বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতে খেলতে যান বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক তারকা। অভিজ্ঞতায় ঠাসা ওইসব ক্রিকেটারদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় স্থানীয় ক্রিকেটারদের। সৌভাগ্য হয় একই ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করার, তাদের থেকে অনেক কিছু শেখার।
এখনকার টি-টোয়েন্টি লিগগুলোকে নিজের সময়ের কাউন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন ১৯৯০ এর দশকে কেন্টের হয়ে খেলা ডি সিলভা।
“তখনকার কাউন্টি ক্রিকেটের মতো এটা (টি-টোয়েন্টি লিগ), যা ইংলিশ ক্রিকেটারদের সাহায্য করত। আইপিএল, বিগ ব্যাশ বা ইংল্যান্ডের দা হানড্রেড…এই টুর্নামেন্টগুলো ক্রিকেটারদের উন্নতিতে সহায়তা করে।”
ভারতীয় ক্রিকেটারদের অন্য দেশগুলোর টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার অনুমতি নেই। ডি সিলভা এই জায়গায় পরিবর্তন চান। তা না হলে, এর নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ব ক্রিকেটে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
“ক্রিকেটে কোনো এক দেশের আধিপত্য কি-না, সেটা আইপিএল দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। তারা মূলত প্রিমিয়ার লিগে একচেটিয়া আধিপত্য চালায়, কারণ ভারতীয় ক্রিকেটারদের অন্য লিগে খেলার অনুমতি নেই।”
“এর ফলে যা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে তা হলো, খেলাটির মান…যদি এটা কমতে থাকে এবং প্রকৃত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকে…এক পর্যায়ে বিশ্ব ক্রিকেটে এটা প্রভাব ফেলবে।”
ক্রিকেটে অন্য দেশগুলোর উন্নতিতে ভারতকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিলেন ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পথে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা ডি সিলভা।
“যদি ভারত অন্য দেশগুলোকে সহায়তা করার পথ খুঁজে বের না করে এবং এখনকার দিনে খেলাটির জন্য যে পর্যায়ের সমর্থন প্রয়োজন তা দিতে না পারে, তাহলে এটা ক্রিকেট বিশ্বের জন্য নেতিবাচক হবে।”
“অন্য দেশগুলোও উন্নতির পথে থাকবে, এটা নিশ্চিত করা আইসিসির দায়িত্ব। জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার মান যেভাবে নিচের দিকে নেমে গেছে, এমন পরিস্থিতি আমরা দেখতে চাই না।”