ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এর আগের দিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাকিব বলেন, কঠিন কন্ডিশনে ব্যর্থতার বন্দি দশা থেকে দলকে বের করে আনতে চান তিনি।
“পেস বোলিংয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে কি না? যদি সবশেষ তিন টেস্ট দেখেন, এই কথা আপনি বলতেই পারেন। এর আগের দুই টেস্ট দেখলে বলবেন স্পিন। আসলে কঠিন কন্ডিশনে আমরা কখনও সেভাবে টিকে থাকতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য আরেকটা সুযোগ, চ্যালেঞ্জও যে, কীভাবে আমরা এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারি।”
প্রাথমিক দেখায় সাকিবের মনে হয়েছে, রান আছে সেন্ট লুসিয়ার এই উইকেটে। তবে রান করার আগে পেস ও বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে বলে সতীর্থদের সতর্ক করে দিলেন তিনি।
“আমার মনে হয়, প্রথম দিন থেকেই অ্যান্টিগার চেয়ে অনেক ভালো উইকেট হবে ব্যাটিংয়ের জন্য। পেস ও বাউন্স একটু থাকবে হয়তো। তবে তেমন একটা সাইডওয়েজ মুভমেন্ট থাকবে বলে আমার মনে হয় না।”
২০১৮ সালের সফরে অ্যান্টিগায় প্রথম সেশনে কেবল ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সেই একই মাঠে তারা থামে ১০৩ রানে। শুরুর সেই ধাক্কা আর সেভাবে সামাল দিতে পারেনি সফরকারীরা। ম্যাচ হারে ৭ উইকেটে।
এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি এড়াতে প্রথম সেশনের দুটি ঘণ্টা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে অধিনায়কের কাছে।
“আমরা গতকাল একটা ভালো ট্রেনিং সেশন পার করেছি। আজ লক্ষ্য থাকবে ভালোভাবে ট্রেনিং সেশন শেষ করে কাল ম্যাচটা যেন ভালোভাবে শুরু করতে পারি। আমরা কেবল মনোযোগ দিতে পারি কালকের ম্যাচের প্রথম দুই ঘন্টায়, সেটা আমরা ব্যাটিং করি আর বোলিং করি। তারপর থেকে ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের খেলতে হবে। প্রথম দুইটা ঘণ্টা আমরা ভালোভাবে শুরু করার চেষ্টা করব।”