১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ক্রিকেটারদের নিয়ে এই টি-টোয়েন্টি লিগটি আয়োজন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আগামী ১ থেকে ১৫ অক্টোবর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে উদ্বোধনী আসর।
পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজার মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্পে অংশ নেবে ছয়টি দল। নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি করা হবে দলগুলো। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দেশটির যে শহরগুলোর নামে দল আছে সেগুলো বাদ দিয়ে রাখা হবে পিজেএলের দলের নাম।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো বুধবারের প্রতিবেদনে জানায়, পিএসএলের ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্তত তিনটি এই টুর্নামেন্টের দল কিনতে আগ্রহী।
ড্রাফট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রিকেটারদের দলে টানতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর, যেখানে স্থানীয় ক্রিকেটারের পাশাপাশি থাকবেন বিদেশিরাও।
গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো পরিবর্তন হচ্ছে। বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটের দলগুলো হয় অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যন্ত। কিশোর ক্রিকেটাররা এখন ওয়ানডে ও তিন দিনের টুর্নামেন্টে খেলে। এবার একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে দেশটির আগামী প্রজন্মকে আরও সমৃদ্ধ করতে চায় পাকিস্তানের বোর্ড।
টুর্নামেন্টটিকে আরও বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর করতে ও সকলের আগ্রহ তৈরি করতে খেলাটির লেজেন্ডদের মেন্টর ও কোচ হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে পিসিবি। টিম মেন্টরের ভূমিকা ছাড়াও, আফ্রিদি-মালিকদের ইভেন্ট অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও কাজ করতে হবে বলে জানায় পিসিবি।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আফ্রিদি দেশটির জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব। ২২ বছরের মতো পাকিস্তানের হয়ে খেলে ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন তিনি। এই অলরাউন্ডার ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।
“ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করার অনেক বড় সমর্থক আমি। যদি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট প্রচার ও বিকাশের একটি বাহন হয়, তরুণ প্রতিভাকে চিহ্নিত করে, তাহলে আমাদের সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং সুপ্ত প্রতিভা খুঁজে বের করার জন্য অভিনব ধারণা নিয়ে আসতে হবে। তাদের দক্ষতা এবং পারফরম্যান্স যথাযথভাবে নজরে নিয়ে পরবর্তীতে এর জন্য পুরস্কৃত করা নিশ্চিত করতে হবে।”
দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক স্যামি পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অনেক বছর ধরে খেলেছেন। দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে বড় অবদান আছে তার। কিশোরদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে বেশ উচ্ছসিত তিনি।
“পাকিস্তান জুনিয়র লিগের উদ্বোধনী আসরে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। আমি এই টুর্নামেন্টকে পুরোপুরি সমর্থন করি। বিশ্বাস করি, এটি অসাধারণ ক্রিকেটারদের শনাক্ত করতে এবং দ্রুত বের করে আনতে সহায়তা করবে।”