জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছেন না সাকিব

চলতি মাসের শেষে বাংলাদেশ দলের জিম্বাবুয়ে সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে অন্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের সবাই এই সফরে যেতে ইচ্ছুক বলে জানালেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। তিনি নিশ্চিত করলেন, সাকিবকে ছাড়া অন্য সেরাদের নিয়ে সম্ভাব্য পূর্ণ শক্তির দলই পাঠানো হবে জিম্বাবুয়েতে।

জিম্বাবুয়ের এই সফরের সূচি এখনও প্রকাশ করা হয়নি আনুষ্ঠানিক ভাবে। খসড়া সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৮ জুলাই থেকে সেখানে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বাংলাদেশ দলের।

ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ নয়। এই সফরে তাই নিয়মিত ক্রিকেটারদের কয়েকজনকে বিশ্রাম দিয়ে অন্যদের বাজিয়ে দেখা ও তাদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ করে দেওয়ার একটা ভাবনা ছিল বিসিবির।

তবে সেটি যে হচ্ছে না, বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তা নিশ্চিত করে দিলেন জালাল ইউনুস।

“সিনিয়র খেলোয়াড়দের বেশিরভাগকেই পাওয়া যাবে। তারা সবাই খেলতে চায়। সিনিয়র মানে যারা খেলে, সবাই-ই তো সিনিয়র, কয়েকজন ছাড়া এখন তো সিনিয়ররাই খেলছে। তারা জানিয়েছে, তারা অ্যাভেইলেবল।”

“সাকিব যাচ্ছে না, এটা আগেই আমাদের জানিয়েছে। আজ নির্বাচকদের সাথে আমরা বসেছিলাম। তারা একটা দল চূড়ান্ত করছেন। যে দল এখন আছে, তাদের সবাই থাকছে। জিম্বাবুয়েতে পূর্ণ শক্তির দল যাবে।”

গত বছরই জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে সিরিজে ৩-০তে জিতে এসেছে বাংলাদেশ, যেটি ছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ। এবারের সিরিজের বাড়তি তেমন ওজন নেই, ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের অবস্থাও এখন যাচ্ছেতাই। আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা আছে ১৫ নম্বরে, স্কটল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস-সংযুক্ত আরব আমিরাতেরও নিচে। ২০১৩ সালের পর থেকে টানা ১৯ ওয়ানডেতে তারা হেরেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।

এই দলের বিপক্ষেও কেন পূর্ণ শক্তির দল খেলাতে চান তারা, সেটির কারণ জানালেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান।

“হয়ত পয়েন্টের খেলা নয়, চ্যাম্পিয়নশিপ বা সুপার লিগ নয়। কিন্তু সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমরা গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি, আমরা যাতে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। অনেকে বলছিল দ্বিতীয় সারির দল… (পাঠাতে)। দ্বিতীয় সারির দল যাচ্ছে না, আমরা শক্ত বাংলাদেশ দল পাঠাতে চাই।”