ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৭৭। ৩ চারে ৪৫ বলে ১৬ রান নিয়ে খেলছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের হয়ে দুই টেস্টের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিরতির রেকর্ড গড়া এনামুল হকের রান ১ চারে ১৩ বলে ৫।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে আউট হতে হতে বেঁচে যান তামিম। কেমার রোচের বলে আম্পায়ার্স কলের জন্য এলবিডব্লিউ হননি বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে এরপর দারুণ সব শটে দ্রুত গতিতেই এগিয়ে যেতে থাকেন তামিম।
সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন মাহমুদুল হাসান জয়। দুইবারই রোচের বল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যেত। নড়বড়ে শুরুর পর একটু একটু করে নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছিলেন তরুণ ওপেনার। তবে নিজের দ্বিতীয় বলেই তাকে বোল্ড করে দেন অভিষিক্ত পেসার অ্যান্ডারসন ফিলিপ।
ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ভাঙে ৪১ রানের জুটি। প্রথম ঘণ্টায় সেটাই ছিল শেষ ওভার।
এক প্রান্তে সাবলীল তামিম, অন্য প্রান্তে সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছিলেন শান্ত। আর কোনো ক্ষতি ছাড়াই প্রথম সেশন কাটিয়ে দেওয়ার পথে ছিল বাংলাদেশ। এমন সময় আচমকা আলজারি জোসেফের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়ায় সহজ ক্যাচ তুলে দেন তামিম। ৯ চারে ৬৭ বলে তিনি করেন ৪৬ রান।
একাদশে জায়গা পেয়েই রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল এনামুলের। বাংলাদেশের হয়ে দুই টেস্টের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিরতির রেকর্ডটি এখন তার। ৭ বছর ৯ মাস ১১ দিন পর টেস্টে ফিরলেন তিনি। এই সময়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৪৮ টেস্ট।
এর আগে বাংলাদেশের দীর্ঘতম বিরতি ছিল পেসার নাজমুল হোসেনের। ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর অভিষেক টেস্ট খেলার পর নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেছিলেন তিনি ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ সালে, ঠিক ৭ বছর পর।
এনামুলকে জায়গা দিতে গিয়ে বাদ পড়েন সবশেষ ৯ ইনিংসে দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারা মুমিনুল হক। ৩১ ম্যাচ পর বাদ পড়লেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ক্রিজে যাওয়ার একটু পর চমৎকার স্ট্রেইট ড্রাইভে বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলেন এনামুল। দ্বিতীয় সেশনে দলকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব্ তার ও শান্তর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (প্রথম দিন লাঞ্চ পর্যন্ত):
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬ ওভারে ৭৭/২ (তামিম ৪৬, জয় ১০, শান্ত ১৬*, এনামুল ৫*; রোচ ৬-১-১৭-০, সিলস ৬-৩-১৬-০. জোসেফ ৭-১-২৩-১, ফিলিপ ৪-০-১৫-১, রিফার ৩-১-৬-০)