বোর্ড সভাপতির কাছ থেকে দলে ফেরার খবর জেনেছেন শরিফুল

দলে সুযোগ পাওয়া বা বাদ পড়ার মতো ব্যাপারগুলি সাধারণত নির্বাচকদের কাছ থেকেই জেনে থাকেন ক্রিকেটাররা। কখনও কখনও অধিনায়কের কাছ থেকে মেলে ওই বার্তা। ক্রিকেটীয় সংস্কৃতির টানাপোড়েনের এই দেশে কখনও কখনও সংবাদমাধ্যম থেকেও সরাসরি জানতে পারেন ক্রিকেটারদের অনেকে। তবে শরিফুল ইসলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার খবর জেনেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের কাছ থেকে!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2022, 01:32 PM
Updated : 20 June 2022, 01:32 PM

নাজমুল হাসানের নেতৃত্বাধীন এই বোর্ডে অবশ্য এটা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। যে কোনো ব্যাপার নিয়ে বোর্ড সভাপতি সরাসরি দলে প্রভাব রাখেন বা হস্তক্ষেপ করেন, দল নির্বাচনে ভূমিকা রাখেন, এসব তিনি নানা সময়ে খোলামেলা বলে আসছেন নিজেই।

তারপরও এবারের ঘটনা একটু বিস্ময়কর। দারুণ প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময় বোলার হলেও শরিফুল এখনও বাংলাদেশের ক্রিকেটে শীর্ষ পর্যায়ে যথেষ্ট নবীন। নাটকীয় কিংবা চমকপ্রদ কোনো ঘটনাও তাকে নিয়ে বা দলে ঘটেনি। তারপরও স্বয়ং বোর্ড প্রধানের ফোনে শরিফুল জেনেছেন দলে ফেরার খবর!

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে আগে থেকেই ছিলেন শরিফুল। চোটের কারণে তাকে রাখা হয়নি টেস্ট দলে। তবে চোট কাটিয়ে সপ্তাহ দুয়েক ধরে নেটে বোলিং করছিলেন তিনি। বিসিবি সোমবার জানায়, দ্বিতীয় টেস্টের আগেই দলে যোগ দেবেন বাঁহাতি এই পেসার।

শরিফুল সোমবার দুপুরে বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, রোববার রাতে তিনি জানতে পেরেছেন টেস্ট দলে ফেরার খবর।

“মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। পাপন স্যার (নাজমুল হোসেন) কল করেছিলেন। পেছনের আর কোনো গল্প নেই। গতকাল রাতে জেনেছি। পাপন স্যার ফোন দিয়েছিলেন। আমি বলেছি, ‘জ্বী স্যার, যাব।’ এই তো।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজে আগে কখনও খেলা হয়নি শরিফুলের। তবে এবার প্রথম টেস্টের খেলা তিনি দেখেছেন দূর থেকে। সেখান থেকেই ধারণা নিয়েছেন কিছুটা।

“আমি যা দেখেছি, ওইখানে বল জায়গায় করলেই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। ওদের ক্ষেত্রেও, আমাদের ক্ষেত্রেও। চেষ্টা করব লাইন ও লেংথ ঠিক রেখে বোলিং করার।”

জাতীয় দলে আসার আগে থেকেই চোটের সঙ্গে দেখা নিয়মিত হয় শরিফুলের। জাতীয় দলে ছোট্ট ক্যারিয়ারেও কয়েক দফায় হানা দিল চোট। প্রতিবারই চোটের পর সেরে ওঠার অপেক্ষা আর ক্লান্তিকর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া। আরেক দফায় সেই অধ্যায় শেষ হওয়ায় আপাতত স্বস্তি পাচ্ছেন ২১ বছর বয়সী পেসার।

“কেউ তো আসলে বলে-কয়ে ইনজুরড হয় না। কেউ ইনজুরড হতেও চায় না। ইনজুরি হওয়ার পর রিহ্যাবে থাকলে অবশ্যই খারাপ লাগে। সবাই চায় খেলার ভেতরে থাকতে, খেলতে। কোনো একটা ম্যাচ মিস করলে সবারই খারাপ লাগে। তো ওই সময়টা একটু খারাপ যায় আরকি। ওখান থেকে ফিরলে আবার ভালো লাগে।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্ট শুক্রবার থেকে, সেন্ট লুসিয়ায়।