সিরিজে টানা দ্বিতীয়বার টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আবার নতুন বলে টেস্টের প্রথম সকাল সামলানোর চ্যালেঞ্জ সাকিব আল হাসানের দলের সামনে।
সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ এনেছে দুটি পরিবর্তন। মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় এসেছেন আরেক বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে পরিবর্তন একটি। গুডাকেশ মোটির জায়গায় অভিষেক হচ্ছে ২৫ বছর বয়সী পেসার অ্যান্ডারসন ফিলিপের। অলরাউন্ডারসহ পাঁচ পেসার নিয়ে এই টেস্ট খেলছে ক্যারিবিয়ানরা।
২০১৪ সালে নিজের চার টেস্টের সবশেষটি এই সেন্ট লুসিয়াতেই খেলেছিলেন এনামুল। স্টেডিয়ামটির নাম পাল্টে এখন রাখা হয়েছে ড্যারেন স্যামি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই নতুন শুরুর সুযোগ পেলেন ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
এর মধ্য দিয়ে একটি রেকর্ডও গড়া হয়ে গেল তার। বাংলাদেশের হয়ে দুই টেস্টের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ বিরতির রেকর্ডটি এখন এনামুলের। ৭ বছর ৯ মাস ১১ দিন পর টেস্টে ফিরলেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশের দীর্ঘতম বিরতি ছিল পেসার নাজমুল হোসেনের। ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর অভিষেক টেস্ট খেলার পর নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলেছিলেন তিনি ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ সালে, ঠিক ৭ বছর পর।
আগের ৪ টেস্টে তেমন কিছু করতে পারেননি এনামুল। ৮ ইনিংস মিলিয়ে রান কেবল ৭৩, সর্বোচ্চ ২২। গড় মোটে ৯.১২। তবে এরপর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে গেছেন প্রতি মৌসুমেই। সবশেষ টেস্ট খেলার পর এই মৌসুমের আগে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোনো মৌসুমেই তার গড় ৩৭-এর নিচে নামেনি। ক্যারিয়ারের ২২ সেঞ্চুরির ১৪টিই করেছেন এই সময়ে।
বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে এই মৌসুমে এনামুলের পারফরম্যান্স যদিও ভালো নয়; ১৫ ইনিংস খেলে তার রান ৩৯৬, গড় ২৮.২৮। গত ১২ বছরে প্রথমবার ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির মৌসুমে কোনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি।
তবে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর তাকে নেওয়া হয় সীমিত ওভারের ক্রিকেটের দলে। তিনি সাদা বলেই অনুশীলন করছিলেন দেশে। ইয়াসিরের চোট পাওয়ার পর অনেকটা চমক জাগিয়েই এনামুলকে নেওয়া হয় টেস্ট দলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাজে সময় কাটালেও ‘দ্বিতীয় অভিষক’ হয়ে গেল তার।
টানা ৯ ইনিংসে দুই অঙ্কে যেতে না পারা মুমিনুল জায়গা হারালেন দলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া বাঁহাতি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান অ্যান্টিগায় করেন শূন্য ও ৪।
২০১৭ সালের শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথম টেস্ট খেলার পর জায়গা হারান দলে। দ্বিতীয় টেস্টের পর অগাস্টের অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও খেলা হয়নি তার। এরপর এই প্রথম বাদ পড়লেন তিনি।