ইতিহাসের হাতছানি আম্পায়ার দম্পতির সামনে

একসঙ্গে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন আগেও। তবে এবার বড় মঞ্চে আম্পায়ারিং করার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন নাঈম আশরাফ এবং জেসমিন নাঈম। ইংল্যান্ডের পেশাদার ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম আম্পায়ার দম্পতি হিসেবে কোনো ম‍্যাচ পরিচালনার জন‍্য নির্বাচিত হয়েছেন তারা। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2022, 05:56 PM
Updated : 1 July 2022, 10:45 AM

আগামী শনিবার র‍্যাচেল হেইহো ফ্লিন্ট ট্রফিতে (ইংল্যান্ডের নারীদের ৫০ ওভারের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা) লাইটনিং ও ওয়েস্টার্ন স্টর্মের ম্যাচে আম্পায়ারিং করবেন আশরাফ ও জেসমিন।

সম্প্রতি ২৩তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করা এই দম্পতির জন্য এটি হতে যাচ্ছে দারুণ এক উপলক্ষ্। চলতি মাসে টনটনে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নারীদের টেস্টে পাঁচ আম্পায়ারের একজন ছিলেন জেসমিন।

লাইটনিং ও ওয়েস্টার্ন স্টর্ম ম্যাচকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বোর্ডের সঙ্গে আলাপচারিতায় নাঈম দম্পতি তাদের অনুভূতি তুলে ধরেন। জেসমিন বললেন, তার কাছে এটি অনেক সম্মানের।

“আমরা ল্যাঙ্কাশায়ার এবং গ্রেটার ম্যানচেস্টারের লিগে একসঙ্গে আম্পায়ারিং করেছি এবং কেউই বুঝতে পারেনি যে আমরা স্বামী-স্ত্রী। এত বড় মঞ্চে এই সুযোগটি পেয়ে এখন আমরা সম্মানিত বোধ করছি।”

পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯৫ সালে দুটি ওয়ানডে খেলেছিলেন আশরাফ, এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যায়নি তাকে। চোটের কারণে আশরাফের ক্যারিয়ার আগেভাগে শেষ হয়ে যাওয়ায় পর আম্পায়ারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হন নাঈম দম্পতি।

শনিবারের ম্যাচে তাদের সমর্থন যোগাতে মাঠে উপস্থিত থাকবেন তিন ছেলে শাজাইব, উমাইর এবং জহির। 

জেসমিন এরই মধ্যে আম্পায়ার হিসেবে শীর্ষ পর্যায়ে যাত্রা শুরু করেছেন। গত বছর প্রথম ব্রিটিশ মুসলিম মহিলা আম্পায়ার হিসেবে লর্ডসে আম্পায়ারিং করেছিলেন তিনি।

জেসমিন মনে করেন, তার মাধ্যমে আরও মেয়েরা ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী হলে সেটাই হবে তার প্রাপ্তি।

“আমার জন্য এটি শুধু একটি পথচলা নয়। এটা মেয়েদের এগিয়ে আসা এবং খেলাটির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ও। আমি যদি মেয়েদের এবং ছেলেদের ক্রিকেট খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারি, তাহলে ভাবব আমি একটি ভালো কাজ করেছি।”

আশরাফের বিশ্বাস, পরিশ্রম করলে তাদের মতো আম্পায়ারিং পেশায় সফলতা মিলতে পারে অন্যদেরও।

“আমরা অনেক কিছু করেছি, কিন্তু আমরা সবসময় পরবর্তী চ্যালেঞ্জটি খুঁজেছিলাম। (শনিবারের জন্য) আমরা প্রস্তুত, তা যাই হোক না কেন। আম্পায়ারিং প্রত্যেকের জন্য একটি দারুণ সুযোগ।”

“আপনি যদি এখানে ক্যারিয়ার গড়ার ব্যাপারে চিন্তা করে থাকেন এবং আপনি কঠোর পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত হন তবে এটি প্রতিদান দেবেই। এটির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান।”