হেডিংলিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার স্টোকস যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, ২১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ইংল্যান্ড। সাউদির বলে ডাবল নিয়ে তিনি খোলেন রানের খাতা। কিউই পেসারের পরের ওভারে ওই ছক্কা।
বেশিক্ষণ যদিও টিকতে পারেননি ইংলিশ অলরাউন্ডার। ১৩ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ১৮ রান করে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি।
স্টোকসের ১০০ ছক্কা হলো ৮২ ম্যাচে। ৯৬ টেস্টে ঠিক ১০০ ছক্কা মেরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কিপার-ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।
বিশ্ব রেকর্ডটি যার, তিনি আছেন এখন ইংল্যান্ড দলের সঙ্গেই, তাদের কোচ ও নিউ জিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। সাবেক কিউই অধিনায়ক টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করেন ১০১ ম্যাচে ১০৭ ছক্কা মেরে।
রেকর্ডটা স্টোকসের ভেঙে দেওয়া হয়তো স্রেফ সময়ের ব্যাপার। এই সিরিজ দিয়েই শুরু হয়েছে কোচ ম্যাককালাম ও অধিনায়ক স্টোকস জুটির পথচলা।
১০৩ ম্যাচে ৯৮ ছক্কা মেরে তালিকায় চার নম্বরে আছেন ক্রিস গেইল। ২০১৪ সালে সবশেষ টেস্ট খেলা ক্যারিবিয়ান তারকার এই সংস্করণে পথচলা শেষ বলে দেওয়া যায় সংশয় ছাড়াই।
১৬৬ ম্যাচে ৯৭ ছক্কা মেরেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অলরাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস। ১০৪ ম্যাচে ৯১টি ভারতের বিরেন্দর শেবাগ। আর কেউ নম্বইয়ের ঘরে যেতে পারেননি।
এখনও খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে স্টোকসের পরে যিনি আছেন, তিনি অবশ্য কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নন। ৮৮ ম্যাচে ৭৬ ছক্কা মেরেছেন কিউই পেসার টিম সাউদি, যার বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন স্টোকস।