১৯০ রানের পর দুই ক্যাচ হাতছাড়া-মিচেলের অম্লমধুর দিন

ছোট্ট টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি। এক যুগের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে সেরা ইনিংস। প্রাপ্তি তাই যথেষ্টই। তবু আক্ষেপ খানিকটা থাকার কথা। খুব কাছে গিয়েও ছোঁয়া হলো না প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি! এরপর ফিল্ডিংয়ে নেমে হাতছাড়া হলো দুটি ক্যাচ। সব মিলিয়ে অসাধারণ ব্যাটিংয়ের দিনটিতে কিছু অপূর্ণতাও রয়ে গেল ড্যারিল মিচেলের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2022, 06:26 AM
Updated : 12 June 2022, 08:34 AM

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে মিচেল খেলেন ১৯০ রানের ইনিংস। শেষ দিকে আরেক প্রান্তে একের পর এক সঙ্গী হারিয়ে তিনি চেষ্টা করেন দ্রুত কিছু রান তুলে ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর। শেষ ব্যাটসম্যান ট্রেন্ট বোল্ট যখন উইকেটে যান, মিচেলের রান তখন ১৭৩। সেখান থেকে ১৯০ রানে পৌঁছে যান বেশ দ্রুতই।

এরপর রান তোলার তাড়াতেই বেশ বাইরের বল খেলে তিনি আউট হয়ে যান। নিউ জিল্যান্ডকে ৫৫৩ রানের উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার মূল কারিগর তিনিই।

আগের টেস্টেও লর্ডসে তিনি করেছিলেন সেঞ্চুরি। ১১ টেস্টের ক্যারিয়ারে তিনটি সেঞ্চুরি করে ফেললেন। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে আগের ৮৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ ছিল ১৭০ রান।

একটুর জন্য ডাবল সেঞ্চুরি না হলেও দিন শেষে মিচেলের দাবি, আক্ষেপ তার খুব একটা নেই।

“সত্যি বলতে, ব্যক্তিগত ডাবল সেঞ্চুরি আমার কাছে অনেক বড় কোনো ব্যাপার নয়। দলকে টেস্ট জয়ে সহায়তা করার মতো স্কোর করতে পারাটাই দারুণ কিছু। সেঞ্চুরির ওপরে যে কোনো কিছুই বেশ ভালো। আমি তাই চেষ্টা করছিলাম দলের জন্য ভালো কিছু করার।”

ব্যাটিংয়ে নায়কোচিত ইনিংস খেলার পর ফিল্ডিংয়ে দেখা যায় তার ভিন্ন রূপ। এমনিতে তিনি দুর্দান্ত ফিল্ডার, স্লিপে বেশ নিরাপদ। কিন্তু এ দিন ফসকে যায় দুটি ক্যাচ।

টিম সাউদির বলে ১২ রানে ছাড়েন অ্যালেক্স লিসের ক্যাচ, একটু পর ব্যর্থ হন ৪১ রানে দেওয়া অলিভার পোপের সুযোগটি নিতে।

সেই লিস দিনশেষে অপরাজিত ৩৪ রানে, পোপ খেলছেন ৫১ রানে। ১ উইকেটে ৯০ রান নিয়ে দিন শেষ করে ইংল্যান্ড, যেখানে অনায়াসেই থাকতে পারত ৩ উইকেট।

বরাবরই ধীরস্থির মিচেল এখানেও খুব বেশি হাহুতাশ করছেন না সুযোগ হারিয়ে।

“খেলার ধরনটিই এরকম। যে ক্রিকেট খেলেছে, জীবনে একবার হলেও ক্যাচ ছেড়েছে। আমি যেভাবে ভাবি, যা হয়ে গেছে, সেটিতে আর কিছু করার নেই। মনোযোগ দিতে পারি স্রেফ পরেরটায়, যেন আরেকবার সুযোগ এলে নিতে পারি।”

“এটাই ক্রিকেট। প্রথম যেটি হাতছাড়া হলো, ১০ বারের মধ্যে ৯ বারই হয়তো আমি নিয়ে ফেলব। দ্বিতীয়টি অবশ্য ছিল রিঅ্যাকশন ক্যাচ, হাতে আটকে গেলে রয়ে যায়, নয়তো ফসকে যায়। আমি অনুশীলন করি পাঁচদিন ধরে ভালো খেলা ও দায়িত্ব পালনের জন্যই। তবে খেলার ধরনটিই এমন যে এরকম হয়ে যায়।”