চোটে কাবু হয়ে সিরিজের মাঝপথেই অবসরে সিলার

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও নেদারল্যান্ডসকে নেতৃত্ব দিয়েছেন পিটার সিলার। দ্বিতীয় ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি তিনি, অধিনায়কত্ব করেন স্কট এডওয়ার্ডস। এই ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই জানা গেল, এই পরিবর্তনই এখন স্থায়ী! পিছু লেগে থাকা চোটের কাছে হার মেনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন সিলার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2022, 06:31 AM
Updated : 20 June 2022, 08:20 AM

বছর দুয়েক ধরেই পিঠের চোট সিলারের সঙ্গী। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আবার তীব্রভাবে ফিরে আসে ব্যথা। টানা লড়াইয়ে ক্লান্ত ৩৫ ছুইঁছুইঁ বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার এবার হাল ছেড়েই দিলেন।

তার জায়গায় এডওয়ার্ডস এখন পাকাপাকি দায়িত্বই পাচ্ছেন। নেতৃত্বের অভিষেকে রোববার ৭৩ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে রান আউট হন তিনি। সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন ৫৬ বলে ৭২ রানের ইনিংস।

২৫ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটসম্যান বেশ কিছুদিন ধরেই ডাচদের ব্যাটিং লাইন আপের বড় ভরসা। গত জানুয়ারিতে আফগানিস্তানের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন টানা তিন ওয়ানডেতে। ডাচ ক্রিকেট এগিয়ে নেওয়ার ভার এখন তার।

সিলার এই ভার বয়ে বেড়াচ্ছিলেন চার বছর ধরে। ২০১৮ সালে পিটার বোরেন অবসরে যাওয়ার পর অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন সিলার। তার নেতৃত্বে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয় নেদারল্যান্ডস।

ডাচ ক্রিকেটে তার পথচলা অবশ্য আরও অনেক বছর আগে থেকেই। অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায় থেকে নিজেকে আলাদা করে চিনিয়ে ১৮ বছর বয়সেই তার অভিষেক হয় জাতীয় দলে। প্রায় ১৭ বছরের পথচলায় ডাচ ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজের নাম খোদাই করে নিয়েছেন সিলার।

৫৭ ওয়ানডে খেলে তার উইকেট ৫৭টি, ৭৭ টি-টোয়েন্টিতে উইকেট ৫৮টি। মূলত রান আটকে রাখায় তার ছিল দারুণ দক্ষতা। ওয়ানডেতে এই যুগেও ওভারপ্রতি রান দিয়েছে ৪.৬৭, টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৬.৮৩।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেদারল্যান্ডসের বড় দুটি সাফল্য, ২০০৯ ও ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের অংশ ছিলেন তিনি।

নেদারল্যান্ডসের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা, সর্বোচ্চ উইকেট শিকার, ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ও যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড নিয়ে তিনি শেষ করলেন ক্যারিয়ার।

চোটের কাছে হার মেনে অবসর নেওয়ার বিষন্নতা ধরা পড়ল তার বিদায়ী বিবৃতিতে।

“২০২০ সাল থেকে আমার পিঠের সমস্যা খারাপ হতে হতে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, প্রচণ্ড আক্ষেপ নিয়েই বলতে হচ্ছে, নিজের সবটুকু আমি আর দিতে পারছি না।”

ইংল্যান্ড অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান, যার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সেই সময়ের সহযোগী সদস্য দেশ আয়ারল্যান্ডের হয়ে, তিনিও সিলারকে শুভেচ্ছা জানালেন বিদায় বেলায়।

“দুর্দান্ত ক্যারিয়ার তার। ডাচ ক্রিকেটে তার অবদান অসাধারণ। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে আমরা অবসরের মুহূর্তে তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ও পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য জানাচ্ছি শুভ কামনা।”