ড্যারেন স্যামি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৫৯। ৪৯ বলে পাঁচ চারে ৩৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন দাস। ২৫ বলে ১ চারে ৫ রান নিয়ে তার সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনে ২৬ ওভারে তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে ২৫ ওভারে ৮২ রান তুলতে হারিয়েছে ৪ উইকেট।
লাঞ্চের পর দ্রুত রান তোলে এগিয়ে যেতে থাকেন দলে ফেরা এনামুল হক। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তাকে সঙ্গ দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। একশ ছাড়িয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সফরকারীদের দিক হারানোর শুরু পরপর দুই ওভারে থিতু দুই ব্যাটসম্যান এনামুল ও শান্তর বিদায়ে। দুই জনই বিদায় নেন আম্পায়ার্স কলে এলবিডব্লিউ হয়ে।
সাবলীল খেলতে থাকা এনামুলের ইনিংস থামে অ্যান্ডারসন ফিলিপের নিচু হয়ে আচমকা ভেতরে ঢোকা বলে। পা বাড়িয়ে ব্যাটে খেলতে পারেননি ব্যাটসম্যান। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলে রিভিউ নেন এনামুল। টেস্টে ফেরার ম্যাচে ৫ চারে ৩৩ বলে ২৩ রান করেন তিনি।
পরের ওভারে কাইল মেয়ার্সের অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান শান্ত। তিনিও রিভিউ নেন। বল লাগতো লেগ স্টাম্পের বেলে! ৭৩ বলে চারটি চারে ২৬ রান করে ভীষণ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন শান্ত। পরপর দুই ওভারে আম্পায়ার্স কলে দুটি আউটে অসন্তুষ্ট দেখায় বাংলাদেশ দলের সদস্যদের।
অ্যান্টিগার মতো সুইং মিলছে না সেন্ট লুসিয়ায়। তবে প্রথম দিন থেকেই এখানে মিলছে অসমান বাউন্স। প্রথম দুই সেশনেই বেশ কিছু বল আচমকা নিচু হয়েছে।
মনে হচ্ছিল, লিটন দাসের সঙ্গে জুটিতে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু পানি পানের বিরতির পর দ্বিতীয় বলেই বিদায় নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। জেডেন সিলসের বেশ বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। একটু পরেই আলজারি জোসেফের বাউন্সার সামলাতে না পেরে কিপারকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন নুরুল হাসান সোহান।
বাকি সময়টা সোহানকে নিয়ে কাটিয়ে দেন লিটন। দারুণ ছন্দে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান এরই মধ্যে খেলেছেন চমৎকার কিছু শট। আড়াইশ বা এরপাশে যেতে তিনিই এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন টি পর্যন্ত):
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫১ ওভারে ১৫৯/৬ (তামিম ৪৬, জয় ১০, শান্ত ২৬, এনামুল ২৩, লিটন ৩৪*, সাকিব ৮, সোহান ৭, মিরাজ ৫*; রোচ ১২-৩-২৮-০, সিলস ১০-৪-৩১-১, জোসেফ ১১-১-৩৭-২, ফিলিপ ৯-১-৩০-২, রিফার ৩-১-৬-০, মেয়ার্স ৬-০-২৭-১)