ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তামিমের অপরাজিত সেঞ্চুরির সৌজন্যে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান করেছে বাংলাদেশ। ২৪০ বলে ১৯ চার ও এক ছক্কায় ১৪০ রানে খেলছেন তামিম। ২ বল খেলে ৬ রানে তার সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন।
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট’স একাদশে নেই তেমন কোনো বড় নাম। তরুণ বোলারদের নিয়ে গড়া দলটির সামনে সুবিধা করতে পারেননি সফরকারীদের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই।
অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। জেরেমায়া লু্ইসের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়ার চেষ্টায় শূন্য রানে বিদায় নেন তরুণ এই ওপেনার।
রানে ফেরার লড়াইয়ে থাকা শান্তকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন তামিম। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। জুটিতে অগ্রণী ছিলেন তামিম, সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত।
প্রেস্টন ম্যাকসুইনের বলে শান্ত ক্যাচ দিলে ভাঙে ১৪০ রানের জুটি। তার ৯৯ বলের ইনিংসটি গড়া ৯ চারে।
জয়ের মতো স্রেফ ৬ বল টিকতে পারেন মুমিনুলও। টেস্ট নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর প্রথম খেলতে নেমে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ফেরেন শূন্য রানে। গত এক বছরে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান লিটন দাসও দাঁড়াতে পারেননি। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এই কিপার-ব্যাটসম্যান এক চারে ১৯ বলে করেন ৪ রান।
১ উইকেটে ১৪২ রানের দৃঢ় অবস্থান থেকে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১৫২/৪। সেখান থেকে দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন তামিম ও ইয়াসির আলি চৌধুরি। ৩৯ বলে ১১ রান করে ইয়াসির চোটের জন্য মাঠ ছাড়লে ফের চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে তামিমের জুটিতে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩৫ রান করে সোহানের বিদায়ের পর দ্রুত ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলার সময় আঙুলে চোট পাওয়া অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার ফেরার ইনিংসে করেন ২৭ বলে ৬।
ক্রিজে যাওয়ার পরপরই ছক্কা মারেন মোসাদ্দেক। এরপরই দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন আম্পায়াররা।
১৬২ বলে ১৪ চার ও এক ছক্কায় সেঞ্চুরি স্পর্শ করা তামিম খেলছেন নিজের মতো করে। অন্য প্রান্তে একের পর এক সঙ্গী পাল্টালেও উইকেটে পড়ে থেকে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৭৪/৬ (তামিম ১৪০*, জয় ০, শান্ত ৫৪, মুমিনুল ০, লিটন ৪, ইয়াসির আহত অবসর ১১, সোহান ৩৫, মিরাজ ৭, মোসাদ্দেক ৬* ; ম্যাকসুইন ১০-১-৪৯-১, লুইস ১৪-২-৪৪-২, মিন্ডলে ৭-৩-২০-০, আর্চিবল্ড ১০-১-৩২-০, চার্লস ১৮-৪-৫৭-১, চেইস ৪-১-১৭-০, ওয়ারিক্যান ১৩.৫-৬-২৮-১ ক্যারিয়াহ ৬-০-১৫-১)