টি-টোয়েন্টি লিগের ইতিবাচক প্রভাব দেখছেন অরবিন্দ ডি সিলভা

ফ্র‍্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে টেস্ট খেলুড়ে প্রায় সব দেশের। এর বাইরেও কিছু দেশ এই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো না কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ই এগুলো। অনেক সময়ই খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে উপেক্ষা করে বেছে নেন এসব টুর্নামেন্টকে। তবে এরপরও টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোর বেশ কিছু ইতিবাচক প্রভাব দেখেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি অরবিন্দ ডি সিলভা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2022, 02:48 PM
Updated : 6 July 2022, 02:49 PM

বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতে খেলতে যান বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক তারকা। অভিজ্ঞতায় ঠাসা ওইসব ক্রিকেটারদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় স্থানীয় ক্রিকেটারদের। সৌভাগ্য হয় একই ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করার, তাদের থেকে অনেক কিছু শেখার।

এখনকার টি-টোয়েন্টি লিগগুলোকে নিজের সময়ের কাউন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন ১৯৯০ এর দশকে কেন্টের হয়ে খেলা ডি সিলভা।

“তখনকার কাউন্টি ক্রিকেটের মতো এটা (টি-টোয়েন্টি লিগ), যা ইংলিশ ক্রিকেটারদের সাহায্য করত। আইপিএল, বিগ ব্যাশ বা ইংল্যান্ডের দা হানড্রেড…এই টুর্নামেন্টগুলো ক্রিকেটারদের উন্নতিতে সহায়তা করে।”

টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট আইপিএল। বিশ্বের নামিদামি সব ক্রিকেটাররাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন। ৫৬ বছর বয়সী ডি সিলভা বললেন, বিশ্ব ক্রিকেটে যে ভারত আধিপত্য করছে তার প্রমাণ এতেই স্পষ্ট।

ভারতীয় ক্রিকেটারদের অন্য দেশগুলোর টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার অনুমতি নেই। ডি সিলভা এই জায়গায় পরিবর্তন চান। তা না হলে, এর নেতিবাচক প্রভাব বিশ্ব ক্রিকেটে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

“ক্রিকেটে কোনো এক দেশের আধিপত্য কি-না, সেটা আইপিএল দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। তারা মূলত প্রিমিয়ার লিগে একচেটিয়া আধিপত্য চালায়, কারণ ভারতীয় ক্রিকেটারদের অন্য লিগে খেলার অনুমতি নেই।”

“এর ফলে যা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে তা হলো, খেলাটির মান…যদি এটা কমতে থাকে এবং প্রকৃত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকে…এক পর্যায়ে বিশ্ব ক্রিকেটে এটা প্রভাব ফেলবে।”

ক্রিকেটে অন্য দেশগুলোর উন্নতিতে ভারতকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিলেন ১৯৯৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পথে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা ডি সিলভা। 

“যদি ভারত অন্য দেশগুলোকে সহায়তা করার পথ খুঁজে বের না করে এবং এখনকার দিনে খেলাটির জন্য যে পর্যায়ের সমর্থন প্রয়োজন তা দিতে না পারে, তাহলে এটা ক্রিকেট বিশ্বের জন্য নেতিবাচক হবে।”

“অন্য দেশগুলোও উন্নতির পথে থাকবে, এটা নিশ্চিত করা আইসিসির দায়িত্ব। জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার মান যেভাবে নিচের দিকে নেমে গেছে, এমন পরিস্থিতি আমরা দেখতে চাই না।”