আমস্টিলভিনে আগের দিনের বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় রোববার খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পরে। ৪১ ওভারে নেমে আসা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে জেতে ইংল্যান্ড। ডাচদের ২৩৫ রান তারা ছাড়িয়ে যায় ২৯ বল বাকি থাকতে।
৩ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে ১১৫ পয়েন্ট নিয়ে চলে এলো বাংলাদেশের (১২০) কাছে।
রান তাড়ায় জেসন রয় ও ফিল সল্টের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। আগের ম্যাচে ১ রানে ফেরা রয় প্রথম থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। সল্ট শুরুতে একটু সময় নেন। তার প্রথম বাউন্ডারি আসে অষ্টম ওভারে।
সপ্তদশ ওভারে ভাঙে ইংল্যান্ডের ১৩৯ রানের শুরুর জুটি। আরিয়ান দত্তর করা সেই ওভারে টানা তিনটি চার মারার পর সিঙ্গেল নেন সল্ট। মিড অন দিয়ে চার মারার পর শর্ট থার্ড ম্যানে ধরা পড়েন রয়। তার ৬০ বলে খেলা ৭৩ রানের ইনিংস গড়া এক ছক্কা ও ১৩ চারে।
টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাওয়া সল্টকে বোল্ড করে থামান আরিয়ান। এই ইংলিশ ওপেনারের ৫৪ বলে খেলা ৭৭ রানের ইনিংস গড়া ৯ চারে।
আগের ম্যাচে শূন্য রানে ফেরা ইংল্যান্ড অধিনায়ক মর্গ্যান এবারও রানের খাতা খুলতে পারেননি। টম কুপারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়ার চেষ্টায় ধরা পড়েন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। দারুণ এক ডেলিভারিতে লিয়াম লিভিংস্টোনকে বোল্ড করেন অভিষিক্ত টিম প্রিঙ্গল।
৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের উপর চাপ আরও বাড়তে পারতো। তবে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর সফল রিভিউয়ে বেঁচে যান দাভিদ মালান। মইন আলিকে নিয়ে তিনিই শেষ করেন বাকি কাজ।
একটি করে ছক্কা ও চারে ৫০ বলে ৩৬ রান করেন মালান। তার সঙ্গে ৬৬ বলে ৬২ রানের জুটিতে মইনের অবদান ৪০ বলে ৪২।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নেদারল্যান্ডসের। দশম ওভারে ৩৬ রানের মধ্যে বিদায় নেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান।
৪১ বলে ৩৪ রান করা ডে লেডেকে বিদায় করেন লিভিংস্টোন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা নিদামানুরুকে বোল্ড করে থামান ডেভিড উইলি।
সিরিজে টানা দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া কিপার-ব্যাটসম্যান এডওয়ার্ডস এরপর টেকেননি বেশিক্ষণ। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তিন ছক্কা ও চারটি চারে ৭৩ বলে ৭৮ রান করে ফেরেন রান আউট হয়ে। শেষ দিকে লোগান ফন বিক ও শেন স্নাটারের ব্যাটে ২৩৫ পর্যন্ত যায় ডাচদের সংগ্রহ।
পেসার উইলি ও লেগ স্পিনার আদিল রশিদ নেন দুটি করে উইকেট।
আগামী বুধবার একই মাঠে হবে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নেদারল্যান্ডস: ৪১ ওভারে ২৩৫/৭ (বিক্রমজিত ১০, ও’ডাওড ৭, কুপার ১৭, ডে লেডে ৩৪, এডওয়ার্ডস ৭৮, নিদামানুরু ২৮, ফন বিক ৩০*, প্রিঙ্গল ০, স্নাটার ১৭*; উইলি ৮-০-৪৬-২, টপলি ৮-১-৩৫-০, রশিদ ৯-০-৫০-২, কার্স ৭-০-৩৬-১, মইন ৪-০-৩০-০, লিভিংস্টোন ৫-০-২৮-১)
ইংল্যান্ড: ৩৬.১ ওভারে ২৩৯/৪ (রয় ৭৩, সল্ট ৭৭, মালান ৩৬*, মর্গ্যান ০, লিভিংস্টোন ৪, মইন ৪২*; ফন বিক ৬-১-২৬-০, কিংমা ২-০-১৬-০, প্রিঙ্গল ৮-০-৫১-১, স্নাটার ৩.১-০-২৬-০, ডে লেডে ৩-০-২৭-০, আরিয়ান ৯-১-৫৫-২, কুপার ৪-০-২৫-১, নিদামানুরু ১-০-৮-০)
ফল: ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ডে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: জেসন রয়