সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হারিসের অভিষেক নিয়ে বেজায় চটেছেন আফ্রিদি। আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখার সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ হন ২১ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটসম্যান। তিন ম্যাচের দুটিতে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে করেন ৬ ও ০ রান।
এই সিরিজের আগে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে স্রেফ ২০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল হারিসের। পারফরম্যান্সও সেখানে খুব একটা আহামরি নয়। এক সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে রান ছিল ৫৩৮।
সবশেষ পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েই মূলত নির্বাচকদের নজর কাড়েন হারিস। পেশাওয়ার জালমির হয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে রান করেন ১৬৬, স্ট্রাইক রেট ১৮৬.৫! এই পারফরম্যান্সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা বলের দুই সংস্করণের দলে ডাক পান তিনি।
গত মার্চ-এপ্রিলের ওই দুই সিরিজে অবশ্য খেলার সুযোগ পাননি হারিস। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এই ওয়ানডে সিরিজ দিয়েই শুরু হলো তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা।
হারিসকে দলে যোগ করা নিয়ে মাঝে সমালোচনা করেন আরেক সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফও। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে সেভাবে প্রমাণ না করতেই কোনো ক্রিকেটারকে জাতীয় দলে ডাকা একদমই পছন্দ নয় আফ্রিদির। পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল সামা টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, বোকার মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে নির্বাচকরা।
“মূর্খের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই মানুষগুলো (নির্বাচকরা)। রমিজ রাজাকে তো এটা বলব না, তবে মোহাম্মদ ওয়াসিম (প্রধান নির্বাচক) যদি এখন শুনে থাকেন, তাকে বলতে চাই এই ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য।”
“টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে ওয়ানডের জন্য ক্রিকেটার নির্বাচন করছে তারা। দুটি টি-টোয়েন্টিতে পারফর্ম করা ক্রিকেটারকে কেন ওয়ানডের জন্য নিচ্ছেন? প্রক্রিয়াটা কি এতই সহজ? যাকে মন চায় পাকিস্তানের ক্যাপ দিয়ে দিচ্ছেন আপনারা।”
ভবিষ্যতের ভাবনায় তরুণদের দলের সঙ্গে রেখে তৈরি করাকে অবশ্য ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন আফ্রিদি। তবে আগে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে ক্রিকেটারদের নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত পিসিবির, মনে করছেন তিনি।।
“তরুণ ক্রিকেটারদের দলে নেওয়াকে আমিও সমর্থন করি, তবে তাদেরকে অন্তত ঘরোয়া ক্রিকেটে তো খেলতে দিন। দলে সরফরাজ ও রিজওয়ানও আছে। এমন নয় যে, রিজওয়ানের ক্রিকেট শেষ হয়ে গেছে, তাই আপনি আরেকজনকে দলে নিয়ে আসলেন।”