চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের দলে তিনি নেই। তবে সফরের শেষ দিকে ওয়ানডে সিরিজের দলে তাকে রাখা হয়েছে। ফিটনেস দিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে সন্তুষ্ট করতে পারলে ওয়ানডের আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তাকে দেখা যেতে পারে।
ফেরার লড়াইয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নেটে বোলিং করে চলেছেন তিনি। শুরু করেছিলেন ‘লো ইনটেনসিটি’-তে বোলিং করে। আস্তে আস্তে বাড়ান প্রচেষ্টা। বুধবার বেশ লম্বা সময় পুরো রান আপে ও পুরোদমে বোলিং করলেন নির্বাচকদের সামনে। সব ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার তিনি দেশ ছাড়বেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পথে।
বোলিং সেশন শেষে মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাসকিন বললেন, শারীরিকভাবে তিনি পুরোপুরি তৈরি।
“গতকাল এবং আজকে শতভাগ দিয়েই বোলিং করার চেষ্টা করেছি এবং চেষ্টাগুলো ঠিক ছিল। সবধরনের বলই চেষ্টা করেছি এবং এখানে আমাদের নির্বাচকরা, ডাক্তার সবাই ছিলেন। তারা সবাই সন্তুষ্ট, আমিও সন্তুষ্ট। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর আগেই ৮-৯ বছর পূর্বে বড় ধরনের পিঠের চোটে পড়েছিলেন তাসকিন। সেই থেকে চোট তার নিত্য সঙ্গী। বয়স তাই মোটে ২৭ হলেও বারবার প্রশ্ন উঠে যায়, সংস্করণ বাছাই করে খেলবেন কিনা। তাসকিন অবশ্য বরাবরই বলে আসছেন, সব সংস্করণই তিনি খেলতে চান। আরও একবার তিনি বললেন সেই কথা, পাশাপাশি বললেন পুরনো নেই স্বপ্নের কথাও।
সদ্য চোট থেকে সেরে উঠলেও এবং বারবার চোটে পড়লেও মাঠে নেমে তিনি নিজের সঙ্গে আপোস করতে চান না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও উজাড় করে দিতে চান নিজের সবটুকু।
“আমি চাইব সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিয়ে যেন জয় উপহার দিতে পারি। সবসময় এটাই ইচ্ছা থাকে। শতভাগ দেব। ফাস্ট বোলারদের ইনজুরি টুকটাক হয়। হলে আবার কামব্যাক করতে হবে এটাই চ্যালেঞ্জ এবং এটাতে মজাও আছে। প্রায় আড়াই মাস পর দলের সাথে যুক্ত হতে পারছি, এটা সবচেয়ে বেশি আনন্দের। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য সবচেয়ে শান্তির ব্যাপার দলের সঙ্গে থাকা।”
“প্রত্যেকটি সিরিজই কঠিন, ইনজুরড থাকি আর না থাকি। এটাও চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে। সেভাবেই এগোব। তারপর ইনজুরি হলেও নিজেকে বোঝানো যায় যে নিজের পুরোটা দিয়েছি।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলি ২, ৩ ও ৭ জুলাই, ওয়ানডে সিরিজ ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই।