অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ২ ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায় আগের দিনই। চতুর্থ ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল স্রেফ ৮৪ রান। সৈয়দ খালেদ আহমেদের তোপে রান তাড়ার শুরুতে ৩ উইকেট হারালেও এরপর আর কোনো হোঁচট খায়নি তারা। দিন শেষ করে ৩ উইকেটে ৪৯ রানে।
এরপর বাকি ছিল স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। রোববার চতুর্থ দিন সকালে ৭ ওভারে তা সেরে ফেলে ক্যারিবিয়ানরা।
অনিয়মিত স্পিনার নাজমুল হোসেন শান্তর ওভারে চার ও ছক্কা মেরে খেলা শেষ করে দেন জন ক্যাম্পবেল। বাঁহাতি ওপেনার অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। ব্ল্যাকউড জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ২৬ রানে।
বছরের শুরুতে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের পর এই নিয়ে ৬ টেস্টের ৫টিই বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ, বাকি একটি হয়েছে ড্র। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৯ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে পড়ে রইল তারা তলানিতেই।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৯ ম্যাচে জিতল ৩টিতে।
টেস্ট শুরুর আগের দিন ফিটনেস পরীক্ষায় উতরে যিনি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন, সেই কেমার রোচ ৭ উইকেট নিয়ে হয়েছে ম্যান অব দা ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০৩
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৬৫
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৪৫
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৮৪, আগের দিন ৪৯/৩) ২২ ওভারে ৮৮/৩ (ক্যাম্পবেল ৫৮*, ব্ল্যাকউড ২৬*, মুস্তাফিজ ৪-১-৭-০, খালেদ ৮-০-২৭-৩, মিরাজ ৩-২-১০-০, ইবাদত ৪-০-৩০-০, সাকিব ২-০-৩-০, শান্ত ১-০-১০-০)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: কেমার রোচ।