মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বুধবার গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডানের জয় ২০৬ রানে। ৩১৬ রানের পুঁজি গড়ে প্রতিপক্ষকে তারা গুটিয়ে দেয় ১১০ রানে।
ছয় নম্বরে নেমে ৪১ বলে ৫ চারে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন সালমা। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার হাত ঘুরিয়ে ৯.১ ওভারে ৫ মেডেনে স্রেফ ৬ রানে নেন ২ উইকেট। ম্যাচের সেরা তিনিই।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডানের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন শামিমা সুলতানা, জাসিয়া আক্তার ও শায়লা শারমিন। ওপেনার শামিমা ৫৬ বলে ৪টি চারে করেন ৪৩ রান।
তিনে নম্বরে জাসিয়া ৩৭ বলে ৬ চার ৪ ছক্কায় খেলেন ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস। ৭১ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৬৩ রান করেন শায়লা। রুমানা আহমেদ ৩ রানের বেশি করতে পারেননি।
সালমার ওই ইনিংসের পর শেষ দিকে শম্পার ১২ বলে ৩ চারে অপরাজিত ১৯ রানের সুবাদে তিনশ ছাড়ায় মোহামেডানের স্কোর।
রান তাড়ায় গুলশান ইয়ুথ ক্লাব নিয়মিত উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় শেষ ওভারে। দলটির হয়ে ওপেনার সুমিয়া আইরিন আইভি করেন সর্বোচ্চ ২৬ রান।
সালমার সঙ্গে মোহামেডানের অন্য বোলাররাও দারুণ বোলিং করেন। ৯ ওভারে ১০ রানে ২ উইকেট নেন সাথিরা জাকির জেসি। রুমানা ১০ ওভারে ১৮ রানে নেন একটি।
১০ ম্যাচে ৮ জয়ে রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদের সমান ১৮ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডান শীর্ষে আছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ৩১৬/৯ (শামিমা ৪৩, শারমিন ১৬, জাসিয়া ৬১, শায়লা ৬৩, রুমানা ৩, সালমা ৪১, সোহেলি ২৩, তাজিয়া ১৬, সাথিরা ৯, শম্পা ১৯*, ফারজানা ৪*; রিয়া ১০-০-৫০-১, খাদিজা ১০-০-৫৬-১, বৃষ্টি ১০-০-৬১-২, মোর্শেদা ৮-০-৬৭-১, রিমি ১০-০-৬৩-২, ফাতেমা ২-০-১৮-১)
গুলশান ইয়ুথ ক্লাব: ৪৯.১ ওভারে ১১০ (সুমিয়া ২৬, রিয়া ৯, নুজহাত ১৫, রিমি ১৯, বৃষ্টি ১, খাদিজা ২৬, ফাতেমা ২, ফারহানা ০, মুন্নি ০, মোর্শেদা ১*; নিশু ০, জাসিয়া ৪-১-৬-০, সালমা ৯.১-৫-৬-২, রুমানা ১০-২-১৮-১, তাজিয়া ৩-০-৬-১, সোহেলি ৯-০-৩০-১, সাথিরা ৯-৩-১৯-২, শায়লা ৫-০-২৪-১)
ফল: মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২০৬ রানে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: সালমা খাতুন
রূপালী ব্যাংক-মিরপুর প্রমীলা
বিকেএসপির এক নম্বর মাঠে মিরপুর প্রমীলা ক্রিকেট ক্লাবকে সহজেই ৯ উইকেটে হারিয়েছে রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ।
লিগে আরও একবার এদিন পঞ্চাশের নিচে অলআউট হয় মিরপুর প্রমীলা। তাদের ৩০ ওভারে ৩১ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ৪.১ ওভারেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে রূপালী ব্যাংক।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা মিরপুর প্রমীলার কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৫ রান করেন দুই জন।
১০ ওভারে ৪ মেডেনে মাত্র ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে রূপালী ব্যাংকের সফলতম বোলার আয়েশা রহমান। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি।
জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তার ১০ ওভারে ৪ মেডেনে ৯ রানে নেন ৩ উইকেট।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে ফারজানা হক বিদায় নিলেও নিগার সুলতানাকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুক্তা রবীন্দ্র। মুক্তা ১৩ বলে ২৪ ও অধিনায়ক নিগার ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ: ৪.১ ওভারে ৩৭/১ (মুক্তা ২৪*, ফারজানা ৫, নিগার ৮*; রিফাত ২.১-০-২৬-০, শারমিন ২-০-১১-১)
ফল: রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ ৯ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: আয়েশা রহমান
খেলাঘর-শেখ রাসেল
অধিনায়ক সোবহানা মোস্তারির দারুণ এক ইনিংসে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সংঘকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট একাডেমি।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে খেলাঘরের ২০২ রান শেষ বলে পেরিয়ে যায় শেখ রাসেল। ৯৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসে ম্যাচের সেরা সোবহানা।
১০ ওভারে ২৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে শেখ রাসেলের সফলতম বোলার সানজিদা আক্তার।
রান তাড়ায় ২৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শেখ রাসেল। একশর আগেই পাঁচ ব্যাটারকে হারানো দলটির ৪০ ওভার শেষে স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৩৬।
সেখান থেকে সপ্তম উইকেটে ইসমত জাহানের সঙ্গে ৬০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৭ রানের জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন সোবহানা। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরা হন জাতীয় দলের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। ইসমত ২৪ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সংঘ: ৫০ ওভারে ২০২/৫ (মিষ্টি ৩, দিলারা ৩৫, সাবাকুন ১, ফাল্গুনি ৩৮, লতা ৬০*, রিতু মনি ২৩, সুলতানা ২৫*; সানজিদা ১০-৩-২৬-২, প্রিয়াঙ্কা ১০-২-২২-১, সুমা ৪-০-২৪-০, সোবহানা ৫-০-২১-০, ইসমত ১০-১-৩৮-১, রোকিয়া ৯-০-৫৪-১, একা ২-০-১৫-০)
শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট একাডেমি: ৫০ ওভারে ২০৩/৬ (মুর্শিদা ১৯, ফারজানা ৮, একা ০, পিঙ্কি ২৫, প্রিয়াঙ্কা ১২, সোবহানা ৮৪*, নিপা ২১, ইসমত ২৬*; ফুয়ারা ১০-৩-৩৬-৩, ফাতেমা ৯-০-৩৫-০, রিতু মনি ১০-১-৩৮-১, সুলতানা ২-০-১০-০, স্বর্ণা ১০-০-৪৬-১)
ফল: শেখ রাসেল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট একাডেমি ৪ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: সোবহানা মোস্তারি