৮ রান। এরপর রানের গতি বাড়ানোর দিকে মন দিয়েছেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। তাদের জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে ৩৮ বলে।
ওডিন স্মিথকে চারের পর অসাধারণ টাইমিংয়ে ছক্কায় ওড়ান লিটন। সেই ওভারেই লং অন ফিল্ডারের উপর দিয়ে দিয়ে আরেকটি ছক্কা মারেন আফিফ। তাতে জুটি রান যায় পঞ্চাশে।
মাঝপথে বাংলাদেশ ৭২/২
পাওয়ার প্লের পর আর উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। তবে রানের গতিতে দমও দিতে পারেনি। প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে করেছে ৭২।
১৩ বলে ১৪ রানে খেলছেন প্রমোশন পেয়ে চারে নামা আফিফ হোসেন। ওপেনার লিটন দাসের রান ৩৩ বলে ৩৫।
চার মেরেই শেষ সাকিব
পাওয়ার প্লের শেষ ২ ওভারে ২ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। এনামুল হক ফিরে যাওয়ার পর বিদায় নিলেন সাকিব আল হাসানও।
পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৪৪। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী আফিফ হোসেন।
আগের দুই ম্যাচে বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে দিয়ে শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এবার কাইল মেয়ার্সের হাতে নতুন বল তুলে দেন নিকোলাস পুরান। নিজের অভিষেক ম্যাচে একটি ওভার করেছিলেন মেয়ার্স। পরের আট ম্যাচে আর বল হাতে পাননি। এবার করলেন দুই ওভারের স্পেল।
মেয়ার্সের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় বাংলাদেশ। চমৎকার ফ্লিকে এক ড্রপে সীমানার বাইরে বল পাঠান লিটন।
আগের ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারে পরপর দুই বলে লিটন ও এনামুলকে বিদায় করা ওবেড ম্যাককয় এবার করেন এলোমেলো বোলিং। তার প্রথম ওভারে ওয়াইড ছিল চারটি।
পঞ্চম ওভারে এনামুলকে বিদায় করেন ওডিন স্মিথ। মুখোমুখি প্রথম বলে তাকেই বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন সাকিব। তবে তিন বলেই থেমে যায় তার অভিযান। রোমারিও শেফার্ডকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ধরা পড়েন স্মিথের হাতে।
৩ বলে সাকিব করেন ৫।
এনামুলের বিদায়ে ভাঙল শুরুর জুটি
ওডিন স্মিথর প্রথম বল ছিল যেন একটা উপহার। স্টাম্পে ফুল টস পেয়ে ফাইন লেগের পাশ দিয়ে বাউন্ডারি পাঠান এনামুল হক। এক বল পর আবার লেগে ঘুরানোর চেষ্টায় শট খেলে ফেলেন আগেই। ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় থার্ড ম্যানে। সেখানে কোনো ভুল করেননি আকিল হোসেন। ভাঙে ৩৫ রানের শুরুর জুটি।
সিরিজে এটাই বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটি।
১১ বলে এক চারে এনামুল করেন ১০ রান। টি-টোয়েন্টিতে ফেরার সিরিজ তার জন্য কাটল হতাশাতেই।
ক্রিজে গিয়েই স্মিথের শর্ট বলে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন সাকিব আল হাসান।
৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৪১।
কাইল মেয়ার্সকে দিয়ে বোলিং শুরু
আগের দুই ম্যাচে বলই হাতে পাননি কাইল মেয়ার্স। এবার তিনিই শুরু করলেন বোলিং। প্রথম বলে শর্ট থার্ড ম্যানের ফিল্ডার আকিল হোসেনের মিস ফিল্ডিংয়ে রানের খাতা খোলেন লিটন দাস।
এক বল পর তিন রান নিয়ে তাকে অনুসরণ করেন এনামুল হক।
প্রথম ওভার থেকে আসে ৫ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ১ পরিবর্তন
বাংলাদেশের মতো একটি পরিবর্তন এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিমো পলের জায়গায় ফিরেছেন বাঁহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার ডমিনিক ড্রেকস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল: নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), রভম্যান পাওয়েল (সহ-অধিনায়ক), শামার ব্রুকস, আকিল হোসেন, ব্র্যান্ডন কিং, কাইল মেয়ার্স, ওবেড ম্যাককয়, রোমারিও শেফার্ড, ওডিন স্মিথ, ডমিনিক ড্রেকস, হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।
তাসকিনের জায়গায় ফিরলেন নাসুম
মাহমুদউল্লাহর দেওয়া আভাস অনুযায়ীই স্পিনে শক্তি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাদ পড়া বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ফিরেছেন দলে। বাদ পড়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
পিঠের সমস্যায় আগের ম্যাচে না খেলা ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার নেই এই ম্যাচেও। টিকে গেছেন তার জায়গায় সুযোগ পাওয়া অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন।
বাংলাদেশ দল: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), লিটন দাস, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ।
স্থানীয় সময় ২টায় খেলা শুরু
গায়না স্থানীয় সময় বেলা পৌনে দুইটা, বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১২টায় হবে টস। এর ১৫ মিনিট পর শুরু হবে খেলা। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর শুরু হবে খেলা।
খেলা শুরুতে দেরি
বাংলাদেশের বাঁচা-মরার ম্যাচে বাগড়া দিয়েছে বিরূপ আবহাওয়া। তাতে পিছিয়ে গেছে টস। স্বাভাবিকভাবেই দেরি হচ্ছে খেলা শুরু করতে।
মাঠের কিছু কিছু আংশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়, সে সব জায়গা এখনও ভেজা। মাঠকর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন মাঠ প্রস্তুত করতে। ওয়ার্ম আপ করতে নেমেছে দুই দলই।
মাঠ ভেজা, টসে দেরি
আগের দুই দিন বৃষ্টি ছিল। ম্যাচের দিন সকালেও বেশ বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর চলছে মাঠ প্রস্তুতের কাজ। কিছু অংশ ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময়ে টস করা সম্ভব হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হওয়া নিয়ে জেগেছে শঙ্কা।
সমতায় শেষ চায় বাংলাদেশ
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লড়াইও করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩৫ রানে হেরে পিছিয়ে পড়ে সিরিজে। গায়ানায় জিতে সমতায় সিরিজ শেষ করার দিকে তাকিয়ে মাহমুদউল্লাহর দল।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি।
ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বোলিংয়ে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। একাধিক ওভার করা পাঁচ বোলারের চারজনই করেন খরুচে বোলিং। ওভার প্রতি দেন ৯ রান করে। ক্যারিবিয়ানরা বাউন্ডারি মারেন নিয়মিত। রানের গতিতে বাধ দিতে পারেননি কেউই।
তবে ওই পারফরম্যান্সের পরও বোলারদের ওপর আস্থা হারাননি মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের বিশ্বাস, ১৬০-১৭০ রানের পুঁজি দেওয়া সম্ভব হলে সেটা ডিফেন্ড করার সামর্থ্য বাংলাদেশের বোলারদের আছে।
এর জন্য ব্যাটসম্যানদের রান করতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে লম্বা সময় ধরে যেটা করতে পারছে না বাংলাদেশ। হয় ব্যাটসম্যানরা দ্রুত আউট হচ্ছেন, নয়তো মন্থর ব্যাটিং করছেন। কার্যকর ইনিংস খেলতে পারছেন কমই। তাদের কাছ থেকে দায়িত্বশীলতা দেখতে চান অধিনায়ক।
“অনেক সময় ওপেনাররা সফল হবে, হয়তো ভালো শুরু এনে দেবে। মিডল অর্ডার হয়তো অনেক সময় সেটা নাও টেনে নিয়ে যেতে পারে। তবে কোনো একজনের দায়িত্ব নিতে হবে।”