আইসিসি কিংবা এসিসির ইভেন্ট ছাড়া এখন আর ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি লড়াই দেখার সুযোগ হয় না দর্শকদের। তবে সবকিছু পরিকল্পনা মতো এগোলে এই দুই দেশের ক্রিকেটারদের একই ড্রেসিংরুম ভাগ করতে দেখা যেতে পারে! থমকে থাকা ‘আফ্রো-এশিয়া কাপ’ নামের টুর্নামেন্টে আগামী বছর বিরাট কোহলি, বাবর আজমরা মাঠে নামতে পারেন একই জার্সিতে।
Published : 30 Jun 2022, 06:10 PM
ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের একসঙ্গে খেলার ঘটনা দুর্লভ। তবে দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতার মাঝে ক্রিকেট আবার সেতু বন্ধন তৈরি করতে পারে।
দুটি আসর মাঠে গড়ানোর পর থমকে যাওয়া আফ্রো-এশিয়া কাপ আবারও মাঠে ফেরানো নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০৫ সালে প্রথমবার আয়োজিত হয় আফ্রো-এশিয়া কাপ। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্কের কারণে ২০০৭ সালের পর যা আর আলোর মুখ দেখেনি।
সবশেষ আসরটিতে এশিয়া একাদশের নেতৃত্বে ছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও একাদশে ছিলেন ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
আফ্রিকা একাদশ গড়া হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে এবং কেনিয়ার ক্রিকেটারদের নিয়ে। তিন ম্যাচের সিরিজটি এশিয়া একাদশ জিতে নেয় ৩-০ ব্যবধানে।
ভারত ও পাকিস্তান অনেক দিন ধরেই নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট খেলছে না। তাদের ক্রিকেটাররা পরস্পরের টি-টোয়েন্টি লিগেও অংশ নেয় না। তবে আইসিসি বা এসিসির আসরে এই দুই দল মুখোমুখি হলে ঠিকই দর্শকদের উন্মাদনা চরমে পৌঁছায়।
আফ্রো-এশিয়া কাপ নিয়েও দর্শকদের মাঝে বেশ আগ্রহ রয়েছে। যা কাজে লাগাতে আবার এই টুর্নামেন্ট শুরুর কথা ভাবছে এশিয়ান ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা এসিসি।
সংস্থাটির সভাপতি পদে রয়েছেন জয় শাহ, যিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরও সেক্রেটারি। এসিসির পরবর্তী সভায় আফ্রো-এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানো নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলে বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন তিনি।
“আমরা এই বিষয়ে কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। এটা দারুণ এক টুর্নামেন্ট যা শুধু রাজস্বই আনবে না, আফ্রিকায় ক্রিকেট বিকাশেও ভূমিকা রাখবে।
বার্মিংহামে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভার ফাঁকে আসরের ভেন্যু বেছে নেওয়া নিয়ে কাজ করবে এসিসি। জুনিয়র এবং নারী ক্রিকেটের জন্য উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদন নিয়েও কাজ করার কথা জানান জয় শাহ।